অর্থনীতি
আরো স্বর্ণ কিনতে চায় ধনী দেশগুলো
রিজার্ভে মার্কিন ডলারের অংশ কমিয়ে উদীয়মান অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ব্যাপক পরিমাণে স্বর্ণ কিনতে শুরু করেছিল আগেই – এবার যা অনুসরণ করছে উন্নত অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এতে তাদের রিজার্ভে-ও স্বর্ণের অংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে আর্থিকখাতের এসব নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
স্বর্ণশিল্পের প্রমোশনকারী একটি বৈশ্বিক জোট ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) বার্ষিক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে অংশ নেওয়া বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রায় ৬০ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণা, বৈশ্বিকভাবে রিজার্ভ সম্পদের মধ্যে স্বর্ণের অংশ আগামী পাঁচ বছরে অনেকটা বাড়বে। গত বছরে এমন ধারণার কথা জানায় ধনী দেশগুলোর মাত্র ৩৮ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগামী বছরেই নিজেদের স্বর্ণ মজুদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ধনী দেশগুলোর ১৩ শতাংশ সেন্ট্রাল ব্যাংক। গতবছরে এ পরিকল্পনা ছিল মাত্র ৮ শতাংশের। তবে গোল্ড কাউন্সিলের জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে তখন পর্যন্ত সেটিই ছিল সর্বোচ্চ।
স্বর্ণ কেনায় এগিয়ে রয়েছে উদীয়মান বাজার অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংকসমূহ। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় থেকেই তারাই হলো স্বর্ণের মূল ক্রেতা।
তবে বৈশ্বিক রিজার্ভে সামষ্টিকভাবে মার্কিন ডলারের আধিপত্য যে কমবে, ৫৬ শতাংশ ধনী দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা অনুমান করছে। আগের বছর এমন ধারণার কথা জানিয়েছিল উন্নত অর্থনীতির ৪৬ শতাংশ সেন্ট্রাল ব্যাংক। অপরদিকে, এমন মতপ্রকাশ করে, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ৬৪ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম অনেকটাই চড়া হওয়া সত্ত্বেও চলতি বছরে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ সম্পদে বহুমুখী করার উদ্যোগ এই চাহিদাকে ব্যাপকভাবে চাঙ্গা রেখেছে। একইসঙ্গে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের মুদ্রা ডলারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও তাদের রিজার্ভে অন্যান্য মুদ্রা ও স্বর্ণের অংশ বাড়াচ্ছে। কমাচ্ছে ডলারের অংশ।
ডব্লিউজিসির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়ক প্রধান শাওকাই ফান বলেন, “এবছর আমরা আরো শক্তিশালী অভিসরণ লক্ষ করছি। উন্নত অর্থনীতিগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বলছে, বৈশ্বিক রিজার্ভে আরও বড় জায়গা দখল করবে স্বর্ণ, আর ডলারের ভাগ কমবে।”
তিনি বলেন, “শুধু যে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এই প্রবণতাকে চালিত করেছে তাই-ই নয়, বরং অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা অর্থনীতিগুলোও এতে যোগ দিচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ব্যবস্থাপকরা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের এই সমীক্ষায় মতামত দেন। এই কর্মকর্তারা সচরাচর রিজার্ভের বিষয়ে ততোটা প্রকাশ্য আলোচনা করেন না। সেদিক থেকে দেখলে, ডব্লিউজিসির জরিপটি তাদের চিন্তাধারার প্রতিফলনকেই তুলে ধরার বিরল কাজটি করে থাকে।
ডব্লিউজিসি পাঁচ বছর আগে প্রথম এই জরিপ শুরু করে। এরপর থেকে প্রতিবছরই তা করে আসছে। এবারের জরিপে উঠে এসেছে যে, রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী ১২ মাসে তাদের স্বর্ণ মজুত বাড়াতে চায়। জরিপে অংশ নেওয়া ২৯ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ ব্যবস্থাপক এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এবারে। তবে উদীয়মান অর্থনীতির ৪০ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ মজুত বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।
স্বর্ণ দীর্ঘমেয়াদে মূল্য ধরে রাখার মতো সম্পদ। বিশেষত সংকটকালে এটি কাজে লাগানো যায়। একইসঙ্গে রিজার্ভে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রেও নির্ভরযোগ্য উপায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের পরিকল্পনার ব্যাখ্যা হিসেবে এসব কারণের কথা জানিয়েছে।
ডব্লিউজিসি’র তথ্যমতে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে রিজার্ভে এক হাজার টন করে স্বর্ণ যোগ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মস্কোর সাথে বাণিজ্যে মার্কিন ডলারে লেনদেনে বিধিনিষেধ রয়েছে ওয়াশিংটনের। এবিষয়টি ভারত, চীনসহ যেসব দেশের রাশিয়ার সাথে বড় অংকের বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে– তাদেরকে স্বর্ণ কেনায় উৎসাহিত করেছে। কারণ স্বর্ণের বাজারমূল্য কোনো দেশের সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেধে দেয় না।
টানা দুই বছর ধরে রেকর্ড পরিমাণে স্বর্ণ ক্রয়ের ফলে– বহুমূল্য এই ধাতুর বৈশ্বিক বাজারমূল্য গত মাসেই প্রতি ট্রয় আউন্সে ২ হাজার ৪৫০ ডলারে পৌঁছায়। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতাও প্রভাবিত করছে স্বর্ণের বাজারদরকে। গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যা ৪২ শতাংশ বেড়েছিল গত মাস পর্যন্ত।
অন্যদিকে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে (ফরেক্স রিজার্ভে) স্বর্ণের অংশ গত বছর প্রায় ৫৫ শতাংশে নেমে আসে, যা ২০০০ সালে ছিল ৭০ শতাংশ। এটি ডলারের বিনিময় দর বাড়ার প্রভাবকে অনেকটাই লঘু করেছে বলে চলতি মাসে এক গবেষণার বরাত দিয়ে জানায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুতই মাঠে নামবে টাস্কফোর্স। রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, অনেকগুলো পণ্য ডিউটি ফ্রি করার পরেও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুতই মাঠে নামবে টাস্কফোর্স।
এর আগে, পাচার হওয়া টাকা বিদেশে নানাখাতে বিনিয়োগ নিয়ে এক স্ট্যাটাসে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিনি সিটি পর্যন্ত কিনে রেখেছে পতিত ফ্যাসিস্টরা। পাচার হওয়া অর্থের একটা বড় অংশই ইনভেস্ট হয়েছে সেখানে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আজ রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থার ওই চিঠি পৌঁছায়।
চিঠিতে বলা হয়, আপনাদের ব্যাংকে মুন্নী সাহা এবং তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনও আমানত, ঋণ, লকার, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, অফশোর ব্যাংকিং হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেনের তথ্য আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বিএফআইইউকে পাঠাতে হবে। এছাড়া হিসাব খোলার ফরম, টিপি, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, শুরু থেকে হালনাগাল লেনদেন বিবরণী ও অন্যান্য দলিলাদির তথ্য বিএফআইইউকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের মামলায় আসামিদের একজন মুন্নী সাহা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিএফআইইউ’র সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোন ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে মাহবুবুল আলম হানিফ, তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলমের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ২ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশে পাঁচ দিনে প্রবাসী আয় ৫০৯৬ কোটি টাকা
দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অক্টোবরের প্রথম পাঁচ দিনে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ৪২ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
রোববার (০৬ অক্টোবর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য অনুযায়ী, মাসের প্রথম পাঁচ দিনের প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে আট কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ডলার, যা আগের মাস সেপ্টেম্বর এবং আগের বছরের অক্টোবরের তুলনায় বেশি।
আগের মাস সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসে আট কোটি এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৬৬ ডলার। আর আগের বছরের অক্টোবরে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ছয় কোটি ৫৭ লাখ ১৪ হাজার ৩৩৩ ডলার।
সেই হিসাবে চলতি বছরের অক্টোবরে প্রবাসী আয়ের শুভ সূচনা হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মাসের প্রথম পাঁচ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসে ১০ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ডলার।
কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৫০ লাখ ২০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩০ কোটি ২ লাখ ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কাঁচা মরিচের কেজি ফের ৪০০ টাকা!
সপ্তাহজুড়ে টানা বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের দাম ফের বেড়েছে। বর্তমানে বাজারভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও বাজারে ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কেনা যেত। শুধু মরিচ নয়, বাজারে ডিম-মুরগিসহ অন্যান্য সবজিরও দাম বেড়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউনহল বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে বাজারে আমদানি করা ও দেশীয়—উভয় ধরনের কাঁচা মরিচই বিক্রি হচ্ছে। গরম, বন্যা বা অতিবৃষ্টির কারণে গত তিন-চার মাসে বাজারে বেশ কয়েকবার কাঁচা মরিচের দাম ওঠানামা করেছে। তবে বেশির ভাগ সময় ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে মরিচ বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহেও ১৮০-২২০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি হয়েছে। এরপর ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গতকাল বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ৫০০ টাকায় পৌঁছায়। যদিও আজ কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে; কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা দরে।
বাজারে অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে। বেশির ভাগ সবজি ৮০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বরবটি কেনা যেত ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে। আজ বাজারভেদে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকায়। বেগুনের দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা বেড়ে ১৬০-১৮০ টাকা হয়েছে। টমেটো, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, করলা, ঢ্যাঁড়স, লাউসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।
বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম এখনো চড়া। আজ বড় বাজারগুলোয় এক ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৭৫ টাকা দরে। পাড়া-মহল্লায় এই দাম ১৮০ টাকা বা তারও বেশি। সেই হিসাবে প্রতি পিছ ডিমের দাম হয় ১৫ টাকা। ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের দামও একই রকম।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামও দ্বিশতক ছুঁয়েছে। আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে। সাত দিন আগেও এ দাম ১০-২০ টাকা কম ছিল। সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৮০ টাকা দরে।
এমআই