গণমাধ্যম
দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ সাংবাদিক
![দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১২ সাংবাদিক সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/duduk1.jpg)
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১২ জন সাংবাদিক। সোমবার (১০ জুন) দুদক আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড- ২০২০-২১ এ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
২০২০ সালের জন্য প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সানাউল্লাহ সাকিব, দ্বিতীয় পুরস্কার পান যুগান্তরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিজান চৌধুরী, তৃতীয় পুরস্কার পান কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল। একই বছরের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার মাহবুব কবির চপল, দ্বিতীয় পুরস্কার পান মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি কাওসার সোহেলী ও তৃতীয় পুরস্কার পান ডিবিসি টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুহাম্মদ আরাফাতুল মোমেন।
২০২১ সালের জন্য প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আদনান রহমান, দ্বিতীয় পুরস্কার পান আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিয়াদুল ইসলাম, তৃতীয় পুরস্কার পান জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী। একই বছরের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবদুল্লাহ আল রাফি, দ্বিতীয় পুরস্কার পান মাছরাঙা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আনোয়ার হোসেন ও তৃতীয় পুরস্কার পান মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি নূর সিদ্দিকী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
গণমাধ্যম
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি: সম্পাদক পরিষদ
![পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি: সম্পাদক পরিষদ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Editors-council.jpg)
সম্প্রতি দেশের সাবেক ও বর্তমান উচ্চ ও নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের অস্বাভাবিক সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বিবৃতিটি পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন) পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই বিবৃতি স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকিসরূপ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদলিপির শেষাংশে অনুরোধ জানানো হয়েছে জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে। ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্যও সনির্বন্ধ অনুরোধ জানানো হয়।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পুলিশের ভালো কাজের মূল্যায়ন প্রতিবেদন আকারে গণমাধ্যম প্রচার করে থাকে। আবার সরকারের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সম্পদ অর্জন, যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়- এমন তথ্য অনুসন্ধান করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তা প্রকাশের কাজটিও করে গণমাধ্যম। এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্পাদক পরিষদ মনে করে, সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ঢালাও প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে পারস্পারিক দোষারোপ চর্চার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিবাদের মাধ্যমে দেওয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার প্রতি অশোভন, অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের বহিঃপ্রকাশ।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব পালন নিয়ে সংশয় থাকলে নিয়ম ও বিধি অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রেস কাউন্সিলের দারস্থ হওয়া যেতে পারে। তা না করে প্রতিবাদের মাধ্যমে পারস্পারিক দোষারোপ ভবিষ্যতে পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে যেকোনো ধরনের রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকরত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধের নামে গণমাধ্যমকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বাধীন গণমাধ্যম ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা চর্চার পরিপন্থী বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতির বিষয়ে উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নীতি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিক ও গুণীজনদের পুরস্কার দিলো ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম
![সাংবাদিক ও গুণীজনদের পুরস্কার দিলো ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/digital-media-award-2.jpg)
সাংবাদিক ও ডিজিটাল গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) আয়োজনে ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১ জুন) বিকাল ৪টায় রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকতা ও ডিজিটালে কর্মরত বিভিন্ন সেক্টরের সফল ব্যক্তিদের ৭টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। এবার এসব বিভাগে মোট ১১জন পুরস্কার পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন সাংবাদিক (রিপোর্টার) ও ৬ জন বিভিন্ন সেক্টরের গুণীজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জাজ ছিলেন ঢাকা জার্নাল অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইউএনবির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, ডেইলি সবুজ নিশানের বার্তা প্রধান মো. মোকছেদুর রহমান ওয়ালী।
গেস্ট অব অনার ছিলেন ডিএমএফ প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকা বিজনেস অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক উদয় হাকিম, ডয়েচে ভেলের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ, পেন্টাগন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অন্তু করিম, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার এলিজা বিনতে এলাহী, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জামিল খান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কাজী আনিছ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার রাগীব রহমান, ইউল্যাবের লেকচারার সরজ মেহেদী, ঢাকা বিজনেস বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হক, প্রথম আলো ডিজিটালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিড রুহুল আমিন রনি, বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং সিরাজুল ইসলাম সুমন, সাংবাদিক মোহাম্মদ আলম, নিউজ বাংলা২৪ এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ জাকারিয়া হোসেন জয়।
আয়োজনে স্পন্সর করেছে কিডলন, লুমিনাস গ্রুপ, ইফাদ, কিরণ, জি এন্ড এম, ক্রিয়েসন ওয়ার্ল্ড, কিউকম, মাইক্লো, অলিভ, পিওনি মেন্জ, টেক্সর্ট, স্টুডিও ভেলভেট, টেকনিশিয়ান, পিআর পিটু, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, বিএসই, এনইউএসডিএফ, লিমিরেন্স ক্রিয়েশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ একটি মাইল ফলক। অনেকেই গণমাধ্যমে ডিজিটালের কথা বলে, কিন্তু ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম আজ তা করে দেখিয়েছে। তারা ভবিষ্যতে আরো এমন আয়োজন করবে, এই প্রত্যাশা করি। আর যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন, তারা ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ করবেন, ভালো ও সৎ সাংবাদিকতা করবেন, এই প্রত্যাশা করি।’
এসময় বিশেষ অতিথি শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সাংবাদিকতায় অ্যাপ্রেসিয়েশনের দরকার রয়েছে, এতে উৎসাহ বাড়ে। আজ যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন, নিশ্চয়ই তারা ভালো কাজের পুরস্কার পেয়েছেন। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের এমন সাংবাদিক বান্ধব কাজ অব্যাহত থাকুক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘সাংবাদিকতায় সৎ ও সাহসীরাই সবসময় পুরস্কার পান। আজ যারা পুরস্কার পেলেন, তাদের সাহসীকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের ‘ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ যারা দিলেন, তারা সবাই তরুণ। তাদের এমন আরেকটি সাহসী আয়োজন আজ প্রশংসার দাবিদার। তাদের জয় হোক।’
পুরস্কারে ভূষিত ৫ সাংবাদিক হলেন বণিক বার্তার স্টাফ রিপোর্টার ইয়াহিয়া নকিব। তিনি বিজনেস বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন। বিনোদন বিভাগে পেয়েছেন আরটিভির বিনোদন প্রতিবেদক এসএম মারজান ইভান, অনুসন্ধানীমূলক সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার জাফর ইকবাল, আইসিটি বিভাগে পেয়েছেন দৈনিক সমকালের ডিজিটাল গ্রথ এডিটর সাব্বিন হাসান, স্পোর্টস বিভাগে পেয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি.কমের সিনিয়র রিপোর্টার ইয়াসিন হাসান।
ডিএমএফ স্পেশাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন রোবোলাইফ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয় বড়ুয়া লাভলু, দৈনিক প্রথম আলোর ডেপুটি ম্যানেজার বিবর্ধন রায় ইমন, তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার), নেক্সট ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর পরিচালক আব্দুল্লাহ জায়েদ, খাবার দাবার ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রাফাতুল ইসলাম খান এবং স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সাংবাদিকতা ও মিডিয়ার সেরাদের অ্যাওয়ার্ড দেবে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম
![সাংবাদিকতা ও মিডিয়ার সেরাদের অ্যাওয়ার্ড দেবে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Digital-media-award-1.jpg)
ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) আগামী জুন মাসে ‘ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার (১২ মে) সন্ধ্যায় সংগঠনের মহানগর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাওয়ার্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি দৈনিক কালবেলার অনলাইনের ডেপুটি ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ এর জুরি বোর্ডের সদস্য দৈনিক সবুজ নিশান পত্রিকার বার্তা প্রধান মো. মোকছেদুর রহমান ওয়ালী।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চ্যানেল ২৪-এর এসিস্টেন্ট ম্যানেজার মো. রায়হান উল্লাহ রবিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি অর্থসংবাদের হেড অব মার্কেটিং মাইনউদ্দিন সোহাগ, সহ-সভাপতি বার্তা২৪ এর ডেপুটি ম্যানেজার মো. নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি অপরাধ জগৎ অনলাইন নিউজ পোর্টালের চিফ রিপোর্টার হাকিম মাহি, সহ-সভাপতি আরটিভির ডেপুটি ম্যানেজার মো. আরিফ সহ ডিএমএফ-এর অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
‘ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ আগামী জুন মাসে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রথমবারের মতো সাংবাদিকতা ও বিভিন্ন সেক্টরে সফল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাতটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন প্রেস কনফারেন্সে জানান, আগামী ১৪ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত সাংবাদিকদের কাছ থেকে রিপোর্ট ও ডিজিটাল ভিডিও কন্টেন্ট লিংক আহ্বান করা হবে।
এই বছর, ডিএমএফ সাতটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করবে। এর মধ্যে সাংবাদিকতার জন্য পাঁচটি এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে দুটি পুরস্কার থাকবে।
জুরি বোর্ড জমাকৃত প্রতিবেদনগুলোর মধ্য থেকে সেরা পাঁচ জন সাংবাদিককে বাছাই করে তাদের সম্মাননা প্রদান করবে। এছাড়াও, বিশেষ ক্যাটাগরিতে দুই জনকে বিশেষ সন্মাননা প্রদান করা হবে।
‘ডিজিটাল মিডিয়া এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’-এর জন্য টিভি, পত্রিকা, অথবা নিবন্ধিত কোন অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আবেদন ক্যাটাগরি হল: অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, প্রযুক্তি সাংবাদিকতা,বিজনেস, সাংবাদিকতা, স্পোর্টস সাংবাদিকতা এবং বিনোদন সাংবাদিকতা।
আগামী ১৪ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত সাংবাদিকদের কাছ থেকে রিপোর্ট ও ডিজিটাল ভিডিও কন্টেন্ট লিংক আহ্বান করা হবে।
আবেদনের লিংক – https://forms.gle/aeauTTBuX7P6aWq79
এই অ্যাওয়ার্ড দেশের ডিজিটাল মিডিয়া শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সাহায্য করবে বলে আশা ডিএমএফের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
পুলিৎজার পুরস্কার পেল রয়টার্স-ওয়াশিংটন পোস্ট
![পুলিৎজার পুরস্কার পেল রয়টার্স-ওয়াশিংটন পোস্ট সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/pulitjar-1.jpg)
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরাইলি নৃশংসতা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সিইও ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্যও পুরস্কৃত করা হয়েছে বার্তা সংস্থাটিকে। এ ছাড়া তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ মে) এবারের পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার; সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত এটি। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্যও এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির একটি বোর্ড এ পুরস্কার ঘোষণা করে।
এবার পুলিৎজারের ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে একটি আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের। তাতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। ছবিটি এ বছর সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও পেয়েছে।
এছাড়া ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বা ‘জাতীয় বিষয়াদি নিয়ে প্রতিবেদন’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। ‘দ্য মাস্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স’ শিরোনামে ধারাবাহিক ওই প্রতিবেদনে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স, নিউরালিংক ও টেসলার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
রয়টার্সের পাশাপাশি ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টও। যুক্তরাষ্ট্রের এআর-১৫ রাইফেল এবং দেশটিতে বিভিন্ন বন্দুক হামলায় এই অস্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যমটি। এ প্রতিবেদন ছাড়াও ‘এডিটোরিয়াল রাইটিং’ (সম্পাদকীয়) এবং ‘কমেন্টারি’ (মতামত) বিভাগে পুরস্কার জিতেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
এ ছাড়া ‘ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং’ (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন), ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) ও ‘ফিচার রাইটিং’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছে নিউইয়র্ক টাইমস। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা, ইসরাইলি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা ও ইসরাইলের পাল্টা হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে এবার পুলিৎজার পেয়েছে লুকআউট সান্তা ক্লজ নামের একটি নিউজ পোর্টাল। এবারের পুলিৎজারে অভিবাসীদের নিয়ে ছবি প্রকাশ করে ‘ফিচার ফটোগ্রাফি’ বিভাগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। ‘এক্সপ্লেনেটরি রিপোর্টিং’ (বিষদ ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন) ও ‘ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন দ্য নিউইয়র্কারের সাংবাদিকেরা। আর ‘ক্রিটিসিজম’ (সমালোচনা) বিভাগের পুরস্কারটি দখলে গেছে দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ
![বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/world-news-1.jpg)
আজ ৩ মে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ১৯৯১ সালে ইউনেসকোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অর্থাৎ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেশের সাংবাদিকরা পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।
গণমাধ্যম হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রবাহের মাধ্যম হচ্ছে সংবাদপত্র। পরবর্তীতে এর সঙ্গে রেডিও, টেলিভিশন জনপ্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে যুক্ত হয়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠকদের মধ্যে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
সাধারণত মুক্ত গণমাধ্যম বলতে বোঝায়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কোনো প্রকার হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হবে না। ভয়ভীতি ছাড়া তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবে। পাশাপাশি তাদের তথ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে; কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে মতামত পোষণ করা এবং রাষ্ট্রীয় সীমানানির্বিশেষে যেকোনো মাধ্যমের মারফতে তথ্য ও ধারণাগুলো জানা বা অনুসন্ধান, গ্রহণ ও বিতরণ করা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।’
বাংলাদেশের সংবিধানেও চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক্-স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা’ শিরোনামে সংবিধানের ৩৯নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল। (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং (খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হইল।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমকে একটা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাই একটি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে সে জন্য সাংবাদিকরা যেন বিনা বাধায় এবং নিরাপদ পরিবেশে যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর সাংবাদিকদের প্রকৃত স্বাধীনতা ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম সুদূর পরাহত।
শুধুমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সাংবাদিকরা কমবেশি ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রভাবশালী মহলের চাপ, হামলা-মামলা, রাজনৈতিক হুমকির কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে অনেক ক্ষেত্রেই বাধার সম্মুখীন হতে হয়। মাঠপর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে কম যান না। সুযোগ পেলেই তারা সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন এমনকি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অপব্যবহারও হয়ে থাকে। অথচ বর্তমান সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের’ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই।
কেননা, গণমাধ্যম ব্যক্তির মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে। তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জনমত গঠনেও গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সরকারের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এ ছাড়া মুক্ত গণমাধ্যম মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্যও অত্যাবশ্যক। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমাজের বিকাশ ও উন্নয়নের শক্তিশালী ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। সংবাদপত্র কেবলমাত্র সংবাদ পরিবেশন করে না। সমাজের সার্বিক বিকাশ সাধনেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সংবাদপত্র গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্র ব্যাহত হলে, কোথাও দুর্নীতি হলে গণমাধ্যম সবার আগে সোচ্চার হয়ে ওঠে। অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের মতো নানা সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে চেতনার জাগরণ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সমাজকে ইতিবাচক উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতারও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। স্বাধীনতার অর্থ এই নয়, যা ইচ্ছে তা করা বা লেখা। সাংবাদিকরা দায়বদ্ধতার ঊর্ধ্বে নন। দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি, আইনের প্রতি, স্বীয় বিবেকের প্রতি, নীতি-নৈতিকতার প্রতি অবশ্যই তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ করে বস্তুনিষ্ঠ লেখনী ও সঠিক এবং পরিপূর্ণ তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে তারা এই দায়বদ্ধতা মেনে চলবেন।
গণমাধ্যমের প্রধান সম্পদ হচ্ছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা, যা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। তবে নানা কারণে আমাদের দেশের গণমাধ্যম তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে বসেছে। সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদার প্রশ্নে এটি মোটেও সুখকর নয়। কাজেই হলুদ সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতা কিংবা দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা যেন কোনোভাবেই তাদের স্পর্শ না করে সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
আবার এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই- অনেকেই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটাকে প্রোপাগান্ডা যন্ত্রে পরিণত করছেন। কিছু কিছু গণমাধ্যম একপেশে কিংবা পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিকদের একটি প্রতিবেদন তৈরি করার সময় সর্বদা মনে রাখতে হবে- ‘A half-truth is even more dangerous than a lie (অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়েও ভয়ংকর)। সুতরাং ‘সত্য কথা লিখতে শিখো ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে নয়, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে’- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই অমর বাণী তাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে।
বর্তমান জমানায় নিয়ন্ত্রণহীন ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই গুজব বা ভুল তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। শক্তিশালী ও স্থিতিশীল সমাজ গঠনে ওই সব গুজব, মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার রোধে মুক্ত গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এটি মেধা ও মননের পেশা, অধ্যয়ন ও অধ্যবসায়ের পেশা; কিন্তু এ পেশায় নিয়োজিত মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সব মহলেরই রয়েছে উদাসীনতা।
অন্যদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য সাংবাদিক হত্যার শিকার হচ্ছেন। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)-এর তথ্যমতে, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ৯৯ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭৭ জনই গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে জীবন হারান।