অর্থনীতি
‘শরিয়াহ’ ব্যাংকে এক মাসে আমানতের চেয়ে বিনিয়োগ ৯ গুণ
দেশের পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোতে গত মার্চ মাসে যে পরিমাণ আমানত এসেছে, তার চেয়ে সাড়ে ৯ গুণ বেশি ঋণ বিতরণ বা বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমানত ও ঋণের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চে এসব ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৪৪৯ কোটি টাকা। এর বিপরীতে বিনিয়োগ বা ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোয় আমানত ছিল ৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, যা মার্চে বেড়ে হয় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে এসব ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা, মার্চে যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক বা ইসলামি ধারার ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।
আমানতের চেয়ে ঋণের প্রবৃদ্ধির বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, তারল্যসংকটে পড়া ইসলামি ধারার কয়েকটি ব্যাংক আমানতের পাশাপাশি মূলধন, নিরাপত্তা সঞ্চিতি ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া অর্থ বিনিয়োগ করছে। ফলে আমানতের চেয়ে ঋণ বেশি বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামি শাখা ও উইন্ডোর বিপরীতে গত মার্চে আমানত কমেছে ৪৪৯ কোটি টাকা। একই মাসে এসব শাখা ও উইন্ডোর বিতরণ করা ঋণ বা বিনিয়োগ কমেছে ৮৪ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি শেষে ইসলামি ধারার ব্যাংক এবং প্রচলিত ধারার ব্যাংকের ইসলামি শাখা ও উইন্ডো মিলিয়ে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১৮ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে ঋণ বা বিনিয়োগ ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯০১ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ ছিল ইসলামি ব্যাংকগুলোয়, যা মার্চে কমে হয়েছে ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক খাতের ঋণের ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছিল ইসলামি ব্যাংকগুলোয়, যা মার্চে ছিল ২৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
মার্চে ইসলামি ব্যাংকগুলোর শাখা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ৩৯৪টি, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ২১৯টি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২০৫টি, এসআইবিএলের ১৭৯টি, এক্সিম ব্যাংকের ১৫১টি, শাহ্জালাল ব্যাংকের ১৪০টি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৩৮টি, ইউনিয়ন ব্যাংকের ১১৪টি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১০১টি ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ৩৩টি শাখা আছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংক লুটপাটকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: গভর্নর
দেশে যাঁরা নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছেন এবং টাকা পাচার করে বিদেশে সম্পদ গড়েছেন, এসব লুটেরাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংক লুটপাটকারীদের সম্পদ খুঁজে বের করে, যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে চলমান বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে সাইডলাইনে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকের লোপাট করা অর্থ দেশে-বিদেশে যেখানেই থাক, তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি তালিকায় রাখা হয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী পেশাজীবীরা দেশের ব্যাংক খাত এবং অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ জানান।
চরম তারল্যসংকটের মুহূর্তে ব্যাংক গ্রাহকদের ধৈর্যের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও তারা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে হামলা করেনি। এ জন্য নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সুদের হার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলে দেশে ছয় মাস পর সুদহার কমানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর মূল্যস্ফীতি কমাতে দেশে নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯.৫০ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এটি ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
গভর্নর বলেন, আগামী মাস থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সম্পদের মূল্যায়ন শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতিসহায়তা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরেন নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এশিয়ার দেশগুলোতে কমছে চালের দাম
বিশ্বজুড়ে মাস কয়েক আগে চালের সংকট এবং দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও এশিয়ার দেশগুলোতে স্বস্তি ফিরেছে। শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ ভারত গত মঙ্গলবার সেদ্ধ চালের রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। পরেরদিনেই বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) তুলে দিয়েছে দেশটি।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বাজারে যেমন চালের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, তেমনি এশিয়ার অন্য দেশগুলোয় চলতি সপ্তাহে চালের রপ্তানি মূল্য কমেছে। রপ্তানিতে এশিয়ার শীর্ষ দুই দেশ ভারত ও ভিয়েতনামে চাল দাম নেমেছে গত এক বছরের সর্বনিম্নে।
জানা যায়, ভারতে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৫০-৪৮৪ ডলার, যা গত বছরের আগস্টের পর সর্বনিম্ন। ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সাদা চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৬০-৪৯০ ডলার।
এ বিষয়ে কলকাতার এক রফতানিকারক বলেন, ‘সরকার রফতানি শুল্ক ও ন্যূনতম রফতানি মূল্য তুলে নেয়ার পর ভারতে চালের দাম অনেক কমেছে। এছাড়া চলতি সপ্তাহে চালের চাহিদাও ভালো ছিল।’
ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্নে নেমেছে। ভিয়েতনামে বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল টনপ্রতি ৫৩২ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৩৭ ডলার।
হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অন্যান্য রফতানিকারক দেশের প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ভিয়েতনামে চালের দাম কমেছে। এছাড়া বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বুলোগ চাল ক্রয়ের টেন্ডার বাতিল করেছে। এটিও পণ্যটির দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
এদিকে থাইল্যান্ডে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫১০ ডলার, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২৫ ডলার। এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে। সরবরাহের জন্য চাল এরই মধ্যে জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ১১ লাখ টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর চালের আমদানি শুল্ক ৩৭ শতাংশ কমিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সবজির দাম কমলেও মাছ-মুরগির বাজার চড়া
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কাঁচাবাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে তেল, মাছ, ও মুরগির দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৪৪-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়।
এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা। সপ্তাহ ব্যবধানে হাতেগোনা কয়েটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা বলছেন, ডিম ও সবজির দাম কমায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। মনিটরিং অব্যাহত রাখলে দাম আরও কমে আসবে।
বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় শাক-সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সামনে কোনো সংকট না হলে দাম হাতের নাগালে চলে আসবে।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, লতি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ২০-৩০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, , গাজর ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ টাকা, শিম ১৪০-১৬০ টাকায়।
এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০-১৪০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। লালশাকের আঁটি ২০-২৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫-২০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
কাঁচা মরিচের দাম কমে চলতি সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়, আর পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০-১৬০ টাকা দরে। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০-১৩৫ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০, রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকায় এবং সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ২৪ কোটি ডলার
গত এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৪ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ডলার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৮০ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এক মাস আগে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৩ লাখ ডলার। এক মাসে আগে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে মোট রিজার্ভ বেড়েছে ৬২ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রিজার্ভের ক্ষয় রোধ করার কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। অবশ্য, নিট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়ন নভেম্বরে শুরু হবে: গভর্নর
আগামী নভেম্বর মাস থেকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরা হয় নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।
প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থাপনাসহ ভগ্ন দশায় থাকা দেশের আর্থিক খাতের শুদ্ধতায় আনা পরিবর্তনগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সম্পদ মূল্যায়নের কাজ শুরু করতে রোডম্যাপ তৈরি করা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দিয়ে যাচাই-বাছাই করে কোন ব্যাংক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি নিরূপণ করা হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারত্ব কোন পথে, কীভাবে হবে এ নিয়ে মার্কিন সরকারের নীতি সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গভর্নর জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সহায়তা দরকার।
এমআই