জাতীয়
বন্যার্তদের জন্য ১১০০ টন চাল ও নগদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ

বন্যার্ত মানুষদের জন্য ১ হাজার একশ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫০ লাখ টাকা এবং ১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বরাদ্দকৃত চাল সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে। সিলেটে সাংবাদিকদের এমনটা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিবুর রহমান এমপি।
জানা গেছে, বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে পাঁচশ মেট্রিক টন করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের জন্য সমান হারে এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য একশ মেট্রিক টন। নগদ ৫০ লাখ টাকার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার জন্য ২০ লাখ টাকা করে এবং সিলেট সিটির জন্য ১০ লাখ টাকা।
১২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের মধ্যে ৫ হাজার প্যাকেট করে দুই জেলার জন্য এবং সিটির জন্য দুই হাজার প্যাকেট রয়েছে। এ ছাড়া দুই জেলার জন্য গবাদিপশুর খাবারের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা এবং শিশুদের খাদ্যের জন্যে ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে, সিটি করপোরেশনের জন্য শিশু ও গোখাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস বুলবুল জানান, সিলেট জেলার জন্য পাঁচশ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, গো-খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি।
আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় বরাদ্দ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বন্যার্ত মানুষের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত নগদ অর্থ, চাল, শুকনো খাবার, শিশু ও গো-খাদ্য পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, সিলেট সিটির জন্য ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ ও খাবার নগরের বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ শুরু হয়েছে।
কাফি

জাতীয়
আবারও আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত এবং প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার। সেই লক্ষ্যে কমিশন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আলোচনা করবে।
আলী রীয়াজ বলেন, আশা করা যায় যে, এই প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত দুই পর্বের আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে তাৎপর্য সংখ্যক সুপারিশ বা সংস্কার ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে।
প্রথম পর্বের সংলাপে ১৬৫টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬২টি রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জিত হয়েছে। যার কিছু কিছু সরকার এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করেছে (অধ্যাদেশ, নীতি ও নির্বাহী সিদ্ধান্তে মাধ্যমে)। দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ২০টি সাংবিধানিক ইস্যূতে আলোচনা হয়। সেখানে ১১টি বিষয়ে সবদলের সমর্থনে জাতীয় ঐকমত্য এবং বাকী ৯টি বিষয়ে অধিকাংশ দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, তাতে কোনো কোনো দলের ভিন্নমত উল্লেখ থাকবে। প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর বিরূপ মনোভাবের কারণ ২৫টি বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
জাতীয়
সাংবাদিক তুহিন হত্যার নেপথ্যের কারণ জানালো পুলিশ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার নেপথ্যে মোবাইলে ভিডিও ধারণের বিষয়টিকে দায়ী করেছে পুলিশ। তাদের দাবি চাঁদাবাজি নয়, বাদশা নামের এক ব্যক্তির ওপর হামলার ঘটনা ভিডিও ধারণ করায় খুন হন তুহিন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) মো. রবিউল ইসলাম এ দাবি করেন।
অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। ঘটনাস্থলে তুহিনকে মৃত অবস্থায় পাই। আমাদের তদন্তের প্রয়োজনে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে আমরা দেখতে পাই, একজন নারী রাস্তায় একজন পুরুষের সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। সে সময় একজন পুরুষ, একজন নারীকে আঘাত করেন।
আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীর পূর্ব পরিচিত ৪-৫ জন চাপাতিসহ এসে ওই পুরুষকে আঘাত করেন। একপর্যায়ে ওই পুরুষকে আর সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি। পারে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই পুরুষ জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে আছেন। তার নাম বাদশা মিয়া।
মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা তার মাধ্যমে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, ওই ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে এই ঘাতকরা তুহিনকে চার্জ করেন। তিনি এই ভিডিও কেন করেছে তা জানতে চান এবং এটা ডিলিট করার জন্য বলেন। এরপর তুহিন যখন ডিলিট করতে রাজি হননি, কিংবা ভিডিওর বিষয়টি অস্বীকার করেন, তখন ওই অবস্থাতেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তার মৃত্যু হয়।
মূলত একজন নারীকে কেন্দ্র করে প্রথমে একটি হামলার ঘটনা এবং পরে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের তদন্তে এর বাইরে অন্য কিছু উঠে আসেনি বলে যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকার মসজিদ মার্কেটের সামনে আসাদুজ্জামান তুহিন নামে এক সংবাদকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জাতীয়
এআইয়ের অপব্যবহার রোধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে: ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের অপব্যবহার রোধে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)। একই সঙ্গে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়ে প্রাথমিক কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এআইয়ের অপব্যবহারের ব্যাপারে আমরা কঠোরভাবে এখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। এখানে প্রবলেমটা হচ্ছে মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ম্যালইনফরমেশন। এগুলো প্রতিহত করার জন্য আমরা আচরণবিধিটি ইনক্লুড করেছি।
তিনি জানান, আচরণবিধিটা শুধু প্রার্থী এবং দলের জন্য। কিন্তু এআই ব্যবহার তো তাদের বাইরেও অনেকে করবে। শুধু তো রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীরা করবে না। দেশ থেকে করবে, দেশের বাইরে থেকে করবে।
এবিষয়টি দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো প্রতিহত করার জন্য আমরা একটা কমিটি ফর্ম করেছি। এরই মধ্যে তারা কাজ করছেন।
সানাউল্লাহ আরও বলেন, আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনোভাবে যেন আমরা ওই চেষ্টা করবো যতটুকু সম্ভব যে ব্যান্ডউইথ না কমিয়ে কোনো ধরনের সেবাকে আপনার বিঘ্ন না ঘটিয়ে যেন আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। একান্তই বাধ্য না হলে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিকভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো ইচ্ছা নেই যে কোনো সেবা বা কোনো প্ল্যাটফর্মকে লিমিট করার।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, ড্রোন এবং কোয়ার্ডকপ্টার এ ধরনের কোনো কিছু কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট বা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা যদি আসে তখন আমরা আলোচনা করবো। গণমাধ্যমও পারবে না।
নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা নিয়েও আমরা কাজ করছি। এটা নিয়ে অলরেডি আমরা তিন-চারটা মিটিং করেছি। একদিনের জন্য আউটসোর্স করে ভাড়ায়ও পাওয়া যায় না। আবার কেনাও যৌক্তিক নয়। ৪৫ হাজার কেন্দ্রে হিসাব করে দেখেন কতগুলো সিসি ক্যামেরা লাগবে। এটা কিনে আপনি রাখবেন কীভাবে এবং এটা জাস্টিফাই করবেন কীভাবে, অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে।
জাতীয়
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছর

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর আজ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট শপথ নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। মাঝের তিনদিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না।
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার জাতির সামনে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা শেষে জুলাই সনদের খসড়ার কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠাবো, যাতে নির্বাচন কমিশন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, পরবর্তী রমজানের আগেই, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করে।
পরদিন ৬ আগস্ট, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনে একটি চিঠি পাঠানো হয়, যেখানে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হওয়ার আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধ প্রক্রিয়াগতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে।
সরকার এরই মধ্যে একাধিক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচারব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক অধিকার সংস্কার কমিশন ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন তাদের সুপারিশমালা জমা দিয়েছে এবং সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে এ বছরের জুন মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমেছে, যা গত ৩৫ মাসে সর্বনিম্ন। তবে জুলাইয়ে তা বেড়ে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরকারের প্রতি গভীর আস্থার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, গত ১১ মাসে বৈদেশিক ঋণদাতাদের কাছে ৪ বিলিয়ন ডলার সুদ ও মূলধন পরিশোধ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর পরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে।
জাতীয়
বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

গাজীপুরে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ করার পর আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ওই সাংবাদিক।
নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তুহিন পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইভ করেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। এরপর রাত ৮টার দিকে নিজ ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন- ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। গাজীপুর চৌরাস্তা’।
রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এসময় হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ধরে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে লোকজনের সামনেই কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আসাদুজ্জামানের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। কী কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে তার জানার চেষ্টা চলছে।