আন্তর্জাতিক
বিনিয়োগকারীদের ভোটে ইলন মাস্কের বেতন ৫৬ বিলিয়ন ডলার
![বিনিয়োগকারীদের ভোটে ইলন মাস্কের বেতন ৫৬ বিলিয়ন ডলার টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/elon-musk-1.jpg)
প্রত্যাশিত বেতন না পেলে টেসলা ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। টেসলার বিনিয়োগকারীরা প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য ৫৬ বিলিয়ন ডলারের বেতন প্যাকেজ অনুমোদন এবং প্রতিষ্ঠানটির আইনি সদর দপ্তর ডেলওয়্যার থেকে টেক্সাসে সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বিনিয়োগকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ইলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেন, ‘ধন্যবাদ আপনাদের সমর্থনের জন্য।’
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ডেলাওয়্যারের এক আদালত ইলন মাস্কের বেতন-ভাতা ক্রুটিপূর্ণ ও প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বলে রায় দিয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে ইলনের সাথে নতুন চুক্তি করার আদেশ দেন। প্রত্যাশিত বেতন না পেলে টেসলা ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
তবে ইলন মাস্ককে এখনও আইনি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। বিনিয়োগকারীরা ইলনের ৫৬ বিলিয়নের বেতন প্যাকেজে রাজি হলেও ডেলওয়্যারের আদালত তা অনুমোদন দেবেন কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। নতুন এ ভোটাভুটির ওপরও আবার মামলা হতে পারে।
ইউসি বার্কলের আইনের অধ্যাপক অ্যাডাম বাদাওয়ি বলেন, ‘শেয়ারহোল্ডাররা পুরানো প্যাকেজটি অনুমোদন করলেও ডেলাওয়্যার আদালত সেই ভোটকে কার্যকর হতে দেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় টেক্সাসে টেসলার প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও খুচরা বিনিয়োগকারীদের সমর্থনে ‘হ্যাঁ’ ভোট অর্জিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা সংস্থা, গ্লাস লুইস এবং ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিসেস (আইএসএস) বেতন প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে নরওয়ের সোভারেন ওয়েলথ ফান্ডের মতো বড় বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছিলেন যে তারা বেতন প্যাকেজ অনুমোদন দেয়ার পক্ষে থাকবেন। অবশ্য শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সভা শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাদের ভোট পরিবর্তন করতে পারবেন।
বিনিয়োগকারীরা টেসলার আইনি সদর দপ্তর ডেলাওয়্যার থেকে টেক্সাসে স্থানান্তরের পাশাপাশি দুই বোর্ড সদস্য: মাস্কের ভাই কিম্বাল মাস্ক এবং জেমস মারডকের পুনর্নির্বাচনসহ অন্যান্য প্রস্তাবগুলোতেও ভোট দিয়েছেন। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট, মাস্ককে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এমন একটি রাজ্যে আপনাকে স্বাগতম যেখানে ব্যক্তিগত বা কর্পোরেট আয়কর দেয়া লাগে না।’
ইলনকে টেসলার সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে দেখা হলেও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি ও মুনাফা হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের মুনাফা হয়েছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ; গত চার বছরের মধ্যে যা ছিল সবচেয়ে কম।
টেসলার প্রধান নির্বাহী ও প্রধান শেয়ারহোল্ডার হওয়ার পাশাপাশি ইলন মাস্ক সাবেক টুইটার ও বর্তমান এক্সের মালিক। এ ছাড়া রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স, ব্রেন চিপ ফার্ম নিউরালিংক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির মালিক তিনি। এক্স কেনার জন্য টেসলার শেয়ারের বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। বর্তমানে এক্সের প্রায় ১৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক এমপ্লয়িজ রিটায়ারমেন্ট সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী মার্সি ফ্রস্ট বলেন, ইলনের বেতন প্যাকেজ তাকে তার মালিকানা বাড়িয়ে, অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারদের মূল্য হ্রাস করবে। শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকের একদিন আগে বুধবার টেসলার স্টক ৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টেসলার পরিচালনা পর্ষদ ইলনের বেতন প্যাকেজের জন্য সমর্থন আদায়ের জন্য বেশ চেষ্টা চালাচ্ছে , বিশেষত খুচরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে, যারা প্রচুর শেয়ারের মালিক কিন্তু প্রায়শই ভোট দেয় না।
টেসলার জন্য মাস্কের গুরুত্ব তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন নির্বাহীরা। পরিচালনা পর্ষদ বলছে যে মাস্ক বেতন প্যাকেজের যোগ্য কারণ তিনি বাজার মূল্য, আয় এবং লাভের সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করেছেন। তারা বিশ্বাস করে যে ইলনের টেসলার ওপর মনযোগ ধরে রাখার জন্য প্যাকেজটি প্রয়োজনীয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
আট শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করলো কানাডার ওয়েস্টজেট
![আট শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করলো কানাডার ওয়েস্টজেট টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/wes.jpg)
হঠাৎ করে ৮০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা ওয়েস্টজেট। মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছয় শতাধিক কর্মী ধর্মঘটে যাওয়ার পর এয়ারলাইনটি তাদের শত শত ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়।
এতে করে সপ্তাহান্তে বড় ছুটি কাটাতে ইচ্ছুক হাজার হাজার লোকের ভ্রমণের পরিকল্পনাও অনেকটা ব্যর্থ হয়ে গেছে। সোমবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন এবং শ্রমিকদের কাজের অবস্থার বিষয়ে ক্যালগারিভিত্তিক এই এয়ারলাইন এবং এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্রাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন (এএমএফএ) চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রায় ৬৮০ জন শ্রমিক গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন।
ওয়েস্টজেট এয়ারলাইনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডিডেরিক পেন রোববার ‘অপ্রয়োজনীয় কর্মবিরতির’ জন্য ভ্রমণকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এ বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমাদের কর্মীদের প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার কাজে আমি উৎসাহিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছি যে, বর্তমান ধর্মঘট আমাদের এয়ারলাইন এবং দেশের সর্বাধিক ক্ষতি করা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্য পূরণ করবে না।
আল জাজিরা বলছে, ওয়েসজেট গত বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া বিপুল সংখ্যক এই ফ্লাইটের অর্ধেকেরও বেশি ছির রোববারের জন্য নির্ধারিত।
এয়ারলাইনটি বলেছে, তাদের বহরে ১৮০টি বিমান থাকলেও রোববার পর্যন্ত সেগুলোর মধ্যে মাত্র ৩২টি বিমান সক্রিয় তথা পরিষেবায় নিযুক্ত ছিল।
অবশ্য ওয়েস্টজেট এবং এএমএফএ একে অপরকে সরল বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা না করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
এএমএফএ বলছে, তাদের চাহিদাকৃত মজুরি বৃদ্ধির জন্য ওয়েস্টজেটকে ৮০ লাখ কানাডিয়ান ডলারের কম খরচ করতে হবে। অন্যদিকে ওয়েস্টজেট বলেছে, চুক্তির প্রথম বছরে তারা ১২.৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে এবং বাকি সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়াদে ২৩.৫ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে এয়ারলাইনটির কর্মীদের এই কর্মবিরতিতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের ভ্রমণ পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত বৃহস্পতিবার কানাডার শ্রমমন্ত্রী সিমাস ও’রেগানের নির্দেশনা সত্ত্বেও এই কর্মবিরতি চলছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ফান্সে বিমান বিধ্বস্ত, সকল আরোহীর মৃত্যু
![ফান্সে বিমান বিধ্বস্ত, সকল আরোহীর মৃত্যু টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/france.jpg)
ফান্সে প্যারিসের পূর্ব হাইওয়েতে সিঙ্গেল ইঞ্জিনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির
প্রতিবেতনে বলা হয়, রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর কাছের এক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করে এবং হাই-ভোল্টেজের পাওয়ার লাইনে আঘাত করে। এরপরেই বিমানটি হাইওয়েতে বিধ্বস্ত হয়।
এতে বলা হয়, ছোট বিমানটিতে থাকা সকল আরোহী নিহত হয়েছে। তবে বিমানটি হাইওয়েতে বিধ্বস্ত হলেও কোনো গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এই দুর্ঘটনার পর হাইওয়ের দুইদিক থেকেই চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
উপকূলের আরও কাছে হারিকেন বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে
![উপকূলের আরও কাছে হারিকেন বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Hurricane-Beryl.jpg)
আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে গেছে। চতুর্থ ক্যাটাগরির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ এই ঝড় ক্যারিবীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে আঘাত হানতে চলেছে।
ইতোমধ্যেই সেসব দেশে এ সংক্রান্ত সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মূলত পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন বেরিল। এটি আরও প্রবল হারিকেনে পরিণত হতে পারে এবং আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং টোবাগো সবই হারিকেন সতর্কতার অধীনে রয়েছে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এই ঝড়ের সতর্কতা মার্টিনিক, ডোমিনিকা এবং ত্রিনিদাদের জন্যও কার্যকর রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
এনএইচসি বলেছে, রোববার ভোর রাত থেকে সোমবার সকালের দিকে হারিকেন বেরিল ক্যারিবীয় অঞ্চলের উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে প্রাণঘাতী বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হানতে পারে।
পূর্বাভাসদাতারা বলেছেন, হারিকেনটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং এটি ক্যাটাগরি ফোর ঝড়ে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। যার অর্থ হারিকেন বেরিলের আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ১৫৫ মাইল বা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
এছাড়া বেরিলের আঘাতের সময় ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোতে জোয়ারের স্তর স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ থেকে ১০ ফুট বৃদ্ধি পেতে পারে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ বার্বাডোস, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা এবং মার্টিনিকের কাছাকাছি এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল এই ঝড়টি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) তাদের পরামর্শে বলেছে, ২০২৪ মৌসুমের প্রথম এই হারিকেনটি রোববার রাতে বার্বাডোসের প্রায় ১৫০ মাইল (২৪০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। সেসময় হারিকেনের অবস্থানস্থলে বাতাসের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১৩০ মাইল (২১৫ কিলোমিটার)।
এনএইচসি তার সর্বশেষ পরামর্শে বলেছে, বেরিল অত্যন্ত বিপজ্জনক ও প্রবল হারিকেন হিসাবে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ এটির মূল উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে পূর্ব ক্যারিবিয়ানে চলে গেছে।
এদিকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলজুড়ে বহু মানুষ তাদের বাড়িঘরের সুরক্ষার জন্য কাঠের বোর্ড দিয়ে দরজা বা জানালা ঢেকে দিচ্ছেন, অনেকে ফিলিং স্টেশনে জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন এবং আবার অনেকে ঝড় ও দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে খাবারসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ এবং পানি মজুদ করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া
![বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিলো অস্ট্রেলিয়া টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/australia.jpg)
দেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশগুলো। প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ উচ্চশিক্ষা এবং কাজের উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমায়। এর ফলে দিনদিন দেশটির জনসংখ্যা বাড়ছে, সেইসঙ্গে বাড়ছে দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয়। তাই অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা পাওয়া আরো কঠিন করল অস্ট্রেলীয় সরকার। দেশটি একধাক্কায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া তার ভিসা ফি দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়েছে বলে সোমবার দেশটি জানিয়েছে। সর্বশেষ পদক্ষেপে চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসার ফি ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৬০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১০৬৮ মার্কিন ডলার) করা হয়েছে।
এছাড়া ভিজিটর ভিসাধারী ও অস্থায়ী স্নাতক ভিসা রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত অবস্থায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, আজকে কার্যকর হওয়া পরিবর্তনগুলো আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে এবং এমন একটি অভিবাসন ব্যবস্থা তৈরি করতে সাহায্য করবে যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরো সুন্দর, ক্ষুদ্রতর এবং আরো ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম।
চলতি বছরের মার্চ মাসে অভিবাসন বিষয়ে প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় নেট ইমিগ্রেশন ৬০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে অস্ট্রেলিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। উত্তর আমেরিকার এই দুই দেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি যথাক্রমে ১৮৫ মার্কিন ডলার এবং ১৫০ কানাডিয়ান ডলার (১১০ মার্কিন ডলার)।
মূলত অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নিতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কারণ বিপুল সংখ্যক অভিবাসী আগমনের সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশটির আবাসন ব্যবস্থায়। আবাসন ব্যায় দিন দিন বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়, ফলে নাগরিকদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বছরে তিন কোটি মানুষকে ওমরার সুযোগ দেবে সৌদি
![বছরে তিন কোটি মানুষকে ওমরার সুযোগ দেবে সৌদি টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/hojj-3.jpg)
চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠনিকতা ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। এরপরই ওমরাহর ই-ভিসা দেওয়া শুরু করছে সৌদি আরব। আগামী ১৯ জুলাই থেকে সৌদি আরবে যেতে পারবেন ওমরাযাত্রীরা।
এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পবিত্র ওমরা পালনকারীর সংখ্যা তিন গুণ করতে চায় সৌদি আরব। অর্থাৎ বছরে ৩ কোটি উমরা পালনকারীতে উন্নীত করতে চায় দেশটি। সৌদি আরবের ওমরা বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি আবদুর রহমান বিন ফাহদ স্থানীয় টেলিভিশন আল আখবারিয়াকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
আবদুল রহমান বিন ফাহদ বলেন, প্রতি বছরই ওমরা পালনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এমন বাস্তবতায় উমরাযাত্রীর সংখ্যা চলতি বছর এক কোটি থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি করার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা রয়েছে রিয়াদ সরকারের।
গত বছর দেশটিতে ৪৫ লাখের বেশি মানুষ পবিত্র ওমরা পালন করেছেন। এই তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা। নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর প্রথম ছয় মাসে হজের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে সৌদি আরবে যান ৪৫ লাখের বেশি মানুষ।
নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর পর থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ উমরা ভিসা চালু করা হয়। এর মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ উড়োজাহাজে এবং প্রায় ৫ লাখ বিভিন্ন বর্ডার এলাকা দিয়ে ও ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৫ জন সমুদ্রপথে উমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে যান।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি উমরাযাত্রী এসেছেন ইন্দোনেশিয়া থেকে, যা ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির উমরা পালনকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০৮ জন। পাশাপাশি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটি থেকে উমরা যাত্রীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬৫ জন।
চতুর্থ অবস্থানে আছে মিশর। দেশটি থেকে ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৮০ জন উমরা পালন করেন। এরপর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইরাক, দেশটির উমরা পালনকারীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪০ জন। আর ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ থেকে গত বছর উমরা পালন করেছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৯২ জন।