জাতীয়
আজ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রী চাপ সামাল দিতে আজ থেকে পূর্বে দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ঈদের পরে যথারীতি ছুটি পাবেন তারা।
আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে জানায়, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য পাহাড়তলী ওয়ার্কসপ থেকে ৯০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৭টি বিজি ও ১২ টি এমজি কোসসহ সর্বমোট ১৬২টি আউট টার্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷
এছাড়া ঈদ উপলক্ষে মোট ২৪৯টি (পূর্বাঞ্চলে এমজি ১০৫টি ও পশ্চিমাঞ্চলে বিজি ১২৫ টি ও এমজি ১৯টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷
আজ বুধবার (১২ জুন) থেকে ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। গত ২ জুন যারা অগ্রিম টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা আজ ভ্রমণ করতে পারছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
জাতীয় সনদ রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় সনদ জনগণের রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করবে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার সময় আমরা টেবিলের দুই প্রান্তে বসলেও আমরা দুইপক্ষ নই। আমরা একপক্ষ, আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবাই চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এল.ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বাংলাদেশ)-এনডিএমের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, আমাদের পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে এই মত ভিন্নতা দূর করা যাবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটা ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছি, সেই ঐক্যের জায়গাকে অব্যাহত রেখে তা আরও সুদৃঢ় করতে পারব।
আলোচনায় এনডিএম-বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির মহাসচিব মোমিনুল আমিন, ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক উজ জামান চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাহিদুল আজমসহ প্রমুখ।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৪টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে নয়টি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাথে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা পরিষ্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ব্যাপারে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন—আগামী জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য নেই।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, তার একটি বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। “এই সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়”—এমন কোনো মন্তব্য তিনি করেননি বলে সাফ জানিয়ে দেন। বরং তার মতে, “জনগণ এ সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট।”
বাংলা নববর্ষ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এবারের নববর্ষ সার্বজনীন রূপ নিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ ছিল প্রাণবন্ত। সরকারের আয়োজন সফল হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল প্রত্যাশিত।”
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন এবং উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী বলেন, “মডেল মেঘনাকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিষয়টি বর্তমানে উচ্চ আদালতের বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ আইনে গ্রেপ্তারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।”
ডিবি প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মডেল মেঘনা ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অংশ।”
চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন কিছু না ঘটলে ভালো হতো।” ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনে ব্যালট পেপারসহ ছাপা খরচ ৩৬ কোটি টাকা

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য মুদ্রণকাজে দুই লাখ ৩০ হাজার রিম কাগজ লাগবে। এতে ব্যয় ধরা হয়ে হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।
ইসি সূত্রগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এ চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আরও কয়েকটি বৈঠকের পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
এবিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব (ইসি) আখতার আহমেদ বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছে, ব্যালট পেপারসহ সব মুদ্রণকাজ সম্পন্ন করতে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা বলেছি, চার মাস সময় নেন। এক্ষেত্রে তারা সবকিছু হিসাব-নিকাশ করে পরবর্তী বৈঠকে আমাদের জানাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আউটসোর্সিং সেবাগ্রহণ নীতিমালা জারি

আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের জন্য সেবাগ্রহণ নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে সরকার। নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো- আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবাকর্মীদের উৎসাহিত করা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এ নীতিমালা জারি হয় বলে অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে নববর্ষের উপহার হিসেবে এ নীতিমালা জারি হয়।
এতে আরও বলা হয়, পাঁচটি ক্যাটাগরির সেবা ও তিনটি বিশেষ সেবা জনপ্রতি মাসিক সেবামূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া এক মাসের সমপরিমাণ সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে দুটি ও এক পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে বৈশাখী প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
পাশাপাশি সেবাকর্মীদের বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি ও মৌলিক কাজ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি সেবাকর্মীকে প্রতি বছর দুটি নতুন ইউনিফর্ম প্রদান করা হবে। আর নারী সেবাকর্মীরা ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন।
সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়। তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।
সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেওয়া হবে এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
একইসঙ্গে নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। পাশাপাশি নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে: আলী রীয়াজ

রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নের সবার লক্ষ্য এক। তবে সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিয়ে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যে সব জায়গায় ঐকমত্য আছে, তার ভিত্তিতে দ্রুতই জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। এই সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে হয়তো আলোচনা করব। আমরা বিবেচনা করব, কীভাবে এক জায়গায় আসতে পারি।
স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। তখন স্পষ্ট করতে পারব কমিশনগুলোর অবস্থান কী, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করব। তারই মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়া অগ্রসর হব।
জাতীয় সনদ তৈরি প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এই কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হব।
আলোচনা টেবিলের দুই পাশে হলেও, এখানে পক্ষ দুটি নয় মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা সবাই একপক্ষ। চেষ্টা করছি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আমাদের লক্ষ্য এক। কিন্তু পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। সেটা দূর করে—যে ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসন দূর করা গেছে, সে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারি এবং অগ্রসর হতে পারি। এখানে ঐক্য আছে, মতভিন্নতা আছে। সেই ঐক্যকে সুদৃঢ় করা এবং সংস্কার কার্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ গ্রহণ করেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের বেশির ভাগ বিষয়ে এনডিএম একমত জানিয়ে ববি হাজার বলেন, ‘আমরা সংস্কারগুলো বড়ভাবে দেখতে চাই। সংস্কারগুলোর মাধ্যমে জনবান্ধব সরকার ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিস্ট যাতে আর বাংলাদেশে দাঁড়াতে না পারে, সেই আওয়ামী লীগকে বাতিল করা এবং তাদের ফ্যাসিজমকে বাতিল করা বড় সংস্কার।