জাতীয়
‘ভ্যাকসিন নেই, রোগী মারা গেছে’ এমন আতঙ্ক ছড়াবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![‘ভ্যাকসিন নেই, রোগী মারা গেছে’ এমন আতঙ্ক ছড়াবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/samatto.jpg)
রাসেলস ভাইপার নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও আতঙ্কজনক তথ্য প্রকাশ না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই’, ‘সাপের কামড়ে রোগী মারা গেছে’-দয়া করে এমন সব ভুল তথ্য সাধারণ মানুষের মাঝে কেউ দেবেন না। ভুল তথ্য দিলে মানুষ আতঙ্কিত হয়। রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালেই আছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ‘রাসেলস ভাইপার : ভয় বনাম ফ্যাক্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবাই নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, বিশেষজ্ঞরা এমনভাবে কাজ করছেন। আমি মনে করি দেশের মানুষের রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক একদিন চলে যাবে। তাই আসুন, আমরা একসাথে সচেতন হই। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সবাই একসাথে সচেতন হলে আমরা বর্তমানে যে ক্রাইসিস সেটা থেকে উত্তীর্ণ হতে পারব।
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের কাছে সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে। তবে তাদের কাছে রোগী যথাসময়ে আনতে হবে। সেটা তো আর চিকিৎসকরা পারবে না। কিন্তু এই যে যত দ্রুত নিয়ে আসা যায় তাহলে কিন্তু আমরা রোগীটা বাঁচাতে পারি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ডা. সামন্ত লাল বলেন, সংসদ সদস্যদের অনেক হ্যান্ডস আছে, মেম্বার আছে, চেয়ারম্যান আছে। রোগী হাসপাতালে আনার দায়িত্ব যদি আপনারা নেন এবং দ্রুত চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে আসেন, তাহলে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা বাংলাদেশের মেডিসিনের আজকে যারা কর্ণধার তাদের মুখেই শুনলেন রাসেলস ভাইপারে আক্রান্ত হলে কি করণীয় আর কি করণীয় না। আপনারা এই মেসেজগুলো আমাদের জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। আপনারাই কিন্তু পারেন জনগণের কাছে রাসেলস ভাইপারে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তাটা পৌঁছে দিতে।
সেমিনারে বৈজ্ঞানিক সেশনে বক্তা হিসেবে রাসেলস ভাইপার সাপ এবং অ্যান্টিভেনম নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবু রেজা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু শাহীন মো. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিঞার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। এছাড়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের বরেণ্য ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে অনলাইনে সারাদেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা সংযুক্ত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রধান পরামর্শক মোস্তাফিজুর
![স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রধান পরামর্শক মোস্তাফিজুর শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Mustafizur-Rahman.jpg)
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির প্রধান পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসর উত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগরত সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ২৪ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পিআরএলে যান মোস্তাফিজুর রহমান। অবসরে যাওয়ার একদিন আগে তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়েছিল।
মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান পরামর্শক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী তাকে তার অভোগকৃত অবসরোত্তর ছুটি ও এ সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদার বেতনভাতা ও অন্য সুবিধাদিসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির ‘প্রধান পরামর্শক’ নিয়োগ দেওয়া হলো। এ পদে দায়িত্ব পালনে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা। জননিরাপত্তা বিভাগের আগে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পদ্মা সেতু নির্মাণে ১৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয়
![পদ্মা সেতু নির্মাণে ১৮৩৫ কোটি টাকা সাশ্রয় শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/padma-bridge1.jpg)
পদ্মা সেতু নির্মাণে বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে সরকারের। বেঁচে যাওয়া টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। আর সেতু নির্মাণে আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হওয়ায় আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে মাওয়ায় অনুষ্ঠিত হবে সুধী সমাবেশ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘নানা অনিশ্চয়তার মধ্যেই আমাদের কাজটি সম্পূর্ণ করতে হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় আমরা সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। মানুষকে একটি সুন্দর সেতু তৈরি করে দিতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের সবশেষ বরাদ্দ থেকে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা কম খরচ হয়েছে। আমরা ওই টাকা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অনেক বড় একটি প্রকল্প। আমাদের কিছু ক্লেইম ছিল। নদীশাসন ও কারিগরি কিছু কাজ বাকি ছিল। বড় কাঠামো তৈরির পর ডিফেক্ট লাইবিলিটি পিরিয়ড থাকে। এই সময়ে অবকাঠামোর ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে (যেমন কোথাও রং উঠে গেছে, কোথাও কিছুটা কাজ বাকি থেকে গেছে ইত্যাদি) তা সংশোধন করা হয়। ঠিকাদারেরও বেশ কিছু ক্লেইম ছিল। যে কারণে বারবার আমাদের মিটিং করতে হয়েছে। অর্থাৎ এই সবগুলো কাজ এই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে আমাদের কাজ এখন সম্পূর্ণ। গত ৩০ জুনই সম্পন্ন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় প্রথম পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। এরপর নানা প্রতিবন্ধকতায় আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা শেষে যাত্রা শুরু হয় দেশের আলোচিত প্রকল্পটির মূল কাজ। যার সবশেষ মোট বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন সারোয়ার বারী
![বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন সারোয়ার বারী শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Sarwar-Bari.jpg)
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) হিসেবে ড. মো. সারোয়ার বারীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অতিরিক্ত সচিব সরোয়ার বারীকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে সারোয়ার বারী স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনু বিভাগের মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হবে: প্রতিমন্ত্রী
![ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হবে: প্রতিমন্ত্রী শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bhomra-land-port1.jpg)
ভোমরা বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই- পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১২ শত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে ভোমরা বন্দর। এক কথায় এটি ‘হিরো’ পোর্ট হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের (জিএটিএফ) অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে সম্পাদিত ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সাথে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ভোমরা বন্দরে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সুবিধা-অসুবিধা আছে। নতুন কোনো কিছুতে ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। ব্যবসাবান্ধব ও ব্যবসাকে আরও স্মুথ করার জন্য ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হলো। স্থলবন্দরগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ না নিতো, তাহলে চ্যালেঞ্জগুলো থাকত না। আমরা স্থলবন্দরগুলোর আপডেট করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান, সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও এইচ আর মাকসুদ খানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী চীন
![বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নমূলক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী চীন শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/china.jpg)
চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগসহ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিঙ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক বার্তায় এ কথা জানান চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ঢাকায় চীনের দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। এই সফরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। দুই দেশের মধ্যে যেসব দলিল সই হবে সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে সামিট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন।
মাও নিঙ বলেন, দুই দেশ কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে এবং দুই পক্ষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কীভাবে কাজ করবে, এই সফরে তা নির্ধারণ করা হবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগসহ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এই সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু এবং ভালো অংশীদার। উন্নয়ন এবং সুসংহত উন্নয়ন কৌশলগুলোর জন্য আমাদের একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ৪৯ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে সম্মান ও সমতার আচরণ করেছে। দুই দেশ পারস্পরিকভাবে সহযোগিতায় নিযুক্ত রয়েছে। আমাদের নিজ নিজ মূল স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করেছে এবং যৌথভাবে আধুনিকীকরণ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার একটি ভালো উদাহরণ স্থাপন করেছি।
এমআই