জাতীয়
হজ করতে গিয়ে ৪৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ দেশে ফিরছেন হাজিরা। ২০ জুন থেকে শুরু হয়েছে ফিরতি হজ ফ্লাইট। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩৮টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮১৬ জন। এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবের ৪৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ হেল্প ডেস্ক।
হেল্প ডেস্কের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩৮টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৮১৬ জন হাজি। এরমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের ১০টি, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ১৩টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ১৫ টি ফ্লাইট। হাজিদের নিয়ে শেষ ফ্লাইটটি দেশে আসবে ২২ জুলাই।
চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবের মৃত্যু এক হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। সৌদিতে তীব্র দাবদাহের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৭ বংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৩০ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত বুলেটিং ৪৭ জন হাজি মারা যাওয়ার খবর বলা হয়েছে। মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। মক্কায় ৩৬ জন, মদিনায় ৪ এবং মিনায় ৬ জন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু পর যারা মারা গেছেন তারা হলেন, ঢাকার মাকসুদা খানম (৬৮), খুলনার মনোয়ারা বেগম (৫৯), মেহেরপুরের নুরুজ্জামান বিশ্বাস (৬৭), সাতক্ষীরায় আব্দুল গাফফার (৬৩), ফরিদপুর আতাউল হক (৬৯), নোয়াখালী রফিকুল হক (৫৬), খুলনার এম এম এ বকর (৬২), দিনাজপুরে নুর বানু (৬২), ঢাকার সৈয়দ ওয়াহিদুল রহমান (৭১), ফেনীর হালিমা খাতুন (৬২), ঢাকার ডেমরার সৈয়দ তামজিদ আলী (৬৭), খুলনার কামরুল ইসলাম (৭০)।
বরিশালের হিজলার আবু বকর সিদ্দিক (৫৯), ঝালকাঠির নূর মোহাম্মদ তালুকদার (৬৮), যশোরের অভয়নগরে শহিদুল ইসলাম (৪৯), ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুর সুফিয়া বেগম (৮৭), চট্টগ্রামে রাউজানের আ স ম নুরুউদ্দিন চৌধুরী (৭২), ঢাকার মোহাম্মদপুরের জহিরুল ইসলাম (৭৩), মাদারীপুর শিবচরে ইদ্রিস খান (৫৬), ঢাকার বাড্ডার উম্মে কুলসুম (৪৭), ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফাতেমা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউ মার্কেটের আমিনুল ইসলাম ((৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।
হজ ডেস্কের তথ্যমতে, হজের আনুষ্ঠানিকাতা শুরুর আগে সর্বশেষ গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুইজন মারা যান। মারা যাওয়া দুইজন হলেন- মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো আসাদুজ্জামান (৫৭), মো. ভোলা জেলা মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।

জাতীয়
বিদেশে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে গেলে লজ্জা লাগে: আসিফ নজরুল

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেলে এমনভাবে তাকায় যে, লজ্জা লাগে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল আক্ষেপ করে বলেন, আমি যখন আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাই, আপনাদের (কূটনীতিক) তো সমস্যা হয় না। আমার এত লজ্জা লাগে এত রাগ লাগে। আমার তো এখন একটা স্পেশাল পাসপোর্ট আছে। কিছু দিন পর আবার সবুজ পাসপোর্ট হবে। আমেরিকায় ছয়বার গিয়েছি। তারপরেও ভিসা দেয় না। দিনের পর দিন ঘুরায়ে ঘুরায়ে ভিসা দেয়। অনেক দেশ আপনার, এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর এমনভাবে তাকায় মনে হয় মরে যাই। হংকং দুবাইয়ে পাসপোর্ট দেখছে। আর এমন একটা লুক দেয়। এত প্রশ্ন করে, পেছনে লোকজন ক্ষেপতে থাকে, মনে হয় মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছি। কি দেশ বানিয়েছি আমরা যে, অন্য দেশ আমাদের নিচু চোখে দেখে।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের ধারণাই বুঝতেন না। তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও তার মন্ত্রীদের ক্রীতদাস ভাবত ভারত। হাসিনা এ দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে নতজানু করে রেখেছিলেন। লুটপাট, নির্যাতন, গুম, খুন, আয়নাঘরের বীভৎসতার মাধ্যমে তিনি এ দেশের মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিথ্যা বলে পুরো জাতির মাঝে মিথ্যাবাদী, জোচ্চোর প্রজন্ম তৈরি করেছেন। তার ওপর সাইকোলজিক্যাল বা নিউরোলজিক্যাল গবেষণা করা উচিত।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে প্রদান এবং ২০২৪ সালের ডামি ও প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভুতুড়ে নির্বাচন আর কখনও হয়নি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা শতাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের আখড়া বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও জুলাই আন্দোলনে নেমেছিলেন ছাত্র-জনতা। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্র হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটনে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষের সাহস, দৃঢ়তা ও একতার বিজয় হিসেবে চিহ্নিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) নজরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জনকূটনীতি) শাহ আসিফ রহমান প্রমুখ।
জাতীয়
পুলিশের ঝুঁকিভাতা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ

পুলিশের কনস্টেবল, নায়েক, এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) এবং এসআই/ সার্জেন্ট/ টিএসআইয়ের ঝুঁকিভাতা বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পদ ও চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত ঝুঁকিভাতা বেড়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) এই গেজেট প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশে এই গেজেটে সই করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার। ঝুঁকিভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
গেজেটে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালের ৩০ জুন পুলিশ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী সর্বশেষ যে পরিমাণ (টাকার অংকে) ঝুঁকি ভাতা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আহরণ করতেন, সেই পরিমাণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা (পদভিত্তিক) অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের ২৮ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপন এবং ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবরের (০৭.০০.০০০০.১৭৩.৪৪.০৫৮.১৫.৮১)-নং স্মারক অনুযায়ী ভাতা হিসেবে পেতে থাকবেন। নতুন বেতনস্কেলের সঙ্গে ২০১৫ সালের ১ জুলাই বা পরবর্তী সময়ে বেতনের শতাংশ হিসাবে এই ভাতার হার বা পরিমাণ নির্ধারণ হবে।’
এতদিন পুলিশের কনস্টেবল, নায়েক, এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) এবং এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআই ২০১৫ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ঝুঁকিভাতা পাচ্ছিলেন। সে হিসাবে ১০ বছর পর পুলিশের ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হলো।
কনস্টেবল পদে ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে ৩০০ টাকা। এছাড়া চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ৩৬০ টাকা, চকরির বয়স ১০-১৫ বছরের ক্ষেত্রে ৪৪০ টাকা, চাকরির বয়স ১৫-২০ বছরের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশিদের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা ঝুঁকিভাতা বাড়ানো হয়েছে।
এতে যেসব কনস্টেবলের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা বেড়ে হবে এক হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ১৬০ টাকা, চকরির বয়স ১০-১৫ বছরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা, চকরির বয়স ১৫-২০ বছরের ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা এবং চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশিদের ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মাসিক ঝুঁকিভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নায়েকদের ঝুঁকিভাতা বেড়েছে ৩৪০ থেকে ৬৮০ টাকা
পুলিশের নায়েক পদে চাকরি করেন যারা তাদের ঝুঁকিভাতা ৩৪০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা ৩৪০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৪০ টাকা করা হয়েছে। চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব নায়কের চকরির বয়স ১০-১৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৪৮০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৮৮০ টাকা, যাদের চকরির বয়স ১৫-২০ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৫৮০ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৮০ টাকা করা হয়েছে। যাদের চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকিভাতা ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে।
এএসআই পদে ঝুঁকিভাতা বেড়েছে ৩৬০ থেকে ৭৬০ টাকা
পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) পদে যারা চাকরি করেন তাদের ঝুঁকিভাতা ৩৬০ টাকা থেকে ৭৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা ৩৬০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ১৬০ টাকা করা হয়েছে। আর চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ৪৪০ টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার ৬৪০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব এএসআইয়ের চকরির বয়স ১০-১৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ২৪০ টাকা, যাদের চকরির বয়স ১৫-২০ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৬৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮৪০ টাকা এবং যাদের চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকিভাতা ৭৬০ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৫৬০ টাকা করা হয়েছে।
এসআই-সার্জেন্ট-টিএসআইয়ের ঝুঁকিভাতা বাড়ছে ৫৪০ থেকে ১০৮০ টাকা
পুলিশের এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআই পদে ঝুঁকিভাতা ৫৪০ টাকা থেকে এক হাজার ৮০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যাদের চাকরির বয়স ৫ বছর পর্যন্ত তাদের মাসিক ঝুঁকিভাতা ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়েছে। চাকরির বয়স ৫-১০ বছরের ক্ষেত্রে ঝুঁকিভাতা ৬৪০ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮৪০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া যেসব এসআই, সার্জেন্ট, টিএসআইয়ের চকরির বয়স ১০-১৫ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৭৬০ টাকা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৫৬০ টাকা, যাদের চকরির বয়স ১৫-২০ বছর তাদের ঝুঁকিভাতা ৯০০ বাড়িয়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। যাদের চাকরির বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের ঝুঁকিভাতা এক হাজার ৮০ টাকা বাড়িয়ে ৬ হাজার ৪৮০ টাকা করা হয়েছে।
জাতীয়
ইসির মেরুদণ্ড আছে বলেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে: সচিব

ইসির মেরুদণ্ড আছে বলেই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রস্তুমিূলক কাজের অগ্রগতি তুলে ধরতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
‘নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান’- এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্মিত হেসে ইসি সচিব বলেন, মেরুদণ্ড সোজা না থাকলে দাঁড়িয়ে আছি কীভাবে? রাজনৈতিক বক্তব্য আমার এরিয়া নয়, আমার জায়গাটা প্রশাসনিক। এখন পর্যন্ত সোজাই দাঁড়িয়ে আছি। দোয়া করবেন এভাবে যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারি।
‘মেরুদণ্ড তাহলে সোজা রয়েছে’- এ সময় এমন প্রশ্নের জবাবে জোরে হাসি দিয়ে সচিব বলেন, আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কি প্রমাণ করে না আমার মেরুদণ্ড আছে?
এ সময় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সবশেষ প্রস্তুমিূলক কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন ইসি সচিব। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ভোটের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা হতে পারে- এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইসির সার্বিক প্রস্ততি তুলে ধরেন ইসি সচিব।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি শেষে আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। তবে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও তফসিলের দাবি জানিয়ে আসছে।
ইসি সচিব জানান, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও ইসি সচিবালয় সব অগ্রগতি, তথ্য জানাচ্ছে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে আস্থার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে বদলি, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ সময় তফসিল, দলের অডিট রিপোর্ট, দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, সীমানা নির্ধারণ, আইন-বিধি সংস্কার, পর্যবেক্ষক সংস্থা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, প্রবাসী ভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি তুরে ধরেন।
জাতীয়
বিমান বাহিনীকে নিয়ে সংবাদ ভিত্তিহীন: আইএসপিআর

বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস শীর্ষক প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সোমবার (৪ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, ৪ আগস্ট ‘দৈনিক আমার দেশ’ সংবাদ মাধ্যমের পত্রিকা, ইউটিউব চ্যানেল এবং অনলাইন পোর্টালে “বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা; এয়ার ভাইস মার্শাল এম এ আউয়াল হোসেন, এয়ার ভাইস মার্শাল জাহিদুল সাঈদ, এয়ার কমডোর মোহাম্মদ আমিনুল হক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক, গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শামীম, উইং কমান্ডার সাইয়েদ মোহাম্মদ-কে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শনাক্ত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, প্রতিবেদনে বর্ণিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনীত বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিমান বাহিনীর কাছে রক্ষিত তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রকৃতপক্ষে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত চাকরির বয়সসীমা শেষে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবে অবসর গ্রহণ করেছেন। ওই তথ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) কর্তৃক নিশ্চিত করা সত্ত্বেও উক্ত গণমাধ্যম কর্তৃক এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রচার করা হয়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
আইএসপিআর আরও জানায়, একইভাবে, প্রতিবেদনটিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রিফাত আশরাফী ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহসিফ সুরি নামক দুই কর্মকর্তাকেও একই বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। বাস্তবে, এই দুই কর্মকর্তাকেও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিমান বাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধিমালার আওতায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় অবসর প্রদান করা হয়েছে, যার সঙ্গে উক্ত অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রতিবেদনে প্রকাশিত এ ধরনের অপপ্রচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ ও পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা ছাড়াও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা জাতীয় স্থিতিশীলতা ও সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ প্রেক্ষিতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি রোধে বিমান বাহিনী সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য নিশ্চিতকরণ ও প্রচারের লক্ষ্যে সর্বদা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সব গণমাধ্যমকে বিনীতভাবে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
কাফি
জাতীয়
স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা অভ্যুত্থানের লক্ষ্য: প্রধান উপদেষ্টা

অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল-একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল- একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ সকল লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে। আসুন সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।
সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, আজ আমি স্মরণ করছি সেই সব সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর ও পেশাজীবীদের, যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আহত সকল জুলাই যোদ্ধা, চিরতরে পঙ্গু হওয়া ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সকল জুলাই যোদ্ধাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহীদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সকল সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
কাফি