পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ১১৩টির দর কমেছে। সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা বা ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ কমেছে। যার ফলে ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং ইলেকট্রোডসের শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। পাশাপাশি ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্যামপুর সুগার মিলস, এফএএস ফাইন্যান্স, লাভেলো আইসক্রিম, পিপলস লিজিং, সোনালী আঁশ, ই-জেনারেশন, আমান কটন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো ম্যাকসন্স স্পিনিং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৬৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৯৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ২৯ পয়সা।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ তারিখ কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইপিওর অর্থ নয়ছয়, কাট্টালি টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) উত্তোলিত অর্থ অপব্যবহার ও ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ইতোমধ্যে বিএসইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সিআইডি। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বিএসইসির উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেন্ত কমিশন গত ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের আইপিও অর্থ ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতএব, এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু, দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিল ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।
জানা গেছে, কাট্টালি টেক্সটাইল পুঁজিবাজারের অন্যতম আলোচিত কোম্পানি। আইপিও তহবিল উত্তোলনের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত ছিল। কিছু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সুবিধা ব্যবহার না করে কেবল চট্টগ্রামে এর কারখানা ভবন থেকে ভাড়া আদায়ের ওপর নির্ভর করে চলছে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ে আইপিও তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি সময়মতো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা তাদের প্রত্যাশিত রিটার্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কোম্পানিটির আর্থিক বিবরণীসহ সার্বিক ব্যবসা কার্যক্রম যাচাই করে দেখেছে বিএসইসির তদন্ত কমিটি। সেখানে কোম্পানিটির আইপিওর অর্থ নয়ছয় করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এর আগে আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতার জন্য ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিএসইসি কাট্টালি টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ১ কোটি টাকা জরিমানা করে এবং স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক ব্যতীত অন্য পরিচালকদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এবার সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসইসি।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ০.২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.০২৫ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা। তবে, ঘোষিত লভ্যাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের দেওয়া হবে না। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত ২১ নভেম্বর হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে বিতরণে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ অক্টোবর। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে (০.৮৪) টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৩২) টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.০২ টাকা।
কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড বিভিন্ন ধরনের পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে লভ্যাংশ দেওয়ার নাম-গন্ধও নেই। ২০২১ সালের পর ২০২৪ সালে কোম্পানিটি নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই, এ কোম্পানিকে ‘জেড’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদি ঋণের পরিমাণ ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ রয়েছে ৫৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৬ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ১১ কোটি ৬৩ লাখ ৫ হাজার ২০০টি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির উদ্যেক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০.৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২১.৭৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৬২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ ছিল। বিএসইসির তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে তা প্রমাণ হয়েছে। তাই, মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী সিআইডিকে এ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির মিডিয়া উইংয়ের প্রধান (বিশেষ পুলিশ সুপার) আজাদ রহমান বলেন, আমরা এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সংবাদ প্রকাশের পর ফ্লোরপ্রাইস সমন্বয় হয়েছে বেক্সিমকোর: দায়মুক্ত কি ডিএসই?
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে আসলে কমিশনের মৌখিক নির্দেশনায় তা সমন্বয় করেছে ডিএসই। তবে বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে ডিএসইর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজেদের ব্যক্তিগত ফায়দা লুটে নিতে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম এবং ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ও কোম্পানিগুলোর মুল্যসংবেদনশীল তথ্য কোম্পানিগুলো জমা দেওয়ার অনেক পরে প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। একদিন পরেই ফ্লোরপ্রাইস সমন্বয়য়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হলো এটাই কি শেষ, ডিএসই কর্মকর্তারা কি দায়মুক্ত হয়ে গেলেন? এমন প্রশ্ন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের।
ডিএসই বেক্সিমকোর শেয়ারের বোনাস লভ্যাংশ সমন্বয় করার পর আজ বুধবার শেয়ারটির নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ১১০ টাকা ১০ পয়সায়।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা জারির পর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হলেও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘন হয়। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করলেও নিশ্চুপ ছিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
নীতিমালা অনুযায়ী লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরবর্তী কার্যদিবসে শেয়ারদরের সঙ্গে বোনাস শেয়ারের সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের কথা। কিন্তু বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে কোনো সমন্বয়ই হয়নি। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হওয়ার কথা ১১০ টাকা ১০ পয়সা। কিন্তু সেটির কোনো পরিবর্তন না করায় রেকর্ড ডেটের পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস গতকাল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সাতেই অপরিবর্তিত ছিলো। সেই সঙ্গে ৫ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি দেখিয়ে গেইনার তালিকায় উঠে আসে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করে অনেক বিনিয়োগকারী সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। বোনাস ও রাইটের পর সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কত হবে সেটি বিএসইসির নীতিমালা অনুযায়ীই হিসাব করে পরবর্তীতে আবার বিনিয়োগ হবে। কিন্তু সেই হিসাব যদি ডিএসইর কারণে গড়মিল হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবিষয়ে বিএসইসি যেহেতু একটা নীতিমালা দিয়েছে সেহেতু সে অনুযায়ীই হওয়া উচিত। ডিএসইর আগের নিয়ম থাকলেও সেটি বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
এবিষয়ে জানতে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সফিকুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, পূর্বের কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লোরপ্রাইসে থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যখন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার দর সমন্বয় হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হওয়ার কথা ছিলো। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ কোন নিয়মে সমন্বয় করেছে বা না করে থাকলে কেনো করেনি তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি গতকালকেই কমিশনের নজরে এসেছে। আর তখনি বিএসইসি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির সমাধাণ করতে। সেই অনুযায়ী আজ বেক্সিমকোর ফ্লোরপ্রাইস সমন্বয় করা হয়েছে। তবে কমিশন থেকে আরও তদন্ত করে দেখবে, এতে স্টক এক্সচেঞ্জের কারো গাফিলতি থাকলে বা জড়িতর প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেই অনুযায়ী, আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বোনাস শেয়ার সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের ফ্লোর প্রাইসের থেকে ৫.৭৬ কম প্রতিফলিত হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ইতোমধ্যে ২৬ নভেম্বর বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় করেছে। সিএসইতে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হয়েছে ১১০ টাকা ২০ পয়সায়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এপেক্স ফুটওয়্যারের লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এজিএমটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোম্পানির অন্যান্য আলোচ্যসূচীর পাশাপাশি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ৩৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডাদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়।
সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও অন্যান্য পরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের লোকসান কমেছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই,২৪-সেপ্টেম্বর,২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মত, সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।
একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭২ টাকা ৯৯ পয়সা।
এসএম