খেলাধুলা
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অজিদের বিপক্ষে হারলো বাংলাদেশ

গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর সবকটি জয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের। এবার সুপার এইটে এসে ব্যর্থ তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানরা। তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অজিরা।
শুক্রবার (২১ জুন) স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন শান্ত। তাছাড়া ৪০ রান এসেছে হৃদয়ের ব্যাট থেকে।
জবাবে খেলতে নেমে ১১ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টিতে আর খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অজিদের হয়ে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শেখ মেহেদিকে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি হাঁকান ডেভিড ওয়ার্নার। এই অজি বোলারদের থিতু হওয়ারই সুযোগ দেননি। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেডও একই পথে হেটেছেন। দুই ওপেনারের সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া।
পাওয়ার প্লের পরপরই রিশাদ হোসেনকে বোলিংয়ে আনেন শান্ত। রিশাদের ওভারের দ্বিতীয় বল হওয়ার পর ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। অবশ্য সেটার স্থায়িত্ব ছিল দুই-তিন মিনিট। এরপর মাঠ প্রস্তুতের কাজও চলছিল। তবে মিনেট দশেক পরই আরেক দফা বৃষ্টি নামে। সবমিলিয়ে ২০ মিনিটের মত খেলা বন্ধ ছিল।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেন এই লেগি। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ৩১ রান করেছেন এই ওপেনার। নিজের পরের ওভারেও উইকেটের দেখা পেয়েছেন রিশাদ। এই লেগিকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ১ রান করা মিচেল মার্শ।
এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল উইকেটে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। একই কাজ করেছেন ওয়ার্নারও। তাতে ১২তম ওভারেই দলীয় শতক স্পর্শ করে তারা। তবে এরপরই অ্যান্টিগায় আরও একবার বৃষ্টির হানা। তাতে ম্যাচ আর মাঠে গড়ায়নি।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরেছেন তানজিদ হাসান তামিম। তৃতীয় বলটি স্টাম্পের ওপর ফুললেংথে করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। সেখানে সময়মতো ব্যাট নামাতে পারেননি তানজিদ তামিম, ব্যাটের নিচের অংশে লেগে বল ঢুকেছে স্টাম্পে। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। টানা দুই ইনিংসে খেলেন ডাক।
তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর তিনে নেমে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আজ শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন। তবে আরেক প্রান্তে লিটন ধীরগতির ব্যাটিং করেছেন। তাতে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও রানের গতি বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তুলে টাইগাররা।
পাওয়ার প্লের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন। শুরু থেকেই ভুগতে থাকা লিটনকে শেষ পর্যন্ত মুক্তি দিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। নিজের খেলা প্রথম ৯ বলে কোনো রান নিতে পারেননি এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত গিয়ার পরিবর্তন করতে গিয়ে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন তিনি। জাম্পাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ১৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
রিশাদ হোসেনকে চারে নামিয়ে বড় চমকই দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে বড় সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারলেন না এই তরুণ। মূলত রানের গতি বাড়াতেই রিশাকে ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে উইকেটে পাঠিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তিনি টিকতে পারলেন কেবল ৪ বল। ২ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বলে শর্ট থার্ডে ধরা পড়েছেন তিনি।
আসরজুড়ে রান খরায় ভোগা শান্ত আজ দারুণ শুরু পেয়েছিলেন। চেষ্টা করেছেন দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার। নিজের পরিকল্পনায় সফলই ছিলেন বলা যায়। এগোচ্ছিলেন ব্যক্তিগত ফিফটির দিকে। তবে কাটা পড়লেন ৪১ রানে। ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে জাম্পাকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক।
দ্রুত ফিরেছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব ফিরেছেন ১০ বলে ৮ রান করে। পরের ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়েছেন প্যাট কামিন্স। পরের বলেই শেখ মেহেদিকেও ফিরিয়েছেন এই পেসার। আসরে প্রথমবার খেলতে নেমে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন তিনি। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভানা জাগান কামিন্স। ২০তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম বলেই হৃদয়কে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। দ্বিতীয় অজি বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন কামিন্স।
শেষ ওভারে সাজঘরে ফেররা আগে ২৮ বলে ৪০ রান করেছেন হৃদয়। তাছাড়া শেষদিকে নেমে ৭ বলে অপরাজিত ১৩ রান করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি পেতে সাহায্য করেছেন তাসকিন আহমেদ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স। তাছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
এমআই

খেলাধুলা
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারাল বাংলাদেশ

ভুটানের মাটিতে সবশেষে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার নিজ দেশের মাঠে বাংলাদেশ সেই হারের প্রতিশোধ নিলো দেশের ফুটবলের তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। নতুন সাজে তৈরি হওয়া এই স্টেডিয়ামে বুধবার ২-০ গোলে ভুটানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে ভুটানের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। জয়ে দারুণ প্রস্তুতিই হলোা ক্যাবরেরার দলের।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের কোচ বলেছিলেন, হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের শক্তি বাড়িয়েছে। হামজা ৪৫ মিনিটে খেলেছেন। কাজের কাজটি তিনি করেছেন ৬ মিনিটের মধ্যে গোল করে দলকে লিড এনে দেওয়ায়। জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচেই গোল করলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন সিনিয়র সোহেল রানা। ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহামিদুল ইসলামকে কিছু সময় খেলাবেন বলেছিলেন কোচ। তাকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত খেলিয়েছেন কোচ। প্রথম দিন ফাহামিদুল নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ বাংলাদেশের অনেক ফুটবলারের জন্যই নতুন। বহুদিন পর এই মাঠে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ হতাশ করেনি। প্রাধান্য বিস্তার করেই বাংলাদেশ প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচটি জিতে নিয়েছে।
আগামীকাল ফুটবরারদের রিকভারি। পরের দিন থেকে নেমে পড়বেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের অনুশীলনে। কানাডা প্রবাসী শামিত সোম যোগ হবেন ওই অনুশীলনে। শামিত ছাড়া বাকি ২৫ জনই ছিলেন ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচের স্কোয়াডে। কোচ ৫ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে পরখ করেছেন।
বিরতির পর কোচ মাঠে নামিয়েছেন ডিফেন্ডার শাকিল আহামদ তপু, মিডফিল্ডার রিদয়, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে।
বাংলাদেশ একাদশ
মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তাজউদ্দিন, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, ফাহামিদুল, জামাল ভূঁইয়া, তপু বর্মন, রাকিব হোসেন, কাজেম শাহ, তারিক কাজী, হামজা চৌধুরী।
কাফি
খেলাধুলা
ঢাকায় ফিরেছেন হামজা চৌধুরী

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে ঢাকায় পা রেখেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে দেশের মাঠে প্রথমবারের মতো খেলতে দেখা যাবে তাকে।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামজার অবতরণের কথা থাকলেও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে তিনি পৌঁছান ১০টা ৫৫ মিনিটে। সেখান থেকে তিনি সরাসরি জাতীয় দলের টিম হোটেলে উঠেন। গত মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলা এই মিডফিল্ডার মার্চে ভারতের শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন।
আগামী ১০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে ভুটানের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে। তবে হামজা কোন ম্যাচে মাঠে নামবেন, সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছেন, দেশের মাঠে খেলার আগে হামজাকে কিছুটা ম্যাচ অভিজ্ঞতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে তিনি এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাননি, হামজাকে ভুটান ম্যাচে খেলানো হবে কি না।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং—চার দলেরই পয়েন্ট সমান ১। ফলে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পেলে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে উঠে যাওয়ার সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের সামনে। এ লক্ষ্যেই চলছে দলের প্রস্তুতি।
এই ম্যাচকে ঘিরে জাতীয় দলের অনুশীলন চলছে জোরেশোরে। ইতোমধ্যে দুই দিন অনুশীলন সম্পন্ন করেছে জামাল ভূঁইয়াদের দল। রোববার তারা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের অনুশীলন করেন। সোমবারও তৃতীয় দিনের প্রস্তুতি হবে একই ভেন্যুতে। সতীর্থদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার জন্য হাতে রয়েছে অল্প সময়, তবে তা যথেষ্ট বলেই মনে করছেন কোচ।
দলের সঙ্গে ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন আরেক প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম, যিনি গত বুধবার ইতালি থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। কানাডাপ্রবাসী সামিত সোমের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে আসছে বুধবার। ২৬ জনের প্রাথমিক দলে এই দুই বিদেশফেরত ফুটবলারের পাশাপাশি এখন নজর হামজার দিকেও। তার অভিজ্ঞতা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের ছোঁয়া জাতীয় দলের মধ্যমাঠে ভরসা হয়ে উঠতে পারে বলেই বিশ্বাস করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খেলাধুলা
বিসিবির নতুন সভাপতি হলেন আমিনুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দীর্ঘদিন আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্টে কাজ করা আমিনুল এবার হাল ধরেছেন দেশের ক্রিকেটের।
শুক্রবার (৩০ মে) প্রজ্ঞাপন জারি করে আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
এদিন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকদের সভায় পরিচালকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর সরকারের বিভিন্ন মহলে পরিবর্তন ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদকে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বিসিবির পরিচালক হয়ে পরিচালকদের প্রতক্ষ ভোটে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ।
কিন্তু ৯ মাসের মাথায় পরিচালকদের অনাস্থার কারণে ২৯ মে ফারুক আহমেদের পরিচালক পদ প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আর তাই তিনি বিসিবির সভাপতি হিসেবে থাকার যোগ্যতা হারালেন। তার পরিবর্তে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
কাফি
খেলাধুলা
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড

শারজাহতে ম্যাচে আরব আমিরাত টিকে ছিল অনেকটা সময় পর্যন্ত। তবে মুস্তাফিজুর বারবারই ম্যাচটা টেনে এনেছিলেন বাংলাদেশের দিকে। দুই ডেথ ওভারে করেছেন মোট সাতটি ডট বল। উইকেট ছিল ১টি। তবে মূল কাজের কাজ করে দিয়েছে ডট বলগুলোই।
টি-টোয়েন্টিতে মুস্তাফিজুর রহমানের ইতিহাসটাও হয়েছে ওই ৭ ডট বলের কল্যাণে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে ডেথ ওভারে ৩০০ ডট বল দিয়েছেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। আগে থেকেই এই তালিকায় মুস্তাফিজ ছিলেন সবার ওপরে। গতকাল সেটাকে নিয়ে গেলেন অন্য মাত্রায়।
শনিবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই কৃতিত্বে নাম লেখান মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই পেসার যেদিন ডেথ ওভারে ৩০০ ডটবল দিয়েছেন, তখন পর্যন্ত আর কোনো বোলারের ২৫০ ডট বলের রেকর্ডও নেই। দুইয়ে থাকা ক্রিস জর্ডানের ডট বল ২৪১টি।
ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বল
৩০০ – মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
২৪১ – ক্রিস জর্ডান (ইংল্যান্ড)
২৪০ – টিম সাউদি (নিউ জিল্যান্ড)
২২২ – হারিস রউফ (পাকিস্তান)
২০৮ – জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)
তালিকার এই ৫ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে কম রানের তালিকায় মুস্তাফিজ আছেন তিনে। সেদিন বিবেচনায় জাসপ্রিত বুমরাহ আর হারিস রউফ আছেন শীর্ষে। ৮৭ ইনিংসে ৭২৫ বল করে মুস্তাফিজ ডেথ ওভারে দিয়েছেন ৯৯০ রান। বুমরাহ ৫৬৩ রান খরচা করেছেন ৪৯৫ বলে। আর হারিস রউফ ৭৮২ রান দিয়েছেন ৫৮৬ বল করে।
তালিকায় উইকেটের দিক থেকে ফিজের আগে আছেন অবশ্য কেবলই টিম সাউদি। ১০০ ইনিংসে ডেথ ওভারে সাউদির উইকেট ৬৫টি। ১৩ ইনিংস কম বোলিং করে মুস্তাফিজের উইকেট ৬৩।
আবার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বাদ দিলেও ডট বলের পরিসংখ্যান যথেষ্ট দারুণ মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য। সবধরণের টি-টোয়েন্টি মিলে ডেথ ওভারে ৮১৬ ডটবল তার। এই হিসেবে মুস্তাফিজের অবস্থান তিনে।
সবরকমের টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় ডেথ ওভারে ১ হাজার ১৬৪ ডট বল আছে ডোয়াইন ব্রাভোর। দুইয়ে আছেন ৮৯৩ ডট বল দেয়া ক্রিস জর্ডান। তিনে আছেন মুস্তাফিজ। এই তালিকায় আর কারোরই ৮০০ ডট বল দেয়ার কৃতিত্ব নেই।
খেলাধুলা
মায়ামির জয়রথে মেসি-সুয়ারেজের সোনালি ছোঁয়া

অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটল। লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সমন্বয়ে ইন্টার মায়ামি ফিরল জয়ের ধারায়। শনিবার নিউইয়র্ক রেড বুলসকে ৪-১ গোলে পরাজিত করে টানা তিন ম্যাচের জয়-খরা কাটাল ডেভিড বেকহামের দল। একইসাথে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায়ের হতাশাও খানিকটা ঝেড়ে ফেলল তারা।
ম্যাচ শুরু থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল—মায়ামি এদিন জয় ছাড়া কিছু ভাবেনি। চতুর্থ মিনিটেই লুইস সুয়ারেজের পাস থেকে ফাফা পিকল্ট নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ম্যাচের প্রথম গোল করেন। এরপর গোলের ধারা অব্যাহত থাকে। ৩০তম মিনিটে রাইট-ব্যাক মার্সেলো ওয়েইগান্ট ব্যবধান বাড়ান, কিছুক্ষণ পর নিজেই এক গোল করেন সুয়ারেজ—স্কোরলাইন হয় ৩-০।
প্রথমার্ধের শেষদিকে নিউইয়র্ক কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক স্ট্রাইকার এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং একটি গোল পরিশোধ করেন। তবে সেটিই ছিল তাদের একমাত্র সান্ত্বনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন মেসি। টানা চার ম্যাচে গোলহীন থাকার পর ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক একক প্রচেষ্টায় গোল করে স্কোরলাইন ৪-১ করেন, যা ম্যাচের চূড়ান্ত ফলাফল হয়ে দাঁড়ায়।
এ জয় মায়ামিকে উপহার দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত তিন পয়েন্ট। এখন ১০ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। ভ্যাঙ্কুভারের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এমন জয় দলকে নতুন উদ্দীপনা দেবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
পুরো ম্যাচজুড়েই মায়ামির খেলায় ছিল গতি, ধার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—স্পষ্ট লক্ষ্য। মেসি ও সুয়ারেজ আবারও প্রমাণ করলেন, প্রয়োজনের সময় তারা এখনও দলের মূল চালিকাশক্তি।