আন্তর্জাতিক
তিন লাখের বেশি অবৈধ হজযাত্রীকে বের করে দিলো সৌদি

আর এক সপ্তাহ পরেই মক্কা নগরীতে মুসলিমদের পবিত্র হজ পালন শুরু হবে। গত শনিবার পর্যন্ত মক্কা থেকে কয়েক লাখ অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
প্রতিবছরই বার্ষিক হজ অনুষ্ঠানে জনসমাগম ব্যবস্থাপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজ পালন ইসলামের পাঁচটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে একটি। অফিশিয়াল তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করেছিল।
যাদের বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ জনই ছিলেন বিদেশি। তারা ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করেছিলেন এবং হজ পালনের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না। পাশাপাশি হজের অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরবের অন্যান্য শহর থেকে মক্কায় আসা ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৭ জনকে মক্কা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ জুন সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র হজ পালন শুরু হবে। সব মুসলিমের জন্যই জীবনে অন্তত একবার হজ পালন আবশ্যক। অন্তত চার দিন ধরে মক্কা এবং এর আশপাশের অঞ্চলে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এসব অনুষ্ঠানে অনেকেই অবৈধ উপায়ে অংশগ্রহণের চেষ্টা করেন।
কারণ বৈধ উপায়ে হজের অনুমতি পাওয়া এবং এ সম্পর্কিত ভ্রমণ প্যাকেজগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তুলনামূলক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রতিটি দেশেই হজ পালনকারীদের জন্য কোটা সীমাবদ্ধ থাকে।
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাজারগুলো রয়েছে। মক্কার স্থানীয় প্রশাসন এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

আন্তর্জাতিক
সাইবার হামলা: ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল

ইউরোপের বড় বড় বিমানবন্দরগুলোতে চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কলিনস অ্যারোস্পেসের ওয়েব সাইটে সাইবার হামলা হয়েছে। এতে লন্ডনের হিথ্রো, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এবং জার্মানির বার্লিন বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কলিন্স অ্যারোস্পেস জানিয়েছে, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটি’র কারণে সংস্থাটি আপাতত পরিষেবা দিতে পারছে না এবং ত্রুটি সারাতে সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত বিশ্বের বেশ কয়েকটি বিমান পরিবহন সংস্থা (এয়ারলাইন্স) এবং বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদান করে কলিন্স অ্যারোস্পেস। ইউরোপভিত্তিক বেশিরভাগ বিমান পরিবহন সংস্থা কলিন্স অ্যারোস্পেসের পরিষেবার গ্রাহক। সাইবার হামলার ফলে বিমানের চেক-ইন ও বোর্ডিং পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এয়ারলাইন্সগুলোও তাদের ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়েছে।
লন্ডন, ব্রাসেলস ও বার্লিন বিমানবন্দর ইতোমধ্যে যাত্রীদের ফোন নাম্বারে বার্তা প্রদানের মাধ্যমে ফ্লাইট বাতিলের ব্যাপারটি অবহিত করেছে।
ইউরোপের সব বড় বিমানবন্দর অবশ্য এ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ফ্রাঙ্কফুর্ট, হামবুর্গ ও জুরিখ বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ব্রাসেলস বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা যতক্ষণ পর্যন্ত স্বাভাবিক না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করা হবে।
“এটা একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি শিগগিরই কলিন্স অ্যারোস্পেসের ত্রুটি না সারে, তাহলে প্রতিটি ফ্লাইটের ডিপার্চার সময় ৫৪ মিনিট পিছিয়ে যাবে”, ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
সূত্র : ডেইলি মেইল
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলকে ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলকে ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কাছে ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই অস্ত্র বিক্রির জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।
পরিকল্পিত এই প্যাকেজে রয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের ৩০টি ‘এএইচ-৬৪’ অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ৩ হাজার ২৫০টি ইনফ্যান্ট্রি অ্যাসল্ট ভেহিকেল।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাঁজোয়া যান এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আরও ৭৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সহায়ক যন্ত্রাংশ এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি এবং সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির চার শীর্ষ রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট নেতার অনুমোদন চাইছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলার আগে প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি প্রথমে কংগ্রেসের নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। কাতারে ইসরায়েলের ওই হামলার পরেও ট্রাম্প প্রশাসন অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন চাওয়া অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসন এবং সাম্প্রতিক সময়ে কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও তীব্র সমালোচনার পরেও দখলদার দেশটিতে অস্ত্রসহ নানাভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় ৬৫ হাজার ১৪১ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শ্রমিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই নয় দেশের নাগরিকরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অপরিহার্য নথি। যদিও বেশিরভাগ নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের ভিসার জন্যই আবেদন করেন।
তবে এবার বেশ কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলো আমিরাত। এই বিধিনিষেধের অর্থ হলো- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলোর নাগরিকরা শ্রমিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
দেশটির অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।
কেন এসব দেশের নাগরিকের ওপর ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
আরব আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-
নিরাপত্তা উদ্বেগ: সন্ত্রাসবাদ বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে আমিরাতের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।
ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক: উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ নীতিমালা প্রয়োগ।
এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।
সূত্র: ইউএই ভিসা অনলাইন
আন্তর্জাতিক
সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৭৮

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি শহরের একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহরে ওই হামলা চালায় আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ)। তবে গোষ্ঠীটি এখনও নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, শুক্রবার ভোরে প্রার্থনা চলাকালে ওই হামলা চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএফের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। আল-ফাশের শহরের দখলে নিতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে আরএসএফ। এটি দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি। সেখানকার তিন লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক এই লড়াইয়ের ফাঁদে আটকা পড়েছে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের (এইচআরএল) বিশ্লেষণ অনুযায়ী স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, শিবিরটির বড় অংশ এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, সংঘাত ক্রমেই জাতিগত রূপ নিচ্ছে এবং প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগে দুপক্ষই সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার নথিতে দেখা গেছে, দখল করা এলাকায় অ-আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলনীতি চালাচ্ছে আরএসএফ।
সম্প্রতি ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, আল-ফাশেরকে অ-আরব জনগোষ্ঠীমুক্ত করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছে গোষ্ঠীটি।
অবশ্য এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে আরএসএফ। তাদের দাবি, কোনো জাতিগত সংঘাতে তারা জড়িত নয়।
আন্তর্জাতিক
৫০ কোটি ডলারের উন্নত মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করলো ইরান

ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলার মূল্যের উন্নত ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় ওয়াশিংটন তেল আবিবকে সহায়তা দিতে গিয়ে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের উন্নতমানের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়েছে।
ইসরাইলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সদ্য প্রকাশিত পেন্টাগনের বাজেট নথিতে দেখা গেছে, গত জুন মাসে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের ১২ দিনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে মোট প্রায় ৫০ কোটি ডলার মূল্যের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার জোন’ এবং ‘বিজনেস ইনসাইডার’এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নথিগুলোর একটিতে ৪৯৮.২৬৫ মিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল চাওয়া হয়েছে, যা দিয়ে থাড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করা হবে।
নথিতে বলা হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইলকে সমর্থন দিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ওই ১২ দিনের আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র ‘১০০ থেকে ১৫০টি থাড ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য আরও বাজেট বরাদ্দ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।