জাতীয়
টেকসই উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার: আলী আরাফাত

টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার। এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা এ অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘ইউনাইটেড ইন প্রোগ্রেস: শেয়ারিং ন্যাশনাল এসডিজি’স কমিউনিকেশনস স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক ইউনিট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহ কার্যালয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরলীধরন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারণা ও দর্শন হচ্ছে, শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে টেকসই এবং সুষম। কারণ উন্নয়ন যদি টেকসই ও সুষম না হয় তাহলে তা সত্যিকার অর্থে কাজে আসে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামোতে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ একীভূত করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ। জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করার উদ্যোগ খুবই সময়োপযোগী। এই কৌশল এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রতিটি নাগরিককে তাদের অবস্থান নির্বিশেষে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সচেতন ও সম্পৃক্ত করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় সরকারের নীতি এবং জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। মন্ত্রণালয়ের সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মগুলো কাজে লাগিয়ে এসডিজির বার্তাগুলো প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হল একজন সচেতন এবং নিযুক্ত নাগরিক। যখন মানুষ এসডিজির তাৎপর্য এবং সেগুলো অর্জনে তাদের ভূমিকা বুঝতে পারে, তখন তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে।
তিনি আরও যোগ করেন, যোগাযোগ হচ্ছে কৌশলী একটি বিষয়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে কি ধরণের উপকরণ বা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে সেটি নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। যোগাযোগের উপকরণ ও কৌশল প্রয়োজন উপযোগী হতে হবে। এটি হতে হবে স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে। ঢাকায় বসে আমরা যা আলোচনা করি এবং যোগাযোগের যে পদ্ধতির কথা ভাবি সেটি গ্রামাঞ্চলে কার্যকর নাও হতে পারে। তাই স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে এসডিজি সম্পর্কিত প্রথম জাতীয় কমিউনিকেশনস স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০ এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এটি উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) এসডিজি কমিউনিকেশনস সিনিয়র অফিসার নুসরাত আমিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব গির্জা পরিষদের মহাসচিবের সাক্ষাৎ

বিশ্ব গির্জা পরিষদের (ডব্লিউসিসি) মহাসচিব রেভারেন্ড ড. জেরি পিল্লে রোববার (১৩ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে জেনেভা-ভিত্তিক রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার প্রতি বিশ্ব গির্জা পরিষদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সংহতি জানাতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, দুই দশক পর এই সফর বাংলাদেশের প্রতি আমাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আপনার মতো আমরাও একতা, শান্তি ও ন্যায়সঙ্গত সমাজে বিশ্বাস করি এবং আমরা দেখছি, আপনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। উত্থান-পতন থাকবেই, তবে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে চাই। আশা করি, আপনারা আবার বাংলাদেশ সফর করবেন।
বিশ্ব গির্জা পরিষদ ৩৫২টি সদস্য গির্জার একটি বৈশ্বিক সংগঠন, যা ৫০ কোটিরও বেশি খ্রিস্টানের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
রেভারেন্ড পিল্লে উল্লেখ করেন, ড. ইউনূসের থ্রি জিরো ধারণার (সম্পদ কেন্দ্রীকরণের শূন্যতা, বেকারত্বের শূন্যতা এবং কার্বন নিঃসরণের শূন্যতা) সঙ্গে ডব্লিউসিসির দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা অন্যতম উদ্ভাবনী ও বিশ্বমানের।
তিনি বলেন, বিশ্ব গির্জা পরিষদেও আমরা এই ৩ শূন্য নীতিগুলো সক্রিয়ভাবে অনুসরণ করি। এটি একটি প্রাকৃতিক মিল, এবং আমরা আনন্দের সঙ্গে এই পথে আপনাদের পাশে আছি।
রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, গাজীপুরে বিশ্ব গির্জা পরিষদের বাংলাদেশ শাখা একটি জলবায়ু কেন্দ্র চালু করেছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ড. এ এফ এম খালিদ হাসানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রেভারেন্ড পিল্লের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ দিনেশ সুনা, বাংলাদেশ প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ফেডারেশনের (এফপিসিবি) সভাপতি বিশপ ফিলিপ অধিকারী, জাতীয় খ্রিস্টান পরিষদের (এনসিসিবি) সভাপতি (অব.) উইং কমান্ডার ক্রিস্টোফার অধিকারী এবং এনসিসিবি-এর মহাসচিব রেভারেন্ড দীপক দাস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এসএমপি ও চাঁদপুরে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি সেবা চালু

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে পুলিশি সেবা সহজীকরণের অংশ হিসেবে থানায় সশরীরে উপস্থিত না হয়েও ঘরে বসে সকল ধরনের জিডি করার সুবিধা চালু করছে বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে অনলাইনে শুধুমাত্র হারানো এবং প্রাপ্তি সংক্রান্ত জিডি করা যায়। এখন থেকে অনলাইনে সকল ধরনের জিডি করা সম্ভব হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট ভিত্তিতে আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানা এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল থানায় এ অনলাইন জিডি সেবা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সকল থানায় অনলাইনে সকল ধরনের জিডি করার সুবিধা চালু করা হবে।
অনলাইন জিডি সেবা পেতে প্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘Online GD’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন করে এ সেবা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই। রেজিস্ট্রেশন করতে অথবা অনলাইন জিডি করতে কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হলে ০১৩২০০০১৪২৮ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। হটলাইন নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
পুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম বন্দরে তিন রুশ যুদ্ধজাহাজ

চারদিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধজাহাজ। রোববার (১৩ এপ্রিল) যুদ্ধজাহাজ ‘রেজিক’, ‘হিরো অব দ্য রাশিয়ান ফেডারেশন আলদার সিডেনঝপভ’ এবং ‘পেচেঙ্গা’ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। জাহাজ তিনটির কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, মিলিটারি, এয়ার অ্যান্ড নেভাল অ্যাটাশে এবং চট্টগ্রামের রাশিয়ান অনারারি কনসালসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সফরকারী জাহাজগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদ’ তাদের অভ্যর্থনা জানায়।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে সফরকারী জাহাজগুলোর অধিনায়ক, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
সফরকারী জাহাজগুলোর কর্মকর্তা ও নাবিকরা পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে অবস্থিত রেডকিন পয়েন্টে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং নৌবাহিনী প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ও জাহাজ, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য পরিচালিত বিএন আশার আলো স্কুল এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন।
এছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্য এবং নৌবাহিনী পরিচালিত স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা রাশিয়ার জাহাজগুলো পরিদর্শন করবেন।
সফর শেষে রাশিয়ার জাহাজগুলো জাহাজ তিনটি বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল

বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৭ এপ্রিল এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ, ইসরায়েল ব্যতীত’। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সিএমপির ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের উদ্বোধন

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। এসময় অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জনাব মো. আব্দুল কাইয়ুম খান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এবং জরিমানা আদায়ের পদ্ধতিগুলি তুলে ধরার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক আইটি কনসালটেন্টস পিএলসির (আইটিসিএল) সহযোগিতায় ২ দিনের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ছিল কর্মশালার সমাপনী দিন এবং প্রশিক্ষণের পর যে কোনো ব্যাংক কার্ড, মোবাইল আর্থিক পরিষেবা বা বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে পস মেশিন ব্যবহার করে সুবিধাজনকভাবে ট্রাফিক জরিমানা পরিশোধ করা সহজ হবে।
প্রশিক্ষণ ও চুক্তি স্বাক্ষর শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ট্রাফিক মামলার ফাইন কালেকশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বর্তমান পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় কোনও যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে, ট্রাফিক ফাইন সংগ্রহের কালেকশন বুথের অভাবে ভুক্তভোগীর পক্ষে সেটি জমা দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক আধুনিক সফটওয়্যার আপগ্রেডের মাধ্যমে একটি উন্নতমানের পস সিস্টেম চালু করেছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই তাৎক্ষণিক সময়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত স্মার্ট বাংলা কিউআর কোড ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসসহ ২১টি অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপস এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইফট অব বাংলাদেশের মোট ৫৬টিসহ সর্বমোট ৭৮টি পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশন জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। আর এই সকল জরিমানার টাকা কমিউনিটি ব্যাংকের পেমেন্ট চ্যানেল ব্যবহার করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে জমা হবে। এই প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডকুমেন্টস আটক রাখার প্রয়োজনও পড়বে না।
অনুষ্ঠানে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ক্রাইম্) মো. হুমায়ুন কবির; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার এবং ট্রাফিক বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী, হেড অব অপারেশন্স শরফুদ্দিন মো. রেদওয়ান পাটওয়ারী, এসভিপি ও আগ্রাবাদ শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, ভিপি ও হেড অব কার্ড জহির আহমেদ, এসএভিপি ও আন্দরকিল্লা শাখা ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন এবং ব্যাংকের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।