জাতীয়
৬ ঘণ্টায় কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে: ডিএনসিসি
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সবার সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ছয় ঘণ্টায় ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আমি নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি কর্পোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
যারা আজ ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারেননি, তাদের আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।
মেয়র আরও বলেন, অনেকে সন্ধ্যার পর এমনকি রাতেও কোরবানি দিচ্ছেন, তারা আমাদের হটলাইন ১৬১০৬-এ ফোন করে জানাবেন, আমাদের কর্মীরা বর্জ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসবে।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মিরপুর ২ নম্বরের এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
পরে রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টার মধ্যে সবগুলো ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করে ডিএনসিসি। সবগুলো ওয়ার্ড থেকে ঈদের দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ২ হাজার ১০১ ট্রিপে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়।
ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪টি ওয়ার্ডের সব এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং সরাসরি তদারকি করেন। দুপুর ২টায় মিরপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মিরপুর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কালশী, বনানী, গুলশান, হাতিরঝিল, মধুবাগ, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, বাড্ডা, বারিধারা প্রগতি সরণিসহ উত্তরা এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম রাত ৮টা পর্যন্ত সশরীরে পরিদর্শন করেন।
এছাড়া, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের তদারকি করার জন্য ১০ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১০টি গ্রুপ গঠন করা হয়। ১০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানরা। ১০টি গ্রুপ ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজে নিয়োজিত ছিলেন। গুলশান নগর ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের হট লাইন নম্বর ১৬১০৬।
পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বর্জ্য বিভাগকে এবং তদারকির জন্য গঠিত ১০টি গ্রুপকে আগামীকালও কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সময়ে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটি ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় করা হচ্ছে বলে জানান সরকার প্রধান।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা জানান। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব সব বাস্তবমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জন্য ক্রয় করা বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জামাদির মধ্যে কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডলফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকোভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড ভেহিক্যাল (এমআরএপি), আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, র্যাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
শেখ হাসিনা জানান, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি শক্তিশালী নৌ-শক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।
একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিক্যাল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন যুগোপযোগী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ যাবৎকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্য মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০ এবং এফ-৭ ইএ-১ যুদ্ধ বিমান, সি-১৩০ জে এবং কে-৮ বিমান, মি-১৭১ হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করা হয়েছে। এ সব আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে র্যাডার, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার এয়ারক্রাফট এবং সিমুলেটর, লং ও শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র্যাডার, হেলিকপ্টারে নাইট ভিশন সিস্টেম স্থাপন, মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে। যা সার্বিকভাবে বাহিনীর মান উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সরাসরি ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতীয়মান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইভিএমের প্রতি ভোটারদের আস্থা বেড়েছে: ইসি সচিব
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রতি ভোটারদের আস্থা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। তিনি বলেছেন, খুব বেশি ভোট পড়েছে। সেটি বড় ঘটনা। আমার কাছে মনে হয় গণমাধ্যমের সহযোগিতা, মানুষের উৎসাহ বেড়েছে, আগ্রহ বেড়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) নির্বাচন ভবনে পাঁচটি পৌরসভার বিভিন্ন পদে নির্বাচন শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।
শফিউল আজিম বলেন, আজকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন, বরিশালের গৌরনদীতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ীর পাংশা, জামালপুরের মেলান্দহ ও শেরপুরের নকলা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে কাঞ্চন পৌরসভায় ৭২ শতাংশ, গৌরনদীতে ৪২ দশমিক ২৩ শতাংশ, পাংশায় ৩৫ দশমিক ২৪ শতাংশ, মেলান্দহে ৬৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও নকলায় ৬৯ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ইসির সচিব বলেন, খুব সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবগুলোতেই ইভিএমে ভোট হয়েছে। বড় ধরনের কোনও সহিংস ঘটনা ঘটেনি। খুবই উৎসবমুখর ছিল। শুধু গৌরনদীতে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। হাতেনাতে ধরা পড়েছে। একজন প্রিজাইডিং অফিসার, আরো দুজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। যদি প্রমাণ হয়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত মালমা করার জন্য বলে দিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ আইএমএফের
বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রায় ৫ বছর ধরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আইএমএফ বলেছে, সম্প্রতি বিনিময় হার সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে– (বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আকৃষ্ট করতে) যা অপ্রয়োজনীয়। তাই কর্তৃপক্ষকে এই ভর্তুকি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং ক্রমান্বয়ে এটি একেবারে বাদ দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের স্টাফ প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ জুন (সোমবার) নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।
সরকার ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ২০১৯ সালের আগস্টে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়।
আইএমএফ বলছে, আইএমএফ সমর্থিত (ঋণ) কর্মসূচির আগেই সরকার এই প্রণোদনা চালু করেছে, তাই মাল্টিপল কারেন্সি প্র্যাকটিসের (এমসিপি বা বিভিন্ন মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ) ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়নের (পিসি) কোনো লঙ্ঘন হয়নি; তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমসিপিতে আইইএমএফের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেমিট্যান্সের প্রণোদনা নিয়ে এমন পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
আগামী ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার ও ডিসেম্বর শেষে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্তারোপ করেছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বিল উত্থাপন
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট তহবিল’ গঠনের জন্য আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ জন্য বুধবার জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
২০১০ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইনে সংশোধনী এনে ভাষা গবেষণার জন্য ট্রাস্ট তহবিল করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। বিলে বলা হয়েছে, এ ট্রাস্ট তহবিল দুটি অংশে বিভক্ত থাকবে। স্থায়ী তহবিল ও চলতি তহবিল। সরকারের দেওয়া অনুদান, স্থায়ী তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ থেকে পাওয়া আয় বা মুনাফা এবং সরকার অনুমোদিত অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে এ তহবিল গঠন করা হবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, বাংলা ভাষাসহ বিশ্বের অন্যান্য ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, অন্যান্য ভাষা গবেষণা ও ভাষাশিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে বৃত্তি, অনুদান, প্রশিক্ষণে এ তহবিলের অর্থ ব্যয় করা যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আরও এক বছর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তার চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ধারা-৪৯ অনুযায়ী তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে তার পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় ও অনুরূপ শর্তে আগামী ৫ জুলাই অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব থাকাকালে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় ২০২৩ সালের ৪ জুলাই তার অবসর-উত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তার অবসর-উত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে ওই বছরের ৫ জুলাই থেকে এক বছরের চুক্তিতে মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ২৫ জুন আদেশ জারি করা হয়।
তিনি এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি পঞ্চগড়, কুমিল্লা ও ঢাকার জেলা প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করেন।