লাইফস্টাইল
খালি পেটে জিরা খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কি প্রতিদিন সকালে উঠে পেট ফাঁপা অনুভব করেন? এরকম দুই-একদিন হলে চিন্তার কিছু নেই, তবে নিয়মিত চলতে থাকলে মুশকিল। তখন আপনার নিরাময় খোঁজার প্রয়োজন হবে। আপনি যদি এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা খেলে তা উপকার করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, খালি পেটে জিরা খাওয়ার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পাচনতন্ত্রকে সাহায্য করে
সকালে ঘুম থেকে উঠলে পেটের সমস্যা দূর করতে জিরা ব্যবহার করুন। জিরা হজম ব্যবস্থার জন্য ক্ষুদ্র পরাশক্তি। এটি খালি পেটে খেলে তা পরিপাকতন্ত্রকে কাজ শুরু করতে এবং সারাদিনে আরও কার্যকরভাবে খাবার ভাঙতে সহায়তা করে। যে কারণে অস্বস্তিকর পেট ফাঁপা বা ধীর হজমের মতো সমস্যা হবে না।
অ্যাসিড আক্রমণ দূরে রাখে
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা আর সকালটাকে নষ্ট করতে পারে। তবে এই সমস্যা আর নয়! জিরা প্রাকৃতিক অম্লতা নিয়ন্ত্রক। এটি খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটির অস্বস্তিকর অনুভূতিকে বিদায় জানাতে পারবেন। এই সহজ মসলা কোনো ধরনের অস্বস্তি ছাড়াই আপনার সকালকে সুন্দর করে তুলবে।
ডিটক্সিফিকেশন
আপনার শরীরকে পরিষ্কার করা এবং সতেজতা ফিরিয়ে আনার জন্য খালি পেটে জিরা খেতে পারেন। ডিটক্সিংয়ের জন্য আপনার সেরা বন্ধু হলো এই উপকারী মসলা। জিরা খালি পেটে খেলে তা টক্সিন নির্মূল করতে সাহায্য করে, যার ফলে আপনি সতেজ অনুভব করেন এবং দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরা খেয়ে আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা বাড়ান! এই ক্ষুদ্র মসলা ইমিউন-বুস্টিং বৈশিষ্ট্যে ভরপুর যা আপনার শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। খালি পেটে জিরা দিয়ে আপনার দিন শুরু করার মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারবেন। ফলে সুস্থ থাকার পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
কিডনি সুস্থ রাখতে যা করা জরুরি
মানবদেহে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের দূষিত রক্ত শোধন করা। এছাড়া কিডনি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।
কিডনির রোগ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘কিডনিতে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে কিডনি বিকল, কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন, কিডনি ফেলিওর ইত্যাদি।’
‘যদিও প্রাথমিকভাবে কিডনির রোগ শনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। তাই কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। তার বরং কীভাবে কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।’
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিডনির রোগ প্রতিরোধে কোন বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি। এ বিষয়ে ডা. সামান পরামর্শ দেন-
১. শরীরচর্চার বিকল্প নেই। দৈনিক আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১৫ মিনিট জোরে হাঁটলে গড়ে ৩ বছর পর্যন্ত আয়ু বেড়ে যায়।
২. ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৩. পাশাপাশি ধূমপান বন্ধ করতে হবে। এটি বাদ দিলেও হার্ট অ্যাটাকসহ কিডনি রোগের ঝুঁকি কমবে।
৪. খাওয়ার বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
৫. লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না।
৮. বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। যারা বাইরে রোদে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
৯. নারীদের শরীরের নিম্নাঙ্গের যত্ন নিতে হবে ও পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে ইউরিন ইনফেকশনের মাধ্যমেও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১০. যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তাদের উচিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া। ৮০-৯০ ভাগ রোগীর কিডনিতে জমা পাথর নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এজন্য দৈনিক আধা ঘণ্টা হাঁটা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব খাবার পিঠে ব্যথা দূর করবে
আমাদের মধ্য থেকে প্রায় প্রত্যেকেই কখনো না কখনো পিঠে ব্যথার মতো সমস্যায় ভুগে থাকি। এটি মূলত আমাদের জীবনযাপনের ধরনের কারণে হয়ে থাকে। বেশিরভাগ মানুষই একটানা বসে থাকার কাজ করেন। সেইসঙ্গে খাবারে অনিয়ম এবং অপুষ্টিকর খাবার খাওয়াও একটি বড় কারণ হতে পারে। পিঠে ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী একটি উপায় হলো নিয়মিত শরীরচর্চা করা। এর পাশাপাশি কিছু খাবারও আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
আপনার যদি মাঝে মাঝেই পিঠে ব্যথা হয় তাহলে সতর্ক হোন। খাবারের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নশীল হোন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। বাদাম, চিয়া বীজ এবং মাছের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খান। রান্নার ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের পরিবর্তে সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার
পিঠে ব্যথা দূর করার কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এ ধরনের খাবার খুঁজতে দূরে কোথাও যেতে হবে না। আপনার রান্নাঘরেই এমন অনেক মসলা পাওয়া যাবে যেগুলো পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা কমাতে কার্যকরী। যেমন ধরুন দারুচিনি, গোলমরিচ এবং আদায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেইসঙ্গে নিয়মিত খেতে পারেন হলুদ। এই মসলা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পরিমিত পরিমাণ প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখতে হবে। কারণ এই উপাদানের অভাবে শরীরে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাই খাবারের তালিকার দিকে নজর দিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। নিয়মিত ডিম, মুরগির মাংস ইত্যাদি রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে ব্যথামুক্ত ও সুস্থ থাকা সহজ হবে।
সবুজ শাক-সবজি
উপকারী সব খাবারের মধ্যে সবুজ রঙের শাক-সবজির নাম থাকবে উপরের দিকেই। বাজারে যত ধরনের সবুজ শাক-সবজি পাওয়া যায় তা খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকোলি, বিনস ইত্যাদির মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এসব শাক-সবজিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ রয়েছে যা ব্যথা উপশমে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বুকে ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙা কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। বিষয়টি অনেকেই অবহেলা করেন, কারণ পরবর্তী সময়ে হয়তো ব্যথা কমেও যায়। তবে দীর্ঘদিন একই সমস্যায় ভুগলে তা উপেক্ষা করবেন না। কারণ বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বুকে ব্যথা নিয়ে জেগে ওঠা মানসিক চাপ বা বদহজমের কারণেও হতে পারে। আবার হার্ট অ্যাটাক বা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো গুরুতর সমস্যার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এ কারণে বুকে ব্যথা সবসময় গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।
যদি ব্যথা কয়েক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে থাকে, তাহলে সর্বোত্তম পদক্ষেপ নিতে হবে। জেনে নিন বুকে ব্যথার সম্ভাব্য যত কারণ-
বুকে ব্যথার হার্ট সম্পর্কিত কারণ
যখন আপনার হার্টের পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহকারী একটি ধমনী অবরুদ্ধ হয়, তখন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়। এই ব্লক প্রায়ই রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হয়।
আবার এনজাইনার কারণেও বুকে ব্যথা হয়। যা হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হয়। এটি প্রায়শই হৃদয়ে রক্ত বহনকারী ধমনীতে প্লাক তৈরির কারণে ঘটে।
আবার পেরিকার্ডাইটিসের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। আপনার হৃদপিণ্ডের চারপাশে থাকা থলিতে প্রদাহকে পেরিকার্ডাইটিস বলা হয়। এটি সাধারণত ব্যথা সৃষ্টি করে, যা শ্বাস নেওয়া বা শুয়ে থাকার সময় বেড়ে যায়।
যদি আপনার হৃদপিণ্ডের পেশি (মায়োকার্ডিয়াম) স্ফীত হয়, তবে এটি দ্রুত বা অস্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের ছন্দ সৃষ্টি করতে পারে যাকে অ্যারিথমিয়াস বলা হয়। এক্ষেত্রেও বুকে ব্যথা হয়।
অর্টিক ডিসেকশন বা ফেটে যাওয়া, এই জীবন-হুমকির অবস্থা তখনই ঘটে, যখন মহাধমনীর ভেতরের স্তরগুলো হৃৎপিণ্ডের প্রধান ধমনী থেকে আলাদা হয়ে যায়।
বুকে ব্যথার হজম সংক্রান্ত কারণ
অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) বুকে ব্যথার আরও এক উপসর্গ। পেটের অ্যাসিড গলাকে সংযোগকারী টিউবের মধ্যে ফিরে যাওয়ার কারণে অম্বল হয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
আবার ডিসফ্যাগিয়া সাধারণত গলার উপরের অংশে বা খাদ্যনালির আরও নীচে থাকে। যা খাবার গিলতে কষ্টকর করে তোলে। এই সমস্যার কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিসের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। পেটের পেছনে অবস্থিত একটি বৃহৎ গ্রন্থি এটি। যখন এই গ্রন্থি ফুলে ওঠে তখন উপরের পেটে ব্যথা হতে পারে যা বুকেও ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া পিত্তথলির পাথর বা যে কোনো প্রদাহের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
বুকে ব্যথার শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত কারণ
যখন ফুসফুসের একটি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে ও ফুসফুসের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়, তখন একে পালমোনারি এমবোলিজম বলা হয়। এটি সাধারণত বুকে টানটান ভাব ও ব্যথা সৃষ্টি করে। যা হার্ট অ্যাটাকের মতো অনুভূত হয়।
এছাড়া ফুসফুসের চারপাশে থাকা ঝিল্লি ও বুকের গহ্বরের ভিতরের প্রাচীর ফুলে ওঠে তখন বুকে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। কাশি বা শ্বাস নেওয়ার সময় এমন ব্যথা বেড়ে যায়।
পালমোনারি হাইপারটেনশনের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে হার্টবিট বেড়ে যায় ও বুকে একটি আঁটসাঁট অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যানসারের কারণে ফুসফুসে অস্বাভাবিক কোষ বেড়ে যায়। যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত বুকে ব্যথার সৃষ্টি করে, যা গভীর শ্বাস বা কাশির সঙ্গে বেড়ে যায়।
বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ
যখন পাঁজরের খাঁচার তরুণাস্থি ফুলে ওঠে তখন একে কস্টোকন্ড্রাইটিস বলে। এই অবস্থার কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো ব্যথা হতে পারে বুকে।
এছাড়া প্যানিক অ্যাটাকের সম্মুখীন হলেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এর সঙ্গে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও প্রচুর ঘাম হয়। প্যানিক অ্যাটাকের মধ্যে প্রায়ই মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও তীব্র ভয়ের অনুভূতি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
বুকে আঘাত লাগার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রেও আপনি ঘুম থেকে ওঠার সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এমনকি পারিবারিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্রে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, অনেক সময় স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে সকালের দিকে। এ কারণে মাঝে মধ্যে ব্যথা হতে পারে বুকে।
তবে স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই বুকে ব্যথাকে কখনো অগ্রাহ্য করবেন না। এতে ঘটতে পারে নানা বিপদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন
গরমে ঠান্ডা কিছু খেয়ে শরীর ও মন সতেজ রাখতে চাই আমরা সবাই। কিন্তু সব ঠান্ডা খাবারই কি উপকারী? সাধারণত আমরা যেসব কোমল পানীয়, আইসক্রিম কিংবা জুস কিনে খাই, তার সবই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে খেতে হবে এমন খাবার যা উপকারী এবং আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই গরমে সতেজ থাকতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
তরমুজ
গরমের সময়ের রসালো ও সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি হলো তরমুজ। এটি এই গরমে খেলে নানাভাবে মিলবে উপকার। বিশেষ করে গরমে পানিশূন্যতা রোধে কাজ করে তরমুজ। কারণ এই ফলের প্রায় নব্বই শতাংশই পানি। যে কারণে তরমুজ খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয় সহজেই। এসময় তরমুজের জুস, তরমুজের শরবত, তরমুজের সালাদ এমনকী তরমুজের স্মুদি কিংবা আইসক্রিমও তৈরি করে খেতে পারেন। এতে সুস্থ ও সতেজ থাকা সহজ হবে।
বেলের শরবত
গরমে আরেকটি উপকারী প্রাণ ঠান্ডা করা পানীয় হলো বেলের শরবত। এই শরবত আমাদের পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। বেলে থাকে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার। গরমের সময়ে শরীর সতেজ রাখতে দারুণ কাজ করে বেলের শরবত। তাই গরম থেকে বাঁচতে এই শরবত বাড়িতে তৈরি করে খান।
দই
দই এমন একটি খাবার যা সারা বছরই উপকারী হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে গরমে এর থেকে ভালো খাবার খুব কমই আছে। দই আর চিড়া আমাদের দেশের বেশ জনপ্রিয় একটি নাস্তা। এর পাশাপাশি দই আর ফলের স্মুদি, ফালুদা, লাচ্ছি, আইসক্রিম এসবও খেতে পারেন। দুপুরে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন দই। এটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখবে। যে কারণে সতেজ থাকতে পারবেন সহজেই।
লাউ
উপকারী একটি সবজি হলো লাউ। নিয়মিত লাউ খেলে তা ভালো হজমে সাহায্য করে সেইসঙ্গে এটি ওজন কমাতেও কাজ করে। আবার লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া লাউয়ের স্যুপ কিংবা লাউয়ের পায়েসও তৈরি করে খেতে পারেন। নিয়মিত তরকারি হিসেবে লাউয়ের ঝোল কিংবা লাউভাজিও রাখতে পারেন ভাতের সঙ্গে। এভাবে লাউ খেলে শরীর সতেজ থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার পানীয়
কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া একটি পদার্থ, যা সুস্থ কোষ তৈরির জন্য অত্যাবশ্যক। তবে উচ্চ মাত্রার এলডিএল (লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল, যাকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলা হয়, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুষম খাদ্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
খাবারের তালিকায় পরিবর্তন করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ করতে পারেন। সকালের নাস্তায় সুস্বাদু স্মুদি আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কোলেস্টেরলের জন্য সেরা পানীয় কোনটি?
গ্রিন টি এবং জুসের মতো বেশ কিছু পানীয় রয়েছে যা উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনার দিন শুরু করার জন্য উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধের স্মুদি একটি পুষ্টিকর পছন্দ হতে পারে। সয়া দুধ এবং ওট মিল্কের মতো উদ্ভিদের দুধ বিশেষভাবে উপকারী।
সয়া দুধের উপকারিতা
সয়া দুধে স্বাভাবিকভাবেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম থাকে। এফডিএ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য খাবারের তালিকায় সয়া পণ্য যোগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সয়া দুধ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এটি কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
ওট মিল্কের উপকারিতা
ওটসে বিটা-গ্লুকান নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ওট মিল্ক পান করলে বা স্মুদিতে ওটস ব্যবহার করলে তা হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেয় যে ওট মিল্ক কঠিন ওটসের তৈরি অন্যান্য খাবারের তুলনায় কোলেস্টেরল কমাতে বেশি কাজ করে।
স্মুদি তৈরি
একটি ব্লেন্ডারে ২৫০ মিলি সয়া মিল্ক বা ওট মিল্কের সঙ্গে তাজা ফল বা সবজি যেমন কলা, আঙ্গুর, আম, তরমুজ, বরই, পালং শাক ইত্যাদি পছন্দমতো মিশিয়ে নিন। মসৃণ এবং ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। এবার সকালের নাস্তায় এই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু স্মুদিতে চুমুক দিন। এভাবে নিয়মিত খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
কাফি