সারাদেশ
নেত্রকোনায় ৫০ গ্রাম প্লাবিত

টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা ও কলমাকান্দা উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি, পোগলা, বড়খাপন, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ওই উপজেলার বড় নদী উব্দাখালীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই নদীর পানি কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৬ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার।
এছাড়া কলমাকান্দার মহাদেও, দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী, সদর ও বারহাট্টা উপজেলার কংস, মগড়া, খালিয়াজুরির ধনুসহ বিভিন্ন ছোট-বড় নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। পানি বাড়িঘরে ঢুকে যাওয়ায় সাতটি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার থেকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে ৩৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। একই সময়ে, অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও জারিয়াঝাঞ্জাইল স্টেশনে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৬১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি ও সুনামগঞ্জে ৫২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে জেলার ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়া ওই উপজেলার মহাদেও, বৈঠাখালী, মঙ্গলেশ্বরী ও গণেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি উঠেছে।
কৈলাটি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেনুয়া, চানকোনা, খলা, সাকুয়া, ইন্দ্রপুর, বিষমপুর, চারিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে। কয়েকটি বাড়ির উঠানে ও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠেছে। আর এক থেকে দেড় ফুট পানি বাড়লে প্রচুর বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট ডুবে যাবে।’
বারহাট্টার রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজু বলেন, অন্তত ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরাকোণা-ফকিরের বাজার সড়কের চরপাড়ায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ কেটে রাখায় অন্তত আরও দশটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, বন্যার পানিতে উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা এলাকায় সাতটি পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় বেলা ১১টার দিকে তাদের বিশরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সঙ্গে গৃহপালিত প্রাণীগুলোকেও নিরাপদে রাখা হয়েছে। জরুরি নাম্বার খোলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত রাখা আছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ জানান, বন্যা প্লাবিত এলাকায় সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রাখা হয়েছে।

সারাদেশ
ভেদরগঞ্জে দায়িত্ব নিলেন নতুন ইউএনও আবু আবদুল্লাহ খান

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেছেন মো. আবু আবদুল্লাহ খান।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজ তাহসিনা বেগম ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে নতুন ইউএনওকে বরণ করেন।
দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সুধীজনেরা নতুন ইউএনওকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
মো. আবু আবদুল্লাহ খান দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সারাদেশ
শরীয়তপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মাদবর কান্দি গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন— বাদল সরকারের ছেলে ইমাম ও একই এলাকার শাহ আলম বেপারীর ছেলে তাওহীদ হোসেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বাড়ির পাশে তিন শিশু খেলছিল। এক পর্যায়ে অসাবধানতাবশত তারা ডোবায় পড়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার কার্যক্রম চালালেও ইমাম ও তাওহীদকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে অপর এক শিশু প্রাণে রক্ষা পায়। হঠাৎ এ মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সারাদেশ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩২ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

চার মাস ১৭ দিন পর কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। ১৩টি লোহার দানবাক্স থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো থেকে টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জনের একটি দল।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এবার আমরা ৪ মাস ১৭ দিন পর দানবক্স খুলেছি। এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। প্রায় ৯ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ করেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি রুপার অলংকারও।
এরও আগে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়, আর গণনা শেষে তখন রেকর্ড ভেঙে এক অভাবনীয় অঙ্ক ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ করেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি রুপার অলংকারও।
এ ছাড়া, গত বছরের ১৭ আগস্ট ৩ মাস ২৭ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খুলে ২৮ বস্তা টাকার গণনা শেষে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ৩২টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ ঐতিহাসিক জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ ও পাগলা মসজিদের নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, ব্যাংকের ১০০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।
কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূরদূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।
এরই মধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এ ছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
সারাদেশ
খুলনায় ইজিবাইকে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ জনের

খুলনার ডুমুরিয়ায় ইজিবাইকে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ঝিলেরডাঙা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। গুরুতর আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চারজন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সারাদেশ
গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাজিল এলাকার একটি টিনসেড বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), তাদের সন্তান তিশা (১৭) ও আরাফাত (১৫), হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), তাদের সন্তান মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪) ও ইমাম উদ্দিন (১ মাস)। আসমা ও সালমা দুই বোন। তাদের মা তাহেরা খাতুনও (৬০) দগ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন দুই বোন আসমা ও সালমার পরিবার। সাথে তাদের মাও থাকেন। বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাস লাইনের পাইপ গেছে। সেখান থেকে গ্যাস লিক হয়ে বাসায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতে আগুন ধরে গেলে বাসাটি পুড়ে যায় এবং সবাই দগ্ধ হন।
খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯ জন রোগী এসেছেন। তাদের কার কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। তবে সবার অবস্থাই গুরুতর।