পুঁজিবাজার
তিন বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে এডি পোর্টস ও সাইফ পাওয়ারটেক
![তিন বন্দর ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে এডি পোর্টস ও সাইফ পাওয়ারটেক প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Saif-Powertec.jpg)
বাংলাদেশের তিন বন্দর- চট্টগ্রাম, মংলা ও পানগাঁ’য় কন্টেইনার ডিপো এবং লজিস্টিক সুবিধার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এডি পোর্টস গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।
প্রথম বাংলাদেশি কোম্পানি হিসেবে বিদেশে শিপিং ও লজিস্টিকস খাতের কোম্পানির সঙ্গে এটাই প্রথম কোন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর। বুধবার ( ২৬ জুন) আবুধাবীতে কোম্পানি দু’টির শীর্ষ কর্তারা স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারকের শর্তাবলীর অধীনে, উভয় পক্ষ যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম, মংলা ও পানগাঁ বন্দরে কন্টেইনার ডিপো এবং লজিস্টিক সুবিধাগুলির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে।
উভয় পক্ষই দক্ষতা, অধ্যয়ন, কৌশল, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং যৌথ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করবে।
এমওইউতে স্বাক্ষর করেন এডি পোর্টস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জুমা আল শামিসি এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মোঃ রুহুল আমিন।
বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড ।
এসময়ে ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জুমা আল শামিসি বলেন, এই সহযোগিতা বিশ্বব্যাপী নতুন বাণিজ্যের সুযোগ উন্মোচনে আমাদের চলমান প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সাথে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বমানের সেবা এবং অভিজ্ঞতা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের উপস্থিতি আরও বাড়িয়ে তুলবে, কারণ আমরা আমাদের বিজ্ঞ নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বছরের পর বছর ধরে তৈরি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকাশ অব্যাহত রেখেছি।
সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, আজ আমাদের জন্য আরেকটি গর্বের দিন কারণ আমরা এডি পোর্টস গ্রুপের সাথে আমাদের চলমান অংশীদারিত্ব অব্যাহত রেখেছি, যা আমাদের বাংলাদেশে বড় প্রকল্পসমূহে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই সমঝোতা স্মারকটি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এবং এডি পোর্টস গ্রুপের মধ্যে সম্পর্কের শক্তির আরেকটি সূচক এবং আমরা আগামী দিনগুলোতে একসঙ্গে আরও কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
এডি পোর্টস গ্রুপের শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই বাংলাদেশ এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলিতে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সাথে যুথবদ্ধ হওয়া আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে প্রথম বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশে শিপিং ও লজিস্টিকস খাতে ব্যবসা শুরু করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাফিন ফিডার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সাইফ পাওয়ারটেক।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের প্রায় ৫৮ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করে দেশের একমাত্র টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেক। কোম্পানিটি মোংলা ও পানগাঁও বন্দরেও কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করে আসছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’
![‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/cmjf.jpg)
প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গত ১০ থেকে ১২ বছরে প্লেসমেন্ট ইস্যুকে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমজেএফের সভাপতি এসএম গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় ফল উৎসবে বক্তব্য রাখেন ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারি, ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সিনিয়র সদস্য রাজু আহমেদ প্রমুখ।
শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের আকার এখনো ছোট। আমরা মনেপ্রাণে চাই বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক। এ জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এরমধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা সংগ্রহের সুযোগ না থাকা। এতো প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না তা হয় না।
সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য প্লেসমেন্ট খুবই ভালো একটি উদ্যোগ ছিলো বলে আমি মনে করি। তবে এটাকে কীভাবে ব্যবহার করছে তার উপর এর ভালোমন্দ নির্ভর করে। তবে এর মন্দ ব্যবহারটা বেশি হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে এই অনিয়মগুলো তুলে ধরলে কিছুটা উত্তরণ হতে পারে। তা নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন, করছেন। এরমাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, ৯-১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এতো বছর পরও লেনদেন বাড়েনি, বরং সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন ৩০০-৪০০ কোটিতে নেমেছে। গত ১০-১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন
![খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Khan-Brothers.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৬৪টির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে টপটেন লুজার বা সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান নিয়েছে সিলভা ফার্মা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শামপুর সুগার মিলসের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ওয়ালটনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ
![ওয়ালটনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Walton.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩০০টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে ওয়ালটনের শেয়ার দর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৫২ টাকা ৫০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ক্যাাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে লিনডে বিডি।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পেপার প্রসেসিংয়ের ৩৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, মনোস্পুল পেপারের ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালের ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজিউমারের ২৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, পিপুলস ইন্স্যুরেন্সের ২৪ দশমিক ২১ শতাংশ এবং রেনাটা লিমিটেডের ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইউনিলিভারের ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
![ইউনিলিভারের ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Unilever.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ ইউনিলিভার।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেনাটা লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ২৮ কোটি ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার।
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সী পার্ল হোটেলের ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ১২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাজার মূলধনের সঙ্গে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ
![বাজার মূলধনের সঙ্গে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/dse-11.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতায় ছিলো দেশের শেয়ারবাজার। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ও মূল্য সূচক। বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন প্রায় ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট।
প্রধান সূচকের সঙ্গে আলোচ্য সপ্তাহে ডিএস৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৩ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৭৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস বিদায়ী সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮৪ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৪৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির এবং ৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাইটেক। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমেছে।
এসএম