সারাদেশ
ভারি বর্ষণে জলমগ্ন সিলেট, ম্লান ঈদ আনন্দ
![ভারি বর্ষণে জলমগ্ন সিলেট, ম্লান ঈদ আনন্দ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/kk.jpg)
সারা দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। খুশির এই দিনে সিলেটে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে জলমগ্নতার কবলে পড়ে। কারও ঘরে কোমর পানি আবার কারও ঘরে হাঁটু সমান পানি যেন কেড়ে নিয়েছে পুরো ঈদের আনন্দ।
রোববার (১৬ জুন) মধ্যরাত থেকে সিলেটে শুরু হওয়া অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সোমবার (১৭ জুন) ভোর থেকে পানির নিচে তলিয়ে যায় সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা।
মুষলধারায় ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। শহরতলীর মেজরটিলা এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। রোববার রাত থেকে অনেকটা গৃহবন্দি ওইসব এলাকার মানুষ। এ ছাড়া নগরীর উপশহর, দরগাহ মহল্লা, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘির পাড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকার দোকানপাট, রাস্তাঘাট ও বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঈদের জামাত পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের।
এদিকে বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৭৯ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে ৬৭ সেন্টিমিটার ও সারিঘাটের সারি নদীতে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৮৬ মিলিমিটার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
রাসেলস ভাইপারের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে
![রাসেলস ভাইপারের প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/rasel-viper.jpg)
দেশে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ আতঙ্ক ছড়ালেও নেই পর্যাপ্ত প্রতিষেধক। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টার। সাম্প্রতিক সময়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষধর এ সাপের প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। দেড় বছর আগে শুরু হওয়া এ গবেষণায় এরইমধ্যে প্রথম ধাপে মুরগি ও ছাগলের ওপর পরীক্ষাও চালানো হয়েছে।
এদিকে, রাসেলস ভাইপার অনেকটা নিরীহ ও অলস প্রকৃতির সাপ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিপদ না দেখলে নিজ থেকে তেড়ে এসে কামড়ায় না সাপটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা।
বিষের তীব্রতার দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ চন্দ্রবোড়া, যা রাসেলস ভাইপার নামেও পরিচিত। কিন্তু দেশে এই সাপের বিষের শতভাগ কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক নেই। বাংলাদেশের বিষধর সাপের বিষ ভারতীয় সাপের থেকে আলাদা। তাই অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় সাপের প্রতিষেধক পুরোপুরি কার্যকর হয় না। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির কাজ করছেন একদল গবেষক। এক বছর আগে শুরু হওয়া গবেষণায় এরইমধ্যে মুরগি ও ছাগলের ওপর চালানো হয়েছে পরীক্ষা। এ বছরের শেষদিকে সবকিছু ঠিক থাকলে পরীক্ষা চালানো হবে ইঁদুরের ওপরে। এই পরীক্ষা সফল হলে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে বলে জানান ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সমন্বয়ক ডা. আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদ বলেন, রাসেলস ভাইপারের বিপরীতে আমরা একটি এন্টিবডি তৈরি করতে যাচ্ছি। মুরগি ও ছাগলের ওপরে এরইমধ্যে পরীক্ষা করেছি। এ বছরের শেষ দিকে ইঁদুরের ওপরে চালানো হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ আমরা আমাদের গবেষণা শেষ করতে পারব।
ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক আব্দুল আওয়াল বলেন, আতঙ্ক তৈরি হয় মানুষের মনের ভয় থেকে। অন্ধকার ঘরে সাপ মানে সব জায়গায় সাপ। বাংলাদেশে এখন মনে হচ্ছে সাপ মানে শুধুই রাসেলস ভাইপার। এন্টিভেনমের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন নয়। বাংলাদেশের এন্টিভেনম, ভারতের এন্টিভেনম। আমাদের এখান থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতে এন্টিভেনম তৈরি হচ্ছে। যতই ভৌগোলিকভাবে আমরা দূরে যাচ্ছি, এন্টিভেনমের সক্ষমতা কমে যায়। যখন আমরা বাংলাদেশের সাপের ওপরে বাংলাদেশের তৈরি এন্টিভেনম ব্যবহার করতে পারব, তখন এর কার্যক্ষমতা থাকবে শতভাগ।
এদিকে, ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহযোগী গবেষক মো. নোমান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে রাসেলস ভাইপার নিয়ে কাজ করছি। রাসেলস ভাইপার অনেকটা নিরীহ ও অলস প্রকৃতির সাপ। যে জায়গায় থাকে সে জায়গার মধ্যেই থাকতে পছন্দ করে। নিজে তেড়ে এসে কামড় দেয়ার প্রবণতা কম। ঝুঁকি ও মানুষের সংস্পর্শের মাধ্যমে বিপদ মনে করলেই কামড় দেয়ার চেষ্টা করে শুধু।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কারণে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক বেড়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা।
আরেক গবেষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, একটা গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের দায়িত্বহীনতার পরিচয়ের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একই ছবি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যে অঞ্চলটিতে রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি নেই, তখন আশপাশে যে নির্বিষ সাপ রয়েছে, যে কোন সাপকেই মনে করা হচ্ছে রাসেলস ভাইপার। সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ২৭টিতেই রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে গবেষণার জন্য পঞ্চাশটি রাসেলস ভাইপার সাপ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে পুকুরে তিন ঘণ্টা ডিবির অভিযান
![গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে পুকুরে তিন ঘণ্টা ডিবির অভিযান সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/db.jpg)
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে তার ফেলে দেওয়া মোবাইলসহ আলামত উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান শেষ হয়েছে।
ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযমের নেতৃত্বে বুধবার (২৬ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলেদেরকে পুকুরে নামিয়ে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও কোনো আলামত উদ্ধারের তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বলেন, বেলা ১১টা থেকে গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারসহ আলামত উদ্ধার অভিযান দুপুর ২টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আপাতত উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে কিছু মিলেছে কিনা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলতে পারবেন।
এদিকে উদ্ধার অভিযান পরিদর্শনে দুপুর ১২টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। সেখান থেকে ঘটনাস্থল গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে সকালে জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে আনা হয় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে। তাকে সঙ্গে নিয়ে শহরের পায়রা চত্বরের উত্তর পাশের একটি পুকুরে জেলে নামিয়ে ফেলে দেওয়া মোবাইল উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক অভিযান শেষে করে পরে শহরের স্টেডিয়াম এলাকার অপর একটি পুকুরে অভিযান চালান তারা। সেখানে অভিযানের একপর্যায়ে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, এ হত্যায় মোট ৭ জন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৫ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তারা সাগরে বা মাটির নিচে যেখানেই থাকুক না কেন আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। কোনো ভালো মানুষকে হয়রানি করা হবে না এবং অভিযুক্ত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গ্যাস বাবুকে নিয়ে তার ফেলে দেওয়া মোবাইল তিনটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএমপির সহকারী কমিশনার (ডিবি) মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযম, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম উল আহসানসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে গ্যাস বাবুকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আটক বাবু ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভূঁইয়ার নিকটাত্মীয় এই বাবু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুন
![বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে আগুন সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/fire-in-narayanganj1.jpg)
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে আগুন লেগেছে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে মেঘনা ডিপোর পেছনে নদীতে ট্রলারটিতে আগুন লাগে।
এ সময় ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। আগুনে প্রায় সব তেলবাহী ড্রাম বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শব্দে মসজিদ, বাসাবাড়ি, সংলগ্ন থানাসহ আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।
মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, চারজন শ্রমিক ট্রলারে করে তেল নিয়ে ভোলার মনপুরায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আগুন লাগে। চার শ্রমিকের মধ্যে একজন নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চলমান রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত জল্লাদ শাহজাহান
![পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত জল্লাদ শাহজাহান সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/jollat-sahajahan-2.jpg)
টানা ৩২ বছর কারাগারে থাকা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়ার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাদ আসর তার নিজ গ্রাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সাধুর বাজার সংলগ্ন একটি মাঠে জানাজার পর ইছাখালী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৪ জুন) ভোরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জল্লাদ শাহজাহানের মৃত্যু হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের খামখেয়ালির কারণে গতকাল মরদেহ নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত করিয়ে দুপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, সাভারের হেমায়েতপুরের কাশেম আলীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জল্লাদ শাহজাহান। সেখানে সোমবার ভোররাতে তার বুকে ব্যথা ওঠে। পরে ভোর ৪টার দিকে বাড়ির মালিক তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ ঘাতক, ৬ জন যুদ্ধাপরাধী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, জঙ্গি নেতা বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানী, শারমীন রীমা হত্যার আসামি খুকু মনির, ডেইজি হত্যা মামলার আসামি হাসানসহ আলোচিত ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন শাহজাহান। ২০০১ সাল থেকে তিনি ফাঁসি কার্যকর শুরু করেন।
শাহজাহান ভূঁইয়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম হাছেন আলী ভূঁইয়া। নানান অপরাধে গ্রেপ্তারের পর শাহজাহান ১৯৯১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে যান। ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। ৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসার করার পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পদ্মায় গোসলে নেমে দুই ভাইসহ ৩ শিশুর মৃত্যু
![পদ্মায় গোসলে নেমে দুই ভাইসহ ৩ শিশুর মৃত্যু সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/nodi.jpg)
পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে আপন দুই ভাই ছাব্বির হোসেন (১৪) ও সিয়াম হোসেন (১০) এবং তাদের বন্ধু নূর হোসেন (১০) পানিতে ডুবে মারা গেছেন। আজ সোমবার দুপুর দুইটার দিকে পাবনা সদরের ভাদুড়িয়াডাঙি উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের ভাদুরিয়া ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুন গোহাইলবাড়ী এলাকার আলাল প্রামাণিকের দুই ছেলে ও নতুন বাজার উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির হোসেন ও তার ভাই গোহাইল বাড়ি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন এবং তাদের বন্ধু চরতারাপুর ইউনিয়নের আটঘরিয়াপাড়া গ্রামের ইসলাম সরদারের ছেলে কাঁচিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নূর হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশের একটি আম গাছের সঙ্গে কয়েকজন আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙাচ্ছিল। রোদের সময়ে পতাকা টাঙাতে নিষেধ করা হলে তখন তারা গাছ থেকে নেমে এসে বাড়ি থেকে গামছা নিয়ে নদীতে গোসল করতে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে জীবিত উদ্ধার করেন। অপর তিনজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ছোট দুজনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় ভাই ছাব্বিরেরও মৃত্যু হয় বলে জানান তারা।
স্থানীয়রা আরও জানান, উঁচু নিচু হয়ে থাকা বালুর স্তুপের ওপর দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বালু ধ্বসে পানিতে দ্রুত ডুবে যায় তারা। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী জানান, একসঙ্গে গোসলে নেমে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে তাই সন্তানদের দেখে রাখতে হবে অভিভাবকদের।
কাফি