জাতীয়
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি সরকারের: প্রধানমন্ত্রী
![মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি সরকারের: প্রধানমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/prime-minister-4.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার মাদক অপরাধী, চোরাকারবারি, পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রয়োগ করছে। এর বাইরেও দেশের শিক্ষাক্রমে মাদকসংক্রান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের মাদকের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পথশিশুসহ যারা মাদকাসক্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে তাদের জন্য সরকারি-বেসরকারি নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (২৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য, ‘প্রমাণ স্পষ্ট : প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং সঠিক হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৯৭২ সালের ১৫ জানুয়ারি এক সরকারি আদেশের মাধ্যমে মদ, জুয়া, হাউজি, ঘোড়দৌড় নিষিদ্ধ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের বলেন, ‘ঘোড়দৌড় আর মদ্যপানে কোনো জাতি বা দেশের কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। তাই বাংলাদেশে এসব সামাজিক অনাচারের স্থান হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার মাদকের আগ্রাসন থেকে দেশের জনগণ তথা যুবসমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য নানা ধরনের বাস্তবমুখী এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আধুনিকায়ন করে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় আনা ও দেশের উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের জীবনমান পরিবর্তনে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। ঢাকার কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ প্রকল্প চলমান আছে এবং পাশাপাশি ৭টি বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, আমি আশা করি, আমাদের যুবসমাজ মুক্তবুদ্ধির চর্চার মাধ্যমে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও মাদকাসক্তিমুক্ত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষম হবে।
এসময় তিনি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাদকাসক্তিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
সৌদি-রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার
![সৌদি-রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/fertilizer.jpg)
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরব ও রাশিয়া থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মাডেন সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় সপ্তম লটে সৌদি আরবের মা’আদেনের কাছ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির করা হবে। এর ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪৬ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ৫২৩.০০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫১৯.০০ মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১ম লটে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশনের কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ২৭৫.৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল প্রতি মেট্রিক টন ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ
![কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/quota-reform-movement1.jpg)
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের এলাকার সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো শাহবাগ। সময় যত যাচ্ছে যানজটের মাত্রা ততই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। গতকালও শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিল শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) বেলা আড়াইটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে আলাদা ব্যানার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি-হাইকোর্ট হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
কোটাবিরোধীদের সড়ক অবরোধের ফলে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে। যানজট তীব্র হওয়ায় অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে দিচ্ছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাটজাত পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া হবে: মন্ত্রী
![পাটজাত পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া হবে: মন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/nanok-1.jpg)
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে এখন থেকে প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি আরও বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণোদনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এতে পাটের উৎপাদন, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
বুধবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ক্রয় কমিটির মিটিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের যেকোনো মূল্যে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা তার জন্য চেষ্টা করছি। উৎপাদন এলাকার সীমানা বাড়ানোর চেষ্টা করছি, ক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী এসময় জানান, সম্প্রতি পাটের পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হচ্ছে। যা রপ্তানির বড় সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, এছাড়া পাট থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ উৎপাদনে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অল্প সময়ে তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তখন আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়া পলিথিন থেকে অনেকটা মুক্তি পাবো। এখন আমরা এ ব্যাগের দাম যেন সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে, সে জায়গায় কাজ করছি।
ভারত ও ব্রাজিলের অ্যান্টি ডাম্পিং পলিসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা এখন অ্যান্টি ডাম্পিং দিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করবো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরে ব্রাজিল যাবেন। সে সময় তাদের সঙ্গে অ্যান্টি ডাম্পিং বিষয়ে কথা হবে। আমি আশা করি, অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যেতে পারবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সেতুমন্ত্রী
![পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সেতুমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/obaidul-kader.jpg)
সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয়) বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
ড. নিজামুল হক বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন বুধবার সন্ধ্যায়। কিন্তু পরে সেটি পরিবর্তন করে সময় ঠিক করেছেন আগামীকাল সকালে।
এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলমসহ চার গ্রুপের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সুদ মাফ
![এস আলমসহ চার গ্রুপের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সুদ মাফ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/tk-taka-1.jpg)
দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার সুদ মওকুফের সুবিধা দিয়েছে দুটি ব্যাংক। মোট ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে এ সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংকগুলো। এস আলম ছাড়াও বাকি কোম্পানিগুলো হলো- নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংক। আর বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ৩ হাজার ৬১৮ কোটি স্থিতির বিপরীতে ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়। এভাবে ব্যাংক খাতে গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণ বা বন্ধ প্রকল্পে আংশিক বা সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ করা যাবে। তবে আয় খাত বিকলন ও নিয়মিত ঋণে, সুদ মওকুফ করার নিয়ম নেই। তবে এস আলম গ্রুপ ও নাসা গ্রুপের কারখানা সচল এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের ঘটনা না ঘটলেও আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ, ২০২১ ও ২০২২ সালে বড় অংকের সুদ মওকুফ করা ব্যাংক দুটি এখন নিজেরাই নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
জনতা ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ, এননটেক্স ও নাসা গ্রুপের ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়ার সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি বলেন, এসব সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয় তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি এননটেক্সের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। আর নাসা গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান সুদ মওকুফ-পরবর্তী সমুদয় পাওনা শোধ করে এই ব্যাংক থেকে চলে গেছে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময়ে তিনি এ ব্যাংকে ছিলেন না। ফলে এ বিষয় তার জানা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে সুদ মওকুফ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। তবে এননটেক্স গ্রুপের ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৬০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ কার্যকর না হওয়ায় সে তথ্য এখানে নেই।
ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল জনতা ব্যাংক। বেসরকারি খাতের সবচেয়ে পুরোনো ন্যাশনাল ব্যাংক সব সময় মুনাফায় ছিল। বড় ব্যাংক হওয়ায় এ দুই প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থার প্রতিফলন পুরো খাতের ওপর পড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। মূলধন ঘাটতি ঠেকেছে ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায়। গত বছর শেষে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ১৫ হাজার ৭২৫ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৩৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। দুটি ব্যাংকই বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে চলেছে।
এমআই