আন্তর্জাতিক
ভারতে পাঠ্যবই থেকে মুছে গেলো বাবরি মসজিদের নাম

ভারতের ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)’র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের পাঠ্যসূচি থেকে মুছে ফেলা হলো বাবরি মসজিদের নাম। এনসিইআরটি’র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে কিছু সংশোধন হচ্ছে বলে আগেই খবর ছিল। কিন্তু কী সংশোধন হচ্ছে, কতটা সংশোধন হচ্ছে, তা আগে জানা যায়নি।
নতুন সংস্করণ সামনে আসার পরই অযোধ্যার ইতিহাস সংশোধন করা হয়েছে বলে জানা গেল। আগে যেখানে চারটি পাতায় অযোধ্যার ইতিহাস লিপিবদ্ধ ছিল, বর্তমানে সেটিকে দুই পাতায় এনে ফেলেছে এনসিইআরটি।
এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম মেনে চলে সিবিএসই বোর্ড। আইসিএসই এবং আইএসই বোর্ডও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। স্বাভাবিকভাবে এমন ঘটনায় দেশব্যাপী শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে বাজারে আসা এনসিইআরটি’র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ের নতুন সংস্করণে মাত্র দুই পৃষ্ঠার মধ্যে যে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তাতে কোথাও বাবরি মসজিদের উল্লেখ নেই।
বাবরি মসজিদকে বইতে ‘তিন গম্বুজ সম্বলিত নির্মাণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুজরাটের সোমনাথ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে যে রথযাত্রা বের করেছিল বিজেপি, তার কোনো উল্লেখ নেই বইয়ে। উল্লেখ নেই করসেবকদের তাণ্ডবের।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে তাও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে সেই সময় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া, কিছুই আর নেই বইয়ে।
আগের এনসিইআরটি’র রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল বাবরি মসজিদকে ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছে। বইয়ে লেখা ছিল মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি সেটির নির্মাণ করেছিলেন। বইয়ের নতুন সংস্করণে বাবরি মসজিদের নামই উল্লেখ করা হয়নি এক জায়গাতেও। বরং লেখা হয়েছে, ১৫২৮ সালে শ্রী রামের জন্মস্থানে তিন গম্বুজ সম্বলিত একটি নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছিল, যেখানে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন প্রতীকচিহ্ন দৃশ্যমান ছিল।
কাঠামোর ভিতরে এবং বাইরে হিন্দু সৌধের ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। বইয়ের আগের সংস্করণের বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং সংঘর্ষের উল্লেখ ছিল। তবে নতুন সংস্করণে লেখা হয়েছে, ‘অযোধ্যা নিয়ে বিজেপির আফসোসের অন্ত ছিল না।’
পুরনো সংস্করণে লেখা ছিল, ফৈজাবাদ আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবরি মসজিদের তালা খুলে দেওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল দেখা দেয়। সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রা, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, করসেবকদের উন্মাদনা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং দাঙ্গার উল্লেখ ছিল আগের সংস্করণে।
নতুন সংস্করণে লেখা হয়েছে, ‘অযোধ্যা নিয়ে আফসোসের অন্ত ছিল না বিজেপির।’ ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে তর্ক-বিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে বলে অযোধ্যা থেকেই ধারণা জন্মায় বলেও উল্লেখ রয়েছে বইয়ে।
নতুন সংস্করণে আরও লেখা হয়েছে, ‘শ্রী রামের জন্মভূমিতে মন্দির ভেঙে তিন গম্বুজ সম্বলিত নির্মাণটি দাঁড় করানো হয় বলে বিশ্বাস জন্মায়। মন্দিরের শিলান্যাস হওয়ার পরও নির্মাণের কাজ এগোয়নি। ফলে হিন্দুদের মনে ধারণা জন্মায় যে রামজন্মভূমি নিয়ে তাদের আবেগকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মুসলিমরা গোটা কাঠামোর উপর দখলদারি চেয়ে দাবি জানায়। সেই নিয়ে দুই তরফে উত্তেজনা বাড়ে। আইনি টানাপোড়েন শুরু হয়। দীর্ঘদিনের এ বিবাদের নিষ্পত্তি চেয়েছিল দুই পক্ষই। ১৯৯২ সালে কাঠামোটি ধ্বংসের পর সমালোচকদের একাংশের মনে হয়েছিল, ভারতীয় গণতন্ত্রের নৈতিকতাই ঝুঁকির সম্মুখীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণহানির ঘটনার পরই এই অবস্থা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায়, তাহলে আমাদের কেউই থামাতে পারবে না।
রোববার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুরো পাকিস্তান আজ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায় তাহলে আমরা পুলওয়ামার ঘটনায় যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম ঠিক সেভাবে মোদির সরকারকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
পুরো পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবি করেন খাজা আসিফ। তিনি যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের যেকোনও সংঘাত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এই বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা হয়েছে। তারা পেহেলগামের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে পারে।
ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তেজনা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে কেউই আমাদের থামাতে পারবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার পথ বেছে নেন, তাহলে আমরা তাকে পুরো পথে তাড়া করব।’’
খাজা আসিফ বলেন, নরেন্দ্র মোদি পুলওয়ামার সময় ব্যবহৃত একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে মিথ্যা প্রচারণার জন্য পরিচিত। তবে পাকিস্তান কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে।
গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে বুধবার বেশ কিছু কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ভারতের সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে’’ সহায়তার অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং উভয় দেশের মধ্যকার প্রধান স্থল সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার ও হাইকমিশনে নিযুক্ত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।
ভারতের আকস্মিক এমন পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আটক

ভারতের গুজরাটে এক হাজার জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে রাজ্যের সুরাট ও আহমেদাবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভির নির্দেশে শুরু এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাট পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) এবং স্থানীয় পুলিশ ইউনিটগুলোর সমন্বিত অভিযানে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরবেলা সন্দেহভাজন এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। অন্যদিকে সুরাটের অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৩৪ জনকে।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আটকরা সবাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে অঞ্চলটিতে বসবাস করছিলেন তারা। বলা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বলেছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল কাগজপত্র নিয়ে বসবাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
রাজ্য পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ শাখা) শরদ সিংহল বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিলের পর ১২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গুজরাটে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।
গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। যা হোরমোজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহণ করা হয়।
হোরমোজগান বন্দর ও সামুদ্রিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ইসমাইল মালেকজাদেহ বলেছেন, “শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহীদ রাজী বন্দরের ডকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা আগুন নেভানোর কাজ করছি।”
হোরমোজগান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পরিচালক মেহেরদাদ হাসানজাদেহ সরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলি বের হচ্ছে। অন্যান্য ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই সময় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন বা গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শহীদ রাজী বন্দর দিয়ে মূলত জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা করা হয়। তবে সেখানে তেলের ট্যাংক এবং পেট্রলজাত রাসায়নিক পদার্থের অবকাঠামোও আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীরে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে পাকিস্তান উন্মুক্ত: শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার যে কোনো নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের জন্য তার দেশ উন্মুক্ত।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পাসিং আউট কুচকাওয়াজের ভাষণের তিনি এ কথা বলেন।
শাহবাজ বলেন, পহেলগামে সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডি ভারতের চিরস্থায়ী দোষারোপের আরেকটি উদাহরণ। যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান যে কোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।
তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মিথ্যাচারের ওপর ভিত্তি করে শোষণের ধরন অব্যাহত রেখেছে ভারত। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঠিকই বলেছেন। জিন্নাহ বলেছেন, কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা। দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এই বিরোধ অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে যাবে; যতক্ষণ না তারা তাদের মহান সংগ্রাম এবং ত্যাগের মাধ্যমে তাদের অধিকার অর্জন করতে পারে।
এদিকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, ‘সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।’
সিন্ধু নদী ডাকাতির চেষ্টা করছে ভারত- এমন মন্তব্য করে বিলাওয়াল বলেন, সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত উত্তরাধিকারীরা পাকিস্তানে বাস করেন। সিন্ধু সভ্যতার বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে পাকিস্তান কখনই নদীর ওপর তার দাবি ত্যাগ করবে না।
নয়াদিল্লি যখন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং ইসলামাবাদের দোরগোড়ায় যুদ্ধের ঢোল বাজাচ্ছে তখন শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তান পিপলস পার্টি ওই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে ভারতকে কঠোর বার্তা এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।