জাতীয়
দক্ষিণ সিটির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ
![দক্ষিণ সিটির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/nagar-bhabon-1.jpg)
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ৭৫টি ওয়ার্ডের সব ওয়ার্ড হতে কোরবানির পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার রাত সোয়া ১২টায় ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণের মধ্য দিয়ে কোরবানি দেওয়া সব পশুর শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হলো।
দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, আজ (সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে মধ্যে ৬টি হাট হতে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের দাবি করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি কমেছে
![যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি কমেছে সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/08/poshak-samakal-5f90658f5bbf6.jpg)
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) সার্বিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য ও নতুন বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। তবে তৈরি পোশাকের বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি ও জার্মানির মতো দেশে রপ্তানি কমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে। এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ইইউর বাজারে দুই হাজার ১৬৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি।
ইইউর মধ্যে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজার জার্মানি ও ইতালি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে জার্মানির বাজারে ৫৪২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১২ শতাংশ কম। একই সময় ইতালির বাজারে পণ্য রপ্তানি করেছে ১৯৩ কোটি ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ কম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক ধারা থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৭৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানির এ অংক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। আলোচিত সময় কানাডার বাজারেও রপ্তানি করেছে দশমিক ৩১ শতাংশ। এসময় ১৩৮ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ১৩৯ কোটি ডলার।
তবে যুক্তরাজ্যের বাজারে পোশাক রপ্তানি ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে ৫১৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়; যার প্রবৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিজিএমইএ জানায়, নতুন বাজারে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৮১৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। নতুন বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও ভারতে কমেছে। ভারতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৭২ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ শতাংশ কম। গত বছর এসময় প্রতিবেশী দেশটিতে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৯৫ কোটি ডলার।
বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা বিশ্ববাজারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার কমেছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের (৪ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার) তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই-মে সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলার) এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালাবে ডিএনসিসি
![ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান চালাবে ডিএনসিসি সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/sadik-agro.jpg)
খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে রাখায় মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
অভিযান পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।
বুধবার (২৬ জুন) ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠি ডিএমপিকে দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫–এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এ সময় তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স প্রয়োজন হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাদিক অ্যাগ্রো খালের জায়গা দখল করে খামার গড়ে তুলেছে। এরআগে তাদের কয়েক বার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। যে কারণে আগামীকাল আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানটি পরিচালনা করবেন ডিএনসিসির মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেশনের চাল-গমের দাম পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে
![রেশনের চাল-গমের দাম পুনর্নির্ধারণ হচ্ছে সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/chal-gom.jpg)
সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি, এসএসএফ, এনএসআই-সহ সরকারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের জনবলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে চাল ও গমের বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর উপসচিব নুরউদ্দিন আল ফারুক এ সংক্রান্ত পরিপত্রে সই করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, সরকার বিশেষ জরুরি হিসেবে প্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি প্রতিষ্ঠান যেমন- স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর (এনএসআই), সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (সেনা, নৌ ও বিমান), বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন, কারা অধিদপ্তর, বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও অগ্নিনির্বাপক অধিদপ্তর এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবলের অনুকূলে সাশ্রয়ী মূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে চাল ও গমের দাম নির্ধারণ করা হলো।
পরিপত্রে, রেশনে দেওয়া গম ও চালের মূল্য নির্ধারণে তিনটি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
- চাল ও গমের বিক্রয়মূল্য হবে সংশ্লিষ্ট অর্থবছরের চাল ও গমের নির্ধারিত অর্থনৈতিক মূল্যের ২০ শতাংশ।
- অর্থ বিভাগ থেকে প্রতি অর্থবছরের শুরুতে চাল ও গমের অর্থনৈতিক মূল্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে অবহিত করা হবে।
- চাল ও গমের পুনর্নির্ধারিত এ হার ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই ১০ প্রতিষ্ঠানের রেশনে যেসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া হয় তার মধ্যে চাল ও গমের দাম পুনর্নির্ধারণের ফলে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইভিএমের প্রতি ভোটারদের আস্থা বেড়েছে: ইসি সচিব
![ইভিএমের প্রতি ভোটারদের আস্থা বেড়েছে: ইসি সচিব সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/ebm.jpg)
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রতি ভোটারদের আস্থা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। তিনি বলেছেন, খুব বেশি ভোট পড়েছে। সেটি বড় ঘটনা। আমার কাছে মনে হয় গণমাধ্যমের সহযোগিতা, মানুষের উৎসাহ বেড়েছে, আগ্রহ বেড়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) নির্বাচন ভবনে পাঁচটি পৌরসভার বিভিন্ন পদে নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।
শফিউল আজিম বলেন, আজকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন, বরিশালের গৌরনদীতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ীর পাংশা, জামালপুরের মেলান্দহ ও শেরপুরের নকলা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে কাঞ্চন পৌরসভায় ৭২ শতাংশ, গৌরনদীতে ৪২ দশমিক ২৩ শতাংশ, পাংশায় ৩৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, মেলান্দহে ৬৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও নকলায় ৬৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ইসির সচিব বলেন, খুব সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবগুলোতেই ইভিএমে ভোট হয়েছে। বড় ধরনের কোনও সহিংস ঘটনা ঘটেনি। খুবই উৎসবমুখর ছিল। শুধু গৌরনদীতে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। হাতেনাতে ধরা পড়েছে। একজন প্রিজাইডিং অফিসার, আরো দুজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। যদি প্রমাণ হয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মালমা করার জন্য বলে দিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
![ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/parlament-PM.jpg)
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানান সরকার প্রধান।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা জানান। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব সব বাস্তবমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জন্য ক্রয় করা বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জামাদির মধ্যে কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডলফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকোভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড ভেহিক্যাল (এমআরএপি), আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, র্যাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
শেখ হাসিনা জানান, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী নৌ-শক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।
একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিক্যাল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন যুগোপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ যাবৎকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০ এবং এফ-৭ ইএ-১ যুদ্ধ বিমান, সি-১৩০ জে এবং কে-৮ বিমান, মি-১৭১ হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করা হয়েছে। এ সব আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে র্যাডার, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার এয়ারক্রাফট এবং সিমুলেটর, লং ও শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র্যাডার, হেলিকপ্টারে নাইট ভিশন সিস্টেম স্থাপন, মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। যা সার্বিকভাবে বাহিনীর মান উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতীয়মান।