জাতীয়
টেকসই উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার: আলী আরাফাত
![টেকসই উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার: আলী আরাফাত মিডল্যান্ড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/arafat-1.jpg)
টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা এ অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ইউনাইটেড ইন প্রোগ্রেস: শেয়ারিং ন্যাশনাল এসডিজি’স কমিউনিকেশনস স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক ইউনিট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহ কার্যালয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরলীধরন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারণা ও দর্শন হচ্ছে, শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে টেকসই এবং সুষম। কারণ উন্নয়ন যদি টেকসই ও সুষম না হয় তাহলে তা সত্যিকার অর্থে কাজে আসে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামোতে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ একীভূত করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ। জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করার উদ্যোগ খুবই সময়োপযোগী। এই কৌশল এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রতিটি নাগরিককে তাদের অবস্থান নির্বিশেষে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সচেতন ও সম্পৃক্ত করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় সরকারের নীতি এবং জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। মন্ত্রণালয়ের সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মগুলো কাজে লাগিয়ে এসডিজির বার্তাগুলো প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হল একজন সচেতন এবং নিযুক্ত নাগরিক। যখন মানুষ এসডিজির তাৎপর্য এবং সেগুলো অর্জনে তাদের ভূমিকা বুঝতে পারে, তখন তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে।
তিনি আরও যোগ করেন, যোগাযোগ হচ্ছে কৌশলী একটি বিষয়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে কি ধরণের উপকরণ বা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে সেটি নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। যোগাযোগের উপকরণ ও কৌশল প্রয়োজন উপযোগী হতে হবে। এটি হতে হবে স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে। ঢাকায় বসে আমরা যা আলোচনা করি এবং যোগাযোগের যে পদ্ধতির কথা ভাবি সেটি গ্রামাঞ্চলে কার্যকর নাও হতে পারে। তাই স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে এসডিজি সম্পর্কিত প্রথম জাতীয় কমিউনিকেশনস স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০ এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এটি উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) এসডিজি কমিউনিকেশনস সিনিয়র অফিসার নুসরাত আমিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
ডিজেলের দাম কমালো সরকার
![ডিজেলের দাম কমালো সরকার মিডল্যান্ড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/oil.jpg)
জুলাই মাসের জন্য ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে এক টাকা কমিয়েছে সরকার। রবিবার (৩০ জুন) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য মতে, আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সায় বিক্রি হবে। জুন মাসে এই পণ্য দুটি প্রতি লিটার ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পেট্রোল ও অকটেনের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। জুলাই মাসেও প্রতি লিটার পেট্রোল ১২৭ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩১ টাকা দরে বিক্রি হবে।
সরকার গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলায় প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসের ভোক্তা পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুর্নীতিবাজদের বদলি নয়, চাকরিচ্যুত করা দরকার: মোমেন
![দুর্নীতিবাজদের বদলি নয়, চাকরিচ্যুত করা দরকার: মোমেন মিডল্যান্ড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/ak-abdul-momen01.jpg)
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদ খুঁজে বের করে তা নিলামে তোলা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বদলি কোনো শাস্তি হতে পারে না, তাদের চাকরিচ্যুত করা দরকার। রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আব্দুল মোমেন লিখেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না। বরং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে এবং তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া দরকার এবং অবশ্যই তাকে তড়িৎবেগে চাকরিচ্যুত করতে হবে। বদলি শাস্তি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকরিজীবীর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার সরকারি চাকুরিটি। দুর্নীতি পরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর ক্যাডারের কর্মকর্তা ও প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে আজ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১-এ বদলি করা হয়েছে।
এর আগে ছাগল-কাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মো. মতিউর রহমানের ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনাও বের হয়ে আসে। পরে তাকেও পদ থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পণ্যের রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমালো সরকার
![পণ্যের রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমালো সরকার মিডল্যান্ড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/03/bangladesh-bank.jpg)
স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ ৪৩ খাতের পণ্যে নগদ প্রণোদনা কমানো হয়েছে; যা পণ্য ভেদে কমেছে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।
রবিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। ২০২৩-২৪-এ ৪৩টি পণ্য সহায়তা পেয়েছিল। নতুন অর্থবছরে নির্ধারিত পণ্যে সর্বনিম্ন দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। যা ২০২৩-২৪ ছিল ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে সংকটে ডলারের খরচ কমাতে চাইছে সরকার। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ সহায়তা কমানো হয়েছে।
নগদ সহায়তা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এবার প্রায় সব পণ্যের নগদ সহায়তার হার কমানো হয়েছে।
রপ্তানি সহায়তা কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমানে রপ্তানি খাত নানা সমস্যায় জর্জরিত। আর এখন নগদ সহায়তা কমিয়ে দেওয়াটা যুক্তিসংগত নয়। নগদ সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার ফলে আমদানি নির্ভরতা বেড়ে যাবে, রিজার্ভ কমে যাবে। আস্তে আস্তে পরনির্ভরশীল হয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের একদিকে কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং ব্যাংক সুদ বেড়েছে। অন্যদিকে সহায়তা কমানো হচ্ছে। তাতে ধীরে ধীরে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হবে এ খাত। তাতে ঋণের অর্থ ব্যাংক ফেরত পাবে না। এভাবে রপ্তানিকারকদের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট হয়ে যাবে।
এলডিসির অযুহাত ঠিক নয় জানিয়ে পোশাক কারখানার মালিকদের এ নেতা বলেন, উন্নয়নশীল দেশে গেলে আমাদের সুবিধা কমে যাবে এই অযুহাত দিয়ে নগদ সহায়তা কমানোর কোনো যুক্তি নেই। কারণ আরও দুই বছর সময় আছে, এছাড়া এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের পর আরও ৩ বছর শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এখনই সব বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
আমরা সরকারের সব মহলে বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু তারা আমলে না সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। তৈরি পোশাক খাত এখন আইসিইউ তে আসে। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া না হলে লাইফ সাপোর্টে দিতে হবে। তা না দিয়ে নগদ সহায়তা কমানোর মাধ্যমে গলা টিপে হত্যা করার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিকেএমইএর এ নেতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ফিটনেসবিহীন যান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
![বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ফিটনেসবিহীন যান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মিডল্যান্ড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/12/Tajul-Islam.jpg)
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ফিটনেসবিহীন যান, কলকারখানা ও ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া। এ ছাড়া দূষণ বাড়াচ্ছে নগরায়ণের ফলে সৃষ্ট ধূলি। রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের এমপি মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বায়ুদূষণে ল্যান্ডফিলের নির্গত মিথেন গ্যাসের প্রভাব আশঙ্কাজনক নয়। এর পরও মিথেন গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন-সংক্রান্ত প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও বসবাস উপযোগী রাজধানী নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ভূমি উন্নয়ন, ইমারত নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ অনাপত্তিবিষয়ক প্রবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণ বন্ধ এবং জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে।
এদিকে নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ২২ জুন পর্যন্ত বিডা ওএসএসের মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬১টি স্থানীয়, ৬০টি যৌথ উদ্যোগে এবং ৬৬টি বিদেশি প্রকল্প। এসব শিল্প প্রকল্পের বিপরীতে মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব পাওয়া গেছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বনজ-ঔষধি গাছ রোপণে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
![বনজ-ঔষধি গাছ রোপণে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান saber](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/chaber.jpg)
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেক নাগরিকের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের কমপক্ষে একটি চারা রোপণ করা উচিত। সম্মিলিতভাবে গাছ রোপণ করে আমরা একটি সবুজ, স্বাস্থ্যকর ও আরও টেকসই এবং সহনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
রবিবার (৩০ জুন) ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে একটি নিম গাছ রোপণের মাধ্যমে ওয়ান ট্রি ফোর মাদার ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই ক্যাম্পেইন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণের প্রতি আমাদের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থায়ী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রমাণ। আমরা আরও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারব। এ কর্মসূচি সবাইকে গাছ রোপণ, লালনে একত্রিত করে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষার দায়িত্ব নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
এ সময় বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।