পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের বিষয়ে আসছে ইতিবাচক পরিবর্তন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টার এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র অর্থসংবাদকে নিশ্চিত করেছে।
এনবিআর ও বিএসইসি সূত্র জানায়, রবিবার (৯ জুন) সকাল ১১টায় এনবিআর চেয়ারম্যান ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের এ আলোচনার ফলে পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের উপর টেক্সের বিষয়টির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন ইস্যুতে এনবিআর পুঁজিবাজারের স্বার্থে ও উন্নয়নে কিভাবে আরও ভালোভাবে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যেখানে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স, কর্পোরেট ট্যাক্সহার, অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং তালিকাভুক্ত কেম্পানির করহার ব্যবধান ইস্যুসহ পুঁজিবাজার সম্পর্কিত করের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ আসছে। যেটি খুব শিগগরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আকারে প্রকাশ করবে এনবিআর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কী ধরনের কর সুবিধা পেলে পুঁজিবাজারে আরও ভালো কোম্পানি আসবে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এসময়। একটি গতিশীল শেয়ারবাজার গঠনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সব ধরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাপিটাল গেইনের (মূলধনী মুনাফা) ওপর কোনো কর বসবে না। তবে, ৫০ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করলে তার ওপর কর দিতে হবে। এ নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়তে শুরু করেছে। ফলে গেইন ট্যাক্সসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের আলোচনায় নেওয়া ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো খুব শিগগিরই চূড়ান্তভাবে সামনে আসবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার থেকে বান্ধবীকেও বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর
ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান শেয়ারবাজার থেকে নানান কারসাজিতে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে ব্যবহার করতেন আত্মীয় স্বজনদের ১৫টি বিও হিসাব। মতিউরের বান্ধবী হিসেবে পরিচিত আরেক এনবিআর কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের বিও হিসাব পরিচালনা করে পুঁজিবাজার থেকে বড় অঙ্কের অর্থ তুলে দিতেন এই ওএসডি রাজস্ব কর্মকর্তা।
জানা যায়, শেয়ারবাজার থেকে নানান কায়দা এবং কারসাজির পথ অবলম্বন করে বান্ধবীকে বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর। ২০২২ সাল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন মতিউর বান্ধবী আরজিনা। গড়ে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। লাভও করতেন প্রায় দ্বিগুণ। আছে ৩ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ আছে সঞ্চয়পত্রে।
সূত্র বলছে, মতিউর রহমানের সাথে একই ব্রোকারেজ হাউসে একইরকম বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং অন্যান্য কারসাজির মাধ্যমে বান্ধবীকে আরজিনাকে পুঁজিবাজার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বানিয়েছেন আলোচিত মতিউর রহমান। তবে শেয়ারবাজারের এমন কারসাজিতে সম্প্রতি মতিউর ও সংশ্লিষ্টদের বিও হিসাব জব্দ করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এদিকে মতিউরের বান্ধবী আরজিনা খাতুনের হুট করে ধনী বনে যাওয়া নিয়ে গত ১০ জুন দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন একজন। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানিলন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সাথে যোগসাজস আর দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা খাতুন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আরজিনা খাতুনের রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি, বাসায় বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং দামি সব আসবাবপত্র রয়েছে। এছাড়া মাত্র তিন বছরে ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক তিনি। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে বলে দুদকের কাছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
আরজিনা খাতুন রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব হিসেবে কর্মরত। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে তার। থাকেনও সেখানেই। যা কিনেছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায়, কিন্তু রেজিস্ট্রেশনসহ খরচ দেখিয়েছেন মাত্র ৬৮ লাখ টাকা। ফ্ল্যাটটি কিনতে গিয়ে তার নেয়া ব্যাংক ঋণ স্যাংশন হয় ২০২০ সালে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা মিলে, এর ১ বছর আগেই ফ্ল্যাট কেনা আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। তাও ঋণের টাকার দ্বিগুণ দামে। বাসায় ব্যয়বহুল আসবাবপত্র আর অত্যাধুনিক ইন্টেরিয়র করেছেন ১ বছরের মধ্যেই।
আরজিনার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারোয়া ইউনিয়েনর তালুতপারা গ্রামে। কাস্টমসে চাকরির ৩ বছরের মধ্যে গ্রামের ছন আর টিনের বাড়িটিকে বদলে করেছেন আলীশান এক ভবন।
তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রামে বদলির পর ২০২২ সালেই গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন ৫টি জমি। যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। অনুসন্ধানে সেসব জমির দলিলও পাওয়া গেছে। আরও কোটি খানেক টাকার জমি বন্ধক নেন আরজিনা।
আরজিনা প্রাত্যহিক যে গহনা ব্যবহার করেন, এর বেশিরভাগই হীরার। যার মূল্যমান ১০ লাখ টাকা বলা হয়েছে দুদকে জমা পড়া অভিযোগে। ২০১৮ থেকে ২৩ সালের মধ্যে ৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ডায়মন্ড কিনেছেন নগদ টাকায়। যার ২০০ ভরি এক সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে এনেছেন বলে প্রমাণসহ অভিযোগ পড়েছে দুদকের টেবিলে।
আরজিনার এমন ফুলেফেঁপে ধনী হয়ে ওঠা মতিউরের ছত্রছায়ায়। ছাগলকাণ্ডের এই কর্মকর্তা যাদেরকেই ছুঁয়েছেন তাদের বেশীরভাগই সম্পদ বানিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৭২ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। তাতে কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ৪৬৫টি শেয়ার। যার আর্থিক মূল্য ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এদিন ব্যাংকটির ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ব্লকে লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ কোটি ৩০ লাখ ও তৃতীয় স্থানে যমুনা অয়েলের ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৪৪ কোটি টাকা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা কমেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডিএসই থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ২৪৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিলো ২৭৬ কোটি ৬৬ কোটি টাকা।
ডিএসই, সরকারের পক্ষ থেকে, ট্রেক হোল্ডারদের কমিশন এবং শেয়ার বিক্রয়ের উপর যথাক্রমে ০.০৫ শতাংশ এবং ৫.০ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে এবং সেই পরিমাণ সরকারি কোষাগারে জমা করে।
আলোচ্য অর্থবছরে, স্টক এক্সচেঞ্জ বা ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট হোল্ডারস (টিআরইসি) কমিশনের সদস্যদের কাছ থেকে সরকারের কর রাজস্ব আদায় ২০২৩ সালে ১৯২ কোটি ৫ লাখ টাকার তুলনায় ১৫৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
এছাড়া, স্পন্সর-ডিরেক্টর এবং প্লেসমেন্ট হোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি থেকে কর রাজস্ব ২০২৪ সালে ৯০ কোটি ৬ লাখ টাকায় বেড়েছে। যা ২০২৩ এ ৮৪ কোটি টাকা থেকে বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। বন্ডটিকে ‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এর আগে বন্ডটি গত ১৩ জুন,২০২৩ থেকে ১২ ডিসেম্বর,২০২৩ পর্যন্ত এবং গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জুন পর্যন্ত সময়ের ইউনিটহোল্ডারদের ১০ শতাংশ কুপন পেমেন্ট হারে মুনাফা দিয়েছে। ফলে বন্ডটির ক্যাটাগরি উন্নীত করা হয়েছে।
আগামী রবিবার (৭ জুলাই) থেকে ক্যাটাগরিটি কার্যকর হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৩ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রূপালী লাইফের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর হারানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা নিউ লাইন ক্লোথিংয়ের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। আর ইউনিটদর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ক্যাপিটেক গ্রামীন ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড।
বৃহস্পতিবার দরপতনের তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- বিআইএফসি, পিপলস লিজিং, হাক্কানি পাল্প, ওয়াটা কেমিক্যালস, গ্লোবাল হেভি, উসমানিয়া গ্লাস এবং আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
এসএম