জাতীয়
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী বাংলাদেশ

ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির প্রয়োজন এবং আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভুটানি সমকক্ষকে বলেন, ভুটান থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।
তিনি বলেন, উভয় দেশ বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কেননা, ভুটান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন এবং আশা করেন ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
ভুটানের পক্ষে অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি. নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়
রাজধানীতে সাড়ে ৫ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রাজধানীর চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় রেকি কার্যক্রম চালিয়ে ৫ হাজার ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
পাশাপাশি সুপারশপ ও দোকান মালিকদের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে সতর্ক করা হয়।
খুলনা ও সিরাজগঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
রবিবার (৩ আগস্ট) তথ্য অধিদপ্তর পাঠানো এক বিবরণীতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘন করায় দুটি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
টাঙ্গাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে একটি অবৈধ সিসা ব্যাটারির কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগরের পশ্চিম আগারগাঁও ও রমনায় নির্মাণসামগ্রীর মাধ্যমে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জাতীয়
৮ জন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল

আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করেছে সরকার। রোববার (৩ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরে তা গেজেটে প্রকাশিত হয়।
কেন তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিহতের পরিবার ও স্বজনরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিহতদের জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় এটা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের মো. খলিলুর রহমান তালুকদার (গেজেট নম্বর ২২৯), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪), নরসিংদীর জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), ঢাকার দৌলতখানের শাহ জামান (গেজেট নম্বর ৬১১), সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬), নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), পটুয়াখালীর বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) এবং শরীয়তপুরের বাঁধনের (গেজেট নম্বর ৮৩৬) জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী এই আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’র স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
সরকার দুই দফায় গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামের গেজেট প্রকাশ করে। শহীদদের নামের সঙ্গে গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, পিতা-মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জেলা ও বিভাগ প্রকাশ করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং তাদের পুনর্বাসনে কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।
জাতীয়
ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করল সরকার

৫ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা ছাত্র-জনতা আনতে ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতাকে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরের মধ্যে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। কর্মসূচি শেষে এসব ট্রেনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা ছাত্র-জনতার জন্য ট্রেন ভাড়া করার বিষয়ে রোববার জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। রেলওয়ে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতাকে সারাদেশ থেকে ঢাকায় আনতে রেলের ব্যবস্থা করার বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আপনি সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী জানান, আগামী ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। এজন্য সারাদেশ থেকে ছাত্র-জনতা যারা ঢাকায় আসতে চান তাদের আনতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তাদের আনতে ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
এতে কত টাকা লাগবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ঠিক এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, তবে খুব বেশি মনে হয় লাগবে না। সরকারি তো, সরকারি হিসেবে খুব বেশি লাগবে না।
কাফি
জাতীয়
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৪৩

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত ২০ হাজার ২৫৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক আট শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক দুই শতাংশ নারী রয়েছেন।
জাতীয়
বাংলাদেশের সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে: শ্রম উপদেষ্টা

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের কমপ্লিট স্ট্রাকচার ভেঙে পড়েছে। সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জেলা থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত সব কিছু।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেক হস্তান্তর এবং স্থানীয় প্রদর্শন ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি কথাগুলো বলেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এই ভেঙে পড়া ৮ মাস, ১০ মাস, ১ বছরে ঠিক করা সম্ভব নয়। পুলিশ-প্রশাসন পুরো ভেঙে পড়েছে। পুলিশ কাজ করছে না। কিভাবে করবে স্ট্রাকচার ভেঙে পড়েছে। আইন ও প্রশাসনেরও স্ট্রাকচার শেষ।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো কিছু হলেই বলে সরকার টাকা দেয় না। কিন্তু সরকার তো ইন্ডাস্ট্রিজ চালায় না। আমরা দিয়েছি লোন। যেমনটি বেক্সিমকোকে দেওয়া হয়েছিল। একটি ব্যাংক থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। সে টাকা কোথায় গিয়েছে আমরা জানি না। টাকা নিয়ে অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের লেবার অ্যাক্ট যতদূর সম্ভব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কর্মক্ষেত্রে নারী বৈষম্য বা লিঙ্গ বৈষম্য যাতে না হয় তার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছি। এখন মোটামুটি ভাবে আইএলওর যে স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে তার ওপরে রয়েছি।’
কাফি