খেলাধুলা
সিঙ্গাপুরকে ৭ গোলে হারিয়ে শূভ সূচনা বাংলাদেশের
![সিঙ্গাপুরকে ৭ গোলে হারিয়ে শূভ সূচনা বাংলাদেশের সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/m.jpg)
একই সঙ্গে সিঙ্গাপুরে হচ্ছে এএইচএফ কাপ জুনিয়র হকির ছেলে ও মেয়েদের প্রতিযোগিতা। শনিবার বাংলাদেশের মেয়েরা থাইল্যান্ডকে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছেন।
রোববার ছেলেরাও করেছে উড়ন্ত সূচনা। স্বাগতিক সিঙ্গাপুরকে হারিয়েছে ৭-০ গোলে।
বাংলাদেশ প্রথম কোয়ার্টারে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগে স্কোর করে ৫-০। তৃতীয় কোয়ার্টারে ২ গোল করতে পারলেও শেষ কোয়ার্টারে কোনো গোল যোগ করতে পারেনি। ফলে বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে ৭-০ গোলের জয় নিয়ে।
৭ গোলের পাঁচটিই করেছেন আমিরুল ইসলাম। অন্য দুই গোল করেছেন রকিবুল ও জয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন আমিরুল ইসলাম। ছেলেরা পরের ম্যাচ খেলবে সোমবার শ্রীলংকার বিপক্ষে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
খেলাধুলা
চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
![চিলিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Lionel-Messi1.jpg)
২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের মাঠে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আর্জেন্টিনার। ওই ম্যাচটির পর হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন লিওনেল মেসি। যদিও পরবর্তীতে অবসর ভেঙে ফিরে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ট্রফিটি নিজের ঘরে তুলেন তিনি। তারপরও এই স্টেডিয়ামটি যেন আর্জেন্টাইনদের কাছে দুঃস্বপ্নের। অবশেষে এবার সেই স্টেডিয়ামেই চিলিয়ে হারিয়ে পুরনো প্রতিশোধ নিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব।
বুধবার (২৬ জুন) চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে ১-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ। যদিও খেলার শুরুতে বল দখলে ছিল আর্জেন্টিনার। তবু সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে পারেনি দলটি। খেলার ২২ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। কিন্তু চিলির গোলরক্ষক ব্রাভোকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন নিকো গঞ্জালেজ। কিন্তু এবার তার দেওয়া হেড ঠেকিয়ে দেন চিলির গোলরক্ষক। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ডি পলের বাড়ানো বলে ডি-বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে মেসির দ্রুতগতির শট একটুর জন্য জালের দেখা পায়নি। পরে বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ না হওয়ায় দু’দলকে গোল শূন্যতেই বিরতিতে যেতে হয়।
বিরতি শেষে আবারও আক্রমণ বাড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু কোনোভাবেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না দলটি। ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোলের আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। বাঁ-দিক থেকে নিকো গঞ্জালেজের বাঁ-পায়ের জোরালো শট ব্রাভোর হাতস্পর্শ করে গোলপোস্টে লাগে।
খেলার ৭২ মিনিটে চিলি সুযোগ পেলেও তা সফল হতে দেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। এবারও চিলির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান এমি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মেসির কর্নার থেকে কাঙ্ক্ষিত সেই গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। তার গোলের সুবাদে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসেলেস্তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপে বাদ পড়েও কত টাকা পেলো বাংলাদেশ
![বিশ্বকাপে বাদ পড়েও কত টাকা পেলো বাংলাদেশ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/bd-team-2.jpg)
নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ আটে প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পরও টাইগারদের সামনে সেমিফাইনালের হাতছানি ছিল। আফগানিস্তানকে সমীকরণ মিলিয়ে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়তো টাইগাররা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যেত টিম টাইগার্স।
শেষ চারের লক্ষ্যে আজ (মঙ্গলবার) কিংস্টনে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন টাইগার বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ১১৫ রানেই রশিদ খানদের আটকে রাখে বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো শান্তদের।
সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচই জিততে পারেনি টিম টাইগার্স। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ারও।
বিশ্বকাপ থেকে কত টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এবার রেকর্ড প্রাইজমানি ঘোষণা করেছিল আইসিসি। সর্বমোট প্রাইজমানি ১১.২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। আগের আসরে সেটা ছিল ৫৬ লাখ ডলার বা ৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আসরের চেয়ে এবার প্রায় দিগুণ বরাদ্দ দিয়েছে আইসিসি।
এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় তারা পাবে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রাখা হয়েছে ১.২৮ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল পাবে ৭, ৮৭, ৫০০ মার্কিন ডলার বা ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া সুপার এইট থেকে বাদ পড়া চার দল পাবে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ শুধু প্রাইজমানি হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছে।
পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য দলগুলো পাচ্ছে ৩১ হাজার ১৫৪ ডলার। সে হিসেবে তিন ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ পাচ্ছে ৯৩ হাজার ৪৬২ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৩ টাকার সমান। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬২ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকারও বেশি। এর বাইরে ম্যাচ ফি, ম্যাচসেরার পুরস্কারসহ অন্যান্য আয় তো থাকছেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শান্ত
![ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শান্ত সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/shanto-bd-cric-1.jpg)
গ্রুপ পর্ব থেকে তিন ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো আসরে এটাই টাইগারদের সর্বোচ্চ জয়। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ হয়ে গেল একদম অচেনা। তিন ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে তারা। শেষ ম্যাচে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১১৫ রানও তাড়া করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
পুরো টুর্নামেন্টে দলের ফলে সন্তুষ্ট নন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানদের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার মতে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে খারাপ করেছে দল। শান্ত বললেন, ‘সব মিলিয়ে টুর্নামেন্ট নিয়ে বলব, আমরা দল হিসেবে পুরো বাংলাদেশের সমর্থকদের হতাশ করেছি। যারা আমাদের খেলা দেখেন, সব সময় আমাদের সমর্থন করেন, তাদের আমরা হতাশ করেছি। আমি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী। ব্যাটিং গ্রুপ আমরা দেশের মানুষকে ওইরকম ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা দুঃখিত।’
ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে শান্ত বলেছেন, ‘আমরা ব্যাটিং গ্রুপ হিসেবে দেশের মানুষকে ভালো কিছু দিতে পারিনি। এটার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। সামনের দিকে আমাদের এটাই চেষ্টা থাকবে, কীভাবে এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি।’
সমর্থনের যোগ্য প্রতিদান দিতে না পারলেও তাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না বলে জানান শান্ত, ‘ইতিবাচক দিক অবশ্যই বোলাররা খুবই ভালো বোলিং করেছে। রিশাদ এরকম একটা প্রতিযোগিতায় এসে সবগুলা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। তো বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। তবে ব্যাটিংয়ের দিক থেকে আমরা সমর্থকদের হতাশ করেছি। দেশের মানুষকে আমরা বলতে গেলে কষ্ট দিয়েছি। তবে এটাও আমি বলতে চাই, চেষ্টার কমতি ছিল না। শতভাগ দিয়ে সবাই চেষ্টা করেছে। সবাই নিজের কাজে সৎ ছিল। তবে দিন শেষে আমরা পারিনি। তাই এটার জন্য দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছি।’
আফগানদের কাছে হারটা মেনে নিতে পারছেন না শান্ত। ৮ রানের এই হার বাংলাদেশের অধিনায়ককে ভীষণ পোড়াচ্ছে, ‘হার অনেক হতাশার এবং অনেক কষ্টেরও। এই ম্যাচ খেলতে আসার আগে সবারই পরিকল্পনা ছিল ম্যাচটা আগে আমরা জিতবো। কিন্তু যদি সে রকম পরিস্থিতি হয়, ওই সুযোগটা আমরা নেবো (সেমিফাইনালের সমীকরণ)। যেটা আমাদের হাতে ছিল, সেটা নিতে পারিনি। পুরো ব্যাটিং গ্রুপই বাজে বাজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সেমিতে যাওয়ার সুযোগের ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ
![সেমিতে যাওয়ার সুযোগের ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/bangladesh-team1.jpg)
বাংলাদেশকে সেমিতে যেতে হলে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো। সেটা তো দূরের কথা ম্যাচই জিততে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান। তাতে সুপার এইট থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার কিংস্টনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে আফগানিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ম্যাচের মাঝে বৃষ্টি হানা দিলে ডিএলএসে বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪ রানে। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ৫ বলে ১০৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। উইকেটে এসেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাভিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ বলে ৫ রান।
পরের বলেই সাকিব আল হাসানকেও ফিরিয়েছেন নাভিন। চারে নেমে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একাদশে ফেরা সৌম্য ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল খেলে করেছেন ১০ রান।
তাওহিদ হৃদয় উইকেটে এসে শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রশিদের শিকার হওয়ার আগে ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।
মাহমুদউল্লাহ যখন উইকেটে আসেন তখনও বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ বাস্তব ছিল। ১৯ বলে যখন ৪৩ রান দরকার তখন দশম ওভারে ৫ বল ডট খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এতেই সেমির স্বপ্ন ম্লান হয় টাইগারদের। পরের ওভারে রশিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৯ বল খেলে ৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। পরের বলেই রিশাদ হোসেনকেও ফেরান রশিদ।
সেমির সুযোগ নষ্ট করে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এক প্রান্তে লিটন দাস দাঁড়িয়ে থাকলেও আরেক প্রান্তে ছিল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। তাতে কোনোরকমে একশ পেরিয়ে অলআউট হয় টাইগাররা। লিটন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রান করে।
এর আগে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে দুই পেসার তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদ শুরুতে ভালো সুইং পেয়েছেন। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তান কোনো উইকেট হারায়নি। দেখে-শুনে খেলার চেষ্টা করেছেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
ইনিংসের ৯ম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে আসেন রিশাদ হোসেন। আর নিজেদের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি। ইব্রাহিমকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এই লেগ স্পিনার। ১৮ রান করে ইব্রাহিম ফেরায় ভাঙে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই। মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়ার আগে ১২ বলে ১০ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
ধীরগতির ব্যাটিং করা গুরবাজ শেষ পর্যন্ত সাজ ঘরে ফেরেন রানের গতি বাড়াতে গিয়ে। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিশাদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারের চতুর্থ বলে গুলবাদিন নাইবকেও ফিরিয়েছেন রিশাদ।
এরপর মোহাম্মদ নবি-করিম জানাতরা চেষ্টা করেও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে শেষ দিকে উইকেটে এসে ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলে আফগানদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন রশিদ খান। ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। যদিও ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইনিংসের সেরা বোলার রিশাদ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সেমিতে খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
![সেমিতে খেলতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/bangladesh-cricket-team-world-cup-24.jpg)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন এবং জটিল এক সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে। সেই সমীকরণ মেলাতে আফগানদের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিং করে শান্তরা।
আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান। আর সেমিতে খেলতে হলে ১২ ওভার ১ বলে জিততে হবে বাংলাদেশকে। যদিও সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি নামায় বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হতে দেরি হবে।
এর আগে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল।একাদশে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। বাদ পড়েছেন জাকের আলী অনিক ও মেহেদী হাসান। এ দিকে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে আফগানরা।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ওপেনিং জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইব্রাহিম জার্দান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে এ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে তাদের বেঁধে রাখেন টাইগার বোলাররা।
তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদের গতিময় বোলিংয়ে দিশেহারা দুই আফগান ওপেনার। রানের জন্য ছটফট করছিলেন দুজন। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান।
তার বলে কাভারে ক্যাচ তুলেছিলেন ইব্রাহিম। কিন্তু সেই ম্যাচ লুফে নিতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। পাওয়ার প্লেতে আফগানদের সংগ্রহ ছিলো কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ২৭ রান।
এই ধারা অব্যাহত থাকে বাকি ওভার গুলোতেও। ২০ ওভারে সর্বমোট ৬৬টি ডট বল করেছেন তাসকিন-সাকিবরা। অর্থাৎ ১১ ওভারে কোনো রান তুলতে পারেনি আফগান ব্যাটাররা।
১১তম ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ইব্রাহিমকে (১৮) ফিরেয়ে ৫৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। ওভারটি উইকেট মেডেন করেন রিশাদ। ১৭তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১০) এবং গুরবাজকে (৪৩) সাজঘরে ফেরান এই লেগ স্পিনার। ২৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।
সেমিফাইনালে খেলতে শুধু মাত্র জয় পেলেই হবে আফগানদের। এমনকি বৃষ্টিতে খেলা পণ্ড হলেও শেষচারে খেলবে তারা।
এমআই