অর্থনীতি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
![বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার বাংলাদেশি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/dollar.jpg)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ১৮ জুন ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি কমেছে
![যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি কমেছে বাংলাদেশি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/08/poshak-samakal-5f90658f5bbf6.jpg)
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) সার্বিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য ও নতুন বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। তবে তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি ও জার্মানির মতো দেশে রপ্তানি কমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ইইউর বাজারে দুই হাজার ১৬৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি।
ইইউর মধ্যে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার জার্মানি ও ইতালি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে জার্মানির বাজারে ৫৪২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১২ শতাংশ কম। একই সময় ইতালির বাজারে পণ্য রপ্তানি করেছে ১৯৩ কোটি ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ কম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক ধারা থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৭৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানির এ অংক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। আলোচিত সময় কানাডার বাজারেও রপ্তানি করেছে দশমিক ৩১ শতাংশ। এসময় ১৩৮ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ১৩৯ কোটি ডলার।
তবে যুক্তরাজ্যের বাজারে পোশাক রপ্তানি ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে ৫১৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়; যার প্রবৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিজিএমইএ জানায়, নতুন বাজারে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৮১৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। নতুন বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও ভারতে কমেছে। ভারতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ কম। গত বছর এসময় প্রতিবেশী দেশটিতে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৯৫ কোটি ডলার।
বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা বিশ্ববাজারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার কমেছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (৪ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার) তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই-মে সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলার) এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেশনের চাল-গমের দাম পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে
![রেশনের চাল-গমের দাম পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে বাংলাদেশি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/chal-gom.jpg)
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি, এসএসএফ, এনএসআই-সহ সরকারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের জনবলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে চাল ও গমের বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর উপসচিব নুরউদ্দিন আল ফারুক এ সংক্রান্ত পরিপত্রে সই করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, সরকার বিশেষ জরুরি হিসেবে প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি প্রতিষ্ঠান যেমন- স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (সেনা, নৌ ও বিমান), বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন, কারা অধিদপ্তর, বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও অগ্নিনির্বাপক অধিদপ্তর এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবলের অনুকূলে সাশ্রয়ী মূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে চাল ও গমের দাম নির্ধারণ করা হলো।
পরিপত্রে, রেশনে দেওয়া গম ও চালের মূল্য নির্ধারণে তিনটি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
- চাল ও গমের বিক্রয়মূল্য হবে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের চাল ও গমের নির্ধারিত অর্থনৈতিক মূল্যের ২০ শতাংশ।
- অর্থ বিভাগ থেকে প্রতি অর্থবছরের শুরুতে চাল ও গমের অর্থনৈতিক মূল্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে অবহিত করা হবে।
- চাল ও গমের পুনর্নির্ধারিত এ হার ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই ১০ প্রতিষ্ঠানের রেশনে যেসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া হয় তার মধ্যে চাল ও গমের দাম পুনর্নির্ধারণের ফলে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ আইএমএফের
![রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ আইএমএফের বাংলাদেশি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/imf-2.jpg)
বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রায় ৫ বছর ধরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আইএমএফ বলেছে, সম্প্রতি বিনিময় হার সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে– (বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আকৃষ্ট করতে) যা অপ্রয়োজনীয়। তাই কর্তৃপক্ষকে এই ভর্তুকি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং ক্রমান্বয়ে এটি একেবারে বাদ দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের স্টাফ প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ জুন (সোমবার) নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।
সরকার ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ২০১৯ সালের আগস্টে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়।
আইএমএফ বলছে, আইএমএফ সমর্থিত (ঋণ) কর্মসূচির আগেই সরকার এই প্রণোদনা চালু করেছে, তাই মাল্টিপল কারেন্সি প্র্যাকটিসের (এমসিপি বা বিভিন্ন মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ) ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়নের (পিসি) কোনো লঙ্ঘন হয়নি; তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমসিপিতে আইইএমএফের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেমিট্যান্সের প্রণোদনা নিয়ে এমন পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
আগামী ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার ও ডিসেম্বর শেষে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্তারোপ করেছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রথম ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫৭ শতাংশ
![প্রথম ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫৭ শতাংশ বাংলাদেশি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/ADP.jpg)
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র চারদিন। অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ মে পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্ধেক বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। চার বছরের মধ্যে যা সব থেকে কম।
চলতি বছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন বাবদ খরচ হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। অথচ এই অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ফলে এক মাসে (চলতি জুন মাসে) খরচের টার্গেট এক লাখ ৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৬১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) এ হার ছিল ৬৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ৫৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়।
বুধবার (২৬ জুন) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।
আইএমইডি জানায়, আলোচ্য সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাস্তবায়ন হার ৯৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সব থেকে পিছিয়ে নির্বাচন কমিশন, ১১ মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ। ৬০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে এ সময়ে ইসি খরচ করেছে মাত্র ১৮০ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বোতলজাত পানির দাম বাড়ায় ব্যবস্থা নেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
![বোতলজাত পানির দাম বাড়ায় ব্যবস্থা নেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Ahsanul-Islam-2.jpg)
দেশে বোতলজাত পানির দাম কেন বেড়েছে সে বিষয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। সেইসাথে বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় ফোরামের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব সভাপতিত্ব করেন।
বোতলজাত পানির দাম বাড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমি প্রথম শুনলাম এটা। খবর নেব এটার, কেন বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কী করণীয়, অবশ্যই আমরা এটার ব্যবস্থা নেব।
সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করে নাই। এটা নিয়ে কোনো কিছু করণীয় আছে কিনা সেটা দেখব। আপনাদের বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে সেটা আমাদের কিনা সেটা দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। তাই সাবানের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটা দেখে আপনাদের জানাব।
বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি – এই দাম স্বাভাবিক মনে করেন কিনা প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে, এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দাম যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখবো, সেটা বার বার বলার চেষ্টা করতেছি।
তিনি বলেন, যেকোনো দ্রব্যের মূল্য নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত যে মূল্য আছে সেটা আমাকে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারবো না যে, পেঁয়াজের দাম এতো। অত্যন্ত আমি পারবো না। সেটা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম আমার জানা নাই। আমার যেটা জানা আছে, যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।
কাফি