আন্তর্জাতিক
বায়ুদূষণে বিশ্বে সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের অকাল মৃত্যু

বায়ুদূষণে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ৪০ বছরে বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে অকালে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ। মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন আর দাবানলের মতো কারণে প্রতিবছর এ অকাল মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ লাখে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা কিংবা মহামারি—অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে আমরা সাধারণত এসবকে দায়ী করি। কিন্তু সবার অগোচরে বিভিন্ন মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দূষণও হতে পারে অসময়ে মৃত্যুর কারণ; যার মধ্যে বায়ুদূষণ অন্যতম।
সিঙ্গাপুরের নানিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন আর দাবানলের মতো অন্যান্য উৎস এ দূষণের কারণ।
সবচেয়ে বেশি অকাল মৃত্যু হয়েছে এশিয়ায়। এই মহাদেশে ৯ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ অকালে প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশির ভাগই চীন ও ভারতের। এছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও জাপানে অকালে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ২০ থেকে ৫০ লাখ।
গবেষকরা বলছেন, এল নিনো এবং দ্য ইন্ডিয়ান ওশান ডাইপোলের মতো বিষয় বাতাসে দূষণের উপাদানগুলোর ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। এতে বায়ুদূষণের প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠছে। বাতাসে ঘুরে বেড়ানো পার্টিকুলেট ম্যাটার টু পয়েন্ট ফাইভ ক্ষুদ্রকণা নিশ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করলেও ক্ষতি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ বা প্রতিরোধ করা যেত এমন রোগ বা পরিস্থিতিতে পড়ে মানুষ কম বয়সে মারা যাচ্ছে। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ফুসফুসের রোগ ও ক্যানসার। আবহাওয়ার ধরনের কারণে এ ধরনের মৃত্যু ১৪ শতাংশ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণায়।
কাফি

আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় ৩৪ বাংলাদেশিসহ ৯৪ জন আটক

মালয়েশিয়ার জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ বৃহৎ অভিযান চালিয়ে ৩৪ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইস্কান্দার পুটেরি ও কুলাই এলাকায় একযোগে ৪৩টি স্থানে অভিযান চালায় জোহর বাহরু ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ সময় মোট ১৯৯ জনকে তল্লাশি করে ৯৪ জনকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জোহর ইমিগ্রেশন পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস জানান, অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন অ্যাকশন ইউনিট এবং মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি (AKPS)–এর কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ৩৮ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ১৫ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, ১২ জন মিয়ানমারের পুরুষ, ৬ জন পাকিস্তানি পুরুষ, ৪ জন ভারতীয় পুরুষ, ২ জন ভিয়েতনামী পুরুষ, ১ জন নেপালি পুরুষ, ১ জন থাই পুরুষ, ১০ জন মিয়ানমারের নারী এবং ৫ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে।
ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩–এর ধারা ৬ (১ ) (সি) ও ১৫ (১) (সি), এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩–এর ধারা ৩৯ (বি) ভঙ্গের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া, অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৫৬ (১) (ডি) অনুযায়ী দুইজন স্থানীয় নাগরিক এবং একজন প্রাঙ্গণ ব্যবস্থাপককে ধারা ৫৫ই–এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের আরও তদন্তের জন্য সেতিয়া ট্রপিকানা ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় ও নিয়োগ না দেওয়ার জন্য নিয়োগকর্তাদের প্রতি কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশি কর্মী নিয়োগে কোনো পক্ষ পরিচালনায় সক্ষম দাবি করলে তার সঠিক তথ্য অফিস থেকে যাচাই করতে নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে থাইল্যান্ড তাদের গত দুই বছরের মধ্যে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পেল। দেশটির পার্লামেন্ট সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী আনুতিন চার্নভিরাকুলকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এর আগে, দেশটির ক্ষমতা থেকে আরেক প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করা হয়।
পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, তাকে গত সপ্তাহে সাংবিধানিক আদালত অপসারণ করে। আদালতের মতে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির সময় তিনি নৈতিকতার লঙ্ঘন করেছেন। এরপরই আনুতিনের দল ভূমিজাইথাই সিনাওয়াত্রাদের দল ফেউ থাই-এর নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বেরিয়ে আসে এবং পার্লামেন্টে যথেষ্ট সমর্থন জোগাড় করে প্রধানমন্ত্রীর পদ জিতে নেয়।
তবে এই নির্বাচন সত্ত্বেও থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি। দেশটিতে বারবার সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।
আনুতিনের ক্ষমতায় আসা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য একটি বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পায়েতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই পরিবারটিই থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যক্তিগত বিমানে করে থাকসিনের দেশ ছাড়ার খবর ঘিরে থাইল্যান্ডে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার সকালে থাকসিন সামাজিক মাধ্যমে জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন। তবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি দেশে ফিরবেন, কারণ ওই দিন একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে, ফলস্বরূপ তাকে আবারও জেলে যেতে হতে পারে।
থাকসিনের দল ফেউ থাই, ২০২৩ সালের নির্বাচনে একটি প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল, এখন ক্ষমতার বাইরে। তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে একমাত্র অবশিষ্ট ছিলেন চাইকাসেম নিতি, যিনি জনসমক্ষে খুব বেশি পরিচিত নন এবং শারীরিকভাবেও অসুস্থ।
অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্ন আয়ের থাই জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেলেও ব্যাংককের রক্ষণশীল-রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। থাকসিন এবং তার বোন ইংলাক, যারা তার পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, যথাক্রমে ২০০৬ এবং ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন।
আন্তর্জাতিক
ভারত শুল্ক দিয়ে আমাদের হত্যা করেছে: ট্রাম্প

ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে আবারও কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, “ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে হত্যা করছে।” চলমান বাণিজ্য ও শুল্ক নীতির টানাপোড়েনের মাঝেই মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দ্য স্কট জেনিংস রেডিও শো-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, তারা (ভারত) আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করছে। চীন আমাদের শুল্ক দিয়ে শেষ করে দিচ্ছে, ভারত আমাদের শুল্ক দিয়ে হত্যা করছে, ব্রাজিলও একই কাজ করছে। তিনি দাবি করেন, শুল্ক বিষয়ে তিনি বিশ্বের অন্য যে কারও চেয়ে ভালো জানেন।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর কর আরোপ করার পরই ভারত শুল্ক কমানো শুরু করেছে। ভারতকে বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত আমাকে জানিয়েছে, এখন থেকে আর কোনো শুল্ক থাকবে না। কিন্তু তারা এই প্রস্তাব দিত না, যদি আমার শুল্ক না থাকত।
এর আগের দিনও ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য এতদিন পুরোপুরি “একপাক্ষিক বিপর্যয়” ছিল। তিনি বলেন, ভারত এখন শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে, তবে তা এসেছে অনেক দেরিতে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ককে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। এর জবাবে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, আপিল আদালত ভুলভাবে আমাদের শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তারা জানেন, শেষ পর্যন্ত আমেরিকাই জিতবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কও যুক্ত রয়েছে। নয়াদিল্লি এই শুল্ককে “অন্যায্য ও অযৌক্তিক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন ইতিহাস

বিশ্ববাজারে ইতিহাস গড়েছে সোনার দাম। প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ৫০৫ ডলার ছাড়িয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) স্পট মার্কেটে সোনার দাম প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৯৯ ডলারে, যা দিনের শুরুতে পৌঁছেছিল রেকর্ড ৩ হাজার ৫০৮ দশমিক ৫০ ডলারে।
একই সময়ে ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য মার্কিন সোনার ফিউচার ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৬৪ দশমিক ৪০ ডলারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন ডলারের দুর্বলতা এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে।
ক্যাপিটাল ডটকমের আর্থিক বাজার বিশ্লেষক কাইল রোডা বলেন, দুর্বল অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার প্রভাবেই সোনার দাম বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত একটি বড় কারণ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডের স্বাধীনতার ওপর সমালোচনা, যা ডলারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, সুদের হার না কমানোর কারণে কয়েক মাস ধরেই ফেডারেল রিজার্ভ এবং এর চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়াশিংটন সদর দফতরের ব্যয়বহুল সংস্কারের জন্যও পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন।
সোমবার (৩১ আগস্ট) মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, ফেডারেল রিজার্ভ স্বাধীন এবং স্বাধীন থাকা উচিত। তবে তিনি আরও যোগ করেছেন, ফেড ‘অনেক ভুল করেছে’ এবং বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে ফেড গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার ট্রাম্পের অধিকারকে সমর্থন করেছেন।
তথ্য বলছে, মার্কিন ব্যক্তিগত খরচের মূল্যসূচক মাসে ০.২ শতাংশ ও বছরে ২.৬ শতাংশ বেড়েছে, যা প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সান ফ্রান্সিসকো ফেড ব্যাংকের সভাপতি মেরি ডেলিও শ্রমবাজারের ঝুঁকি বিবেচনা করে সুদের হার কমানোর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, মাসের শেষে ফেড ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাবে বলে ৮৭ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম সুদের পরিবেশে স্বর্ণ সাধারণত ভালো ফলাফল দেখায়।
এবার বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি মার্কিন অ-খামার বেতন-বহির্ভূত তথ্যের দিকে, যা আগামী শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হবে এবং ফেডের সম্ভাব্য সুদের হারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, বাণিজ্যিক খবরে জানা গেছে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেছেন,আদালতের রায় সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, প্লাটিনামের দাম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৯৫ ডলার ও প্যালাডিয়ামের দাম শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১১৮ দশমিক ১২ ডলার হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
সুদানে ভূমিধসে নিশ্চিহ্ন একটি গ্রাম, মৃত্যু অন্তত ১ হাজার

ভয়াবহ ভূমিধসে সুদানের একটি গ্রামে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মাররা পাহাড়ি অঞ্চলের ওই গ্রামটি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে একজন বাদে ওই গ্রামের সবাই মারা গেছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট বা সেনাবাহিনী।
ভারী বৃষ্টিপাতের পর গত ৩১ আগস্ট ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সেখানকার একটি গ্রুপের প্রধান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ গ্রুপটি দারফুরের ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে। তারা জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে নারী, পুরুষ ও শিশুদের মরদেহগুলো উদ্ধারের জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
গ্রামটি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয় গেছে বলে জানিয়েছে তারা।
সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারমিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের দ্বন্দ্বের কারণে অনেক মানুষ দারফুরের ওই পাহাড়ি অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অঞ্চলটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধ পাওয়াই দুস্কর।
দুই বাহিনীর দ্বন্দ্বের কারণে দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে সুদানের অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। জীবন বাঁচাতে সেখানে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারালেন তারা।