ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কলেজে ভর্তিতে নতুন নির্দেশনা দিল শিক্ষা বোর্ড

চলছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনপ্রক্রিয়া। তবে অনেক শিক্ষার্থীই নানা সমস্যায় পড়ছেন আবেদন করতে গিয়ে। তবে এরইমধ্যে আবেদন বাতিল করা ও ইমপ্রুভমেন্ট দেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে এ নির্দেশনা।
শনিবার (০৮ জুন) কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাতিল করা ও ইমপ্রুভমেন্ট দেয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন বাতিল করতে চাওয়া শিক্ষর্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা আছে, যেসব শিক্ষার্থী আবেদন বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন, তাদের আবেদন বাতিলের সাথে, সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট পেমেন্টও বাতিল হয়ে যাবে। নতুন করে আবেদন করার পর পুনরায় আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ‘আবেদন বাতিল’ কিংবা ‘মোবাইল নম্বর পরিবর্তন’ করা প্রয়োজন, তারা অনলাইনে এ ফর্মটি ব্যবহার করুন। এ ফরম ব্যবহার করে কিভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে, তার ভিডিও টিউটোরিয়াল এখানে পাওয়া যাবে। আবেদন করার পরে এ লিঙ্কে স্ট্যাটাস দেখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট নোটিশটি বোর্ড বিজ্ঞপ্তি মেনুতে দেখুন।
এছাড়াও যে সকল শিক্ষার্থী ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের কোন ফলাফল স্মার্ট ভর্তির সিস্টেমে ব্যবহার করা হবে, সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীর পছন্দ বিবেচিত হবে বলে বোর্ড থেকে নির্দেশনা পাওয়া গেছে। এ ফর্মের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কথা আজকের (৮ জুন) মধ্যে জানাতে পারবেন। এ সময়সীমার মধ্যে পছন্দের কোন তথ্য না পাওয়া গেলে, শিক্ষার্থীর সর্বশেষ পরীক্ষার ফলাফল স্মার্ট ভর্তির সিস্টেমে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য আগামী ১১ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। ৫ জুন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩টি আবেদন পড়েছে। ইএসভিজি চয়েস দাখিল হয়েছে ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৬৯০। পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫১ জন আবেদনকারীর।
অনলাইনে আবেদন-
শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেয়া হবে না। ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, এগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
মেধা কোটা কত?
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে-
পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি; মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবেন।
আর যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ইসলামি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যেকোনোটি; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যতীত যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবেন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফলাফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত শিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবে।
কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন-
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোনো ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৮৫০০ টাকা-
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।
ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ছয় হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো চার হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ দুই হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।
ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই-
একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।
ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।
একাদশে ভর্তির নীতিমালাটি দেখুন এ লিংকে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পিছিয়ে গেল রাকসু নির্বাচন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ২৫ সেপ্টেম্বর হচ্ছে না। বর্তমানে অনূকুল পরিবেশ না থাকায় আগামী ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ রাকসু নির্বাচন কমিশন ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সভায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট-এ ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনপূর্ব উদ্ভূত পরিস্থিতি সার্বিকভাবে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।
এ সভা লক্ষ্য করে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান পরিস্থিতি কোনো অবস্থাতেই রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূলে নয়।
অনুকূলে না থাকার কারণ হিসেবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি।
উপর্যুক্ত বিবেচনায় রাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার স্বার্থে কমিশন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক জরুরি সভায় তারা এ সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়াও ফোরামের পক্ষ থেকে আগামীকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষকদের যারা লাঞ্ছিত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এছাড়াও আগামীকাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে বহাল রাখার প্রতিবাদে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এরপর থেকেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।
সর্বশেষ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি একাডেমিক কমিটির সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আবার টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আমরা মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি: ইউজিসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, আগের মতো দলীয়করণ যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দলমত নির্বিশেষে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন শিক্ষক আগামী প্রজন্মের কারিগর।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এর পূর্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালগুলোতে এত শিক্ষক স্বল্পতা! কিছু দিনের মধ্যে আমাদের একটি মিটিং হবে। সেখানে খালি পদগুলো মঞ্জুর করার বিষয়ে ডেফিনেটলি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যতটুকু করতে পারি আমি করবো। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা একটা টিম কাজ করছি।
পরে ভিসি বাংলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে ‘শিক্ষক সংকট, আবাসিকতা বৃদ্ধি, ফায়ারসার্ভিস স্টেশন, সেশনজট, খাবারের মান বৃদ্ধি ও ইকসু গঠন, মেডিকেল আধুনিকায়ন, জিয়া স্মৃতিকমপ্লেক্স’ ইত্যাদি বিষয় পূরণের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিকতার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ড. ফায়েজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দূরদূরান্ত থেকে স্ট্রাগল করে মেয়েরা পড়তে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে অবস্থান নেওয়ায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমরা মঞ্জুরী কমিশন মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করছি। মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ফার্স্ট নজরে রয়েছে।
তিনি জানান, মেয়েদের আবাসিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতেছি। বিষয়টা এমন না ছেলেদেরকে একপাশে রেখে দেয়া হচ্ছে। এরপর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খাবারের মান বৃদ্ধির লক্ষে উন্নতমানের ক্যান্টিন ব্যবস্থা করা হবে। এটা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ করছে ইউজিসি।
ছাত্র সংসদ গঠনের বিষয়ে ড. ফায়েজ বলেন, আমি উপাচার্যের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র সংসদ গঠনের আপডেট নিয়েছি। আমাদের কাছে আসার সাথে সাথে ফার্স্ট প্রায়োরিটি দিয়ে সহযোগিতা করে যাব। মন্ত্রণালয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলা আছে।
মতবিনিময়কালে গবেষণাখাত উন্নতিকরণ বিষয়ে তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইউজিসি ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইবি থেকেও পেয়েছে। যদিও প্রথমবারের মতো বেশি সংখ্যক দিতে পারিনি৷ পরবর্তীতে এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষক শিক্ষার্থী মিলে এক হয়ে গবেষণা করবে আগামী দিনে।
উল্লেখ্য, উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, জমিয়তে তালাবিয়ে আরাবিয়া, সোচ্চার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জনবল নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পদ ৪৩০

বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সশস্ত্র বাহিনীটি নাবিক, মহিলা নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) পদে ৪৩০ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ জন পুরুষ ও ৩০ জন নারী। দেশের সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে আগামী ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
পদের সংখ্যা: ১০টি
লোকবল নিয়োগ: ৪৩০ জন
পদের নাম: ডিই/ইউসি (সিম্যান, কমিউনিকেশন ও টেকনিক্যাল)
পদসংখ্যা: ২৮০ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), জোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ সেন্টিমিটার
পদের নাম: রেগুলেটিং
পদসংখ্যা: ১২ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৭২.৫ (পুরুষ), ১৬০.০২ (মহিলা)।
পদের নাম: রাইটার
পদসংখ্যা: ১৮ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: স্টোর
পদসংখ্যা: ১৪ (পুরুষ), ৪ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)।
পদের নাম: মিউজিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান [মাদ্রাসা (বিজ্ঞান), ভোকেশনালসহ], জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)।
পদের নাম: মেডিকেল
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৬ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জীববিজ্ঞানসহ ন্যূনতম এসএসসি (বিজ্ঞান)/সমমান, জিপিএ–৩.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: কুক
পদসংখ্যা: ২৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: স্টুয়ার্ড
পদসংখ্যা: ১০ (পুরুষ), ৮ (মহিলা)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–২.৫০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ), ১৫৭.৪৮ (মহিলা)
পদের নাম: টোপাস
পদসংখ্যা: ১৫ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬২.৫ (পুরুষ)
পদের নাম: এমওডিসি (নৌ)
পদসংখ্যা: ৮ (পুরুষ)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি/সমমান (মাদ্রাসা, ভোকেশনালসহ), জিপিএ–৩.০০ ও তদূর্ধ্ব।
শারীরিক যোগ্যতা: উচ্চতা ১৬৭.৫ (পুরুষ)
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

চাকরিপ্রত্যাশীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত পরীক্ষা বিসিএস। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেশের বহু গ্র্যাজুয়েট প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। তাই সেই পরীক্ষা রূপ নেয় একপ্রকার যুদ্ধে। সেই ধারাবাহিক মহারণের ৪৭তম আসরের প্রথম ধাপ তথা প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দেশের ২৫৬ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিন লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ চাকরিপ্রার্থী। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন তারা।
সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সাড়ে ৮টা বাজার পরপরই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করা শুরু করেন। পরীক্ষা শুরুর পর বাইরে তাদের অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন।
পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে কথা হয়। জান্নাতুল সুলতানা নামের একজন বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করেছি অল্প কিছুদিন হয়েছে। এটাই প্রথম কোনো চাকরির পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাস ফিল করছি। প্রস্তুতিও ততটা নিতে পারিনি। তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করাটাকে আমি জরুরি মনে করি।
হাজারীবাগ সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা রাফিদ করীম নামের একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রস্তুতি ভালো। তবে পদের তুলনায় প্রতিযোগী অনেক বেশি। তবুও আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছু হবে।