জাতীয়
সঞ্জীভার সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া মাংস মানুষের

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় তল্লাশি চালিয়ে সঞ্জীবা আবাসনের সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া পচে যাওয়া মাংসের টুকরো মানুষের। প্রাথমিকভাবে ফরেনসিক পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে নিউটাউনের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। উদ্ধার হওয়া মাংস এবং হাড়, এমপি আনারের কিনা তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। আর সে কারণেই খুব শীঘ্রই সাংসদ আনারের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রবিবার (৯ জুন) খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ও মাঝারি সাইজের সাতটি এবং বুক ও পাঁজর-সহ ১২টি হাড়। হাড়গুলি মূলত হাতের এবং কোমর থেকে পায়ের হাঁটুর।
এদিকে, গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন জানিয়েছে, সে পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিনের অধীনে মাসিক ষাট হাজার টাকা বেতনে কাজ করত। শাহিনের নির্দেশেই সে জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতা এনেছিল। তাকে রাজারহাটে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে রেখেছিল।
এছাড়া খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র, পলিথিন, ট্রলি ব্যাগ সবকিছুই কিনে আনা হয়েছিল নিউমার্কেট এলাকা থেকে। অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়সাল এবং মুস্তাফিজ রহমান মাংস কিমা করার মেশিন কিনে এনেছিল।
আনারকে হত্যা করার পর তার মাংস এবং হাড় আলাদা করা হয়। তারপর ছোট ছোট টুকরো এবং কিমা করা হয় ওই মেশিনে। ওই মেশিন এখন কোথায় তা জানে শুধু ফয়সাল সাজি। মাংসের টুকরো ও হাড় উদ্ধার হলেও এখনো খোঁজ নেই সংসদের মাথার খুলি, কিংবা ব্যবহার করা অস্ত্রের। সিয়াম জানিয়েছে, তারা একটি গাড়ি ভাড়া করে কৃষ্ণমাটিতে গিয়ে ট্রলিব্যাগ থেকে হাড় এবং মাথার অংশ ট্রলি থেকে বের করে খালের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দাদের দাবি, আরও কয়েক ধাপে, ভারতীয় নৌ সেনার সাহায্যে তল্লাশি করা হবে নিউটাউন অন্তর্গত ভাঙরের সাতুলিয়া এলাকার বাগজোলা খালে। তখনই আরও দেহংশ মিলতে পারে।
কাফি

জাতীয়
অনির্দিষ্টকালের গণছুটি ঘোষণা পবিস কর্মীদের, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

পল্লী বিদ্যুতের সংস্কার, চাকরি বৈষম্য দূরীকরণ ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধের চার দফা দাবিতে রোববার থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-দপ্তর সম্পাদক অঞ্জু রানী মালাকার।
তিনি বলেন, একাধিকবার কমিটি গঠনসহ সংকট সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখি আশ্বাস দেওয়া হলেও কিছুই বাস্তবায়ন করেনি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি, বরখাস্তসহ নানা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে হয়রানি করছে। এর ফলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ সময় অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত আদেশ বাতিল এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
জাতীয়
লাশ পোড়ানো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য : হেফাজতে ইসলাম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানোকে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে হেফাজতে ইসলাম।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু নুরাল পাগলার মাজার ও বেদী নির্মাণ, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি ও নিজস্ব কালেমার প্রচলন ইত্যাদি শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক দিন ধরে রাজবাড়ীর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। নুরাল পাগলার পরিবারকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হন।
এমনকি নুরাল পাগলার এসব অপকর্ম রোধে একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তারা বৈঠক করে স্মারকলিপি দেন এবং প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলনও করেন। এতে তাদের ধৈর্যের পরিচয় পাওয়া গেলেও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা নুরাল পাগলার কথিত কাবার আদলে তৈরি কবর ভেঙে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেয়।
তারা বলেন, ‘ইসলামে লাশ পোড়ানো নিষিদ্ধ। এটি মানবিক মর্যাদার প্রশ্ন।
ইসলাম-প্রদত্ত এই মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। ফলে নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানো নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কাজ। একটি অন্যায় রোধ করতে গিয়ে আরেকটি অন্যায় করার সুযোগ নেই। তবে আমরা মনে করি, রাজবাড়ীতে স্থানীয় প্রশাসন সেখানকার দল-মত-নির্বিশেষে ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
প্রশাসন নুরাল পাগলার ব্যাপারে যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি বলেই এমন সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হতে পেরেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন প্রায়ই করিৎকর্মার পরিচয় দেয়। বাম ও প্রগতিশীল ঘরানাও খুবই সরব থাকে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এলে তাদের সব সময় নিষ্ক্রিয় ও নীরব দেখা যায়।
এই বৈষম্য ইসলামবিদ্বেষপ্রসূত বলে আমরা মনে করি। এমনকি একশ্রেণির বাম ও প্রগতিশীলদের নৈতিক সমর্থনের কারণে তাদের ঘরানার কেউ কেউ বিভিন্ন সময় আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও বিষোদ্গার করার দুঃসাহসও দেখিয়েছে। কিন্তু শত প্রতিবাদেও তাদের কোনো বিচার হয়নি। এই দীর্ঘ অবিচারের সংকট নিরসনে সরকার এবং একই সঙ্গে বাম-প্রগতিশীল ঘরানার মুরব্বিদেরও এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব শুধু আলেমদেরই নয়, তাদেরও রয়েছে।’
জাতীয়
ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ১৪ জনের মৃত্যু

সারাদেশে এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩২ জন। সেইসঙ্গে শনাক্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৩১ জনে
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দুইজন। মারা যাওয়া দুইজনই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ছিলেন। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬৪ জন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩২ হাজার ১৫৩ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
জাতীয়
ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান: আদিলুর রহমান

ফ্যাসিবাদ সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক ছাত্রজনতাকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে, ফ্যাসিবাদকে দমন ও প্রতিহত করতে হবে। দেশে আবার যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে, সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ে নবনির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন শেষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন—গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আয়নাঘর, ব্যাপকভাবে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে সংগ্রামকে দমন-পীড়ন-এটাই ছিল গত সাড়ে ১৫ বছর। সেখান থেকে ফেরেশতার মতো এক ঝাঁক তরুণ জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল। সারা দেশের মানুষ তাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিল।
জুলাইয়ে সংঘটিত হত্যা ও অপরাধের বিচারকে দৃশ্যমান করার প্রক্রিয়া চলছে এবং বিচার দৃশ্যমান হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে সরকারের দ্বিতীয় লক্ষ্য নির্বাচন সামনে এসেছে। সরকার জুলাইয়ের সব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, ৩৬ দিনের সংগ্রামের পর বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে, কিন্তু সমস্ত আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়নি। বিচার ও সংস্কারের কাজ এখনো বাকি আছে। বিচারকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা চলছে, বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমানও হচ্ছে। সংস্কারের কাজও চলছে। সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনেরও সব প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি গণঅভ্যুত্থানের এই সরকার বিচার ও সংস্কার—এই দুটি এগিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই জাতীয় নির্বাচন করবে।
আদিলুর রহমান খান বলেন, ফ্যাসিবাদ পরাজিত হয়েছে বলে কেউ যেন মনে না করে তারা আর ষড়যন্ত্র করবে না। পতন হয়েছে মানে তারা বসে থাকবে তা কিন্তু নয়। তাদের ষড়যন্ত্র সবসময় অব্যাহত থাকবে। তাই দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে, ফ্যাসিবাদকে দমন ও প্রতিহত করতে হবে। দেশে আবার যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে, সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে আমরা কাজ করছি। রাজনৈতিক কিছু মতপার্থক্য থাকলেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একমত হয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
জাতীয়
জলাশয় বাঁচলেই ঢাকা বাঁচবে, অন্য কোনো উপায় নেই: রিজওয়ানা

ঢাকা শহরকে বাঁচাতে আগে এ শহরের জলাশয়গুলো বাঁচাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, যত আলোচনায় করেন, যত কথাই বলেন না কেন, ঢাকাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে এ শহরের খাল, জলাশয়গুলোকে বাঁচাতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো উপায় কারও হাতে নেই।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার জলাধার পুনরুদ্ধার: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম এ সংলাপের আয়োজন করে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসাব বলেন, ঢাকায় যেদিকে তাকাবেন, দেখবেন যত্রতত্র বর্জ্য। সেগুলো গিয়ে পড়ছে খালে, জলাশয়ে। ৫৪ বছর এ রাষ্ট্রের বয়স। কাজ কতটুকু হয়েছে তার নমুনা সবার সামনে। এখন আমরা দেড় বছর সময় পেয়েছি। কাজ করছি, সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। ৫৪ বছরের মুখোমুখি দেড় বছরের চেষ্টাকে দাঁড় করানো সমীচীন মনে করি না।
ঢাকার পুকুর উদ্ধারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় আমরা ৪০টির মতো পুকুর উদ্ধারে কাজ শুরু করেছি। ঢাকার জেলা প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাকে অর্থ বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। দেখি কতটা পুকুর উদ্ধার করা যায়। পরে আবারও চেষ্টা করা হবে।