আন্তর্জাতিক
এবার হজে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৩০০
![এবার হজে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৩০০ এটলাস বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/03/haj.jpg)
চলতি বছর হজ মৌসুমে সৌদি আরবে অন্তত ১৩০১ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ অননুমোদিত হজযাত্রী। তীব্র গরমে দীর্ঘ পথ হেঁটে পাড়ি দেওয়ায় তারা মারা গেছেন।
এবার পুরো হজ মৌসুম জুড়েই দাবদাহ ছিল মক্কায়। প্রায় দিনই তাপমাত্রা ছিলে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এজন্য বেশিরভাগ হাজির মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত অসুস্থতায়।
রোববার এসব তথ্য জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান ও এপির।
দেশটির মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত হাজিদের ৮৩ শতাংশের হজে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল না। ফলে অনুমোদন নিয়ে যাওয়া অন্যান্য হাজিদের মতো প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে কুলিং সিস্টেম, ঠান্ডা পানি ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার মতো সেবা গ্রহণ করতে পারেননি তারা। তীব্র তাপদাহে কোনোরকম আশ্রয় ছাড়াই তাদের হাঁটতে হয়েছে দীর্ঘপথ। এতে পথের মাঝেই প্রাণ হারান অনেকেই।
মৃতদের মধ্যে কেবলমাত্র মিশরীয় নাগরিকই রয়েছেন ৬৬০ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩১ জনের হজ করার সরকারি অনুমোদন ছিল। এ ঘটনায় মিশরের সরকার দেশটির ১৬টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছে- যারা সরকারি অনুমোদন ব্যতীত হজযাত্রীদের সৌদি ভ্রমণে সহায়তা করেছে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ১৬৫ ইন্দোনেশিয়ান, ৯৮ ভারতীয়, ৩৫ বাংলাদেশি, ২ মার্কিন নাগরিকসহ জর্ডান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
দেশটির সরকারি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) তাদের অফিশিয়াল বার্তায় বলেছে, দুঃখজনকভাবে মৃতের সংখ্যা ১৩০১ এ পৌঁছেছে, যার ৮৩ শতাংশরই হজ করার জন্য অনুমোদন ছিল না। অবশ্য দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ বিন আব্দুর রহমান আল-জালাজেল এ বছরের হজ ব্যবস্থাপনাকে ‘সফল’ বলে বর্ণনা করেছেন।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, এবার হজে গিয়ে সৌদি আরব ৩৫ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও সাতজন নারী।
গত ১৪ জুন পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আরবি বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয় হজ। ১৫ জুন সারাদিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন হজযাত্রীরা। পরের দিন ১০ জিলহজে পশু কুরবানি দেন হাজিরা। এরপর আরও দুদিন থেকে শেষ হয় হজ।
সৌদি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বছর ১৮ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ হজ করেছেন। তাদের মধ্যে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩১০ জন বিদেশি এবং ২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন সৌদি ও প্রবাসী নাগরিক।
তবে এই বছর সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নেবেন বলেই আশা করেছিল সৌদি সরকার। শুরুর দিকে এমন তথ্যই দিয়েছিল সৌদি গণমাধ্যমগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত হাজিদের সংখ্যা ১৮ লাখ ছাড়াল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেলো লাহোর হাইকোর্ট
![প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেলো লাহোর হাইকোর্ট এটলাস বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/lahor-high-coart.jpg)
পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি আলিয়া নীলম। তার এই নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নারী শীর্ষ বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণলয়ের অধীন সংস্থা জুডিশিয়ালি কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপি) বৈঠকে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে আলিয়া নীলমকে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসা সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে আলিয়া নীলমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন কাজী ফায়েজ ইসা নিজেই। তার চেয়ে যোগ্য অপর কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রধান বিচারপতির এই প্রস্তাব মেনে নেন জেসিপির অন্যান্য সদস্যরা।
লাহোর হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের তালিকায় আলিয়া নীলম তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তার সামনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিচারপতি মালিক শেহজাদ আহমেদ খান এবং বিচারপতি শহীদ বিলাল হাসান। দুজনই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আলিয়ার আগে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি ছিলেন মালিক শেহজাদ আহমেদ খান।
বিচারপতি আলিয়া নীলমের জন্ম পাঞ্জাবে, ১৯৬৬ সালের ১২ নভেম্বর। ১৯৯৫ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাসের পরের বছর থেকে লাহোর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।
২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন বিচারপতি আলিয়া। কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে ২০১৩ সালে ফের লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।
এলএলবি’র পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং আইন ও বিচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে তার। ২০১৩ সালে লাহোর হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফৌজাদি, দেওয়ানি ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বহু মামলার বিচার পরিচালনার সঙ্গে যুক্তছিলেন তিনি। এছাড়া নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার বিচারকাজে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব তার রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পদদলিত হয়ে ১২১ মৃত্যু, গ্রেফতার হতে পারেন ভোলে বাবা
![ভারতে পদদলিত হয়ে ১২১ মৃত্যু, গ্রেফতার হতে পারেন ভোলে বাবা এটলাস বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/india-vole-baba.jpg)
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় নারায়ণ সাকার হরির একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলেক বাবাকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে তার আশ্রমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দুদের দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে হাথরসের রতি ভানপুর গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করলে পদদলিত হয়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আলীগড় রেঞ্জের পুলিশের মহাপরিদর্শক সলভ মাথুর বুধবার সকাল পর্যন্ত ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী। আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আজ বুধবার (৩ জুলাই) যে কেনো সময় ঘটনাস্থলে যেতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরই মধ্যে তিনি এ ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
হাথরসের জেলা প্রশাসক আশিষ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেন, অনুষ্ঠানের সময় সেখানে ছিল তীব্র গরম। গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন অনুষ্ঠান শেষে পানির জন্য একযোগে ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে কাদাপানিতে একজনের ওপর অন্যজন পড়ে আহত হন। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের।
ভোলে বাবা দাবি করেন, তিনি একসময় ভারতের গোয়েন্দা বিভাগে (আইবি) চাকরি করতেন। ২৬ বছর আগে ধর্ম পালনের জন্য তিনি সেই সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন বলে দাবি তার। বর্তমানে ভোলে বাবার লাখো অনুসারী রয়েছে। ভারতজুড়ে তাঁর অনুসারী ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। তবে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান ও দিল্লিতে ভোলে বাবার অনুসারী বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আসামে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা, নিহত ৩৫
![আসামে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা, নিহত ৩৫ এটলাস বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/asam-bonna.jpg)
বড় ধরনের বন্যার মুখে পড়েছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম। ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে হু হু করে পানি ঢুকছে বেশ কিছু জায়গায়। চলতি এই বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসামের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে— এখন পর্যন্ত আসামে বন্যা কবলিত জেলার সংখ্যা ১৯। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ ছাড়া অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আসামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ছাড়া আরও যেসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে সে নদীগুলো হলো— সুবানসিরি, দিখৌ, দিসাং, বুড়িদিহিং, জিয়া-ভারালি, বেকি এবং কুশিয়ারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, পার্শ্ববর্তী অরুণাচল প্রদেশে ব্যাপক বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্টি পাহাড়ি ঢল এই বন্যার জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে তার এবং কেন্দ্রীয় সরকার আসামকে যাবতীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কুয়েতে বাংলাদেশিসহ ৭৫০ প্রবাসী গ্রেপ্তার
![কুয়েতে বাংলাদেশিসহ ৭৫০ প্রবাসী গ্রেপ্তার এটলাস বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/atok-1.jpg)
কুয়েতে গত ৩০ জুন শেষ হয় সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ। সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ না করে দেশটিতে এখনও বিভিন্ন দেশের ৮৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়ে গেছে। অবৈধ অভিবাসীদের ও আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় চলমান রয়েছে গ্রেপ্তার অভিযান।
দেশটি স্থানীয় গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয় সোমবার (১ জুলাই) ভোর রাতে এবং সন্ধ্যায় প্রবাসী অধ্যুষিত কুয়েতে বিভিন্ন এলাকাগুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৭৫০ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েতের নিরাপত্তা বাহিনী।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস জানিয়েছে, কুয়েতে ১ লাখ ২০ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছেন মাত্র ৩৫ হাজার।
রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজিয়াদ আল-মুতাইরি প্রবাসীদের সতর্ক করে বলেছেন, বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কোনো আইন লঙ্ঘনকারী পালিয়ে থাকতে পারবেন না। রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স ইনভেস্টিগেশন, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, পাবলিক সিকিউরিটি এবং রেসকিউ সার্ভিসেস বিভাগ থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা এই অভিযানে অংশ নেবেন। প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, অভিযান ২৪ ঘণ্টা চালানো হবে। যাদের গ্রেপ্তার করা হবে, তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের কুয়েত থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। আইন লঙ্ঘনকারীদের যারা আশ্রয় দেবেন, তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার প্রবেশপথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কুয়েতজুড়ে এমন নিরাপত্তা অভিযান শুরু হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৫ থেকে ১৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশির মধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৮ হাজার জন। করোনাভাইরাস মহামারির সময় ২০২০ সালে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছিলেন। ২০২৪ সালে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছেন ৪ হাজারেরও অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মিসর ও ইইউর মধ্যে ৭২৪০ কোটি ডলারের চুক্তি
![মিসর ও ইইউর মধ্যে ৭২৪০ কোটি ডলারের চুক্তি এটলাস বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Egypt-EU1.jpg)
বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রভাবে অর্থনীতিতে ভালো সময় যাচ্ছে মিসরের। চলতি বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বড় অংকের চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে প্রায় সোয়া ৭ হাজার কোটি ডলারের চুক্তি করেছে দেশটি।
আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় বেশকিছু কোম্পানি ও সংস্থার সঙ্গে ৬ হাজার ৭৭০ কোটি ইউরো বা ৭ হাজার ২৪০ কোটি ডলার মূল্যের ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে মিসর। গত রোববার কায়রোয় মিসর-ইউরোপীয় বিনিয়োগ সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলি এসব চুক্তির ঘোষণা দেন।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন মিসরে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান বার্গার।
সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে মোস্তাফা মাদবৌলি জানান, ইইউর সঙ্গে সম্মিলিত সহযোগিতা, তদারকি ও সক্রিয়তা নিয়ে প্রতি বছর সম্মেলনটি আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। এবারের সম্মেলনকে ‘সফল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে মিসর-ইইউর মধ্যকার দ্বিতীয় সম্মেলন।’
স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর মধ্যে গ্রিন হাইড্রোজেন, বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন, অবকাঠামো, টেকসই পরিবহন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এমআই