জাতীয়
২৪ ঘণ্টায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা মেয়র তাপসের
এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১২ জুন) জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, আমরা প্রতিবার বর্জ অপসারণের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে থাকি সেটা হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ। সুতরাং ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারিত হবে এবং পরের দিন যে বর্জ্য অপসারিত হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারিত হবে। মগবাদি পশুর হাটের বর্জ্য ঈদের আগের রাত থেকে অপসারণ শুরু হবে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা জানি যে, রাতের পরে পশুর সংখ্যা কমে যায়, বিক্রি কমে যায়, হাটের পরিধিও কমে যায়, সেজন্য আমরা এই কাজটি আগের রাতে শুরু করব যাতে করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ নিয়ে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা না থাকে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় হাট রয়েছে।
দুই ধাপের বর্জ্য অপসারণের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, হাট এবং কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের জন্য আলাদা কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছেন তারা। যাতে একটার সাথে আরেকটার কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। দুইটাই এক নাগাড়ে চলবে। গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে এবারের কর্মপরিকল্পনা একটু ঢেলে সাজানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, আলাদা কর্মকর্তা এবং আলাদা যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি। একসময় আমাদের যান-যন্ত্রপাতির কিছু দূর্বলতা ছিল, এবার ইনশাল্লাহ আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই; আমরা পূর্ণভাবেই সক্ষম।
মেয়র বলেন, আমাদের বহরে এবার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৫টা নতুন যান-যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছি। ২৫টা ১০ টনের যান-যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যে আমরা চালু করে ফেলেছি, ১০টা পে-লোডার লাগে, যেগুলো ময়লা অপসারণ করে, সেইগুলো সংযোজন হয়েছে। আরও প্রায় ১৫টি যান-যন্ত্রপাতি গাড়ি সংযোজন হচ্ছে। এক কথায় আমাদের যান-যন্ত্রাপাতির বহর অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমরা আশাবাদী, আমরা ঢাকাবাসীকে গতবার যে সুবিধা দিতে পেরেছি, তারচেয়ে আরও সুষ্ঠুভাবে আমাদের কার্য্ক্রম দিতে পারব।
ঈদের দিন বর্জ্য অপসারণের কাজ দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ইনশাআল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সেইভাবে আমাদের জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা ইনশাল্লাহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হব এবং ঢাকাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে সবার জন্য উপহার দিতে পারব।
গতবছর কোরবানির ঈদ ঘিরে ৪৮ ঘণ্টায় মোট ৪১ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এর মধ্যে উত্তর সিটি এলাকায় ২২ হাজার ৩৮৭ টন এবং দক্ষিণে ১৮ হাজার ৮৫২ টন বর্জ্য সরানোর কথা জানিয়েছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সচিবদের যে ২৫ নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের ২৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এসব নির্দেশনা সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সচিব ও সিনিয়র সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গত ৪ সেপ্টেম্বর সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তিনি সিনিয়র সচিব/সচিবদের উদ্দেশে এ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো চিঠিতে জানানো হয়েছে।
সচিবদের যে ২৫ নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
১. ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ‘মার্চিং অর্ডার’ অনুসরণ করতে হবে।
২. সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে জরুরি-ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার পরিকল্পনা এবং একই সঙ্গে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও তাদের মতামত নিতে হবে।
৪. বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৫. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৬. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৭. বাজেটের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৮. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
৯. বর্তমানে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
১০. নিজ কর্তব্যকর্মে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে হবে।
১১. সেবা-প্রার্থীদের কেউ যেন কোনরূপ ভোগান্তি, হয়রানি কিংবা কোনো কারণে দীর্ঘসূত্রিতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩. প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম নিতে হবে।
১৪. জরুরি সরবরাহ নিশ্চিত করে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
১৫. কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১৬. সরকারকে জনবান্ধব সরকারে পরিণত করতে সমবেতভাবে কাজ করতে হবে।
১৭. মানবসম্পদ উন্নয়নে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যাচাই করে প্রয়োজনে সংস্কার করতে হবে।
১৮. বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও সঞ্চালন যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে।
১৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
২০. গ্যাসের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
২১. খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও সরবরাহ সন্তোষজনক রাখতে হবে।
২২. আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমদানির বিকল্প উৎস বের করতে হবে।
২৩. ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়মিত তদারকি করতে হবে।
২৪ . শিল্প উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৫. আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া এসব নির্দেশনা ও সিদ্ধান্তগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে সচিবদের একান্ত সহযোগিতা ও উদ্যোগ কামনা করা হয়। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে সেই বিষয়ে অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংবিধান সংস্কারে ৯ সদস্যের কমিশন গঠন
সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সরকার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের এ কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিশন ৬ অক্টোবর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে এবং সবার মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে ও সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিষিদ্ধ হচ্ছে প্লাস্টিক
সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে পরিবেশবাদী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে কোনো হাসপাতাল নেই। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচানো প্রয়োজন। পর্যটকদের ভিড় আর প্লাস্টিক, পলিথিনের কারণে হুমকির মুখে সেখানকার জীববৈচিত্র্য।
তিনি বলেন, গত বছর ২ লাখ ২০ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেছে। ২০১৮ সালেই সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিদিন ১ হাজার ২৫০ থেকে ১৮শ’ পর্যটক যেতে পারবে এমন সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০২৩ সালের শুরুতে রাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থান না করার সুপারিশ করা হয়। এসব নিয়ম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
পরিবশে উপদেষ্টা আরও বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায় কি না, সে বিষয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত আসবে।
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় নতুন করে আর কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাবেক আইনমন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। আনিসুল হক মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে কসবা, ত্রিশাল এবং পূর্বাচলে ৬.৮০ একর জমি কিনেছেন। সিটিজেন ও এক্সিম ব্যাংকে তার শেয়ারের পরিমাণ ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ টাকা, এবং ৪টি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে তার।
এছাড়া অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে। তৌফিকা করিম সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বিধায় তার মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতেন। তিনি নিম্ন আদালতের অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন। সাবেক আইনমন্ত্রীর সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিমের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. ইউনূস
চলতি বছরের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে জর্ডানের আম্মানভিত্তিক ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’। এই তালিকায় শীর্ষ ৫০ ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর ‘দ্য রয়েল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি)’ বিশ্বের ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এবার প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৫ সালের তালিকা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের সহযোগিতায় এ বছরের তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রতিবছর প্রকাশিত এই তালিকায় ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের নির্বাচন করা হয়। এই ক্যাটাগরিগুলো হলো : ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেসব মুসলিম ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিন ধরে মাইক্রোফাইন্যান্স ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান এবং বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব তাকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এ তালিকায় জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবন আল-হুসেইন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এবং ইরানের আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিসহ শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ব্যক্তিত্বরা স্থান পেয়েছেন।
এমআই