জাতীয়
ঈদ ঘিরে নিরাপত্তা হুমকি নেই: র্যাব ডিজি

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে।
আজ রবিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র্যাব ডিজি।
মো. হারুন অর রশিদ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রীক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে। প্রতিটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটি দলকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয় আমরা নজর রাখছি।
তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র্যাব সদর দপ্তর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই। তবে কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ করতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যেকোনো গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরেও যদি এমন কিছু হয়ও আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোনো ঘটনা প্রতিহত করতে র্যাবের প্রস্তুতি রয়েছে। র্যাব বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিণত হয়েছে। জলে-স্থলে-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
কাফি

জাতীয়
ভিসাপ্রত্যাশীদের জরুরি নির্দেশনা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

এফ, এম বা জে শ্রেণির নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক প্রতিবেদনে এফ (F), এম (M), অথবা জে (J) ভিসার জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থী ও বিনিময় কর্মসূচির অংশগ্রহণকারীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যারা এফ, এম বা জে শ্রেণির নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদন করছেন, তাদের সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে- নিজেদের সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের গোপনীয়তা সেটিং পাবলিক করে দিতে। এটি আবেদনকারীর পরিচয় ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভেটিং (জানাচাই) প্রক্রিয়া সহজতর করতে সহায়তা করবে।
এফ ভিসা কী
F-1 ভিসা: এই ভিসাটি মূলত একাডেমিক অধ্যয়নের জন্য, যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য।
F-2 ভিসা: F-1 ভিসাধারীর স্বামী বা স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানেরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
M ভিসা কী
M-1 ভিসা: এই ভিসাটি অ-একাডেমিক বা বৃত্তিমূলক অধ্যয়নের জন্য, যেমন ভোকেশনাল বা টেকনিক্যাল স্কুল বা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য।
M-2 ভিসা: M-1 ভিসাধারীর স্বামী বা স্ত্রী এবং ২১ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত সন্তানেরা এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরে হচ্ছে ‘কল্যাণ ডেস্ক’

চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) বিদেশ থেকে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতায় কল্যাণ ডেস্ক স্থাপন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালকের কাছে পাঠানো একটি চিঠি থেকে তথ্য জানা গেছে।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কল্যাণডেস্ক স্থাপনের জন্য মালামাল, লেবার, ডিজাইন ও ঠিকাদার প্রবেশের পাস প্রদান সংক্রান্ত’ শিরোনামের চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত বা অবসরপ্রাপ্ত অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ থেকে আগমন ও বহির্গমনের সহায়তা সার্ভিস পরিচালনার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল-১ এর ভিতরে ১ নম্বর গেটের দ্বিতীয় তলায় ১৪০ বর্গফুট জায়গায় কল্যাণডেস্ক স্থাপনের লক্ষ্যে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে (নোভা কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল) সাতদিন লেবার, ডিজাইনার, ঠিকাদার ও স্থাপনার মালামালের ট্রাকসহ বিমানবন্দরে দিন-রাত ভর যাওয়ার পাস দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
জাতীয়
যাত্রা শুরু করলো ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং জাইকার যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার (টিএসইসি)’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
রাজারবাগের ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে বুধবার (২৫ জুন) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিএসইসির শুভ উদ্বোধন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার।
ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টারে (টিএসইসি) মূল লক্ষ্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও সিমুলেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মো. সরওয়ার বলেন, ঢাকাজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস এবং জননিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন সেন্টার (টিএসইসি) একটি ইন্টারেক্টিভ এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। যেখানে শিক্ষার্থী, ডিএমপিতে কর্মরত সদস্য এবং অন্যরা গতিশীল ও আকর্ষণীয় উপায়ে সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে শিখতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রেনিং) সুলতানা নাজমা হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন, প্লানিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ) মোহাম্মদ মাসুদ রানা এবং ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে বুধবার (২৫ জুন) রাত পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪৬ হাজার ৬০৮ জন দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ২২ হাজার ১হাজি৪৯ জন, সৌদি পতাকাবাহী সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ২১ হাজার ২৫ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৮ হাজার ৪৪১ জন দেশে ফিরেছেন। মোট ১৩৪টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের, ৫৪টি সাউদিয়ার এবং ২২টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের।
সৌদি আরব বাংলাদেশি হাজিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির মেডিকেল সেন্টারগুলো এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৩৪৮টি অটোমেটেড প্রেসক্রিপশন ইস্যু করেছে এবং আইটি হেল্পডেস্কগুলো ২৪ হাজার ৩৯৫টি সেবা প্রদান করেছে।
এখন পর্যন্ত ৩৮ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের মধ্যে ২৫ জন মক্কায়, ১১ জন মদিনায় এবং জেদ্দা ও আরাফায় ১ জন করে মারা গেছেন।
সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালগুলো এ পর্যন্ত ৩০৮ জন বাংলাদেশিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখনো ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই।
জাতীয়
ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা

ন্যায়ভিত্তিক সমাজে নির্যাতনের কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘ ঘোষিত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং মানুষের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। এটি কোনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজে স্থান পেতে পারে না এবং কোনো পরিস্থিতিতেই এটি বরদাশত করা উচিত নয়।
তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতনের বীভৎসতার শিকার সাহসী ও দৃঢ় সারভাইভার্সদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনামলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, ভিন্নমতাবলম্বী এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ব্যবহৃত করা হয়। আইন ও বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতন সেসময় ছিল নিয়মিত ঘটনা, যা বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা, রাজনীতি এবং সমাজের ভিত নষ্ট করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই অন্তর্বর্তী সরকার নির্যাতনের এ সংস্কৃতি চিরতরে বিলুপ্ত করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ করছে। সরকারের তিনটি প্রধান লক্ষ্য—পূর্ববর্তী সরকারের অপরাধীদের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই দুঃসহ অতীত থেকে দেশকে পুনর্গঠনের রূপরেখা।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মানবাধিকার ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার প্রথম যে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর একটি স্বাক্ষর করেছে তা হলো সব ব্যক্তির জবরদস্তিমূলক গুম থেকে সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সনদ (আইসিপিইডি)। এটি জোরপূর্বক গুম বা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গোপন আটকের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করে।
এ সনদের স্বাক্ষর ভবিষ্যতে জাতীয় আইন প্রণয়নের জন্য পথপ্রদর্শক এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের আইনি অবস্থানকে সুদৃঢ় করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জবরদস্তিমূলক গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যা নির্যাতন, গুম এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আটক সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ তদন্তে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কমিশনের দায়িত্ব হলো সত্য উদঘাটন, দোষীদের শনাক্তকরণ এবং ক্ষতিপূরণের উপায় সুপারিশ করা।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুলিশ ও বিচার প্রশাসনে গভীর সংস্কার শুরু হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কারা প্রশাসন এবং বিচারকদের জন্য মানবাধিকার, নৈতিকতা ও অহিংস তদন্ত পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। আটকের পরবর্তী বিচারিক তদারকি জোরদার করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি হেফাজতে নেওয়া এবং জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা নথিভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপগুলো যাত্রার সূচনা মাত্র। আমাদের লক্ষ্য শুধু ভবিষ্যতের নির্যাতন রোধ করা নয়—মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা।
নির্যাতনের শিকার সব মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমরা তাদের যন্ত্রণাকে স্বীকৃতি দিচ্ছি, বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করছি এবং দৃঢ়ভাবে বলছি—আর কখনো নয়।
তিনি আরও বলেন, এই দিন হোক একটি বাঁকবদলের সূচনা—বাংলাদেশের জন্য এবং বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য যারা ন্যায়, মর্যাদা ও মানবিকতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার সংকল্প নিয়েছে।