খেলাধুলা
অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্ন দেখেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি হয়নি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের এক অতিমানবীয় ইনিংসের কারণে। এবারও ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই বিধ্বংসী ব্যাটার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারলেন না তিনি, পারল না অস্ট্রেলিয়াও। গুলবাদিন নায়েব ও নাভিন উল হকের অসাধারণ বোলিংয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে আফগানিস্তানই।
সুপার এইটের লড়াইয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ২১ রানে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে আফগানরা। যার ফলে, সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল দলটি। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেই এবং ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া হারলে ইতিহাস গড়বে তারা। তবে আজকের ম্যাচটি আফগানদের ইতিহাসে সবার ওপরেই লেখা থাকবে!
১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের ভেতরই সাজঘরে ফেরে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। প্রথম ওভারে ট্রাভিস হেডকে (০) বোল্ড করেন নাভিন উল হক। পরের ওভারে অধিনায়ক মিচেল মার্শকেও (১২) ফেরান ডানহাতি এই পেসার। পাওয়ার প্লের আগে ডেভিড ওয়ার্নারকে (৩) বিদায় করেন মোহাম্মদ নবি।
৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টয়নিস। ৩৯ রানের জুটিতে চাপ কাটিয়ে ওঠেন তারা। আর ম্যাক্সওয়েল ফেরেন রানের ছন্দে। এবারের আসরে এর আগে একদমই হাসেনি তার ব্যাট। কিন্তু ঠিক তখনই আগমন গুলবাদিন নায়েবের। সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেটকে রীতিমত কথা বলিয়ে ছেড়েছেন তিনি। মিডিয়াম পেসে ছোট ছোট সুইংয়ে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটারদের জন্য তৈরি করেছেন বিপদ।
১১তম ওভারে হাতে প্রথম বল তুলে নেন নায়েব। এসেই তৃতীয় বলে স্টয়নিসকে (১১) ফেরান এই মিডিয়াম পেসার। পরের ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন টিম ডেভিডকে। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে সবচেয়ে বড় মাছ শিকার করেন তিনি। সেদিন অতিমানবীয় ইনিংস খেলে আফগানদের হৃদয় ভাঙা ম্যাক্সওয়েল আজও হাঁটছিলেন একই পথে। কিন্তু এবার তা হতে দেননি নায়েব। তার কিছুটা ওপরের দিকের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা নুর আহমেদের হাতে ক্যাচ দেন ম্যাক্সওয়েল। ৪১ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রানে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিপদ কেটে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের জয় আর ঠেকায় কে! চার বল হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়াকে ১২৭ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। ৪ ওভারে স্রেফ ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন নায়েব। সমান রান দিয়ে ৩ উইকেট ঝুলিতে নেন নাভিন।
সেন্ট ভিনসেন্টে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ১১৮ রান। এবারের আসরে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরানের তৃতীয় শতরানের জুটি। ব্যক্তিগত অর্ধশতকের পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি দুই ওপেনার। ৪৯ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কা মেরে ৬০ রান করা গুরবাজ তুলে নিয়ে এ জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টয়নিস। ১৭তম ওভারে এসে ইব্রাহীম (৫১) ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সাজঘরে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা।
এরপর আফগানদের রানের চাকা আরও কমিয়ে দেয় প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিক। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন এই পেসার। প্রথম বোলার হিসেবে এবার টি-টোয়েন্টিতে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন তিনি।
১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে সাজঘরে ফেরান কামিন্স। তাকে উড়িয়ে মারতে চাইলেও লং অনে টিম ডেভিডের হাতে ধরা পড়েন রশিদ। ইনিংসের শেষ ওভারও কামিন্সের হাতে বল তুলে দেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ওভারের প্রথম বলেই করিম জানাতকে শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার। এবারও লং অনে সেই ক্যাচ নেন ডেভিড। হ্যাটট্রিক বলে ঠিকমতো টাইমিংস করতে পারেননি গুলবাদিন নায়েব। ক্যাচ তুলে দেন লেগে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাছে। পরের বলে ডাবল হ্যাটট্রিকের খুব কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন কামিন্স।
কিন্তু নানগেয়ালি খারোতের ক্যাচ ফেলে দেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর আফগানরা থামে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান নিয়ে। এতোটুকু পুঁজি নিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল রশিদ খানের দল!
এমআই

খেলাধুলা
ঢাকায় ফিরেছেন হামজা চৌধুরী

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে ঢাকায় পা রেখেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে দেশের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলতে দেখা যাবে তাকে।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামজার অবতরণের কথা থাকলেও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তিনি পৌঁছান ১০টা ৫৫ মিনিটে। সেখান থেকে তিনি সরাসরি জাতীয় দলের টিম হোটেলে উঠেন। গত মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলা এই মিডফিল্ডার মার্চে ভারতের শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।
আগামী ১০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। তবে হামজা কোন ম্যাচে মাঠে নামবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছেন, দেশের মাঠে খেলার আগে হামজাকে কিছুটা ম্যাচ অভিজ্ঞতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে তিনি এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি, হামজাকে ভুটান ম্যাচে খেলানো হবে কি না।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং—চার দলেরই পয়েন্ট সমান ১। ফলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পেলে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে উঠে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের সামনে। এ লক্ষ্যেই চলছে দলের প্রস্তুতি।
এই ম্যাচকে ঘিরে জাতীয় দলের অনুশীলন চলছে জোরেশোরে। ইতোমধ্যে দুই দিন অনুশীলন সম্পন্ন করেছে জামাল ভূঁইয়াদের দল। রোববার তারা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন করেন। সোমবারও তৃতীয় দিনের প্রস্তুতি হবে একই ভেন্যুতে। সতীর্থদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার জন্য হাতে রয়েছে অল্প সময়, তবে তা যথেষ্ট বলেই মনে করছেন কোচ।
দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন আরেক প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম, যিনি গত বুধবার ইতালি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। কানাডাপ্রবাসী সামিত সোমের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে আসছে বুধবার। ২৬ জনের প্রাথমিক দলে এই দুই বিদেশফেরত ফুটবলারের পাশাপাশি এখন নজর হামজার দিকেও। তার অভিজ্ঞতা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের ছোঁয়া জাতীয় দলের মধ্যমাঠে ভরসা হয়ে উঠতে পারে বলেই বিশ্বাস করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খেলাধুলা
বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন আমিনুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দীর্ঘদিন আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্টে কাজ করা আমিনুল এবার হাল ধরেছেন দেশের ক্রিকেটের।
শুক্রবার (৩০ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করে আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
এদিন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকদের সভায় পরিচালকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সরকারের বিভিন্ন মহলে পরিবর্তন ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবির পরিচালক হয়ে পরিচালকদের প্রতক্ষ ভোটে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ।
কিন্তু ৯ মাসের মাথায় পরিচালকদের অনাস্থার কারণে ২৯ মে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আর তাই তিনি বিসিবির সভাপতি হিসেবে থাকার যোগ্যতা হারালেন। তার পরিবর্তে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
কাফি
খেলাধুলা
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড

শারজাহতে ম্যাচে আরব আমিরাত টিকে ছিল অনেকটা সময় পর্যন্ত। তবে মুস্তাফিজুর বারবারই ম্যাচটা টেনে এনেছিলেন বাংলাদেশের দিকে। দুই ডেথ ওভারে করেছেন মোট সাতটি ডট বল। উইকেট ছিল ১টি। তবে মূল কাজের কাজ করে দিয়েছে ডট বলগুলোই।
টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজুর রহমানের ইতিহাসটাও হয়েছে ওই ৭ ডট বলের কল্যাণে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ডেথ ওভারে ৩০০ ডট বল দিয়েছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। আগে থেকেই এই তালিকায় মুস্তাফিজ ছিলেন সবার ওপরে। গতকাল সেটাকে নিয়ে গেলেন অন্য মাত্রায়।
শনিবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই কৃতিত্বে নাম লেখান মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই পেসার যেদিন ডেথ ওভারে ৩০০ ডটবল দিয়েছেন, তখন পর্যন্ত আর কোনো বোলারের ২৫০ ডট বলের রেকর্ডও নেই। দুইয়ে থাকা ক্রিস জর্ডানের ডট বল ২৪১টি।
ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বল
৩০০ – মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
২৪১ – ক্রিস জর্ডান (ইংল্যান্ড)
২৪০ – টিম সাউদি (নিউ জিল্যান্ড)
২২২ – হারিস রউফ (পাকিস্তান)
২০৮ – জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)
তালিকার এই ৫ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম রানের তালিকায় মুস্তাফিজ আছেন তিনে। সেদিন বিবেচনায় জাসপ্রিত বুমরাহ আর হারিস রউফ আছেন শীর্ষে। ৮৭ ইনিংসে ৭২৫ বল করে মুস্তাফিজ ডেথ ওভারে দিয়েছেন ৯৯০ রান। বুমরাহ ৫৬৩ রান খরচা করেছেন ৪৯৫ বলে। আর হারিস রউফ ৭৮২ রান দিয়েছেন ৫৮৬ বল করে।
তালিকায় উইকেটের দিক থেকে ফিজের আগে আছেন অবশ্য কেবলই টিম সাউদি। ১০০ ইনিংসে ডেথ ওভারে সাউদির উইকেট ৬৫টি। ১৩ ইনিংস কম বোলিং করে মুস্তাফিজের উইকেট ৬৩।
আবার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বাদ দিলেও ডট বলের পরিসংখ্যান যথেষ্ট দারুণ মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য। সবধরণের টি-টোয়েন্টি মিলে ডেথ ওভারে ৮১৬ ডটবল তার। এই হিসেবে মুস্তাফিজের অবস্থান তিনে।
সবরকমের টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় ডেথ ওভারে ১ হাজার ১৬৪ ডট বল আছে ডোয়াইন ব্রাভোর। দুইয়ে আছেন ৮৯৩ ডট বল দেয়া ক্রিস জর্ডান। তিনে আছেন মুস্তাফিজ। এই তালিকায় আর কারোরই ৮০০ ডট বল দেয়ার কৃতিত্ব নেই।
খেলাধুলা
মায়ামির জয়রথে মেসি-সুয়ারেজের সোনালি ছোঁয়া

অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটল। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সমন্বয়ে ইন্টার মায়ামি ফিরল জয়ের ধারায়। শনিবার নিউইয়র্ক রেড বুলসকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে টানা তিন ম্যাচের জয়-খরা কাটাল ডেভিড বেকহামের দল। একইসাথে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায়ের হতাশাও খানিকটা ঝেড়ে ফেলল তারা।
ম্যাচ শুরু থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল—মায়ামি এদিন জয় ছাড়া কিছু ভাবেনি। চতুর্থ মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে ফাফা পিকল্ট নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ম্যাচের প্রথম গোল করেন। এরপর গোলের ধারা অব্যাহত থাকে। ৩০তম মিনিটে রাইট-ব্যাক মার্সেলো ওয়েইগান্ট ব্যবধান বাড়ান, কিছুক্ষণ পর নিজেই এক গোল করেন সুয়ারেজ—স্কোরলাইন হয় ৩-০।
প্রথমার্ধের শেষদিকে নিউইয়র্ক কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক স্ট্রাইকার এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং একটি গোল পরিশোধ করেন। তবে সেটিই ছিল তাদের একমাত্র সান্ত্বনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন মেসি। টানা চার ম্যাচে গোলহীন থাকার পর ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক একক প্রচেষ্টায় গোল করে স্কোরলাইন ৪-১ করেন, যা ম্যাচের চূড়ান্ত ফলাফল হয়ে দাঁড়ায়।
এ জয় মায়ামিকে উপহার দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত তিন পয়েন্ট। এখন ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। ভ্যাঙ্কুভারের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এমন জয় দলকে নতুন উদ্দীপনা দেবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পুরো ম্যাচজুড়েই মায়ামির খেলায় ছিল গতি, ধার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—স্পষ্ট লক্ষ্য। মেসি ও সুয়ারেজ আবারও প্রমাণ করলেন, প্রয়োজনের সময় তারা এখনও দলের মূল চালিকাশক্তি।
খেলাধুলা
টাইগারদের নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য নতুন করে ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত জেমস প্যামেন্টকে টাইগারদের কোচ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। চলতি আইপিএলের আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডিং কোচ। তার পরিবর্তে এই আসরে দলটি এনেছে কার্ল হপকিন্সকে। আর ৭ বছর ধরে মুম্বাইয়ের দায়িত্বে থাকা প্যামেন্ট এখন বাংলাদেশের কোচের ভূমিকায়।
নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ সাবেক এই ক্রিকেটার বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগেই যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে। ৫৬ বছর বয়েসী প্যামেন্ট ইংল্যান্ডে জন্ম নিলেও পেশাদারি ক্রিকেট খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের হয়ে।
২০১৮ সাল থেকেই জেমস প্যামেন্ট ছিলেন ভারতের আইপিএল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ফিল্ডিং কোচ। সহকারী কোচ হিসেবে খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং এবং রানিং বিটুইন দ্য উইকেট নিয়ে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এরমাঝে নর্দান ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কোচ হিসেবেও কাজ করেছে।
জাতীয় দল বিবেচনায় এর আগে কাজ করেছেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দলের সঙ্গে। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ‘এ’ এবং নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে জেমস প্যামেন্টের। বলতে গেলে বেশ বড় রকমের অভিজ্ঞতা নিয়েই আসছেন তিনি।
আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। নতুন এই দায়িত্বে যোগ দিয়ে প্যামেন্ট বেশ উচ্ছ্বসিত। জানালেন, দারুণ প্রতিভাময় বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত তিনি।