লাইফস্টাইল
কোরবানির মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের আগে জেনে নিন বিষয়গুলো
![কোরবানির মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের আগে জেনে নিন বিষয়গুলো সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/mangso-gusto.jpg)
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আর কোরবানির ঈদে গরু কিংবা খাসির মাংসের বেশ বড় একটা অংশ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়।
আর এ কোরবানির মাংস হক অনুযায়ী সবাইকে পৌঁছে দেওয়ার পর নিজেদের ভাগের মাংস পরবর্তীতে খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করেন অনেকেই।
তবে সঠিক উপায় না জেনে টাটকা মাংস সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন তা ভালো নাও থাকতে পারে এবং মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ফ্রিজে মাংস রাখার আগে কিছু বিষয় জেনে নেয়া জরুরি।
(১) কটি সাধারণ ভুল হলো মাংসের বড় অংশ একসঙ্গে ফ্রিজারে রাখা। এতে হিমায়িত হওয়ার পাশাপাশি ডিফ্রস্ট করাও বেশ ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যায়। বারবার ভিজিয়ে রেখে ডিফ্রস্ট করার কারণে মাংসের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিমাণে মাংস এক ব্যাগে রাখুন যেটা ডিফ্রস্ট করে রান্না করে ফেলবেন সঙ্গে সঙ্গে।
(২) ফ্রিজারের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইটে আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এতে মাংসের পৃষ্ঠের সঙ্গে বড় বরফের স্ফটিক গঠিত হবে না। বড় আকৃতির বরফে মাংস আচ্ছাদিত হয়ে গেলে পরবর্তীতে মাংস শুকিয়ে যায় দ্রুত।
(৩) মাংসে চর্বির পরিমাণ যত কম হবে তত বেশিদিন সংরক্ষণ করা যাবে। তাই, মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বিগুলো কেটে ফেলে দিন। এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমবে। মাংস কাটার দিকেও নজর দিতে হবে। মাংস বাসায় এনে চেষ্টা করুন ছোট ছোট স্লাইস করে রাখার। তা সম্ভব না হলে হাড় থেকে ছাড়িয়ে ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে রাখুন।
(৪) মাংস রাখার আগে ফ্রিজের প্রতিটি চেম্বার বা ড্রয়ার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। শুধু মাংস ফ্রিজে ফেলে রাখা যাবে না। এতে করে ফ্রিজের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ক্রস কনটামিনেশন ঘটতে পারে। এভাবে ফেলে রাখতে পরবর্তীতে মাংস বের করতেও সমস্যা হব
(৫) ধুয়ে সংরক্ষণ করতে না চাইলে শুকনো কাপড় দিয়ে মাংসের রক্ত পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।
(৬) ফ্রিজার বার্ন রোধে জিপলক ব্যাগের পাশাপাশি অতিরিক্ত এক লেয়ারের পাতলা প্লাস্টিক অথবা ফয়েল পেপার ব্যবহার করতে পারেন।
(৭) মাংস সংরক্ষণের সময় প্যাকেটের গায়ে সংরক্ষণের তারিখ এবং গরু না খাসি সেটা লিখে রাখতে পারেন। এতে পরবর্তীতে চিনতে সমস্যা না হয় না
(৮) মাংস রাখার পর ঘন ঘন ফ্রিজের দরজা খুলবেন না। পাশাপাশি সঠিকভাবে দরজা বন্ধ করাও জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
লাইফস্টাইল
বুকে ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙা কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?
![বুকে ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙা কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো? সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/pain.jpg)
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। বিষয়টি অনেকেই অবহেলা করেন, কারণ পরবর্তী সময়ে হয়তো ব্যথা কমেও যায়। তবে দীর্ঘদিন একই সমস্যায় ভুগলে তা উপেক্ষা করবেন না। কারণ বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যথা করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বুকে ব্যথা নিয়ে জেগে ওঠা মানসিক চাপ বা বদহজমের কারণেও হতে পারে। আবার হার্ট অ্যাটাক বা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো গুরুতর সমস্যার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এ কারণে বুকে ব্যথা সবসময় গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।
যদি ব্যথা কয়েক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে থাকে, তাহলে সর্বোত্তম পদক্ষেপ নিতে হবে। জেনে নিন বুকে ব্যথার সম্ভাব্য যত কারণ-
বুকে ব্যথার হার্ট সম্পর্কিত কারণ
যখন আপনার হার্টের পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহকারী একটি ধমনী অবরুদ্ধ হয়, তখন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়। এই ব্লক প্রায়ই রক্ত জমাট বাঁধার কারণে হয়।
আবার এনজাইনার কারণেও বুকে ব্যথা হয়। যা হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হয়। এটি প্রায়শই হৃদয়ে রক্ত বহনকারী ধমনীতে প্লাক তৈরির কারণে ঘটে।
আবার পেরিকার্ডাইটিসের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। আপনার হৃদপিণ্ডের চারপাশে থাকা থলিতে প্রদাহকে পেরিকার্ডাইটিস বলা হয়। এটি সাধারণত ব্যথা সৃষ্টি করে, যা শ্বাস নেওয়া বা শুয়ে থাকার সময় বেড়ে যায়।
যদি আপনার হৃদপিণ্ডের পেশি (মায়োকার্ডিয়াম) স্ফীত হয়, তবে এটি দ্রুত বা অস্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের ছন্দ সৃষ্টি করতে পারে যাকে অ্যারিথমিয়াস বলা হয়। এক্ষেত্রেও বুকে ব্যথা হয়।
অর্টিক ডিসেকশন বা ফেটে যাওয়া, এই জীবন-হুমকির অবস্থা তখনই ঘটে, যখন মহাধমনীর ভেতরের স্তরগুলো হৃৎপিণ্ডের প্রধান ধমনী থেকে আলাদা হয়ে যায়।
বুকে ব্যথার হজম সংক্রান্ত কারণ
অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিইআরডি) বুকে ব্যথার আরও এক উপসর্গ। পেটের অ্যাসিড গলাকে সংযোগকারী টিউবের মধ্যে ফিরে যাওয়ার কারণে অম্বল হয়। ফলে বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
আবার ডিসফ্যাগিয়া সাধারণত গলার উপরের অংশে বা খাদ্যনালির আরও নীচে থাকে। যা খাবার গিলতে কষ্টকর করে তোলে। এই সমস্যার কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিসের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। পেটের পেছনে অবস্থিত একটি বৃহৎ গ্রন্থি এটি। যখন এই গ্রন্থি ফুলে ওঠে তখন উপরের পেটে ব্যথা হতে পারে যা বুকেও ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া পিত্তথলির পাথর বা যে কোনো প্রদাহের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
বুকে ব্যথার শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত কারণ
যখন ফুসফুসের একটি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে ও ফুসফুসের টিস্যুতে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়, তখন একে পালমোনারি এমবোলিজম বলা হয়। এটি সাধারণত বুকে টানটান ভাব ও ব্যথা সৃষ্টি করে। যা হার্ট অ্যাটাকের মতো অনুভূত হয়।
এছাড়া ফুসফুসের চারপাশে থাকা ঝিল্লি ও বুকের গহ্বরের ভিতরের প্রাচীর ফুলে ওঠে তখন বুকে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। কাশি বা শ্বাস নেওয়ার সময় এমন ব্যথা বেড়ে যায়।
পালমোনারি হাইপারটেনশনের কারণেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে হার্টবিট বেড়ে যায় ও বুকে একটি আঁটসাঁট অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যানসারের কারণে ফুসফুসে অস্বাভাবিক কোষ বেড়ে যায়। যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফুসফুসের ক্যানসার সাধারণত বুকে ব্যথার সৃষ্টি করে, যা গভীর শ্বাস বা কাশির সঙ্গে বেড়ে যায়।
বুকে ব্যথার অন্যান্য কারণ
যখন পাঁজরের খাঁচার তরুণাস্থি ফুলে ওঠে তখন একে কস্টোকন্ড্রাইটিস বলে। এই অবস্থার কারণে হার্ট অ্যাটাকের মতো ব্যথা হতে পারে বুকে।
এছাড়া প্যানিক অ্যাটাকের সম্মুখীন হলেও বুকে ব্যথা হতে পারে। এর সঙ্গে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস ও প্রচুর ঘাম হয়। প্যানিক অ্যাটাকের মধ্যে প্রায়ই মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও তীব্র ভয়ের অনুভূতি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
বুকে আঘাত লাগার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রেও আপনি ঘুম থেকে ওঠার সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এমনকি পারিবারিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক গবেষণাপত্রে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, অনেক সময় স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে সকালের দিকে। এ কারণে মাঝে মধ্যে ব্যথা হতে পারে বুকে।
তবে স্ট্রেস হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই বুকে ব্যথাকে কখনো অগ্রাহ্য করবেন না। এতে ঘটতে পারে নানা বিপদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন
![গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/watermelon.jpg)
গরমে ঠান্ডা কিছু খেয়ে শরীর ও মন সতেজ রাখতে চাই আমরা সবাই। কিন্তু সব ঠান্ডা খাবারই কি উপকারী? সাধারণত আমরা যেসব কোমল পানীয়, আইসক্রিম কিংবা জুস কিনে খাই, তার সবই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর বদলে খেতে হবে এমন খাবার যা উপকারী এবং আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই গরমে সতেজ থাকতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
তরমুজ
গরমের সময়ের রসালো ও সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি হলো তরমুজ। এটি এই গরমে খেলে নানাভাবে মিলবে উপকার। বিশেষ করে গরমে পানিশূন্যতা রোধে কাজ করে তরমুজ। কারণ এই ফলের প্রায় নব্বই শতাংশই পানি। যে কারণে তরমুজ খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয় সহজেই। এসময় তরমুজের জুস, তরমুজের শরবত, তরমুজের সালাদ এমনকী তরমুজের স্মুদি কিংবা আইসক্রিমও তৈরি করে খেতে পারেন। এতে সুস্থ ও সতেজ থাকা সহজ হবে।
বেলের শরবত
গরমে আরেকটি উপকারী প্রাণ ঠান্ডা করা পানীয় হলো বেলের শরবত। এই শরবত আমাদের পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। বেলে থাকে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার। গরমের সময়ে শরীর সতেজ রাখতে দারুণ কাজ করে বেলের শরবত। তাই গরম থেকে বাঁচতে এই শরবত বাড়িতে তৈরি করে খান।
দই
দই এমন একটি খাবার যা সারা বছরই উপকারী হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে গরমে এর থেকে ভালো খাবার খুব কমই আছে। দই আর চিড়া আমাদের দেশের বেশ জনপ্রিয় একটি নাস্তা। এর পাশাপাশি দই আর ফলের স্মুদি, ফালুদা, লাচ্ছি, আইসক্রিম এসবও খেতে পারেন। দুপুরে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন দই। এটি আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখবে। যে কারণে সতেজ থাকতে পারবেন সহজেই।
লাউ
উপকারী একটি সবজি হলো লাউ। নিয়মিত লাউ খেলে তা ভালো হজমে সাহায্য করে সেইসঙ্গে এটি ওজন কমাতেও কাজ করে। আবার লাউ সেদ্ধ করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া লাউয়ের স্যুপ কিংবা লাউয়ের পায়েসও তৈরি করে খেতে পারেন। নিয়মিত তরকারি হিসেবে লাউয়ের ঝোল কিংবা লাউভাজিও রাখতে পারেন ভাতের সঙ্গে। এভাবে লাউ খেলে শরীর সতেজ থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার পানীয়
![ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করার পানীয় সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/sorbot.jpg)
কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া একটি পদার্থ, যা সুস্থ কোষ তৈরির জন্য অত্যাবশ্যক। তবে উচ্চ মাত্রার এলডিএল (লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল, যাকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলা হয়, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুষম খাদ্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
খাবারের তালিকায় পরিবর্তন করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ করতে পারেন। সকালের নাস্তায় সুস্বাদু স্মুদি আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কোলেস্টেরলের জন্য সেরা পানীয় কোনটি?
গ্রিন টি এবং জুসের মতো বেশ কিছু পানীয় রয়েছে যা উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনার দিন শুরু করার জন্য উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধের স্মুদি একটি পুষ্টিকর পছন্দ হতে পারে। সয়া দুধ এবং ওট মিল্কের মতো উদ্ভিদের দুধ বিশেষভাবে উপকারী।
সয়া দুধের উপকারিতা
সয়া দুধে স্বাভাবিকভাবেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম থাকে। এফডিএ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য খাবারের তালিকায় সয়া পণ্য যোগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সয়া দুধ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এটি কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
ওট মিল্কের উপকারিতা
ওটসে বিটা-গ্লুকান নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ওট মিল্ক পান করলে বা স্মুদিতে ওটস ব্যবহার করলে তা হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেয় যে ওট মিল্ক কঠিন ওটসের তৈরি অন্যান্য খাবারের তুলনায় কোলেস্টেরল কমাতে বেশি কাজ করে।
স্মুদি তৈরি
একটি ব্লেন্ডারে ২৫০ মিলি সয়া মিল্ক বা ওট মিল্কের সঙ্গে তাজা ফল বা সবজি যেমন কলা, আঙ্গুর, আম, তরমুজ, বরই, পালং শাক ইত্যাদি পছন্দমতো মিশিয়ে নিন। মসৃণ এবং ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। এবার সকালের নাস্তায় এই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু স্মুদিতে চুমুক দিন। এভাবে নিয়মিত খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
খালি পেটে যে পাঁচ খাবার ক্ষতিকর
![খালি পেটে যে পাঁচ খাবার ক্ষতিকর সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/food.jpg)
খালি পেটে কিছু খাবার যেমন উপকারী, তেমনই কিছু খাবার আবার ক্ষতিকরও। আমরা না জেনেই অনেক সময় সেসব খাবার খেয়ে ফেলি। যে কারণে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। তাই নিজের শরীরের সুস্থতার জন্য জানা থাকা চাই কোন খাবারগুলো খালি পেটে খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। আগে থেকেই জানা থাকলে ভুল করার ভয় থাকে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে কোন ৫ খাবার ক্ষতিকর এবং এড়িয়ে চলতে হবে-
১. মসলাদার খাবার
মসলাদার খাবার সকালে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। সকালে যখন আপনি মসলাদার কিছু খাবেন তখন তা আপনার পেটের আস্তরণে জ্বালাতন করতে শুরু করবে, এর ফলে পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সমস্যা এড়াতে পেট ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খেতে হবে। সকালে খালি পেটে সব ধরনের মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
২. চিনিযুক্ত খাবার
আপনি কি সকালের নাস্তায় প্যানকেক এবং ওয়াফলের মতো চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকে? যদি তাই হয়, তাহলে এ ধরনের অভ্যাস এখনই ত্যাগ করতে হবে। কারণ সকালে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কেবল ওজনই বাড়ায় না সেইসঙ্গে আপনার লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৩. ঠান্ডা পানীয়
আপনার সকালের রুটিনে ঠান্ডা পানীয় যেমন আইসড কফি এবং জুস এড়িয়ে উচিত। কারণ এ ধরনের পানীয় ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। ঠান্ডা পানীয় শ্লেষ্মা ঝিল্লির ক্ষতি করে এবং হজমকে ধীর করে দিতে পারে। তাই সকালে ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয় সব সময় বাদ দেওয়া উচিত।
৪. সাইট্রাস ফল
সকালে সাইট্রাস ফল খেতে ভালোবাসেন? আপনার এ ধরনের ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এ ধরনের ফল আপনার পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। যখন এটি ঘটে, তখন আপনার হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি হতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
৫. কাঁচা সবজি
কাঁচা শাক-সবজি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ, কিন্তু খালি পেটে খাওয়া হলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা উচ্চ ফাইবার সামগ্রী পেট ভার করতে পারে, যার ফলে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে সব ধরনের সালাদ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
এই নিয়মগুলো মানলেই ছাড়তে পারবেন ধূমপান
![এই নিয়মগুলো মানলেই ছাড়তে পারবেন ধূমপান সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/smoking.jpg)
চিকিৎসকদের মতে, ধূমপান ছাড়ার বিষয়টি হল সিদ্ধান্তের। ছাড়তে হলে এখনই ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করুন। ডাস্টবিনে ফেলুন পকেটে থেকে সিগারেট। কোনও একদিন ধূমপান না করে পার্থক্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। তারপর আস্তে আস্তে ধূমপান না করা দিনের সংখ্যা বাড়ান তাহলেই গড়ে উঠবে অভ্যাস।
আপনার পরিচিত যাদের ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের লক্ষ্য করুন। ধূমপান না করার সিদ্ধান্তের জন্য তাদের স্বাস্থ্যে কী পরিবর্তন এসেছে দেখুন তাও।
ধূমপান ছাড়তে হলে সঙ্গ ছাড়তে হবে আপনার সেই সমস্ত বন্ধুদের যারা ধূমপান করেন। কারণ, না হলে আপনি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরও আবার এতে আসক্ত হতে পারেন।
বিড়ি বা সিগারেট খাওয়ার খুব ইচ্ছা হলে মুখে রাখতে পারেন আদা বা চুইংগাম। একদিনে না হলেও এর ফলে আস্তে আস্তে কমে আসবে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ। দিনের শেষে হিসেব করে দেখুন সিগারেট বা ওই জাতীয় তামাকজাত জিনিসের জন্য আপনার কত খরচ হচ্ছে। তাহলে অনেকটাই সহজ হবে তা ছাড়া।
স্বাস্থ্য চেতনতার বই বা তামাকজাত পণ্য বিরোধী বই পড়ুন। তাহলে এর ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা সাহায্য করবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে। যদি কখনও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করার ইচ্ছা হয় তখন রাস্তায় হাঁটুন। তাহলেই দেখবেন আস্তে আস্তে তার প্রতি টান কমে যাচ্ছে।
একান্তই যদি ধূমপান না করা ছাড়তে পারেন তাহলে যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। তার পরামর্শে আস্তে আস্তে এই মরণনেশা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে অনেকটাই সুবিধা হবে।
কাফি