পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি সংসদে
![শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি সংসদে প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/black-money-kalo-taka-22.jpg)
শেয়ারবাজারেও কালোটাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি তুলেছেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দুই মাস ধরে শেয়ারবাজার একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে। শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ করবেন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। এই অধিবেশনজুড়ে সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর আলোচনা করবেন। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৬ জুন সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, অতীতেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। সরকার কর ফাঁকিদাতাদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বৈষম্যমূলক ও অনৈতিক।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণে ওই কর পরিশোধ করে তাদের অপ্রদর্শিত সম্পদ ট্যাক্স রিটার্নে সংযুক্ত করে তাহলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কেউই কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। তাতে বিনা প্রশ্নে কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আবার ফিরে আসছে। বাজেটে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ, নগদ টাকা, শেয়ারসহ যেকোনো বিনিয়োগ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ পাবে বিনিয়োগকারীরা।
অর্থ বিলে বলা হয়েছে, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সিকিউরিটিজ (শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট), আর্থিক স্কিম ও ইন্সট্রুমেন্ট এবং সকল প্রকার ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ট্যাক্স রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে। এর বাইরে যেকোনো প্রকারের পরিসম্পদের ক্ষেত্রে নায্য বাজারমূল্যের ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সেগুলোকে বৈধ করা যাবে।
এদিকে কর বসানো হয়েছে মূলধনী মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর। অর্থমন্ত্রী বাজেটে প্রস্তাব করেছেন, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূলধনী মুনাফায় কোনো কর বসবে না। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর দিতে হবে।
সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ার লেনদেন করে কোনো বিনিয়োগকারী যদি এক বছরে ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা করেন, তাহলে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধার আওতায় থাকবেন। বাকি পাঁচ লাখ টাকা মুনাফা ওই বিনিয়োগকারীর মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।
তাতে ওই বিনিয়োগকারীর নির্দিষ্ট একটি অর্থবছরে তার মোট আয়ের ওপর যে হারে কর প্রযোজ্য হবে, সেই হারে কর দিতে হবে। তবে কোনো বিনিয়োগকারী যদি কোনো শেয়ার একটানা পাঁচ বছর ধরে রেখে ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করেন, সে ক্ষেত্রে ওই মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ হবে।
এছাড়া তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানি বা তহবিলের সিকিউরিটিজ বা শেয়ার হস্তান্তরের জন্য ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে। তবে মাতা-পিতা, সন্তান এবং স্বামী- স্ত্রীর মাঝে উপহার হিসেবে শেয়ার বিনিময়ে এ কর আরোপিত হবে না।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’
![‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/cmjf.jpg)
প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গত ১০ থেকে ১২ বছরে প্লেসমেন্ট ইস্যুকে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৯ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমজেএফের সভাপতি এসএম গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় ফল উৎসবে বক্তব্য রাখেন ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারি, ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সিনিয়র সদস্য রাজু আহমেদ প্রমুখ।
শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের আকার এখনো ছোট। আমরা মনেপ্রাণে চাই বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক। এ জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এরমধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা সংগ্রহের সুযোগ না থাকা। এতো প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না তা হয় না।
সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য প্লেসমেন্ট খুবই ভালো একটি উদ্যোগ ছিলো বলে আমি মনে করি। তবে এটাকে কীভাবে ব্যবহার করছে তার উপর এর ভালোমন্দ নির্ভর করে। তবে এর মন্দ ব্যবহারটা বেশি হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এই জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে এই অনিয়মগুলো তুলে ধরলে কিছুটা উত্তরণ হতে পারে। তা নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন, করছেন। এরমাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে বলে আমরা আশা করি।
তিনি বলেন, ৯-১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এতো বছর পরও লেনদেন বাড়েনি, বরং সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন ৩০০-৪০০ কোটিতে নেমেছে। গত ১০-১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন
![খান ব্রাদার্সের সর্বোচ্চ দরপতন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Khan-Brothers.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৬৪টির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে টপটেন লুজার বা সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় উঠে এসেছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা মিথুন নিটিংয়ের শেয়ারদর কমেছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান নিয়েছে সিলভা ফার্মা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শামপুর সুগার মিলসের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ওয়ালটনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ
![ওয়ালটনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Walton.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩০০টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে ওয়ালটনের শেয়ার দর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৫২ টাকা ৫০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ক্যাাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে লিনডে বিডি।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে পেপার প্রসেসিংয়ের ৩৩ দশমিক ৮২ শতাংশ, মনোস্পুল পেপারের ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালের ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজিউমারের ২৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, পিপুলস ইন্স্যুরেন্সের ২৪ দশমিক ২১ শতাংশ এবং রেনাটা লিমিটেডের ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইউনিলিভারের ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
![ইউনিলিভারের ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Unilever.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ ইউনিলিভার।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেনাটা লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ২৮ কোটি ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার।
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সী পার্ল হোটেলের ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ১২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাজার মূলধনের সঙ্গে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ
![বাজার মূলধনের সঙ্গে গড় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/dse-11.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ জুন-২৭ জুন) ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতায় ছিলো দেশের শেয়ারবাজার। আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ ও মূল্য সূচক। বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন প্রায় ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে মতে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮০২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৮২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৪৯ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫৫ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ১১১ পয়েন্ট।
প্রধান সূচকের সঙ্গে আলোচ্য সপ্তাহে ডিএস৩০ সূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২৩ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৮৭৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস বিদায়ী সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮৪ পয়েন্ট। এর আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ১৪৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির এবং ৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন হাইটেক। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ২০ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমেছে।
এসএম