আন্তর্জাতিক
পারিশ্রমিক ছাড়াই মক্কায় মসজিদের নকশা করেন তিনি

মসজিদ আল-হারাম ও আন-নাবাওয়ি (মসজিদে নববি হিসেবেও পরিচিত) মসজিদের নকশা এবং তা পুন:নির্মাণ করেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল ইসমাইল। তিনিই প্রথম প্রকৌশলী হিসেবে হারামাইন শরীফাইনের সব রকম নকশা ও পুন:নির্মাণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়ে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও অসাধারণ দক্ষতা থাকলেও, এই কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজটি সম্পূর্ণ করার জন্য তিনি কোনো রকম পারিশ্রমিক নিতে অস্বীকার করেন।
রাজা ফাহাদ এবং বিন লাদেন কোম্পানি চেষ্টা করেও তার তৈরি করা নকশা ও নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানের জন্য তাকে এক পয়সাও দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমি কেন পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র জায়গায় কাজ করার জন্য টাকা নেব, তাহলে শেষ বিচারে আমি আল্লাহকে কী জবাব দেব?
তার পুরোটা জীবন বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনকে গোপনীয় রাখতে পছন্দ করতেন। এ কারণে তার বেশিরভাগ সময় কাটত ইবাদত করে।
তিনি যখন মসজিদ আল-হারাম ও মসজিদ আন-নাবাওয়ির নকশা ও পুন:নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন সেসময় তার বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। এরপর তিনি তার বাকি জীবন পুরোটা এসব পবিত্র জায়গায় কাজ করে কাটিয়ে দেন এবং সেটা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে কিছু না জানিয়েই।
১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করা এই ব্যক্তি মিশরের হাইস্কুল থেকে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং সবচেয়ে কম বয়সে লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ইউরোপে যান ইসলামিক স্থাপত্যকলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের জন্য।
তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ৪৪ বছর বয়সে। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন, এরপর তিনি আর কখনো বিয়ে করেননি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নিজেকে আরাধনার কাজে সমর্পণ করেন।
মোহাম্মদ কামাল ১০০ বছরের বেশি সময় বেঁচে ছিলেন।
আল হারাম ও আন-নাবাওয়ির অসাধারণ নকশা ছাড়াও, ভবনগুলো পুন:নির্মাণে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে তা ছিল খুবই দুষ্প্রাপ্য।
যদি এসব পবিত্র জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দেখবেন সৌদি আরবে যতই গরম পড়ুক, আল হারাম মসজিদের মেঝে স্পর্শ করলেই ঠাণ্ডা লাগে। যে কারণে এই মেঝেটা সবসময় ঠাণ্ডা থাকে তা হলো এতে সাদা মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্নো হোয়াইট মার্বেল খুবই দুষ্প্রাপ্য, যা লেবানন থেকে আনা হয়।
ড. মোহাম্মদ কামাল গ্রীসে গিয়ে আরেকটা দুষ্প্রাপ্য মার্বেল পাথর কিনে আনেন যা কিনা অস্বাভাবিক উজ্জ্বল এবং এর সাদা রং গরম আবহাওয়ায় ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।
যখন আন-নাবাওয়ি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয় সেই সময় সৌদি আরবের বাদশা ড. কামালকে স্নো হোয়াইট মার্বেল ব্যবহার করতে বলেন।
মসজিদ আল-হারাম বা মক্কার মসজিদ, ইসলামের পবিত্রতম স্থান যা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত।
ইতিহাসে অসংখ্যবার এটির আকার বর্ধিত করা হয়, যাতে প্রতি বছর হজ্জ ও উমরাহ পালনের জন্য আসা অসংখ্য মুসল্লিদের এতে জায়গা দেয়া যায়।
বাদশাহ ফাহাদের সময়কালে এটিকে বর্ধিত করার পর মসজিদটির পুরো এলাকার আয়তন দাঁড়িয়েছে তিন লক্ষ ৫৬ হাজার ৮০০ বর্গমিটার।
সাধারণ সময়ে এটি আট লক্ষ ২০ হাজার মুসল্লিকে জায়গা দিতে সক্ষম। তবে হজের সময় কিংবা মুসলিমদের পবিত্র মাস রমজানে এখানে ১০ লাখেরও বেশি মুসল্লি জায়গা পেয়ে থাকেন।

আন্তর্জাতিক
রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল

ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল হয়েছে। যা এখন সব রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।
রাশিয়ার ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্টসোভা ইস্টার্ন অর্থনৈতিক ফোরামে এ ঘোষণা দেন চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই চলতি মাসেই বাজারে আসবে এন্টারোমিক্স। রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটিই প্রথম ক্যানসারের কোনো টিকা, যা তৈরি করা হয়েছে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ক্যানসার একটি শব্দ, যা শোনার পর মুহূর্তেই বদলে যায় জীবনের চালচিত্র। দীর্ঘদিন ধরে অনিরাময়যোগ্য রোগ হিসেবে ধরা হয় এই ক্যানসারকে। তবে উন্নত চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে এই রোগের ভীতি অনেকটাই কমেছে মানুষের মন থেকে। এখন ক্যানসার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
তেমনই ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন যুগের সূচনা দেখিয়েছে রাশিয়া। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল মেডিকেল রিসার্চ রেডিওলজিক্যাল সেন্টার এবং ইনস্টিটিউট অব মলিকুলার বায়োলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই রোগের নতুন টিকা। ইতিমধ্যে ট্রায়ালে এন্টারোমিক্স নামের টিকাটি শতভাগ সাফল্য দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
এন্টারোমিক্স হবে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা প্রথম টিকা। এমআরএনএ হলো এক ধরনের প্রোটিন, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনার টিকাও তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
গবেষণা অনুযায়ী টিকাটি ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায় এবং মধ্যম পর্যায়ের জন্য বেশি কার্যকর। এ ছাড়া এটি শুধু ক্যানসার কোষ ধ্বংসই নয়, বড় আকারের টিউমারও উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করে দেয়।
টিকা গ্রহণকারীদের শরীরেও কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানানো হয়েছে। এখন শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৪ শতাধিক

যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেছেন হাজারও মানুষ। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির পরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খবর আলজাজিরা।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সমাবেশের আয়োজনকারী প্রচারণা গোষ্ঠী ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস জানিয়েছে, লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভে প্রায় ১,৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন। সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই তারা রাস্তায় নামেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং তাদের মাটিতে ফেলে দেয়।
অন্যদিকে, তারা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখার জন্য গণহারে গ্রেপ্তার করে। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি। আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস এক্স-এ সংঘর্ষের ভিডিওসহ একটি পোস্টও করেছে। সেখান থেকে লন্ডন পুলিশ ৪২৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বিক্ষোভের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং গ্রেপ্তারের পর একজন বিক্ষোভকারীর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারেন তারা। এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি, একজন পুলিশ অফিসারকে আক্রমণ করা এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য ৪২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পার্লামেন্ট স্কোয়ারে ডিফেন্ড আওয়ার জুরিসের বিক্ষোভে পুলিশ অফিসাররা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৌখিক নির্যাতনের পাশাপাশি পুলিশকে ঘুষি, লাথি, থুতু এবং জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য নতুন নিয়ম

মালয়েশিয়ায় ভ্রমণকারীদের বিষয়ে নতুন নিয়ম করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এতে বলা হয়েছে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত সময় মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জরিমানার বিধান কার্যকর করা হবে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জোহরের সেকোলা কেবাংসান রামবং পুলাইতে ইমিগ্রেশন বিভাগের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন ইসমাইল।
তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করা এবং মামলা আদালতে না নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে, ৯০ দিনের বেশি অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে।
জরিমানার নতুন কাঠামো:
১ থেকে ৩০ দিন অতিরিক্ত অবস্থান করলে প্রতিদিন ৩০ রিঙ্গিত জরিমানা, সর্বোচ্চ ৯০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত। ৩১ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা। ৬১ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করলে ২,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা। ৯০ দিনের বেশি অবস্থান করলে তদন্ত পত্র খোলা হবে।
মন্ত্রী জানান, এই পদক্ষেপে বিচারের সময়কাল ১৪ দিন থেকে কমে মাত্র এক দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে অভিবাসন ডিপোতে ভিড়ও কমবে। তবে দুর্ঘটনা, বন্যা বা অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো যুক্তিসঙ্গত কারণে দেশে ফিরতে না পারা ব্যক্তিদের জন্য শিথিলতার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এদিকে, ইমিগ্রেশন বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩৫ হাজার ২২৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দেশব্যাপী ৯ হাজার ৫০০টি অভিযান চালানো হয়, যেখানে ১ লাখ ৫২ হাজার বিদেশিকে চেক করা হয়।
আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ইন্দোনেশীয়, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের মধ্যে কেউ বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছিলেন, কেউ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করেছেন, আবার কেউ বৈধ পাসপোর্ট বা কাজের অনুমতির অপব্যবহার করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৩৯৫ জন নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে।
এছাড়া, ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৫৭ জন বিদেশিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আটকাদেশ, ফেরত পাঠানোর আদেশ এবং বিমানের টিকিট সংগ্রহের ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় ৩৪ বাংলাদেশিসহ ৯৪ জন আটক

মালয়েশিয়ার জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ বৃহৎ অভিযান চালিয়ে ৩৪ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইস্কান্দার পুটেরি ও কুলাই এলাকায় একযোগে ৪৩টি স্থানে অভিযান চালায় জোহর বাহরু ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ সময় মোট ১৯৯ জনকে তল্লাশি করে ৯৪ জনকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জোহর ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস জানান, অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন অ্যাকশন ইউনিট এবং মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (AKPS)–এর কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ৩৮ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ১৫ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, ১২ জন মিয়ানমারের পুরুষ, ৬ জন পাকিস্তানি পুরুষ, ৪ জন ভারতীয় পুরুষ, ২ জন ভিয়েতনামী পুরুষ, ১ জন নেপালি পুরুষ, ১ জন থাই পুরুষ, ১০ জন মিয়ানমারের নারী এবং ৫ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে।
ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩–এর ধারা ৬ (১ ) (সি) ও ১৫ (১) (সি), এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩–এর ধারা ৩৯ (বি) ভঙ্গের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৫৬ (১) (ডি) অনুযায়ী দুইজন স্থানীয় নাগরিক এবং একজন প্রাঙ্গণ ব্যবস্থাপককে ধারা ৫৫ই–এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের আরও তদন্তের জন্য সেতিয়া ট্রপিকানা ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় ও নিয়োগ না দেওয়ার জন্য নিয়োগকর্তাদের প্রতি কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশি কর্মী নিয়োগে কোনো পক্ষ পরিচালনায় সক্ষম দাবি করলে তার সঠিক তথ্য অফিস থেকে যাচাই করতে নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে থাইল্যান্ড তাদের গত দুই বছরের মধ্যে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পেল। দেশটির পার্লামেন্ট সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আনুতিন চার্নভিরাকুলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এর আগে, দেশটির ক্ষমতা থেকে আরেক প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করা হয়।
পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, তাকে গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত অপসারণ করে। আদালতের মতে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির সময় তিনি নৈতিকতার লঙ্ঘন করেছেন। এরপরই আনুতিনের দল ভূমিজাইথাই সিনাওয়াত্রাদের দল ফেউ থাই-এর নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে আসে এবং পার্লামেন্টে যথেষ্ট সমর্থন জোগাড় করে প্রধানমন্ত্রীর পদ জিতে নেয়।
তবে এই নির্বাচন সত্ত্বেও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। দেশটিতে বারবার সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
আনুতিনের ক্ষমতায় আসা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পায়েতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই পরিবারটিই থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যক্তিগত বিমানে করে থাকসিনের দেশ ছাড়ার খবর ঘিরে থাইল্যান্ডে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালে থাকসিন সামাজিক মাধ্যমে জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন। তবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন, কারণ ওই দিন একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে, ফলস্বরূপ তাকে আবারও জেলে যেতে হতে পারে।
থাকসিনের দল ফেউ থাই, ২০২৩ সালের নির্বাচনে একটি প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল, এখন ক্ষমতার বাইরে। তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে একমাত্র অবশিষ্ট ছিলেন চাইকাসেম নিতি, যিনি জনসমক্ষে খুব বেশি পরিচিত নন এবং শারীরিকভাবেও অসুস্থ।
অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্ন আয়ের থাই জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেলেও ব্যাংককের রক্ষণশীল-রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। থাকসিন এবং তার বোন ইংলাক, যারা তার পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, যথাক্রমে ২০০৬ এবং ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন।