স্বাস্থ্য
ঈদের দিন আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহার দিন সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন কোনো ধরনের প্রটোকল ছাড়া একাই আকস্মিকভাবে পুরোনো ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউট পরিদর্শন করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা যাতে ব্যাঘাত না ঘটে এবং ঈদের ছুটির সময়ে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও কর্তব্যরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা যাতে খাবার বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যেতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে এই পরিদর্শন করেন বলে জানান।
সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এসময় তিনি ইমার্জেন্সি ইউনিট, আইসিইউ, সার্জারি ওয়ার্ড ও হাসপাতালের রান্নাঘর ঘুরে দেখেন। তিনি চিকিৎসাধীন রোগী, তাদের স্বজন ও কর্তব্যরত ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে আসা রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এখানে তিনি গাইনি, সার্জারি ওয়ার্ডসহ বেশকিছু ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শেষে মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে ডাক্তার কম থাকে। তাই ছুটির এই সময়ে যাতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত না হয় এবং রোগীরা যাতে সেবা পায় সে বিষয়ে সারাদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ ঈদের দিনে কোনো নির্ধারিত পরিদর্শন নয়। রোগী ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের উৎসাহ প্রদানের জন্যই হাসপাতালে আসা। ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে কাটিং ইনজুরির রোগীই বেশি। মাংস কাটাকাটি করতে গিয়েই এই ইনজুরি। এজন্য তিনি সকলকে সাবধানে মাংস কাটাকাটি করতে অনুরোধ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রাসেলস ভাইপারের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে
দেশে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ আতঙ্ক ছড়ালেও নেই পর্যাপ্ত প্রতিষেধক। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টার। সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষধর এ সাপের প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। দেড় বছর আগে শুরু হওয়া এ গবেষণায় এরইমধ্যে প্রথম ধাপে মুরগি ও ছাগলের ওপর পরীক্ষাও চালানো হয়েছে।
এদিকে, রাসেলস ভাইপার অনেকটা নিরীহ ও অলস প্রকৃতির সাপ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিপদ না দেখলে নিজ থেকে তেড়ে এসে কামড়ায় না সাপটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা।
বিষের তীব্রতার দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ চন্দ্রবোড়া, যা রাসেলস ভাইপার নামেও পরিচিত। কিন্তু দেশে এই সাপের বিষের শতভাগ কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক নেই। বাংলাদেশের বিষধর সাপের বিষ ভারতীয় সাপের থেকে আলাদা। তাই অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় সাপের প্রতিষেধক পুরোপুরি কার্যকর হয় না। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির কাজ করছেন একদল গবেষক। এক বছর আগে শুরু হওয়া গবেষণায় এরইমধ্যে মুরগি ও ছাগলের ওপর চালানো হয়েছে পরীক্ষা। এ বছরের শেষদিকে সবকিছু ঠিক থাকলে পরীক্ষা চালানো হবে ইঁদুরের ওপরে। এই পরীক্ষা সফল হলে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে বলে জানান ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সমন্বয়ক ডা. আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদ বলেন, রাসেলস ভাইপারের বিপরীতে আমরা একটি এন্টিবডি তৈরি করতে যাচ্ছি। মুরগি ও ছাগলের ওপরে এরইমধ্যে পরীক্ষা করেছি। এ বছরের শেষ দিকে ইঁদুরের ওপরে চালানো হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ আমরা আমাদের গবেষণা শেষ করতে পারব।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক আব্দুল আওয়াল বলেন, আতঙ্ক তৈরি হয় মানুষের মনের ভয় থেকে। অন্ধকার ঘরে সাপ মানে সব জায়গায় সাপ। বাংলাদেশে এখন মনে হচ্ছে সাপ মানে শুধুই রাসেলস ভাইপার। এন্টিভেনমের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন নয়। বাংলাদেশের এন্টিভেনম, ভারতের এন্টিভেনম। আমাদের এখান থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতে এন্টিভেনম তৈরি হচ্ছে। যতই ভৌগোলিকভাবে আমরা দূরে যাচ্ছি, এন্টিভেনমের সক্ষমতা কমে যায়। যখন আমরা বাংলাদেশের সাপের ওপরে বাংলাদেশের তৈরি এন্টিভেনম ব্যবহার করতে পারব, তখন এর কার্যক্ষমতা থাকবে শতভাগ।
এদিকে, ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহযোগী গবেষক মো. নোমান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রাসেলস ভাইপার নিয়ে কাজ করছি। রাসেলস ভাইপার অনেকটা নিরীহ ও অলস প্রকৃতির সাপ। যে জায়গায় থাকে সে জায়গার মধ্যেই থাকতে পছন্দ করে। নিজে তেড়ে এসে কামড় দেয়ার প্রবণতা কম। ঝুঁকি ও মানুষের সংস্পর্শের মাধ্যমে বিপদ মনে করলেই কামড় দেয়ার চেষ্টা করে শুধু।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কারণে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক বেড়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা।
আরেক গবেষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, একটা গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের দায়িত্বহীনতার পরিচয়ের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একই ছবি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যে অঞ্চলটিতে রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি নেই, তখন আশপাশে যে নির্বিষ সাপ রয়েছে, যে কোন সাপকেই মনে করা হচ্ছে রাসেলস ভাইপার। সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ২৭টিতেই রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে গবেষণার জন্য পঞ্চাশটি রাসেলস ভাইপার সাপ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
বন্যাকবলিত এলাকার চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা
সিলেটসহ দেশের বন্যাকবলিত এলাকার চিকিৎসকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি সিলেটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জরুরি নির্দেশনা দেন।
বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও বন্যাকবলিত এলাকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের কয়েক জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মুজত রাখতে হবে।
বন্যাকবলিত এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্যা পরবর্তী চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। আজ ভোর ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় সিলেটে ৮২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সঙ্গে পাহাড়ি ঢল মিলিয়ে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার প্রায় ৭ লাখ মানুষ বন্যাক্রান্ত হয়েছেন। তিন নদী ৫ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানেও পানিবন্দি আছেন অনেক মানুষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
মানসম্পন্নহীন ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের যেসব ক্লিনিকের অনুমোদন নেই বা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো মানসম্পন্ন নয় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসাসেবার মান উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নব নির্মিত মুজিব কর্নারের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চাপ অনেক কমে আসবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এনসিডি কর্নার অর্থাৎ নন-কমিউনিকুল ডিজিজ কর্নারের ওপর বিশেষ ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে রোগীদের রক্ত চাপ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসার নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এই সেবা চালু করলে দেশের বড় বড় হাসপাতালগুলোতে আর রোগীদের যেতে হবে না। স্থানীয়ভাবেই তারা জটিল রোগসহ সব ধরনের রোগের আধুনিক সেবা পাবেন।
ভুল চিকিৎসায় প্রায় অহরহ রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের যেসব অনুমোদনহীন বেসরকারি ক্লিনিক বন্ধ করার পাশাপাশি চেতনানাশক এনেসথেসিক ড্রাগস হেলোথন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত দুইদিন আগে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ হেলোথন ড্রাগস বিক্রি করলে, কোনো হাসপাতালে ব্যবহার করলে এবং কোনো চিকিৎসক এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ঈদে জরুরি সেবায় থাকবেন ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী
আগামীকাল ১৭ জুন দেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা। এবার ঈদের ছুটিতে হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল আজহার ছুটি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছেন ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। আর বাকি ৪০ শতাংশ ছুটি চলাকালীন চিকিৎসাসেবা নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ ব্যবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন। এসময়ে প্রতিদিন তদারকি করবেন ইউনিট প্রধান।
অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ৬৫৪টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে ৩০ হাজার ২৭৩ জন চিকিৎসকসহ ৭৮ হাজার ৩০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী কর্মরত রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ঈদে জরুরি সেবা নিশ্চিতে কর্মস্থলে থাকবেন।
এ বিষয়ে কথা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ৪০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী ঈদে কর্মরত থাকবেন। এ বিষয়ে হাসাপাতালগুলোকে জরুরি রোস্টার করতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে যায়। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়া খুব বেশি চাপ তৈরি হয় না।
অন্যদিকে, ঈদুল আজহার ছুটিতে হাসপাতালে জরুরিসেবা নিশ্চিতে ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে জরুরি নির্দেশনা
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রবিবার শুরু হচ্ছে ছুটি। এরই মধ্যে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ছুটি চলাকালীন মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে দেশের সব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখাসহ ১৪টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ছুটিকালীন কর্মস্থলে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে জনবলকে পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।
২. প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরবচ্ছিন্ন জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ও জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অনুকূলিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করবেন।
৩. সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে শুধু ঈদের ছুটিকালীন নিজ জেলার মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় জনবল সমন্বয় করতে পারবেন।
৪. জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমারজেন্সি ওটি সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৬. অন্তঃ বিভাগে ইউনিট প্রধানরা প্রতিদিন তদারকি করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব, এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৭. ছুটি শুরুর আগেই ছুটিকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আই ডি ফ্লুয়িড কেমিক্যাল রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুত ও তাৎক্ষণিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্টোর কিপার অথবা ছুটিকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন।
৮. অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
৯. ছুটিকালীন হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আগাম পত্র দিতে হবে।
১০. প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছুটিকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিন কুশল বিনিময় করবেন।
১১. প্রতিষ্ঠান প্রধান ছুটি নিলে অবশ্যই বিধি মোতাবেক কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যাবেন এবং দায়িত্ব গ্রহণকারী কর্মকার্তা সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
১২. প্রতিষ্ঠান প্রধান ঈদের দিন রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
১৩. পশুর হাটের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য স্থাপনাগুলোতে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে।
১৪. জাতীয় ঈদগাহ ও অন্য জেলাগুলোর ঈদগাহে (চাহিদা অনুযায়ী) মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে।