Connect with us

জাতীয়

দ্বিতীয় দিনে আরও কমে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া

Published

on

বাজার মূলধন

আজও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কমে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশুর চামড়া। গতকাল (ঈদের দিন) যে দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে, আজ সেই দামও পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। অন্যদিকে, চাহিদা না থাকায় ছাগলের চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।‌

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গতকাল ঈদের দিন রাজধানী ঢাকার মধ্যে দেওয়া কোরবানির পশুর চামড়া বেশি বেচাকেনা হয়েছে। তবে, আজ মূলত আড়তগুলোতে রাজধানীর বাইরে থেকেই বেশি চামড়া এসেছে।

পোস্তার আড়তদার মোখলেছুর রহমান রহমান বাদল বলেন, আজকে তুলনামূলকভাবে পশুর চামড়া কম এসেছে। ঢাকার বাইরের চামড়াগুলো আজকে লবণ ও লবণ ছাড়া দুইভাবে এসেছে। ‌আজকের দাম গতকালের চেয়ে একটু কম।

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল গরুর যে চামড়া সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি আজ ৫০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। যারা গতকাল চামড়া বিক্রি করতে পারেননি, সেগুলো আজ লবণ দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা। যারা লবণ দিয়ে আজ চামড়া নিয়ে এসেছেন, তাদের চামড়াও প্রায় অর্ধেকের একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লবণযুক্ত এক লাখ টাকা গরুর চামড়া দাম কমপক্ষে ১১০০-১২০০ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি সর্বোচ্চ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে।

পোস্তা ছাড়াও ঈদের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে চামড়া বেচাবিক্রি হচ্ছে। সায়েন্সল্যাব মোড়ে চামড়া বাজারে আকারভেদে ঈদের দিন‌ যে চামড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, আজ সেই চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়। যদিও মৌসুমি চামড়া ক্রেতারা বলছেন, তারা আগের দামেই চামড়া কিনছেন।

এদিকে, ছাগল ও ভেড়ার চামড়া বেশিরভাগ ক্রেতাই কিনতে চাইছেন না। কিনলেও‌ ১০ বা ২০ টাকায় কিনছেন‌ এসব চামড়া। একাধিক ছাগল ও ভেড়ার চামড়া রাস্তা, ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

পোস্তায় গরুর চামড়ার সঙ্গে ৩০টি‌ ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছেন হামিদুল আলম। তিনি জানান, গরুর চামড়া আসল দামে বিক্রি করতে পারলেও ছাগলের চামড়ার কোনো দাম বলে না।‌ এগুলো ফ্রি দিয়ে দিতে হবে, না হয় ফেলে দিতে হবে।‌

ছাগলের চামড়ার না‌ কেনা প্রসঙ্গে আড়তদার মোখলেসুর রহমান বাদল বলেন, ঈদের সময় ছাগলের চামড়া কিনে তা প্রক্রিয়া করার মতো ট্যানারিতে জায়গা নেই। এজন্য ট্যানারিতে ছাগল-ভেড়ার চামড়া নিতে চায় না। আমরা কয়েকজন ২০০ পিস চামড়া কিনেছি। এগুলো এখন গলার কাটা হয়েছে।

অন্যদিকে, বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার নির্ধারিত রেটের অর্ধেক দামও বলছেন না ক্রেতারা।

চামড়া নিয়ে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা। গতকাল ঈদের দিনের মতো আজও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কম দামে চামড়া বেচাবিক্রি হচ্ছে। এরপরও গতকালকের মতো আজও সরকারি কোনো সংস্থাকে ওই এলাকায় বিষয়টি মনিটরিং করতে দেখা যায়নি। অবশ্য, পুলিশ সদস্যরা পোস্তা এলাকায় চামড়া বহনকারী যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানা গেছে, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ ও তদারকিতে পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সচিবের নেতৃত্বে সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকি করতে থাকে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ ছাড়া বিভাগীয় কমিটি, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা কমিটি, সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য কমিটি ও জেলা কমিটি করা রয়েছে।

এসব কমিটি মূলত কাঁচা চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকির করে। সচিরের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি কাজ করে। এ ছাড়া, একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের বিভাগীয় কমিটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইআইটি অনুবিভাগের একজন উপসচিবের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ দায়িত্ব পালন করে। পাশাপাশি ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেল ও ২৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত জেলা কমিটি থাকলেও সরেজমিনে বাজার মনিটরিং কিংবা তাদের কোনো কার্যক্রম দেখেননি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া, চামড়ায় সিন্ডিকেট করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও আদৌতে বাজারে তদারকিতে তাদের পক্ষ থেকে কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

Published

on

বাজার মূলধন

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।

বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশগামীদের ৮০ শতাংশ সমস্যা ঢাকা থেকে সৃষ্টি আর ২০ শতাংশ গন্তব্য দেশে গিয়ে। দূতাবাসে লোকবল কম থাকলেও প্রবাসীদের ১০০ শতাংশ সমস্যা সমাধান করতে হয়।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।

রেমিট্যান্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এ ছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

Published

on

বাজার মূলধন

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শফিকুল আলম।

প্রায় নয় মাস দায়িত্ব পালনের পর নিজের ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে আজ তিনি তুলে ধরেছেন তার অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তি।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

শফিকুল আলমের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, একজন মুখপাত্র হিসেবে তার প্রকাশভঙ্গি প্রশংসনীয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

Published

on

বাজার মূলধন

ভারতে ওয়াকফ বিল পাস ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।

এসময় বক্তারা বলেন, গুজরাটের কসাই মোদী একের পর এক মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। তারা মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দিছে। তাদের জন্মস্থান থেকে উচ্ছেদ করছে। সর্বশেষ ওয়াকফ বিল পাস করে ভারতে মুসলমানদের অধিকার খর্ব করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে সমগ্র ভারতে মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। এক হিন্দুত্ববাদী সরকার আমাদের ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে। এর পরিণতি ভারতকে ভোগ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন,গাজাকে আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত আমাদের বিজয় গাজাতেই হবে। ইসরায়েল তাদের পাপের ফল ভোগ করবে। আমরা আরব বিশ্বকে বলবো, আপনারা মাঠে নামুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইহুদিদের মোকাবিলা করুন। বিশ্ব মুসলমান একত্র হলে ইহুদিসহ মুসলমানদের শত্রুরা নিশ্চয় পরাজিত হবে।

এসময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিগত ৬ সপ্তাহ ফিলিস্তিনে কোনো সহায়তাও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোঁড়া। পৃথিবীতে সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসরায়েলকে থামাতে হবে। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের কোনো দোকানে ইসরায়েলের পণ্য চলতে পারে না।

তিনি বলেন, মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়াই ভাততের এজেন্ডা। তাই বিতর্কিত ওয়াকফ বিল ভারতে আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা হয়তো দেখে যেতে পারবো না তবে ভারত একসময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

Published

on

বাজার মূলধন

কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা দূতাবাসকে সামলাতে হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েই কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। একইসঙ্গে মিশনগুলোর ওপর চাপ কমবে।

রেমিটেন্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিটেন্স পাঠান।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর

Published

on

বাজার মূলধন

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভবত এখন সময় এসেছে।

আজ, ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন কথা বলেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমরা এমন একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম, বাংলাদেশ কি এখন পাকিস্তানপন্থি পররাষ্ট্রনীতির দিকে ঝুঁকছে? প্রশ্নটি মোটেই আমাদের বিস্মিত করেনি। সব সময় কিছু মানুষ থাকবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে বিশ্বাস করতে চায় না।

তিনি বলেন, আমাদের জবাব ছিল স্পষ্ট। অতীতে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর ও প্রো-বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বেসামরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেই মনে করেন যে, ক্ষমাপ্রার্থনা একটি সদিচ্ছা ও সৌজন্যের প্রতিফলন হতো। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সামরিক আমলাতন্ত্র বরাবরই এ ধারণার বিপক্ষে থেকেছে, ফলে আজও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া হয়নি।

ডেপুটি সেক্রেটারি আরও লেখেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। যেটি পূর্ববর্তী সরকারগুলো এড়িয়ে চলেছিল এবং আলোচনার পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। একটি হিসাবে, ১৯৭৪ সালের হিসাবে বাংলাদেশের দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল অন্তত ৪.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই হিসাব তৈরি হয়েছিল অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি এবং বৈদেশিক সম্পদের ধারণার ভিত্তিতে।

এছাড়া ১৯৭০ সালের নভেম্বরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বিদেশি দেশ/সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত দাবি রয়েছে বাংলাদেশের। এই অর্থ যুদ্ধের সময় ঢাকা থেকে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের লাহোর শাখায় স্থানান্তর করা হয়।

‘আটকে পড়া পাকিস্তানিদের’ প্রত্যাবাসনও দুই দেশের সম্পর্কের অন্যতম একটি অন্তরায়। অতীতে পাকিস্তান প্রায় ১,২৫,০০০ নাগরিককে ফেরত নিয়েছে, কিন্তু এখনো প্রায় ৩,২৫,০০০ মানুষ বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে বসবাস করছেন।

এ বিষয়গুলোই মূলত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্ভবত এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার। একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার12 minutes ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার34 minutes ago

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার19 hours ago

শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি ফাইন্যান্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার19 hours ago

সেনা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার19 hours ago

আইডিএলসির ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার23 hours ago

সরকার পুঁজিবাজারের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছে বলে...

বাজার মূলধন বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্লকে ১৭ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২১ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে।...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০  
বাজার মূলধন
জাতীয়6 minutes ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার12 minutes ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার34 minutes ago

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

বাজার মূলধন
জাতীয়47 minutes ago

নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

বাজার মূলধন
ধর্ম ও জীবন59 minutes ago

পরিবারের একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে করণীয়

বাজার মূলধন
রাজনীতি1 hour ago

সংস্কার-হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয়: জামায়াত সেক্রেটারি

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাজার মূলধন
লাইফস্টাইল1 hour ago

দ্রুত হাঁটলে কমবে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ঝুঁকি

বাজার মূলধন
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত

বাজার মূলধন
জাতীয়6 minutes ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার12 minutes ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার34 minutes ago

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

বাজার মূলধন
জাতীয়47 minutes ago

নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

বাজার মূলধন
ধর্ম ও জীবন59 minutes ago

পরিবারের একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে করণীয়

বাজার মূলধন
রাজনীতি1 hour ago

সংস্কার-হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয়: জামায়াত সেক্রেটারি

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাজার মূলধন
লাইফস্টাইল1 hour ago

দ্রুত হাঁটলে কমবে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ঝুঁকি

বাজার মূলধন
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত

বাজার মূলধন
জাতীয়6 minutes ago

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার12 minutes ago

সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার34 minutes ago

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

বাজার মূলধন
জাতীয়47 minutes ago

নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

বাজার মূলধন
ধর্ম ও জীবন59 minutes ago

পরিবারের একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে করণীয়

বাজার মূলধন
রাজনীতি1 hour ago

সংস্কার-হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয়: জামায়াত সেক্রেটারি

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

বাজার মূলধন
জাতীয়1 hour ago

প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাজার মূলধন
লাইফস্টাইল1 hour ago

দ্রুত হাঁটলে কমবে অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ঝুঁকি

বাজার মূলধন
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত