জাতীয়
আরকাইভ ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আরকাইভ সামাজিক দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে এবং ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তিনি বলেন, আজকের সৃষ্ট নথিপত্রই আগামী দিনের ঐতিহাসিক দলিল, তথা মূল্যবান আরকাইভ উপকরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। আরকাইভস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করাই ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উদ্যাপনের মূল উদ্দেশ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আশা করি, আমাদের আরকাইভিস্টরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভসকে আরো সমৃদ্ধশালী আরকাইভস হিসেবে আত্মপ্রকাশে নিজেদের নিয়োজিত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ জুন ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক আরকাইভস সংস্থা ২০০৭ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার দিন ১৯৪৮ সালের ৯ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আন্তর্জাতিক আরকাইভস সংস্থার সদস্য হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ‘আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস’ পালন করছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন জ্ঞান পিপাসু, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সচেতন মানুষ ছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ৩০ লাখ বীর শহীদের রক্ত ও ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগ এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান-আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ এ রূপান্তরিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বাঙালির বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস, গর্বিত ঐতিহ্য ও আবহমান সংস্কৃতির তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সেই প্রেক্ষাপটে তিনি রাষ্ট্র কাঠামো পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ১৯৭২ সালে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস’ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় আরকাইভসের জন্য ২ একর জমি প্রদান করেন এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য স্থায়ী ভবন নির্মাণের সব উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো এই প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ নেয় নাই। বরং তারা আমাদের গর্বিত ইতিহাস বিকৃত করেছিল এবং এদেশ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠনের পর আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরি। ২০০১ সালের ১৪ জুন জাতীয় আরকাইভস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরেও আমরা জাতীয় আরকাইভসের অবকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ২০১৬ সালে আমরা অনেকগুলো নতুন পদ সৃষ্টি করেছি এবং আরকাইভস ও গ্রন্থাগার পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী দলিল-দস্তাবেজ সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন, ২০২১’ জারি করেছি।
তিনি আরো বলেন, সনাতনী, পুরাতন নথিপত্র ডিজিটাইজেশন করার কার্যক্রম চালু করেছি। যার ফলে আমাদের গবেষক, লেখক, সাহিত্যিক, প্রোফেশনাল, শিক্ষার্থী, সংস্কৃতি কর্মী, গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, নীতি নির্ধারক ও সর্বোপরি সাধারণ জনগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।

জাতীয়
নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই চিঠি পাঠালো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অবিলম্বে এ ক্ষেত্রে সব প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরুর কথা বলেছেন। বিগত ১৫ বছরে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন মহাআনন্দের ভোট উৎসবের দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়, তেমন আয়োজনের ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।
শেষে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লেখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।
কাফি
জাতীয়
নির্বাচনে ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে দেশের ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার পরিকল্পনার রয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি সারাদেশে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কত ফোর্স প্রয়োজন হবে, এসব বিষয়ে। এ ছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবাইকে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। কোন ক্যামেরা কার কাছে ও কীভাবে থাকবে—সে বিষয়েও আলোচনা চলছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা যেন কারও বাসায় না থেকে নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের সঙ্গে আনসার ও পুলিশ সদস্যও থাকবেন।
কারা বডি ক্যামেরা পাবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। পুলিশের সিনিয়র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেই এই ক্যামেরা থাকবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সব বাহিনীকে আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, তারা যেন পোলিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেন। আমাদের বাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষে আমরা মহড়া দেব। নির্বাচন যেন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য অনুশীলনও করা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ থাকবে। আনসার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী পর্যন্ত এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সব বাহিনীকেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৭৬ কর্মকর্তার সংযুক্ত বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা রুটিন বিষয়, চলতে থাকবে।
জাতীয়
ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সফিক শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ২০ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন দৈনিক স্বদেশ বাংলা সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এনটিভির চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সফিক শাহীন। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন চ্যানেল আই-এর বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ নোমান (আমার দেশ), সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান রিপন (ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (বাণিজ্য প্রতিদিন), যুগ্ম সম্পাদক কাজী ফয়সাল (চ্যানেল ২৪), অর্থ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (দেশ সমাচার), জনকল্যাণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন (অর্থসংবাদ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব (টেক পাবলিক), দপ্তর সম্পাদক মহসিন হোসেন (বিডি সমাচার), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুজ্জামান নাঈম (স্বদেশ বাংলা)।
নির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মিজান মালিক (যুগান্তর), সালেহ বিপ্লব (দৈনিক দেশবার্তা), এম এইচ রবিন (আমাদের সময়), মাহবুব রনি (যুগান্তর), মোহাম্মদ মোস্তফা মানিক (প্রথম আলো), হাবিবুর রহমান (সিনহুয়া নিউজ), নাজমুল হক বাপ্পী (বাংলা স্পোর্টস), ফখরুল ইসলাম (ঢাকা পোস্ট) এবং সাঈদ আল হাসান শিমুল (কালবেলা)।
অর্থসংবাদ/কাফি
জাতীয়
ওএসডি হওয়া ৭৬ পুলিশকে একযোগে পদায়ন

বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭৬ বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওএসডি) পদায়ন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে পুলিশের ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত আইজিপি, ১৩ জন ডিআইজি, অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।
ওএসডি হওয়া ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত, রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত, পিটিসিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পদায়ন হওয়া ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতির অঙ্গীকার সিইসির

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন পর্যন্ত এ প্রস্তুতিতে কোনো বিরতি থাকবে না।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পথে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে। তবে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নেব।
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এক ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজনের জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাবেন।
দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠাব। সেই চিঠিতে অনুরোধ জানানো হবে, যেন আসন্ন রমজানের আগেই, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়।’’
৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতির জন্য আমরা কাল থেকেই মানসিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করব।
সরকার এবারের নির্বাচনে প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে ভোটারদের ব্যাপারে আমি একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই—এবার আমরা চাই প্রবাসী ভোটাররাও যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’