টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে ভুলেও যে ৮ কাজ করবেন না
তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের পাশাপাশি সহজে কথা বলা ও ভিডিও কল করার সুযোগ থাকায় নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন অনেকেই। ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা পাওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার হামলার পরিমাণও বাড়ছে। আর তাই সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সময় বেশ কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সময় যে আটটি কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
১. অপরিচিতদের সামনে প্রোফাইল ছবি প্রদর্শন
হোয়াটসঅ্যাপে নিজেদের পরিচিতি ভালোভাবে প্রকাশ করতে প্রোফাইল ছবি ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু এসব ছবির স্ক্রিনশট বা ছবি তুলে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করেন সাইবার অপরাধীরা। আর তাই অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলের ছবি প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বাড়বে। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে গিয়ে চাইলেই নিজের প্রোফাইল ছবি অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে লুকিয়ে রাখা যায়।
২. নিশ্চিত না হয়ে কোনো বার্তা ফরওয়ার্ড করা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ যুগে গুজব বা মিথ্যা তথ্য খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও গুজব ছড়ায়। কিন্তু অনেকেই যাচাই না করেই অন্যদের পাঠানো মিথ্যা বার্তা বা ছবি অন্যদের ফরওয়ার্ড করেন। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার পাশাপাশি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এ ধরনের সমস্যা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য অন্যদের পাঠানো বার্তার সত্যতা যাচাই না করে ফরওয়ার্ড করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. যাচাই না করে গ্রুপে যুক্ত হওয়া
বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খোলেন অনেকেই। কেউ আবার অন্যদের খোলা গ্রুপে যুক্ত হন। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের সব গ্রুপের ধরন এবং আলোচনার বিষয় একরকম নয়। ফলে অপরিচিতদের খোলা গ্রুপে যোগ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়ার পাশাপাশি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আর তাই অপরিচিতদের চালু করা গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আগে গ্রুপটির সদস্য ও আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
৪. অনুমতি ছাড়া অন্যকে গ্রুপে যুক্ত করা
বন্ধু বা সহকর্মীদের পাশাপাশি পরিচিত ব্যক্তিদের না জানিয়েই হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খোলেন অনেকে। এতে তাদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিরক্তও হন কেউ কেউ। আর তাই গ্রুপ খোলার সময় আগে থেকে তাদের সম্মতি নিয়ে গ্রুপে যুক্ত করতে হবে।
৫. উপহার পাওয়ার বার্তায় ক্লিক করা
অনেক সময় জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে ভুয়া উপহার কার্ড ও গিফট ভাউচার পাওয়ার প্রলোভনে বার্তা পাঠিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। এ ধরনের বার্তায় সাধারণত একটি লিংকে ক্লিক করে বিভিন্ন তথ্য জমা দিতে বলা হয়। তবে এসব লিংকে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীর যন্ত্রে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। এসব ম্যালওয়্যার গোপনে স্মার্টফোন থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরে এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার পাশাপাশি তথ্যগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য অর্থ দাবি করে সাইবার অপরাধীরা। আর তাই হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের পাঠানো উপহার দেওয়া বার্তায় ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬. যাচাই না করে লিংকে ক্লিক
অপরিচিত কোনো নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে লিংকসহ বার্তা এলে সতর্ক থাকতে হবে। এসব লিংকে ক্লিক করা যাবে না। উৎস যাচাই না করে লিংকে ক্লিক করলে ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ডাউনলোড হতে পারে। এর ফলে ছবি, পাসওয়ার্ডসহ ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে সাইবার অপরাধীর দখলে।
৭. দুই স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার
প্রতারণা ও জালিয়াতি থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপে দুই স্তরের নিরাপত্তা–সুবিধা ব্যবহার করতে হবে। দুই স্তরের নিরাপত্তা-সুবিধা চালু থাকলে কেউ গোপনে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলেই জানা যায়। এর ফলে সাইবার অপরাধীরা সহজে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
৮. তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নামানো
গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ না নামিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ নামিয়ে থাকেন অনেকে। তৃতীয় পক্ষের তৈরি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপগুলোর নাম ও চেহারা আসল হোয়াটসঅ্যাপের কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই না বুঝে সেগুলো ব্যবহার করেন। কিন্তু অ্যাপগুলো নামালেই মুঠোফোন থেকে তথ্য চুরি করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে। আর তাই থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ নামানোয় থেকে বিরত থাকতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে!
নতুন নতুন ফিচারের শীর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতি মাসেই নিয়ে আসে নতুন সব ফিচার। তেমনই এক নতুন ফিচারের খবর! এবার ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে!
ওয়েবেটাইনফোর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ফাইল শেয়ারের পদ্ধতি হবে আলাদা। অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে ‘নিয়ারবাই শেয়ারিং’ অপশন থাকবে। আইফোন এয়ারড্রপের মতোই এর সাহায্যে বড় ফাইল শেয়ার করা যাবে ইন্টারনেট ছাড়াই।
তবে আইওএস ইউজারদের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ আলাদা নিয়ম চালু করছে। এক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফাইল শেয়ার করা যাবে। তবে দুই ধরণ নিয়েই এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, হাই কোয়ালিটি ফটো, ভিডিও বা ডকুমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়। অনেক এলাকাতেই ইন্টারনেট সংযোগ খুব দুর্বল থাকে। সে ক্ষেত্রে এই ফিচার দারুণ উপকারি হবে।
এর আগে নিজ নিজ ভাষায় মেসেজ অনুবাদ করে দেওয়ার ফিচারের ঘোষণা দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচার কাজে লাগিয়ে যে কোন ভাষায় লেখা মেসেজকে নিজের পছন্দমতো ভাষায় পড়তে পারবেন ইউজাররা। অপশনটি অন করে দিলেই সব মেসেজই স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুবাদ করে দেবে এই ফিচার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার: পলক
মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি চালুর জন্য রোববার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, আগামীকাল রোববার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেছেন, আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাশকতা পরিকল্পিত উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শিগগিরই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ৯০ শতাংশ সমস্যা রিস্টোর করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে ট্রান্সমিশনের ওপর।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ভিপিএন ব্যবহারে রয়েছে যেসব ঝুঁকি
ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন ইন্টারনেটের একটি ভার্চুয়াল) ‘টানেল’ যার মাধ্যমে ডাটা কম্পিউটার থেকে আদান প্রদান করতে পারে। এই ভার্চুয়াল কাল্পনিক সুড়ঙ্গটির মাধ্যমে একটি ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত প্রাইভেট নেটওয়ার্ক এর সঙ্গে ডিভাইসকে সংযুক্ত করা সম্ভব। এতে কোন পাবলিক নেটওয়ার্কের আওতাধীন থেকেও ইন্টারনেট ব্যবহারকালীন কোন প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহারের যে সকল সুবিধা পাওয়া যায়, সেই সকল সুবিধা পাওয়া সম্ভব।
ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি সুরক্ষা, নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও কনটেন্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভিপিএন-এ অনেক সুবিধা মেলে। তবে এর সুবিধার পাশাপাশি খেয়াল রাখা দরকার এর অসুবিধা বা ঝুঁকি কতটুকু।
সাইবার নিরাপত্তা
ভিপিএন-এর প্রাথমিক কথাই হচ্ছে ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন রাখা। ফলে, কোনো কারণে ব্যবহারকারীর ক্রেডেনশিয়াল বা পরিচয় শনাক্তকরণ তথ্যাদি, ধরা যাক ইউজারনেইম ও পাসওয়ার্ড অন্য কেউ পেয়ে গেলে সেগুলোর অপব্যবহার করে তৃতীয় কেউ তার অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিতে পারে। সহজ ভাষায়, হ্যাকারের হাতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর তথ্য চলে গেলে হ্যাকিং অনেক সহজ হয়ে যায়।
ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়া
ভিপিএন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাধারণ অসুবিধা হল ইন্টারনেট সংযোগের গতি কমে যাওয়া। যেহেতু ভিপিএন বিভিন্ন দুর্গম সার্ভারের মধ্য দিয়ে ডেটা পাঠায় ও ডেটা ট্রান্সমিশন এনক্রিপ্ট করে, সেহেতু ব্রাউজিংয়ের সময় কম গতি ও বিলম্বের মতো অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে পারেন ব্যবহারকারী। বিশেষ করে এমন সার্ভারের বেলায়, যেগুলোর অবস্থান ব্যবহারকারীর অবস্থান থেকে অনেক দূরে।
খরচের বিষয়
অনেক ভিপিএন গ্রাহক সেবা বিনামূল্যে বা কম খরচে ব্যবহার করা গেলেও প্রিমিয়াম শ্রেণির ভিপিএন সেবাগুলোয় বিভিন্ন উন্নত ফিচার ও উচ্চ গতির সার্ভার ব্যবহারের সুবিধা মেলে। তবে, এক্ষেত্রে পয়সা গুনতে হয়। বাজেট নিয়ে শঙ্কিত ব্যবহারকারীর কাছে পয়সা খরচ করে গ্রাহক সেবা কিনে সুবিধা নেয়ার বিষয়টি বিলাসিতা মনে হতে পারে, বিশেষ করে তাদের যদি প্রাইভেসি বা ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কনটেন্ট আনব্লক করার তেমন প্রয়োজনীয়তা না থাকে।
জটিলতা ও কারিগরি চ্যালেঞ্জ
একটি ভিপিএন সেটআপ বা কনফিগার করা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর কাছে ভীতিকর হতে পারে, বিশেষ করে এনক্রিপশন প্রোটোকল, সার্ভার বাছাই ও ‘টানেলিং’ আলাদা করার মতো বিভিন্ন উন্নত ফিচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে। এ ছাড়া, ইন্টারনেট সংযোগে ‘ট্রাবলসশুটিং’, ‘ডিএনএস’ বা ‘ডোমেইন নেইম সিস্টেম’ ফাঁস বা নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ্লিকেশন অথবা ডিভাইস সেটআপের বেলায় কারিগরি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা, এমন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে তুলনামূলক কম প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে।
সেবাদাতার ওপর নির্ভরতা
বিভিন্ন ভিপিএন সেবায় সত্যিকারের প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা সুবিধার কথা উল্লেখ থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বর্তমানে হাজার হাজার ভিপিএন সফটওয়্যার ও অ্যাপ পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীর ডেটা যেহেতু ভিপিএন সেবাদাতার হাত দিয়ে যায়, তাই সেবাদাতার সততার ওপর নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপত্তা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইল ইন্টারনেট চালু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইল ইন্টারনেট আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সংস্থাটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
তিনি আরও জানান, যেসব সঞ্চালন লাইন এবং ডেটা সেন্টার রিপেয়ার করা হয়েছে, ইমপ্যাক্টটা কেমন পড়ছে এবং মোবাইল ইন্টারনেটে প্রেশার যেহেতু আরেকটু বেশি পড়বে, সে জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রবি-সোমবার মোবাইল ইন্টারনেট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যেই ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফেসবুক-টিকটক ছাড়া ইউটিউবসহ গুগলের সব সেবা চালু
গুজব ও অপতথ্য ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ গুগল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সার্ভারগুলো বন্ধ করা হয়েছে। দু’দিন আগে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হয়নি।
কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি সেবা এখনো চালু হয়নি। ফেসবুক, টিকটকের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলোও বন্ধ রয়েছে।
বিটিআরসি এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসপিএবি জানায়, ২৩ জুলাই থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। এরপর দিন ২৪ জুলাই দেশব্যাপী ইন্টারনেট চালু করে দেওয়া হয়েছে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, বিটিআরসির নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে গুগলের সব সার্ভিস চালু করা শুরু হয়েছে। তবে পুরোপুরি আপডেট হতে সময় লাগবে।
তিনি জানান, গুগল একটা বড় ক্যাশ সার্ভার। ইউটিউব, ক্লাউড ফেয়ার, মেইল সবই গুগলের ক্যাশ সার্ভার। গুগল আপ হয়ে গেলে এর সার্ভিস এবং নেটের গিতিও অনেকাংশে ভালো হয়ে যাবে।
গুগলের সেবা চালু হলেও বাকি আছে ফেসবুক, টিকটক আকামাই, বাইসান। এই চারটি সার্ভার আপ হতে হয়তো আরও সময় লাগবে বলে জানায় আইএসপিএবি ও বিটিআরসি।
ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের পাশাপাশি গুগলের সার্ভিস ধীর গতি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইমদাদুল হক জানান, মোবাইল ইন্টারনেটের ১০ কোটি ব্যবহারকারী সবাই এখন ব্রডবান্ডের নেট ব্যবহার করছে। তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করছে। একজনের জায়গায় দেখা যাচ্ছে পাঁচজন ব্যবহার করছে। কিন্তু এত ব্যান্ডউইথ তো আমাদের নেই। ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার এটা একটা বড় কারণ।
তিনি আশা করেন, গুগলের যেহেতু সব সেবা চালু হয়ে গেছে, এখন আস্তে আস্তে ইন্টারনেটের পরিস্থিতি নরমাল হয়ে যাবে।
দুর্বৃত্তদের আগুনে মহাখালীতে পুড়িয়ে দেওয়া ডাটা সেন্টারের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো আমাদের ট্রান্সমিশন ক্যাবল সবগুলো আপ (চালু) করতে পারিনি। ব্যাকআপ সবই পুড়ে গেছে। সেগুলো রিস্টোর চলছে। এখন মোটামুটি কাজ চালানোর মতো অবস্থায় আছে।
এদিকে, বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাশ সার্ভারের মধ্যে গুগলের সব সেবা রয়েছে। তবে ফেসবুক বন্ধ থাকছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গুগলের ক্যাশ সার্ভারগুলো যখন চালু হয়ে যাবে তখন ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। যেমন- সিঙ্গাপুর থেকে ডাউনলোড করতে সময় লাগে। এর পরিবর্তে দেশে সরাসরি ডাউনলোড হলে গতি বাড়ে।
এরআগে বুধবার (২৫ জুলাই) বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট আগামী রোব বা সোমবার চালু হতে পারে। কিন্তু ফেসবুক-টিকটক চালু হতে আরও সময় লাগবে। তার আগে তাদের আমাদের দেশের নীতি-পলিসি মানতে হবে। এজন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।
কাফি