অর্থনীতি
কোরবানি ঈদের আগে কমলো মুরগির দাম
দুয়ারে কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। ক্রেতা সাধারণের চোখ এখন পশুর হাটের দিকে। সেই সুবাদে দীর্ঘদিন পর স্বস্তির বাতাস মুরগির বাজারে। দুইশ টাকার নিচে নেমে এসেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তাল মিলিয়ে দাম কমেছে অন্যান্য জাতের মুরগিরও। তবে কোরবানি সামনে রেখে কাঁচাবাজারে ঝাঁজ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ। দামে লম্বা লাফ দিয়েছে শশা-টমেটোও।
শুক্রবার (১৪ জুন) কারওয়ান বাজার, মিরপুর কাঁচাবাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। দুদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকার ওপরে। এছাড়া ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সোনালী জাতের মুরগি। লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০ টাকা, সাদা ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগি এখনও বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার ওপরে।
তবে ঈদকে কেন্দ্র করে অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচাবাজার। বিশেষ করে ক্রেতা সাধারণের কপালে ভাঁজ পড়ছে শশা-টমেটোর দাম শুনে। প্রতি কেজি শশার জন্য ২০০ টাকা চাচ্ছেন বিক্রেতারা। টমেটোর কেজি চাওয়া হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা। এক লাফে ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে কাঁচামরিচের দামেও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকার বেশি দামে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর আবার ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে পেঁয়াজের দাম।
এ ছাড়া গত সপ্তাহের মতোই ৬০ টাকার নিচে মিলছে না তেমন কোনো সবজিই। প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাঁচা কলা ডজনপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। তবে, করল্লা, পটল, ঢেঁড়শ ও পেঁপের দাম আছে ৪০-৫০ টাকার মধ্যে।
মাছের বাজারও আছে আগের সপ্তাহের মতোই। সাইজ ভেদে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা, কই ২৫০-৩০০ টা ও শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ টাকার নিচে মিলছে না পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড়, ইলিশ।
তবে আরেক দফা দাম বেড়েছে ডিমের। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে প্রতি ডজন ডিম ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পেঁয়াজের দামে ফের সেঞ্চুরি, বিপাকে ক্রেতারা
পেঁয়াজের ঝাঁজ কোনভাবে কমছেই না। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। তাই তো পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়া স্বত্বেও কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে পেঁয়াজের এমন ঝাঁঝে দিশেহারা তারা। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ভারত থেকে কম আমদানি হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
দেশে এমন সময়ে পেঁয়াজের দাম শতক ছাড়াল, যখন বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি। যেমন বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি এখন আড়াই শ টাকার ওপরে। এ ছাড়া গত কয়েক দিনের বৃষ্টির মধ্যে দাম বেড়েছে বেশ কিছু সবজিরও। চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও মাছের দাম উর্ধ্বমুখী। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, তালতলা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়েছে।
পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের মৌসুম শুরুই হয়েছে উচ্চ দাম দিয়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে মৌসুমের শুরুতে ঢাকায় নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা দরে। মার্চে পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছিল। এরপর এপ্রিলে কিছুটা কমে আবার তা বাড়তে থাকে। কোরবানি ঈদের সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮০-৯০ টাকা; যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুধু গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। ফলে এ সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। অন্যদিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। দেশটির অভ্যন্তরেও পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১০ শতাংশ
সবশেষ ঘোষিত মুদ্রানীতি অনুযায়ী গত মে মাসে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। কারণ আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৪৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি। এই ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধ্যে ১৪ শতাংশ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ শাতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশেই রয়েছে প্রবৃদ্ধি।
ব্যাংকাররা বলছেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধির এই অবস্থা। একটি দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অপরিহার্য। কিন্তু ক্রমেই আমাদের দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ কমছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। মার্চে এ খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা ওই সময়ে নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
এছাড়া ধারবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন। যার কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়াছে না। যদিও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি মাসে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার করে এলসি খোলা হয়েছে। সে কারণে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেক কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রম্নয়ারি) এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে কমেছে ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৪ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরে প্রথম আট মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে। এছাড়া শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নিষ্পত্তি ২৫ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এরপর থেকে টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে অক্টোবরে কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ হয়েছিল; এরপর ফের নভেম্বরে কমে যায়। যদিও ডিসেম্বরে নভেম্বরের তুলনায় মার্জিনাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বৃষ্টির অজুহাতে সবজিতে আগুন দর
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। বরবটি, করলা, বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজি দাম ১২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসে আছে শসা ও কাঁকরোল। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে মাছ-মুরগির দামও বাড়তি যাচ্ছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির অতিরিক্ত বাড়তি দাম। মাছ ও মুরগির দামেও ঊর্ধ্বগতি। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিকে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে এত বাড়তি দামে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, গাঁজর প্রতিকেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধন্দুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০, গোল বেগুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁরস প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং কাঁকরোল প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আগের বাড়তি দামেই প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০০ টাকায়।
পাশাপাশি বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি ৫০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, কই প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় আইড় মাছ প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। যদিও বিক্রেতারা টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিকে সবজির অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও সবজির হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধির কারণে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রাজধানী মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বাজারে সবজির এত দাম দেখে নিজেই হতাশ হয়েছি। অন্য সব ধরনের পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। সেই সঙ্গে আজ দেখছি সবজির দাম আরও বেড়ে গেছে। বরবটি করলা বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজি দাম ১২০ টাকা হয়েছে। ১০০ টাকার ঘরে আছে শসা, কাঁকরোল। অন্যদিকে কাঁচা মরিচের কেজি দাঁড়িয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাছ মাংসের দাম তো আগে থেকেই বেশি সাধারণ মানুষ যে সবজি খাবে সেগুলোর দামও দেখছি আজ আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে। যখন যেভাবে ইচ্ছা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, সেখানে ক্রেতাদের কিছুই বলার নাই কিছুই করার নেই। কোনো সাধারণ মানুষ এত দাম দিয়ে এগুলো কিনে খেতে পারবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হবে: প্রতিমন্ত্রী
ভোমরা বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই- পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১২ শত কোটি টাকা ব্যয়ে স্থলবন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠবে ভোমরা বন্দর। এক কথায় এটি ‘হিরো’ পোর্ট হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের (জিএটিএফ) অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে সম্পাদিত ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সাথে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ভোমরা বন্দরে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সুবিধা-অসুবিধা আছে। নতুন কোনো কিছুতে ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। ব্যবসাবান্ধব ও ব্যবসাকে আরও স্মুথ করার জন্য ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হলো। স্থলবন্দরগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সন্ত্রাসীগোষ্ঠী যদি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ না নিতো, তাহলে চ্যালেঞ্জগুলো থাকত না। আমরা স্থলবন্দরগুলোর আপডেট করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান, সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও এইচ আর মাকসুদ খানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয় কমেছে ০.৪৯ শতাংশ
সদ্যবিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে ৫ হাজার ৫২৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার আয় করেছে যা গত বছরেরে তুলনায় ০.৪৯ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৬৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আজ রপ্তানি আয়ের তথ্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশ করবে। তবে তিনি বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬১ কোটি ডলার কম।
বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, রপ্তানি গন্তব্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনীতিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গত ৩০ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবছর অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ৪৩ খাতের পণ্যে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তা ঘোষণা করে। কিন্তু এবারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নগদ সহায়তা আগের চেয়ে অনেক কম পাবেন রপ্তানিকারকরা।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতেও পণ্যগুলোতে নগদ সহায়তা কমানো হয়েছিল। এ নিয়ে রপ্তানিতে দ্বিতীয়বারের মতো নগদ সহায়তা কমালো সরকার।
উদ্যোক্তাদের মতে, সুদহার বেড়ে যাওয়া, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং বর্ধিত মজুরি কার্যকরের ফলে নানামুখী সংকটে রপ্তানিখাত। এ অবস্থায় প্রণোদনা কমানোয় নেতিবাচক দিক তৈরি হবে রপ্তানিমুখী শিল্পে। কমে যেতে পারে বিনিয়োগ, ঝুঁকিতে পড়বে কর্মসংস্থান।
অন্যদিকে গত সোমবার (১ জুলাই) ‘রপ্তানি নীতি, ২০২৪-২৭’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিন বছর মেয়াদি নতুন নীতির শেষ অর্থাৎ ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ১১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসএম