লাইফস্টাইল
যেসব খাবার খাবেন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে
![যেসব খাবার খাবেন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/food-4.jpg)
মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। ফলে এসময় মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায়। যখন এটি গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করে, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম বলে। নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন- অ্যালঝেইমার ডিজিজ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি।
গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়ী। স্মৃতিভ্রম রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে। তাই আপনি যদি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চান, তবে খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। বিশেষ করে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। অল্পবয়সীরাও মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খেতে পারেন এসব খাবার। জেনে নিন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ডায়েট-
পালং শাক মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন-ই থাকে। বাদামেও ভিটামিন-ই থাকায় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন- কাঠবাদাম ও আখরোট ভিটামিন-ই এর ভাল উৎস।
সামুদ্রিক মাছ বা যে কোনো তৈলাক্ত মাছে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ডিমের হলুদ অংশ কোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় উপাদানে ভরপুর। যা কোষে সংকেত পৌঁছাতে সাহায্য করে। আর ‘শর্ট-টার্ম’ মেমোরির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
টমেটোতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা মস্তিষ্কের কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এক মুঠো কুমড়ার বীজ জিংক স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কুমড়ার বীজ থেকে ভিটামিন-বি ও ট্রিপ্টোফেন মেলে।
ব্রকোলি ভিটামিন-কে তে ভরপুর। এটি গ্লুকোসিনোলেটসের ভাল উৎস। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করে এবং স্মৃতি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
চকলেটে প্রায় ৮০ শতাংশ কোকো থাকায় এটা ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে। মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কফিতে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ক্যাফেইনের মনোযোগ বৃদ্ধি, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
গ্রিন-টি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই উপাদানটির উপস্থিতি উদ্বেগ, অতিরিক্ত চিন্তা, ভয় কমাতেও সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
লাইফস্টাইল
খালি পেটে জিরা খাওয়ার উপকারিতা
![খালি পেটে জিরা খাওয়ার উপকারিতা সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Cumin-jira-zira-1.jpg)
আপনি কি প্রতিদিন সকালে উঠে পেট ফাঁপা অনুভব করেন? এরকম দুই-একদিন হলে চিন্তার কিছু নেই, তবে নিয়মিত চলতে থাকলে মুশকিল। তখন আপনার নিরাময় খোঁজার প্রয়োজন হবে। আপনি যদি এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সকালে খালি পেটে জিরা খেলে তা উপকার করতে পারে। এখানেই শেষ নয়, খালি পেটে জিরা খাওয়ার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পাচনতন্ত্রকে সাহায্য করে
সকালে ঘুম থেকে উঠলে পেটের সমস্যা দূর করতে জিরা ব্যবহার করুন। জিরা হজম ব্যবস্থার জন্য ক্ষুদ্র পরাশক্তি। এটি খালি পেটে খেলে তা পরিপাকতন্ত্রকে কাজ শুরু করতে এবং সারাদিনে আরও কার্যকরভাবে খাবার ভাঙতে সহায়তা করে। যে কারণে অস্বস্তিকর পেট ফাঁপা বা ধীর হজমের মতো সমস্যা হবে না।
অ্যাসিড আক্রমণ দূরে রাখে
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা আর সকালটাকে নষ্ট করতে পারে। তবে এই সমস্যা আর নয়! জিরা প্রাকৃতিক অম্লতা নিয়ন্ত্রক। এটি খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটির অস্বস্তিকর অনুভূতিকে বিদায় জানাতে পারবেন। এই সহজ মসলা কোনো ধরনের অস্বস্তি ছাড়াই আপনার সকালকে সুন্দর করে তুলবে।
ডিটক্সিফিকেশন
আপনার শরীরকে পরিষ্কার করা এবং সতেজতা ফিরিয়ে আনার জন্য খালি পেটে জিরা খেতে পারেন। ডিটক্সিংয়ের জন্য আপনার সেরা বন্ধু হলো এই উপকারী মসলা। জিরা খালি পেটে খেলে তা টক্সিন নির্মূল করতে সাহায্য করে, যার ফলে আপনি সতেজ অনুভব করেন এবং দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরা খেয়ে আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা বাড়ান! এই ক্ষুদ্র মসলা ইমিউন-বুস্টিং বৈশিষ্ট্যে ভরপুর যা আপনার শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। খালি পেটে জিরা দিয়ে আপনার দিন শুরু করার মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারবেন। ফলে সুস্থ থাকার পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বুকে ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙা কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?
![বুকে ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙা কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো? সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/pain.jpg)
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। বিষয়টি অনেকেই অবহেলা করেন, কারণ পরবর্তী সময়ে হয়তো ব্যথা কমেও যায়। তবে দীর্ঘদিন একই সমস্যায় ভুগলে তা উপেক্ষা করবেন না। কারণ বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বুকে ব্যথা নিয়ে জেগে ওঠা মানসিক চাপ বা বদহজমের কারণেও হতে পারে। আবার হার্ট অ্যাটাক বা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো গুরুতর সমস্যার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এ কারণে বুকে ব্যথা সবসময় গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।
যদি ব্যথা কয়েক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে থাকে, তাহলে সর্বোত্তম পদক্ষেপ নিতে হবে। জেনে নিন বুকে ব্যথার সম্ভাব্য যত কারণ-
বুকে ব্যথার হার্ট সম্পর্কিত কারণ
যখন আপনার হার্টের পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহকারী একটি ধমনী অবরুদ্ধ হয়, তখন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়। এই ব্লক প্রায়ই রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হয়।
আবার এনজাইনার কারণেও বুকে ব্যথা হয়। যা হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হয়। এটি প্রায়শই হৃদয়ে রক্ত বহনকারী ধমনীতে প্লাক তৈরির কারণে ঘটে।
আবার পেরিকার্ডাইটিসের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। আপনার হৃদপিণ্ডের চারপাশে থাকা থলিতে প্রদাহকে পেরিকার্ডাইটিস বলা হয়। এটি সাধারণত ব্যথা সৃষ্টি করে, যা শ্বাস নেওয়া বা শুয়ে থাকার সময় বেড়ে যায়।
যদি আপনার হৃদপিণ্ডের পেশি (মায়োকার্ডিয়াম) স্ফীত হয়, তবে এটি দ্রুত বা অস্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের ছন্দ সৃষ্টি করতে পারে যাকে অ্যারিথমিয়াস বলা হয়। এক্ষেত্রেও বুকে ব্যথা হয়।
অর্টিক ডিসেকশন বা ফেটে যাওয়া, এই জীবন-হুমকির অবস্থা তখনই ঘটে, যখন মহাধমনীর ভেতরের স্তরগুলো হৃৎপিণ্ডের প্রধান ধমনী থেকে আলাদা হয়ে যায়।
বুকে ব্যথার হজম সংক্রান্ত কারণ
অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) বুকে ব্যথার আরও এক উপসর্গ। পেটের অ্যাসিড গলাকে সংযোগকারী টিউবের মধ্যে ফিরে যাওয়ার কারণে অম্বল হয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
আবার ডিসফ্যাগিয়া সাধারণত গলার উপরের অংশে বা খাদ্যনালির আরও নীচে থাকে। যা খাবার গিলতে কষ্টকর করে তোলে। এই সমস্যার কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিসের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। পেটের পেছনে অবস্থিত একটি বৃহৎ গ্রন্থি এটি। যখন এই গ্রন্থি ফুলে ওঠে তখন উপরের পেটে ব্যথা হতে পারে যা বুকেও ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া পিত্তথলির পাথর বা যে কোনো প্রদাহের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
বুকে ব্যথার শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত কারণ
যখন ফুসফুসের একটি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে ও ফুসফুসের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়, তখন একে পালমোনারি এমবোলিজম বলা হয়। এটি সাধারণত বুকে টানটান ভাব ও ব্যথা সৃষ্টি করে। যা হার্ট অ্যাটাকের মতো অনুভূত হয়।
এছাড়া ফুসফুসের চারপাশে থাকা ঝিল্লি ও বুকের গহ্বরের ভিতরের প্রাচীর ফুলে ওঠে তখন বুকে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। কাশি বা শ্বাস নেওয়ার সময় এমন ব্যথা বেড়ে যায়।
পালমোনারি হাইপারটেনশনের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে হার্টবিট বেড়ে যায় ও বুকে একটি আঁটসাঁট অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যানসারের কারণে ফুসফুসে অস্বাভাবিক কোষ বেড়ে যায়। যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত বুকে ব্যথার সৃষ্টি করে, যা গভীর শ্বাস বা কাশির সঙ্গে বেড়ে যায়।
বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ
যখন পাঁজরের খাঁচার তরুণাস্থি ফুলে ওঠে তখন একে কস্টোকন্ড্রাইটিস বলে। এই অবস্থার কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো ব্যথা হতে পারে বুকে।
এছাড়া প্যানিক অ্যাটাকের সম্মুখীন হলেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এর সঙ্গে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও প্রচুর ঘাম হয়। প্যানিক অ্যাটাকের মধ্যে প্রায়ই মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও তীব্র ভয়ের অনুভূতি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
বুকে আঘাত লাগার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রেও আপনি ঘুম থেকে ওঠার সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এমনকি পারিবারিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্রে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, অনেক সময় স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে সকালের দিকে। এ কারণে মাঝে মধ্যে ব্যথা হতে পারে বুকে।
তবে স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই বুকে ব্যথাকে কখনো অগ্রাহ্য করবেন না। এতে ঘটতে পারে নানা বিপদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন
![গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/watermelon.jpg)
গরমে ঠান্ডা কিছু খেয়ে শরীর ও মন সতেজ রাখতে চাই আমরা সবাই। কিন্তু সব ঠান্ডা খাবারই কি উপকারী? সাধারণত আমরা যেসব কোমল পানীয়, আইসক্রিম কিংবা জুস কিনে খাই, তার সবই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে খেতে হবে এমন খাবার যা উপকারী এবং আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই গরমে সতেজ থাকতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
তরমুজ
গরমের সময়ের রসালো ও সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি হলো তরমুজ। এটি এই গরমে খেলে নানাভাবে মিলবে উপকার। বিশেষ করে গরমে পানিশূন্যতা রোধে কাজ করে তরমুজ। কারণ এই ফলের প্রায় নব্বই শতাংশই পানি। যে কারণে তরমুজ খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয় সহজেই। এসময় তরমুজের জুস, তরমুজের শরবত, তরমুজের সালাদ এমনকী তরমুজের স্মুদি কিংবা আইসক্রিমও তৈরি করে খেতে পারেন। এতে সুস্থ ও সতেজ থাকা সহজ হবে।
বেলের শরবত
গরমে আরেকটি উপকারী প্রাণ ঠান্ডা করা পানীয় হলো বেলের শরবত। এই শরবত আমাদের পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। বেলে থাকে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার। গরমের সময়ে শরীর সতেজ রাখতে দারুণ কাজ করে বেলের শরবত। তাই গরম থেকে বাঁচতে এই শরবত বাড়িতে তৈরি করে খান।
দই
দই এমন একটি খাবার যা সারা বছরই উপকারী হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে গরমে এর থেকে ভালো খাবার খুব কমই আছে। দই আর চিড়া আমাদের দেশের বেশ জনপ্রিয় একটি নাস্তা। এর পাশাপাশি দই আর ফলের স্মুদি, ফালুদা, লাচ্ছি, আইসক্রিম এসবও খেতে পারেন। দুপুরে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন দই। এটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখবে। যে কারণে সতেজ থাকতে পারবেন সহজেই।
লাউ
উপকারী একটি সবজি হলো লাউ। নিয়মিত লাউ খেলে তা ভালো হজমে সাহায্য করে সেইসঙ্গে এটি ওজন কমাতেও কাজ করে। আবার লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া লাউয়ের স্যুপ কিংবা লাউয়ের পায়েসও তৈরি করে খেতে পারেন। নিয়মিত তরকারি হিসেবে লাউয়ের ঝোল কিংবা লাউভাজিও রাখতে পারেন ভাতের সঙ্গে। এভাবে লাউ খেলে শরীর সতেজ থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার পানীয়
![ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার পানীয় সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/sorbot.jpg)
কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া একটি পদার্থ, যা সুস্থ কোষ তৈরির জন্য অত্যাবশ্যক। তবে উচ্চ মাত্রার এলডিএল (লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল, যাকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলা হয়, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুষম খাদ্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
খাবারের তালিকায় পরিবর্তন করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ করতে পারেন। সকালের নাস্তায় সুস্বাদু স্মুদি আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কোলেস্টেরলের জন্য সেরা পানীয় কোনটি?
গ্রিন টি এবং জুসের মতো বেশ কিছু পানীয় রয়েছে যা উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনার দিন শুরু করার জন্য উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধের স্মুদি একটি পুষ্টিকর পছন্দ হতে পারে। সয়া দুধ এবং ওট মিল্কের মতো উদ্ভিদের দুধ বিশেষভাবে উপকারী।
সয়া দুধের উপকারিতা
সয়া দুধে স্বাভাবিকভাবেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম থাকে। এফডিএ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য খাবারের তালিকায় সয়া পণ্য যোগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সয়া দুধ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এটি কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
ওট মিল্কের উপকারিতা
ওটসে বিটা-গ্লুকান নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ওট মিল্ক পান করলে বা স্মুদিতে ওটস ব্যবহার করলে তা হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেয় যে ওট মিল্ক কঠিন ওটসের তৈরি অন্যান্য খাবারের তুলনায় কোলেস্টেরল কমাতে বেশি কাজ করে।
স্মুদি তৈরি
একটি ব্লেন্ডারে ২৫০ মিলি সয়া মিল্ক বা ওট মিল্কের সঙ্গে তাজা ফল বা সবজি যেমন কলা, আঙ্গুর, আম, তরমুজ, বরই, পালং শাক ইত্যাদি পছন্দমতো মিশিয়ে নিন। মসৃণ এবং ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। এবার সকালের নাস্তায় এই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু স্মুদিতে চুমুক দিন। এভাবে নিয়মিত খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
খালি পেটে যে পাঁচ খাবার ক্ষতিকর
![খালি পেটে যে পাঁচ খাবার ক্ষতিকর সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/food.jpg)
খালি পেটে কিছু খাবার যেমন উপকারী, তেমনই কিছু খাবার আবার ক্ষতিকরও। আমরা না জেনেই অনেক সময় সেসব খাবার খেয়ে ফেলি। যে কারণে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। তাই নিজের শরীরের সুস্থতার জন্য জানা থাকা চাই কোন খাবারগুলো খালি পেটে খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। আগে থেকেই জানা থাকলে ভুল করার ভয় থাকে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে কোন ৫ খাবার ক্ষতিকর এবং এড়িয়ে চলতে হবে-
১. মসলাদার খাবার
মসলাদার খাবার সকালে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। সকালে যখন আপনি মসলাদার কিছু খাবেন তখন তা আপনার পেটের আস্তরণে জ্বালাতন করতে শুরু করবে, এর ফলে পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে পেট ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খেতে হবে। সকালে খালি পেটে সব ধরনের মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
২. চিনিযুক্ত খাবার
আপনি কি সকালের নাস্তায় প্যানকেক এবং ওয়াফলের মতো চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকে? যদি তাই হয়, তাহলে এ ধরনের অভ্যাস এখনই ত্যাগ করতে হবে। কারণ সকালে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কেবল ওজনই বাড়ায় না সেইসঙ্গে আপনার লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৩. ঠান্ডা পানীয়
আপনার সকালের রুটিনে ঠান্ডা পানীয় যেমন আইসড কফি এবং জুস এড়িয়ে উচিত। কারণ এ ধরনের পানীয় ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। ঠান্ডা পানীয় শ্লেষ্মা ঝিল্লির ক্ষতি করে এবং হজমকে ধীর করে দিতে পারে। তাই সকালে ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয় সব সময় বাদ দেওয়া উচিত।
৪. সাইট্রাস ফল
সকালে সাইট্রাস ফল খেতে ভালোবাসেন? আপনার এ ধরনের ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এ ধরনের ফল আপনার পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যখন এটি ঘটে, তখন আপনার হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি হতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
৫. কাঁচা সবজি
কাঁচা শাক-সবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ, কিন্তু খালি পেটে খাওয়া হলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা উচ্চ ফাইবার সামগ্রী পেট ভার করতে পারে, যার ফলে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে সব ধরনের সালাদ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।