অর্থনীতি
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন তিন লাখ ছাড়ালো

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুর ১০ মাস পেরিয়েছে। এসময়ে নিবন্ধন সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ। সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ১৭৬ জন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শরীফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বোধনের পর হতেই জনকল্যাণকর এ কর্মসূচিতে মানুষের উল্লেখযোগ্য আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১০ মাসে ৩ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিমে নিবন্ধনের সুবিধা চালু রয়েছে। এ চারটি স্কিমের মধ্যে সমতা স্কিমে ২ লাখ ২৪ হাজার ১৬৪ জন, প্রগতি স্কিমে ২১ হাজার ২৯৪ জন, সুরক্ষা স্কিমে ৫৬ হাজার ৯১৯ জন এবং প্রবাস স্কিমে ৭৯৯ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এতে চার স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ১৭৬ জন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে ৮৭টি এনজিও প্রগতি স্কিমে নিবন্ধিত হয়ে তাদের কর্মচারীদের অনুকূলে সাবস্ক্রিপশন প্রদান করছে। ৫ম স্কিম হিসেবে ‘প্রত্যয়’’নামে নতুন স্কিম চালু করা হচ্ছে যা সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা ১ জুলাই ২০২৪ থেকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করবেন তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে আগ্রহী করতে প্রচার-প্রচারনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, বেসরকারি সংস্থা, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে সভাপতি করে জাতীয় পর্যায়ে ‘সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমকে মনিটরিং ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি গঠন করে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রয়োজনীন নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালার আয়োজন করে সকল শ্রেনী-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহীতে এবং ৫ মে রংপুর বিভাগে বিভাগীয় পেনশন মেলা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাঠ প্রশাসনকে কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার ফলে সম্প্রতি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ৩ লাখ নিবন্ধনের এ মাইলফলক অর্জিত হয়েছে এবং সাবস্ক্রিপশন বাবদ মোট ৮৬ কোটি ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জমা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে নিবন্ধনকারীদের অর্থ থেকে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ৬২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রবাস স্কিমে নিবন্ধন প্রত্যাশিত পরিমাণে আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস সমূহের কূটনৈতিক শাখা ও শ্রম উইং শাখার সঙ্গে জুম প্ল্যাটফর্মে সভা করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রবাস স্কিমে অংশগ্রহণে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিপুল সংখ্যক তথ্যবহুল ফ্লায়ার বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি ব্যাংক এবং একটি মোবাইল ফাইন্যান্সিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনসহ মাসিক জমা আদায়ে সম্পৃক্ত আছে। এর আওতা আরো বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ংা হয়েছে, যার ফলে আরো ৪টি সরকারি ও ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ১টি মোবাইল ফাইন্যান্সিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান খুব শিগগির এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এতে করে নিবন্ধন ও মাসিক জমা পরিশোধ সেবা জনগণের জন্য অধিকতর সহজলভ্য হবে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমে জনগণের অংশগ্রহণের হার আরো দ্রুততর হবে, যা প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ জনকল্যাণকর কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৯ মাস (জুলাই-মার্চ) শেষে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে ৬৫ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। যেখানে অর্থবছরের আট মাস (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫৮ হাজার কোটি টাকার বেশি পিছিয়ে ছিল রাজস্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত জানুয়ারিতে শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি কিংবা আয়কর রিটার্ন জমায় জোর প্রচারণার পরও রাজস্ব আদায়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ওই সময়ে এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে, মার্চ পর্যন্ত গত নয় মাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৭৯.৬২ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এনবিআর। রাজস্ব আহরণে আয়কর, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
সূত্র জানায়, ৯ মাসে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা কম। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ২.০৯ শতাংশ।
একই সময়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৬ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা কম। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ০.৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে আয়কর আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৯ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা কম। আর প্রবৃদ্ধি ৫.৬৭ শতাংশ।
এনবিআর সূত্র বলছে, কেবল মার্চে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৬৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ঘাটতি ৭ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যের তুলনায় ঘাটতি থাকলেও এ সময় রাজস্ব আহরণে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ৯.৬৪ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আমদানি মূল্য পরিশোধের নিয়মে পরিবর্তন আনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আমদানি মূল্য পরিশোধের নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যৌক্তিক ত্রুটি থাকলে ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিলের বিপরীতেও মূল্য পরিশোধ করা যাবে। এ নিয়ম চালুর ফলে বিদেশি সরবরাহকারীরা বিলম্বে অর্থ পাওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত হবেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে।
এতে বলা হয়, আমদানিকারকদের সম্মতিতে যৌক্তিক ত্রুটিসম্পন্ন আমদানি বিল ব্যাংকগুলো গ্রহণ করতে পারবে এবং তার বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। তবে, পণ্যে যেন কোনো পরিবর্তন না আসে তা নিশ্চিত করতে হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, আমদানিকারকদের কাছ থেকে পাওয়া আমদানি বিলের বিপরীতে ডেলিভারি অর্ডার দেওয়ার সময়ও ব্যাংকগুলোকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে ডকুমেন্টে কোনো ত্রুটি থাকছে কি না তা যাচাই করতে হবে।
এর আগে কাস্টমস থেকে পণ্য খালাসের পর বিল অব এন্ট্রি জমা দিলেই কেবল ত্রুটিপূর্ণ আমদানি বিল বা আমদানিকারকের কাছে সরাসরি আসা বিলের বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করা যেত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে ত্রুটিপূর্ণ বিলের কারণে পণ্য খালাসে দেরি হতো এবং বিদেশি সরবরাহকারীদের অর্থ পেতে অপেক্ষা করতে হতো। এখন নিয়ম সহজ হওয়ায় তারা সময়মতো মূল্য পাবেন। এতে তাদের ঝুঁকি কমবে।
তাদের মতে, নতুন নিয়ম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে আমদানি ব্যয় কমবে। কারণ এতে কনফারমেশন চার্জ ও আমদানি ঋণের সুদের হার কমে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের স্বাস্থখাতের উন্নয়নের জন্য চীন ১৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করতে সম্মত হয়েছে চীন। এছাড়াও, একটি এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি নিয়েও দেশটির সাথে আলোচনা চলছে। কোভিডের সময়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা চীন থেকে কিনেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর সফল হয়েছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশি নাগরিকরা সহজেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবেন। এ ধরনের সহযোগিতা উভয় দেশের জনগণের জন্য উপকারী হবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যৌথ উদ্যোগ ও বিনিয়োগ স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়লো ১৫ হাজার টাকা

দেশের ইতিহাসে যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে সোনার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম ফের বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিটি স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম ১৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন যা ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। স্বর্ণের স্মারক মুদ্রার দাম বাড়লেও রৌপ্যমুদ্রার দাম আগের নির্ধারণ করা ৭ হাজার টাকাই থাকছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এখন থেকে ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি করা ১০ গ্রাম ওজনের স্মারক স্বর্ণমুদ্রার (বক্সসহ) প্রতিটি বিক্রি হবে এক লাখ ৫০ হাজার টাকায়। বর্তমানে বাজারে ১১টি স্মারক রৌপ্যমুদ্রা (ফাইন সিলভার) রয়েছে। রুপার স্মারক মুদ্রার ওজন ২০ গ্রাম থেকে ৩১ দশমিক ৪৭ গ্রাম। রৌপ্যমুদ্রার দাম ৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১ হাজার কোটি টাকা

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে ইতিবাচক ধারায় রয়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্সের এ গতিধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনেই এসেছে ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২০ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে আসছে ৯ কোটি ডলার বা ১১০৪ কোটি টাকার বেশি।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমেছে, বন্ধ হয়েছে অর্থপাচার। এছাড়া খোলা বাজার এবং ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের একই দাম পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এসব কারণে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ১৯ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এসময় বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ডলারের বেশি। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৯৯ কোটি ডলার। পাশাপাশি বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৩ লাখ ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।
আলোচ্য সময়ে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
এর আগে সদ্য বিদায়ী মাস মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।
তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক দশমিক ৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সদ্য বিদায়ী মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় ৯ মাসে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়লো মার্চ মাস। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করলো প্রবাসী আয়। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে। নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। এরপর জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এসএম