সারাদেশ
ঈদের দিনে ৭ জেলার সড়কে ঝরলো ১২ প্রাণ

সারাদেশে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সড়কে প্রাণ ঝরছে মানুষের। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে নিচ্ছেন অনেকে। ঈদের দিনেও বজায় আছে এই দুর্ঘটনা ও তাতে প্রাণহানির ধারাবাহিকতা।
সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরও ১২টি প্রাণ। দেশের সাতটি জেলায় মোট আটটি দুর্ঘটনায় এসব প্রাণহানি ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর মিলেছে গাজীপুর থেকে। এ জেলায় দুটি দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দিনাজপুরে দুইজন করে এবং বগুড়া, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মোট ৯ জন সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন একইদিনে।
দিনের শুরুতেই ভোর পৌনে চারটার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়াল সেতুর ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাণ হারিয়েছেন দেলোয়ার ও রাকিব নামে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে নাজিম নামে অপর বন্ধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোর পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে টঙ্গীর দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের মোটরসাইকেলটি টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের সামনে বিআরটিএ’র ফ্লাইওভারের ওপর ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়ায় গাড়ি চাপায় প্রাণ হারান অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
একইদিন সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঘটে আরেকটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারান রবিউল খান (৫০) ও হুমায়ুন খান (৪৫) নামে আপন দুই ভাই। উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হতাহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রবিউল ও হুমায়ুন ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। আহত মনির তাদের পূর্বপরিচিত। ঈদের ছুটিতে তিনজন মিলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দিনাজপুরের বিরামপুরে ঈদের দিনের জন্য সেমাই কিনতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এম এ কে আজাদ (৭০) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। একই দুর্ঘটনায় তার সঙ্গে মৃত্যু হয় এনামুল হক (৪২) নামে আরেক ব্যক্তির।
সোমবার সকালে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের দিওড় বটতলী নামক স্থানে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ তার বাড়ি থেকে অটোরিকশায় চড়ে সেমাই কিনতে বিরামপুর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই অটোরিকশায় ছিলেন এনামুল হকও। তাদের অটোরিকশাটি দিওড় বটতলী নামক স্থানে পৌঁছালে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক সেটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে অটোরিকশার দুই যাত্রী আজাদ ও এনামুল গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে, সকাল ৭টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘিতে বাবার সঙ্গে কোরবানির গরু আনতে যাওয়ার পথে ভটভটি উল্টে প্রাণ হারায় আহোনা আবিদ দোহা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র। বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাবলা তলা নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত দোহা নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আদমদিঘী থানার ওসি রাজেশ চক্রবর্তী জানান, স্থানীয় সাইদুজ্জামান তোতা তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে খামারে রেখে আসা কোরবানির গরু আনতে ভটভটিযোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাবলাতলা নামক স্থানে মোড় ঘোরার সময় ভটভটিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ভটভটির নিচে চাপা পড়ে ছেলেসহ গুরুতর আহত হন সাইদুজ্জামান। স্থানীয় লোকজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে আদমদিঘী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ছেলে দোহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একইদিন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারান শুকুর হালসানা (৫৫) নামে এক বৃদ্ধ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় জীবননগর–চ্যাংখালি সড়কের পিচমোড়ে পৌঁছালে পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বেলা ১১টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ হারায় হৃদয় (১৮) নামে এক তরুণ। তার পরিবারের লোকেরা জানায়, ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে মোটরসাইকেল পরিষ্কার করতে নিয়ামতপুরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় সে। পুলিশ জানায়, দ্রুত গতিতে থাকায় খড়িবাড়ি বাজারে নিয়ামতপুরগামী রাস্তার বাঁকে পৌঁছে আর মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি হৃদয়। রাস্তার পাশে একটি আমগাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার মোটরসাইকেলটির। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
একইদিন দুপুরে আরেকটি মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। ঈদ উপলক্ষে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে প্রাণ হারায় রনি (১৮) ও আশিক (১৭) নামে দুই বন্ধু। উপজেলার পৌর সদরের পাইভাকুরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঈদ উপলক্ষে ঘোরার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ওই দুই বন্ধু। ঈশ্বরগঞ্জ-নেত্রকোনা আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার তেলিহাটির দিকে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু পথিমধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার পাইভাকুরী গ্রামের তালুকদার রাইস মিলের কাছাকাছি এসে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইস মিলের দেওয়ালে ধাক্কা খায়। এতে রনি ও আশিক দুজনই গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রথমে রনিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এছাড়া আশিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান তিনি। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় তারও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ
আলোচিত ‘ক্রিম আপা’ গ্রেফতার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে টাকা আয়ের জন্য নিজের শিশু সন্তানের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগে করা মামলায় শারমীন শিলাকে (ক্রিম আপা) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাভার পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে টাকা আয়ের জন্য নিজের শিশু সন্তানের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগে শারমীন শিলার (ক্রিম আপা) বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন সাভার উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।
এজাহারে বলা হয়, শারমীন শিলা একজন বিউটিশিয়ান। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ক্রিম আপা’ নামে পরিচিত। তিনি মূলত মেকআপের জন্য বিভিন্ন ক্রিম তৈরি করে তা বিক্রি করেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি তার সন্তানদের নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন।
এতে আরও বলা হয়, ৩ মার্চ বিকেল ৪টায় তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, শারমীন শিলা তার মেয়ে জিমকে (বয়স ২ বছর) জোর করে মুখ হা করিয়ে কেক জাতীয় খাবার দিচ্ছেন। মেয়ে খেতে চাচ্ছিল না, এজন্য তিনি জোর করে মুখে চাপ দিয়ে খাবার দিতে থাকেন। আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলা ও মাতৃসুলভ আচরণ বর্জন করে শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন ক্রিম আপা। ফলে শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভিউ বাড়ানো ও টাকা আয়ের জন্য তিনি তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেন। কখনো মাথা ন্যাড়া করে, আবার কখনো ভারী কানের দুল লাগিয়ে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে দেন।
এর বাইরে কী রান্না করছেন, কী খাচ্ছেন- এসব নিয়ে করা বিভিন্ন ভিডিওতে মেয়েকে হাজির করেন ‘ক্রিম আপা’। তখন মেয়ে ভয়ে চুপ করে থাকে। কখনো হাসে আবার কখনো অস্বাভাবিকভাবে কাঁদে। মেয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কের মধ্যে থাকে তা বিভিন্ন ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যায়।
সাভারের বাইপাইলে ‘ক্রিম আপা বিউটি পার্লার’ নামে শারমীন শিলার একটি পার্লার আছে। এছাড়া তিনি ফেসবুকে রং ফরসার ক্রিম বিক্রি করেন।
এ নিয়ে ৬ এপ্রিল ‘একাই একশো’ নামের শিশুদের সুরক্ষায় সামাজিক আন্দোলনের পক্ষে কিশোর সাদাত রহমানসহ অন্যরা ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘ক্রিম আপা’র বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিনদিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
শারমীন শিলার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেওয়া প্রসঙ্গে সাদাত জানান, শারমীন শিলা বা ক্রিম আপার বিরুদ্ধে এর আগেও লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই দুই শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় এবার জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ফেসবুকে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। বিশেষ করে সন্তানের বাবা-মায়েরা চোখের সামনে দুটি বাচ্চাকে এভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে শারমীন শিলা বলেন, হিংসায় ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমি আমার ছেলে-মেয়েকে ভালোবাসি। তারা আমার ‘কলিজার টুকরা’। তাদের নির্যাতন করার প্রশ্নই আসে না।
এরপর তিনি আর এ ধরনের ভিডিও তৈরি করবেন না বলে জানান। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ফেসবুক লাইভে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে আলোর দিশারী ছাত্রকল্যাণ সংগঠন

শরীয়তপুরের সখিপুরে দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়নে আলোর দিশারী ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) দক্ষিণ তারাবুনিয়া মৌজা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সুশৃঙ্খল, হৃদয়গ্রাহী ও সফলভাবে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানানো হয়। উপবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার, গ্র্যাজুয়েট পরিবারের অভিভাবকদের শ্রেষ্ঠ অভিভাবক সম্মাননা, সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অ্যাওয়ার্ড এবং এসএসসি-২০২৪ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবি উল্যা কলেজ ও কিরণনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ। বিশেষ অতিথি হিসেবে সখিপুর থানার ওসি মো. ওবায়েদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দক্ষিণ তারাবুনিয়া মৌজা এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক বিজন বিশ্বাস, কিরণনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল,দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেকান্তর খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম রসুল মোল্লা, কাশেম ঢালী, শাহাদাত হোসেন বেপারী, নূর মোহাম্মদ দর্জি (সিআইপি), সজীব খান, মিশর আলম মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান নূর উদ্দিন দর্জি, সাবেক ইউপি সদস্য হানিফ চোকদার, কালেক্টরেট স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ ঢালী, মোল্লা মো. হানিফ, মুসা সরদার, বি. এম. আশফাকুজ্জামান শামিম, আলাউদ্দিন সরকার, মো. ইদ্রিস আলী গাজী, ডা. আব্দুর রাজ্জাক, হোসাইন মোহাম্মদ মিল্টন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “এই ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী ও শিক্ষাবান্ধব উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করে সুশিক্ষায় মনোনিবেশ করতে। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও গর্বিত করে।”
আলোর দিশারী ছাত্রকল্যাণ সংগঠন প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ফরিদপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ৫

ফরিদপুরের বাখুন্ডায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন যাত্রী।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে শরিফ জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী হাইডেক্স নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। বাসে প্রায় ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৫ জন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান বলেন, বাস দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে আনা হলে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে শরীয়তপুরে বিক্ষোভ মিছিল

গাজায় মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে “গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা” শীর্ষক এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) তারাবুনিয়ার সর্বস্তরের মুসলিম জনতা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চেয়ারম্যান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন আসামী, কলিমুল্লাহ মাঝী, ইমরান সরকার, আল-আমিন আজহারী,আ. সামাদ আসামী, মনির খাঁন, ইঞ্জিনিয়ার সম্রাট, জিয়াউর রহমান টিপু মাঝী, ডা. সাইফুল ইসলাম, মো: হোসেন সরকার, সুমন বকাউল ও উসমান সরকার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। এই হামলা শুধু একটি দেশের উপর নয়, বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উপর হামলা। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
এসময় সমাবেশে “নারায়ে তাকবির – আল্লাহু আকবর”, “ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব চাই” “ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করো” “ইসরায়েল রাষ্ট্রের উপর লানত” বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়।
পরে ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বক্তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান এবং মুসলিম বিশ্বের নেতাদের নির্লিপ্ততার কঠোর সমালোচনা করেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারাবুনিয়ার মানুষ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
দাওয়াতে ইসলামীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিক্ষা সফর ও আনন্দ ভ্রমণ

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দাওয়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত হলো এক মনোমুগ্ধকর শিক্ষা সফর ও আনন্দ ভ্রমণ। এবারের গন্তব্য ছিলো চাঁদপুরের নয়নাভিরাম “মিনি কক্সবাজার”। যেখানে মিলেছে তিনটি নদীর মোহনা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা এই স্থান যেন হয়ে উঠেছিল ইমানি শিক্ষা, আনন্দ এবং ভ্রাতৃত্বের এক অপূর্ব মিলনমেলা।
এই সফরে অংশগ্রহণ করেন দাওয়াতে ইসলামীর একনিষ্ঠ কর্মী ও সাথীগণ। উপস্থিত ছিলেন মো. মাইনুদ্দিন আত্তারী, মো. নাঈম আত্তারী, দিদারুল ইসলাম প্রধান, মো. বেলাল হোসাইন, মো. নাজমুল হোসাইন ও মো. সুজন হোসাইন। তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নিরলস প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ ও নাতে রাসূল (সা.) পরিবেশন, ইসলামিক কুইজ ও প্রশ্নোত্তর পর্ব, রশি টানাটানি ও বেলুন ফোটানোসহ বিভিন্ন আনন্দদায়ক খেলা, মিলাদ ও কিয়াম মাহফিল, একত্রে মধ্যাহ্নভোজ, নদীর পাড়ে জামাতে নামাজ আদায় সহ মনোমুগ্ধকর নানা কর্মসূচি দেখা গেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। যা উপস্থিত সকলের মাঝে উৎসাহ ও আনন্দ আরও বহুগুণে বৃদ্ধি করে।
পুরো আয়োজনটি ছিলো ইমানি চেতনায় ভরপুর এক আনন্দঘন পরিবেশ, যেখানে ইসলামী শিক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিনোদনের আবরণে। তরুণদের মাঝে দ্বীনি আগ্রহ জাগ্রত করা এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধকে দৃঢ় করাই ছিলো এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।
এ ধরনের আয়োজন নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকলে সমাজে ইসলামিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও সম্প্রীতির বার্তা আরও সহজেই ছড়িয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।
অর্থসংবাদ/কাফি