জাতীয়
ঈদের ছুটি শেষে নতুন সূচিতে অফিস খুলছে বুধবার

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে বুধবার (১৯ জুন) খুলছে সরকারি অফিস। গত শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে শুরু হওয়া ছুটি শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন)। একই সঙ্গে বুধবার থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি অফিস।
সোমবার (১৭ জুন) সারাদেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয়েছে।
ঈদের আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ছিল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস। ঈদ ঘিরে গত ১৪ জুন থেকে শুরু হয়েছিল টানা পাঁচদিনের ছুটি।
ঈদ উপলক্ষ ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সরকারি ছুটি ছিল। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। সেজন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ছুটি কাটাচ্ছেন।
ছুটিতে যারা দূর-দূরান্তে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে গিয়েছেন তারা অনেকেই মঙ্গলবারের মধ্যেই কর্মস্থলে ফিরবেন। বুধবার থেকে শুরু করবেন অফিস। ঈদের পরে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়সহ সরকারি অফিসগুলোতে ঈদের আমেজ থাকে। উপস্থিতিও থাকে কিছুটা কম। তাই ধারণা করা হচ্ছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার অনেকটাই ঢিলেঢালা থাকবে সচিবালয়। আগামী রোববার থেকে পুরোদমে শুরু হবে অফিস।
অন্যদিকে, ঈদুল আজহার ছুটির পর বুধবার থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি অফিস। ওইদিন থেকে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত ৩ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন অফিস সূচি নির্ধারণ করা হয়। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবস থেকেই নতুন অফিস সূচি কার্যকর হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
ওইদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি থাকবে।
আগে সরকারি চাকরিজীবীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করতেন। জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট থেকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের সময়সূচি বদলে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী দুই মাসের বেশি সময় সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস চলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
দুই মাসেরও বেশি সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা সূচিতে অফিস চলার পর ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছিল। যে সময়সূচি ঈদের আগে পর্যন্ত বহাল ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশ কারো সঙ্গে করিডোর নিয়ে আলোচনা করেনি: নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বাংলাদেশ কোনো দেশ বা সংস্থার সঙ্গে করিডোর নিয়ে কখনো কোনো আলোচনা করেনি আর করবেও না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমনটি বলেন। মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে মানবিক করিডোর ইস্যু নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
খলিলুর রহমান বলেন, দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে দিতে চাই, করিডোর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কারো কোনো কথা হয়নি। কারো সঙ্গে কোনো কথা হবেও না।
তিনি বলেন, করিডোর ব্যবস্থাটি বুঝতে হবে। করিডোর হচ্ছে একটা জরুরি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা। আমরা এখানে কাউকে সরাচ্ছি না।
আরাকানের যে অবস্থা, তাতে করিডোরের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো করিডোর সৃষ্টি করে সেখানে কোনো ধরনের লোকজনের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার এখন কোনো প্রয়োজন নেই। যে প্রয়োজনীয়তা আছে, তা হলো ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা শোধ না করলে জেল: শ্রম উপদেষ্টা

আগামী ২৮ মের মধ্যে টিএনজেড লিমিটেড ও মাহমুদ গ্রুপসহ যে সব মালিকের কাছে শ্রমিকদের টাকা পাওনা আছে তা পরিশোধ করতে হবে। সেটি না করলে মালিককে আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, হয় পাওনা শোধ করতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে নৌ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ নৌ চলাচল, শৃঙ্খলা, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেটি না করলে যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তারা গ্রেপ্তার হবেন। যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, না হলে জেলে যেতে হবে। বেতন পরিশোধ না করলে দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না মালিকরা।
শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় ৫ জন মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও অনেকের বিরুদ্ধে হবে। কোনো মালিককে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, নৌ সেক্টরে প্রচুর লোক যাতায়াত করে দক্ষিণবঙ্গে। গতবার রেল, বাস, নৌ সব পথ নিয়ে সবাই খুশি। এবারও তেমন হবে। রোজার ঈদে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, এই ঈদেও তেমনই থাকছে।
উপদেষ্টা বলেন, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড থাকবে নিরাপত্তার জন্য। জুনের ৫ তারিখ থেকে প্রত্যেক লঞ্চে চারজন করে অস্ত্রধারী আনসার থাকবে। ঈদের ৩ দিন আগ থেকে পরের ৭দিন বাল্কহেড চলবে না। রাতে স্পিডবোট চলবে না।
রৌমারী থেকে চিলমারী রুটে ২টি ফেরি চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আপাতত ট্রায়াল চলছে। কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে। এটা জামালপুরকে কানেক্ট করবে। দূরত্ব প্রায় ১০০ কি.মি. পথ কমবে। ড্রেজিং করে এই নৌ রুট চালু করা হয়েছে।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বড় লঞ্চগুলোকে পাল্লা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। বুড়িগঙ্গা থেকে লঞ্চ বের হওয়া ও প্রবেশের সময় গতি কম রাখতে হবে, যেন ঢেউ সৃষ্টি হয়ে নৌকা বিপদে না পড়ে। ওভারলোড করা যাবে না। যাত্রীদের ছাদে উঠানো যাবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এনবিআর চেয়ারম্যান অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে অসহযোগের ডাক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণসহ ৪ দফা দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুরু থেকেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে আমাদের এই নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির ব্যাপকতা ও যৌক্তিকতার বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঠিক তথ্য প্রদান না করে বরং প্রকৃত তথ্য আড়াল করেছেন। যা পরিস্থিতিকে আজকের অবস্থানে উপনীত করেছে।
এ অবস্থায় আমাদের বর্তমান দাবিগুলো হচ্ছে— জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থাগুলো, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিগুলোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। পাশাপাশি এনবিআর এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে এদিন। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এ অসহযোগ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এ ছাড়া আগামী ২৪ মে এবং ২৫ মে কাস্টমস হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলো ব্যতীত ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে।
এ দুইদিন কাস্টমস হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে, রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। এরপর আগামী ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যারা আজ টিকিট ক্রয় করবেন তারা আগামী ৩১ মে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বুধবার (২১ মে) সকাল ৮টায় অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ জুনের টিকিট ২২ মে, ২ জুনের টিকিট ২৩ মে, ৩ জুনের টিকিট ২৪ মে, ৪ জুনের টিকিট ২৫ মে, ৫ জুনের টিকিট ২৬ মে, ৬ জুনের টিকিট ২৭ মে পাওয়া যাবে।
ঈদপরবর্তী ফিরতি যাত্রার ৯ জুনের অগ্রিম টিকিট ৩০ মে পাওয়া যাবে। এছাড়া ১০ জুনের টিকিট ৩১ মে, ১১ জুনের টিকিট ১ জুন, ১২ জুনের টিকিট ২ জুন, ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন এবং ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট ৫ জুন পাওয়া যাবে।
যাত্রীদের টিকিট ক্রয়ের সুবিধায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। ঈদযাত্রার সব টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থা বাড়ছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থা বাড়ছে। সম্প্রতি বিডা সামিটে নরওয়ের কিছু কোম্পানিসহ বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলো আমাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে এসেছে। তারা বাধ্যবাধকতা থেকে আসেনি, বরং এখানে কী করা সম্ভব—তার কৌতূহল এবং বিশ্বাস থেকে এসেছিল।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি স্টাইন রেনেট হাহেমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারি।
সাক্ষাৎকালে হাহেম দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে নরওয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আপনি নরওয়ের একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই আপনার প্রশংসা করে কথা বলেন। আপনারা দীর্ঘদিনের বন্ধু।’
প্রফেসর ইউনূস দুই দেশের মধ্যকার গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সংকটময় মুহূর্তে নরওয়ে সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় আপনাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
হাহেইম বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি নরওয়ের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়নের প্রতি আমাদের সমর্থন জানাতে। আপনাদের কাঁধে দায়িত্ব অপরিসীম, বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি।’
প্রফেসর ইউনূস সাম্প্রতিককালে দেশের মানুষ যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আমাদের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আগের সরকারের আমলে বছরে আনুমানিক ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। ঋণগুলোকে উপহারের মতো ব্যবহার করা হতো এবং আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে অপরিশোধিত বিলের এক বিশাল স্তূপ পেয়েছি।’
প্রফেসর ইউনূস মানবিক বিবেচনায় বিশেষ করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে নরওয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এরা সত্যিকারের আকাঙ্ক্ষার মানুষ। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের তরুণদের আশার আলো দেখাতে হবে। তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু হিসেবে এসেছিল, ৭ বা ১০ বছর বয়সী এবং এখন তারা কিশোর। তারা ক্যাম্পে বড় হয়েছে। প্রতিদিন কোনও নিশ্চয়তা ছাড়াই ভবিষ্যতের জন্য আরও শিশু জন্মগ্রহণ করছে। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, কিন্তু তারা আটকে আছে। তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না আমাদের।’
হাহেম মানবিক চ্যালেঞ্জের মাত্রা স্বীকার করেন এবং নরওয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে আমরা তার গভীরভাবে প্রশংসা করি। আমরা উন্নয়ন সহায়তার বাইরেও আমাদের সম্পর্ককে বৃহত্তর ও গতিশীল অংশীদারত্বের দিকে প্রসারিত করতে চাই।’
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কাফি