অর্থনীতি
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ আইএমএফের

বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রায় ৫ বছর ধরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আইএমএফ বলেছে, সম্প্রতি বিনিময় হার সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে– (বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আকৃষ্ট করতে) যা অপ্রয়োজনীয়। তাই কর্তৃপক্ষকে এই ভর্তুকি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং ক্রমান্বয়ে এটি একেবারে বাদ দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের স্টাফ প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ জুন (সোমবার) নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।
সরকার ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ২০১৯ সালের আগস্টে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়।
আইএমএফ বলছে, আইএমএফ সমর্থিত (ঋণ) কর্মসূচির আগেই সরকার এই প্রণোদনা চালু করেছে, তাই মাল্টিপল কারেন্সি প্র্যাকটিসের (এমসিপি বা বিভিন্ন মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ) ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়নের (পিসি) কোনো লঙ্ঘন হয়নি; তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমসিপিতে আইইএমএফের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেমিট্যান্সের প্রণোদনা নিয়ে এমন পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
আগামী ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার ও ডিসেম্বর শেষে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্তারোপ করেছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার, ৪ পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত পাঠালো ভারত

ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য বোঝাই ৪টি ট্রাক ফেরত এসেছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বেনাপোল বন্দর থেকে ট্রাকগুলো ঢাকায় ফেরত আসে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুবিধা বাতিল করে দেশটি। এতে বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্রুত ও স্বল্প খরচে বাণিজ্য করার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত যাওয়া পণ্যের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেড।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধের জন্য ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এই চিঠির আলোকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, ভারত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্য ও বন্ধুত্ব সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হবে। আমরা আশা রাখছি, ভারত সরকার এ সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ধরে রাখবেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস তৃতীয় দেশের পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। এতে ওই সব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী তিন বহুজাতিক কোম্পানি

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক তিন প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো স্পেনভিত্তিক খুচরা পণ্য বিক্রেতা ইনডিটেক্স, সিমেন্ট উৎপাদনকারী লাফার্জহোলসিম ও চীনের পোশাক খাতের কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকায় চলমান চার দিনের ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ এর তৃতীয় দিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
তিনি জানান, আগামী মাসে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী প্রায় ২০০ জন সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার পরিকল্পনা করছেন, যা দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) শুরু হওয়া বিডা আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৫৫০ জনেরও বেশি বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ।
সংবাদ সম্মেলনে আশিক চৌধুরী বলেন, হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশে মোট ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেক্সটাইল ও ডাইং খাতে এবং ৫০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এ লক্ষ্যে আজ বিডা ও হান্ডা (ঢাকা) টেক্সটাইল কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
এছাড়া, ইনডিটেক্স ও হোলসিম গ্রুপের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে ইনডিটেক্স জানায়, তারা বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এখান থেকে পণ্যের আমদানি আরও বাড়াতে চায়। অন্যদিকে, হোলসিম গ্রুপ বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কার্বন ক্যাপচার প্রকল্প চালুর পরিকল্পনার কথা জানায়।
বিডা চেয়ারম্যান আরও জানান, দুবাইভিত্তিক পোর্ট ও লজিস্টিকস কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েমও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চট্টগ্রামের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেলো ‘শপআপ’

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সম্পদশালী দেশ সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী কোম্পানি ‘সারি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে নতুন কোম্পানি গঠন করেছে বাংলাদেশের বি-টু-বি স্টার্টআপ কোম্পানি ‘শপআপ’। নতুন সেই কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিল্ক’ গ্রুপ।
নতুন গ্রুপ গঠনের পরপরই ১১০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে স্টার্টআপ শপআপ। ডলারের বর্তমান বিনিময় হার ১২২ টাকা হিসাবে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। পাশাপাশি ‘সিল্ক’ গ্রুপের মাধ্যমে সৌদির বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশ সহজ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ তার ডিজিটাল যাত্রায় একটি নির্ধারক মুহূর্তে পৌঁছেছে। কারণ, শপআপ একটি শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশি স্টার্টআপ। যে কোম্পানি এরই মধ্যে ১১০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী কোম্পানি ‘সারি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে নতুন কোম্পানি গঠন করেছে।
‘এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (ডিসিসি) অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি তৈরি করছে। এটি স্পষ্ট সংকেত যে বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলো বিশ্বমঞ্চের জন্য প্রস্তুত’, উল্লেখ করেন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি।
তিনি আরও জানান, এই গতি ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৮০০ কোটি টাকার একটি ঐতিহাসিক স্টার্টআপ ফান্ডিং উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ টাকার (প্রায় ৬৬ মিলিয়ন ডলার) ইকুইটি এবং ৪০০ কোটি টাকা (প্রায় ৩৩ মিলিয়ন ডলার) ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, এ তহবিলটি প্রাথমিক এবং বৃদ্ধির স্তরের স্টার্টআপগুলোর জন্য একটি ক্যাটালিটিক সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। যা স্থানীয় প্রতিষ্ঠাতাদের উদ্ভাবন, স্কিল এবং বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতা করতে ক্ষমতায়ন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের বাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি হোলসিমের

বাংলাদেশের বাজারে দীর্ঘমেয়াদে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন হোলসিম গ্রুপের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের প্রধান মার্টিন ক্রিগনার।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে দেশের সিমেন্ট ব্যবহারের প্রবণতা, শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং বাংলাদেশে হোলসিমের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, হোলসিম একটি বৈশ্বিক নেতৃস্থানীয় সিমেন্ট ও নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এটি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের মূল কোম্পানি। সুনামগঞ্জের ছাতকে কোম্পানিটি দেশের একমাত্র সংহত সিমেন্ট কারখানা পরিচালনা করছে এবং দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
বৈঠককালে ক্রিগনার বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের সুযোগ করে দেওয়ায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ছাতকের কারখানায় অপুনঃব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক’ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, হোলসিম বিশ্বব্যাপী টেকসই প্রযুক্তির পথপ্রদর্শক, এবং আমরা সেই প্রযুক্তিগুলো বাংলাদেশেও প্রয়োগ করছি।
অন্যান্য দেশে হোলসিমের কারখানায় চলমান কার্বন ক্যাপচার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন প্রকল্প বাংলাদেশেও চালু করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে হোলসিমের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল চৌধুরী গত এক বছরে শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তবে তিনি আগামী মাসগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতির আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, হোলসিম সম্প্রতি বাংলাদেশে অ্যাগ্রিগেটস চালু করেছে, যা দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ইউনূস লাফার্জ কারখানায় প্লাস্টিক জ্বালানির পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে তিনি আশ্বস্ত হন যে, এর ফলে অঞ্চলে কোনো কার্বন নির্গমন ঘটবে না।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে হোলসিমের আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং ব্যবসাবান্ধব ও বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ ও মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন সাথী উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ থেকে নেপাল-ভুটানে রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে না: ভারত

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার। তবে এ সিদ্ধান্ত ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে দেশটি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে চালু থাকা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার ফলে আমাদের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে উল্লেখযোগ্য যানজট তৈরি হয়েছিল। লজিস্টিক বিলম্ব ও উচ্চ ব্যয় আমাদের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছিল। অনেক সময় আটকে যাচ্ছিল। তাই ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলবে না।
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত সরকার। সোমবার (৮ এপ্রিল) জারি করা ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ডের (সিবিআইসি) এক সার্কুলারে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করতে পারতো।
২০২০ সালের ২৯ জুন ভারত এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাংলাদেশকে দিয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশে সহজে পণ্য পাঠাতে পারতো। এখন সেই সুবিধা বাতিল করলো মোদী সরকার। তবে যে পণ্য এরই মধ্যে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তা আগের নিয়মেই বেরিয়ে যেতে পারবে।