অর্থনীতি
২০৫০ সালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি হবে যেসব দেশ
২০৫০ সালের মধ্যে শীর্ষ অর্থনীতির তালিকায় থাকা দেশগুলো আগামী দিনের বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা ৯০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে জ্বালানি ও খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরও চাপ বাড়াতে পারে।
বিশ্বের বৃহত্তম ২৫টি খাদ্য কোম্পানির আয়ের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, সাম্প্রতিক সময়ে মন্দা থাকা সত্ত্বেও ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে জিডিপি প্রায় চারগুণ হবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে চীন এবং ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার আগামী কয়েক দশক ধরে হ্রাস পাবে। অপরদিকে আফ্রিকা মহাদেশে ২০৩০ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির চাহিদাও ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে বৈশ্বিক জ্বালানির মিশ্রণ অনেকাংশে অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানী এখনও প্রায় ৮৫ শতাংশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি মাত্র ১০ শতাংশ এবং অবশিষ্টাংশ পারমাণবিক শক্তি হিসেবে রয়েছে।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এতে করে আগামী দশকে কৃষি জমির চাহিদা বেড়ে যাবে। চীন এবং ভারতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সে কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের কর্মশক্তি হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুর পরেও চীনই হবে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই ততদিনে শহরে বসবাস করবে।
গবেষণা সংস্থা পিডব্লিউসি-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে চীন, যা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ২০ শতাংশে অবদান রাখবে। ক্রয় ক্ষমতার সমতার (পিপিপি) ক্ষেত্রে চীন ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের আগেই দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জিডিপিতে ইইউর অবদান ১০ শতাংশের এর নিচে নেমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, চীনের পর ভারত ২০৫০ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। চীন এবং ভারত উভয়ই বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চীনের অবিস্বরণীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকৃতপক্ষে মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল উন্নয়নের একটি।
২০১৬ সাল থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে উদীয়মান সেভেন বা ই৭ অর্থনীতির দেশগুলো জি৭ অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ভিয়েতনাম, ভারত এবং বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় থাকবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
অর্গ্যানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) একটি প্রতিবেদন পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আফ্রিকা মহাদেশ ২০৩০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে। এছাড়া পোল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে ব্রাজিল, নাইজেরিয়া এবং তুরস্কের মতো দেশগুলোতে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তারা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক দেশগুলোর জন্য যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা উপস্থাপন করছে। ফলে এই দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উদীয়মান বাজার তৈরিতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, অর্থনীতির বৈচিত্র্যকরণ এবং রাজনৈতিক ও আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।
২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হতে যাওয়া চীনের জিডিপি ৪২ দশমিক ৯৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং ২০৩০ সালের আগে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে আবির্ভূত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যা ১৩১ কোটিতে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে ভারত। দেশটির জিডিপি ৩৮ দশমিক ৬৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জিডিপি হবে ২৬ দশমিক ৫৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
এই তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকবে ইন্দোনেশিয়া, ৫ম অবস্থানে রাশিয়া, ৬ষ্ঠ অবস্থানে জাপান, ৭ম জার্মানি, ৮ম তুরস্ক, ৯ম যুক্তরাজ্য এবং ১০ম স্থানে থাকবে ব্রাজিল। এরপরেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে মিশর, ইথিওপিয়া, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, সৌদি আরব, পাকিস্তান, পোল্যান্ড এবং মিয়ানমার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজউক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন একটি অফিস আদেশ জারি করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজউকের ৯ম গ্রেডে ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের এবং অবশিষ্ট গ্রেড ১০ থেকে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে চেয়ারম্যান দপ্তরে দাখিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ
একটি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ছুইছুই করছে। আজ শুক্রবার বিটকয়েনের দাম ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে ছাড়িয়েছে। এই দাম বিটকয়েনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোবান্ধব হবে। খবর রয়টার্সের
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম দিগুণের বেশি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বেড়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। আজ শুক্রবার একটি বিটকয়েন বিক্রি হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে বিটকয়েন পাল্লা দিচ্ছে ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন, ট্রাম্পের বন্ধুরা এবং যেসব বিষয়ে তার আগ্রহ আছে, সেসব বিষয় তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো করবে।
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘বিটকয়েনের দাম বাড়ছে ট্রাম্পের জন্যই। কারণ, তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো, ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়েইর চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।’
গত ১০ নভেম্বর আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৮০,০০০ ডলারে পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, বর্তমান বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকলে বিটকয়েনের দাম ৩ লাখ ডলারে পৌঁছানোও অবাক করার মতো কিছু হবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার মাধ্যমে এর দাম ওঠা-নামা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে বিটকয়েন কারেন্সি মার্কেটে প্রকাশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকে কলমানি সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো
ব্যাংক খাতে কলমানি সুদহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। সপ্তাহের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার কলমানি বাজারে এক দিনের জন্য ধার নেওয়া টাকার গড় সুদহার উঠেছে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশে। ১৩ নভেম্বর থেকে এই সুদহার ১০ শতাংশ বা তার ওপরে রয়েছে। কলমানি বাজারে সুদহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে কলমানি বাজারে এক দিনের জন্য টাকা ধারের ক্ষেত্রে সুদহার ১০ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। আবার চার দিন ও সাত দিনের জন্য টাকা ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার আরও বেশি। গতকাল চার দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ছিল সোয়া ১২ শতাংশ। আর সাত দিনের ধারের ক্ষেত্রে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে কলমানিতে বিভিন্ন মেয়াদে ধারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টাকা লেনদেন হয় এক দিনের ধার হিসেবে।
কলমানি হচ্ছে সরকারি–বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া–নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় যেসব ব্যাংকের হাতে নগদ টাকার সংকট থাকে তারা তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য বা অর্থ থাকে তাদের কাছ থেকে টাকা ধার করে। এ জন্য সুদ দিতে হয়। সুদহার নির্ধারিত হয় চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে। ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা ধার দেওয়া–নেওয়া করলেও দিন শেষে লেনদেন ও সুদের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কলমানি বাজারের প্রতিদিনের লেনদেন ও সুদের তথ্য প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২০১৬ সাল থেকে কলমানি বাজারের তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ সালের পর গতকালই প্রথম কলমানিতে এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ১০ দশমিক ০৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এদিন এক দিনের জন্য কলমানিতে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়, যার সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ১১ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক দিনের ধারের ক্ষেত্রে কলমানিতে গড় সুদহার প্রথম ১০ শতাংশে উন্নীত হয় ১৩ নভেম্বর। ওই দিন এই বাজারে এক দিনের জন্য ৩ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে কিছু ব্যাংক তীব্র তারল্যসংকটে রয়েছে। এসব ব্যাংকের সংকট এতটাই প্রকট যে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। আবার সরকারি ট্রেজারি বিল–বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংক বেশি লাভের আশায় কলমানির বদলে বিল–বন্ডে অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফলে কলমানিতে টাকা ধার দেওয়া বা এই বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ব্যাংকের সংখ্যা কমে গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যা নিরসনে বিআইএ’র সভা
দেশের নন-লাইফ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর সমস্যা নিরসনে করণীয় ঠিক করতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে অ্যাসোসিয়েশনের কনফারেস রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভিন্ন নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ৪২ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইএ’র নন-লাইফ টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা পি কে রায়।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) ও প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট হোসেন আখতার সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈদয় বদরুল আলম, সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, মো. ইমাম শাহীন।
সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করেন এবং এসব সমস্যা নিরসনের জন্য নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট, প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মুডিসের রেটিংয়ে সঠিক চিত্র উঠে আসেনি দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ঋণমান নির্ণয়কারী মার্কিন এজেন্সি মুডিস রেটিংয়ে বাংলাদেশের আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থার সঠিক চিত্র উঠে আসেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান কমানোর মাত্র দুদিনের মাথায় ছটি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণমান কমানোর পর বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এমন দাবি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি একটি বড় রূপান্তরের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছে। এর ইতিবাচক ফল পেতে আরও সময় লাগবে। দেশি-বিদেশি অংশীদারদের সমর্থন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি বাড়াবে।
এর আগে, গত বুধবার (২১ নভেম্বর) ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে মুডিস।
একই সময়ে মুডিস ছটি ব্যাংকের এলটি ডিপোজিট বা দীর্ঘমেয়াদি আমানতের রেটিং পূর্বাভাস পরিবর্তন করে স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচক করেছে।
এমআই