জাতীয়
৬ ঘণ্টায় কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: ডিএনসিসি

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ছয় ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি কর্পোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
যারা আজ ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারেননি, তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।
মেয়র আরও বলেন, অনেকে সন্ধ্যার পর এমনকি রাতেও কোরবানি দিচ্ছেন, তারা আমাদের হটলাইন ১৬১০৬-এ ফোন করে জানাবেন, আমাদের কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর ২ নম্বরের এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
পরে রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টার মধ্যে সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে ডিএনসিসি। সবগুলো ওয়ার্ড থেকে ঈদের দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ২ হাজার ১০১ ট্রিপে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪টি ওয়ার্ডের সব এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন। দুপুর ২টায় মিরপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মিরপুর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কালশী, বনানী, গুলশান, হাতিরঝিল, মধুবাগ, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, বাড্ডা, বারিধারা প্রগতি সরণিসহ উত্তরা এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম রাত ৮টা পর্যন্ত সশরীরে পরিদর্শন করেন।
এছাড়া, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের তদারকি করার জন্য ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১০টি গ্রুপ গঠন করা হয়। ১০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানরা। ১০টি গ্রুপ ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিলেন। গুলশান নগর ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের হট লাইন নম্বর ১৬১০৬।
পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বর্জ্য বিভাগকে এবং তদারকির জন্য গঠিত ১০টি গ্রুপকে আগামীকালও কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জাতীয়
খুলনায় ৩ লাখ ২৬ হাজার চামড়া সংরক্ষণ

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ বছর কোরবানির ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৪টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়ার সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজার ১১২টি, ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৬৮২টি। খুলনা বিভাগ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো তথ্য থেকে এ চিত্র দেখা গেছে।
জেলাগুলোর মধ্যে খুলনায় সংগ্রহ করা চামড়ার সংখ্যা ২২ হাজার ৭৪২টি, যশোরে ৭৫ হাজার ১৮৫টি, চুয়াডাঙ্গায় ৬ হাজার ৭২টি, বাগেরহাটে ১৩ হাজার ৫৭টি, নড়াইলে ৩০ হাজার ৭১৫টি, মাগুরায় ৭ হাজার ১৫২টি, মেহেরপুরে ১৮ হাজার ৮৫টি, ঝিনাইদহে ৯৩ হাজার ৭৩৬টি, কুষ্টিয়ায় ৩৬ হাজার ৭৩৭টি এবং সাতক্ষীরা জেলায় ২৩ হাজার ৩১৩টি।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসব চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহ করা বিনামূল্যের লবণ দিয়ে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্যবৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা, মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোতে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিকটন লবণ সরবারহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।
জাতীয়
এপ্রিলেই নির্বাচন কেন, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া এমন ঘোষণা নিয়ে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণায় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমমনা কিছু দল খুশি হলেও ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এপ্রিলকে নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই অনুকূল সময় মনে করছেন না তারা। কেউ কেউ বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা ভালোভাবে ভেবেচিন্তে সময়টা নির্ধারণ করেননি। কেউবা আবার ড. ইউনূসের কোনও দুরভিসন্ধি আছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলছেন।
এরই মধ্যে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা সব দিক ভালোভাবে বিবেচনা করেই এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছেন। এপ্রিলে নির্বাচনের সময় নির্ধারণের পেছনে তিনটি কারণের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রেস সচিব। এগুলো হলো—সংস্কার, বিচার (ট্রায়াল) এবং নির্বাচন।
রবিবার (৯ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের রিপোর্ট আসছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, আরেকটা হচ্ছে ট্রায়াল। জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা। এই সময়টায় ভয়ানক রকম একটা হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। চার বছর ছয় বছরের শিশুরাও মারা গেছে। ট্রায়াল হওয়াটা খুবই জরুরি। তবে ট্রায়ালটা এমনভাবে হওয়া উচিত, যেটা ডিউ প্রসেস এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে।
প্রেস সচিব বলেন, এগুলোর জন্য সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি ইলেকশনটা যেন খুবই নিরপেক্ষ, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়, সেটার জন্য আয়োজনের একটা বিষয় আছে। এই প্রতিটি জিনিস লক্ষ করে চিফ অ্যাডভাইজার এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ওই সময়ের আবহাওয়া নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন, এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, আমরা আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে; দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহে বেশি। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চতুর্থ সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে। তারা বলেছেন, প্রথম ১০ দিন টেম্পারেচার মোটামুটি ঠিক থাকে। এই সময়টায় এত হিট ওয়েভ থাকে না যে ইলেকশন করা যাবে না।
কালবৈশাখীর বিষয়ে তিনি বলেন, কালবৈশাখী শব্দটার মধ্যেই বৈশাখ মাস আছে। বৈশাখ মাসেই এটা বেশি হয়। আবহাওয়াবিদদরাও বলেছেন এপ্রিল মাসের প্রথম নয়টা দিন কালবৈশাখী হয়। তা-ও এটা খুব লোকালাইজড হয়, দেশব্যাপী হয় না। এটাও হয় এপ্রিল মাসের সেকেন্ড হাফে বেশি। যখন বৈশাখ মাসটা শুরু হয়ে যায়। সত্যিকার অর্থে এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধটা একটা ফ্যান্টাস্টিক টাইম।
জাতীয়
ড. ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
রবিবার (৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
গত ৪ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণকে ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন, এই পবিত্র উৎসব আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের চিরন্তন মূল্যবোধকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনে অত্যাবশ্যক।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৬ জুন নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস চিঠিতে লেখেন, এই বার্তা আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক মূল্যবোধের প্রতিফলন। ঈদুল আজহা আত্মোপলব্ধি, ত্যাগ ও ঐক্যের অনুপ্রেরণা নিয়ে আসে, যা বিশ্বজুড়ে মানুষের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের মাঝে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও অগ্রগতির পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
জাতীয়
আবদুল হামিদ দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তদন্তের দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তে দোষী হলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কিন্তু কেউ নির্দোষ হলে কেন তাকে সাজা দেবো?
সোমবার (৯ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে এক মাস পর রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন আবদুল হামিদ। এর আগে গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে তখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই কয়েকটি দলের দাবির মুখে ১০ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ১২ মে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিদেশে গিয়েছেন এবং তিনি দেশেও ফিরে এসেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলেছেন যে (আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে) কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলোর কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্তে যারা দোষী হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারাই (সাংবাদিক) সবসময় বলেছেন, নির্দোষরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দেন। তদন্তে কেউ যদি দোষী হয় তাহলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ফৌজদারি মামলায় তদন্তে দোষ বা অপরাধ মোটামুটি প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্দোষ একজন মানুষকে কেন সাজা দেবো?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার মতো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাস্তাঘাটে দু-একটা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। টুকটাক চুরিচামারি হচ্ছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।
জাতীয়
বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন শেখ হাসিনার চাচা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছেন। রোববার (৮ জুন) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে একটি ফ্লাইটে অনেকটা গোপনে তিনি সিঙ্গাপুর যান।
সোমবার (৯ জুন) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেখ কবির হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি বড় বড় পদ দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ক্ষমতাবান একটি চক্রের সহায়তায় শেখ কবির বিমানবন্দর ছাড়তে সক্ষম হন। অথচ শেখ হাসিনার শাসন আমলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম ছিল শেখ কবির। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৩টি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের নানান পদে ছিলেন শেখ কবির।
২০১১ সাল থেকে বিমা কোম্পানির মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) একটানা সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে শেখ কবিরের পরিচিতির কারণে দুই বছর মেয়াদি বিআইএর কমিটির কোনো স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না। এ ছাড়া শেখ কবির বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নরস, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান ছিলেন।
শেখ কবিরের দেশত্যাগের বিষয়ে জানতে সোমবার সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা মামলা ছিল। তারপর একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে তাকে বিদেশ যাত্রা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।