অর্থনীতি
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেলো বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। তাতে রিজার্ভের পরিমাণও বেড়েছে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬৫০ কোটি বা সাড়ে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
এর আগে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর গত ডিসেম্বরে পেয়েছিল দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের ফলে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের বাকি প্রায় ২৩৯ কোটি ডলার আর চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করে। ওই আবেদনের ছয় মাস পর গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩৮টি শর্তে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ জানায়, শর্তপূরণ সাপেক্ষে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাত কিস্তিতে ঋণের এ অর্থ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে তিনটি কিস্তি পাওয়া গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডিজেলের দাম কমালো সরকার
জুলাই মাসের জন্য ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে এক টাকা কমিয়েছে সরকার। রবিবার (৩০ জুন) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য মতে, আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সায় বিক্রি হবে। জুন মাসে এই পণ্য দুটি প্রতি লিটার ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পেট্রোল ও অকটেনের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। জুলাই মাসেও প্রতি লিটার পেট্রোল ১২৭ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেন ১৩১ টাকা দরে বিক্রি হবে।
সরকার গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলায় প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসের ভোক্তা পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পণ্যের রপ্তানিতে নগদ সহায়তা কমালো সরকার
স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক ও চামড়াসহ ৪৩ খাতের পণ্যে নগদ প্রণোদনা কমানো হয়েছে; যা পণ্য ভেদে কমেছে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।
রবিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। ২০২৩-২৪-এ ৪৩টি পণ্য সহায়তা পেয়েছিল। নতুন অর্থবছরে নির্ধারিত পণ্যে সর্বনিম্ন দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। যা ২০২৩-২৪ ছিল ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে সংকটে ডলারের খরচ কমাতে চাইছে সরকার। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ সহায়তা কমানো হয়েছে।
নগদ সহায়তা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এবার প্রায় সব পণ্যের নগদ সহায়তার হার কমানো হয়েছে।
রপ্তানি সহায়তা কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমানে রপ্তানি খাত নানা সমস্যায় জর্জরিত। আর এখন নগদ সহায়তা কমিয়ে দেওয়াটা যুক্তিসংগত নয়। নগদ সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার ফলে আমদানি নির্ভরতা বেড়ে যাবে, রিজার্ভ কমে যাবে। আস্তে আস্তে পরনির্ভরশীল হয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের একদিকে কর্মীদের বেতন, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং ব্যাংক সুদ বেড়েছে। অন্যদিকে সহায়তা কমানো হচ্ছে। তাতে ধীরে ধীরে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হবে এ খাত। তাতে ঋণের অর্থ ব্যাংক ফেরত পাবে না। এভাবে রপ্তানিকারকদের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট হয়ে যাবে।
এলডিসির অযুহাত ঠিক নয় জানিয়ে পোশাক কারখানার মালিকদের এ নেতা বলেন, উন্নয়নশীল দেশে গেলে আমাদের সুবিধা কমে যাবে এই অযুহাত দিয়ে নগদ সহায়তা কমানোর কোনো যুক্তি নেই। কারণ আরও দুই বছর সময় আছে, এছাড়া এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে উত্তরণের পর আরও ৩ বছর শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এখনই সব বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
আমরা সরকারের সব মহলে বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু তারা আমলে না সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। তৈরি পোশাক খাত এখন আইসিইউ তে আসে। সঠিক চিকিৎসা দেওয়া না হলে লাইফ সাপোর্টে দিতে হবে। তা না দিয়ে নগদ সহায়তা কমানোর মাধ্যমে গলা টিপে হত্যা করার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান বিকেএমইএর এ নেতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোনার দাম কমেছে, সোমবার থেকে কার্যকর
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ প্রতি ভরি ভালো মানের সোনা এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
রবিবার (৩০ জুন) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮০ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আমদানি বিল পরিশোধের সময় বাড়লো
শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানিকারকদের বিল পরিশোধের সময় বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি বিল পরিশোধের সময় ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ দিনে উন্নীত করা হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে অথরাইজড ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধার্থে নীতি সহায়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির বিল পরিশোধের ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৩৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণের বিপরীতে আমদানিতে নতুন এ মেয়াদকাল প্রযোজ্য হবে না। আমদানি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নির্দেশাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআর থেকে সরানো হলো কর কর্মকর্তা ফয়সালকে
আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব ও অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালকে বদলি করে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) এনবিআরের কর প্রশাসন বিভাগের প্রথম সচিব মো. শাহিদুজ্জামান সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে তাকে বগুড়া কর অঞ্চলের পরিদর্শী রেঞ্জ-১ এ বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।