ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কলেজে ভর্তিতে নতুন নির্দেশনা দিল শিক্ষা বোর্ড

চলছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনপ্রক্রিয়া। তবে অনেক শিক্ষার্থীই নানা সমস্যায় পড়ছেন আবেদন করতে গিয়ে। তবে এরইমধ্যে আবেদন বাতিল করা ও ইমপ্রুভমেন্ট দেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে এ নির্দেশনা।
শনিবার (০৮ জুন) কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাতিল করা ও ইমপ্রুভমেন্ট দেয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন বাতিল করতে চাওয়া শিক্ষর্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা আছে, যেসব শিক্ষার্থী আবেদন বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন, তাদের আবেদন বাতিলের সাথে, সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট পেমেন্টও বাতিল হয়ে যাবে। নতুন করে আবেদন করার পর পুনরায় আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ‘আবেদন বাতিল’ কিংবা ‘মোবাইল নম্বর পরিবর্তন’ করা প্রয়োজন, তারা অনলাইনে এ ফর্মটি ব্যবহার করুন। এ ফরম ব্যবহার করে কিভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে, তার ভিডিও টিউটোরিয়াল এখানে পাওয়া যাবে। আবেদন করার পরে এ লিঙ্কে স্ট্যাটাস দেখতে পারেন। সংশ্লিষ্ট নোটিশটি বোর্ড বিজ্ঞপ্তি মেনুতে দেখুন।
এছাড়াও যে সকল শিক্ষার্থী ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের কোন ফলাফল স্মার্ট ভর্তির সিস্টেমে ব্যবহার করা হবে, সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীর পছন্দ বিবেচিত হবে বলে বোর্ড থেকে নির্দেশনা পাওয়া গেছে। এ ফর্মের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কথা আজকের (৮ জুন) মধ্যে জানাতে পারবেন। এ সময়সীমার মধ্যে পছন্দের কোন তথ্য না পাওয়া গেলে, শিক্ষার্থীর সর্বশেষ পরীক্ষার ফলাফল স্মার্ট ভর্তির সিস্টেমে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য আগামী ১১ জুন পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। ৫ জুন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩টি আবেদন পড়েছে। ইএসভিজি চয়েস দাখিল হয়েছে ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ৬৯০। পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫১ জন আবেদনকারীর।
অনলাইনে আবেদন-
শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেয়া হবে না। ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, এগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
মেধা কোটা কত?
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ আগের মতোই বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ২ শতাংশের ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ১ শতাংশ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করা হবে।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে-
পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি; মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবেন।
আর যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ইসলামি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যেকোনোটি; মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যতীত যেকোনোটিতে আবেদন করতে পারবেন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফলাফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত শিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবে এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবে।
কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন-
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোনো ছাত্রছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৮৫০০ টাকা-
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবে। আর ঢাকা মেট্রোপলিটনের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।
ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ছয় হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো তিন হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন-এমপিও কলেজগুলো চার হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন নন-এমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ দুই হাজার টাকা ফি নিতে পারবে। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।
ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই-
একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই।
ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়।
একাদশে ভর্তির নীতিমালাটি দেখুন এ লিংকে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম

দেশের আরও ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবার ও তাদের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণও করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রহিমা অক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নাম পরিবর্তন হওয়া ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম, ৫টি শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ৪টি শেখ রাসেলের নামে ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ আরজু মনি ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে একটি করে প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নাম বাদ দেয়। শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০টি, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে একটি, শেখ হাসিনার নামে একটি এবং মুজিবনগর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
এছাড়া সম্প্রতি ৬৮টি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টি শেখ পরিবারের নামে ছিল। ৩৭টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিল। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নাম ছিল ১৬টি কলেজে। এছাড়া শেখ হাসিনার নামে ছিল ৫টি, শেখ রাসেল এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবতের নামে দুটি কলেজ ছিল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বুধবার (০৪ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের পর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ৭০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিআরসিএর বোর্ড সভা শেষ হওয়ার পরই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। দুপুর থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ড সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার বলেন, মূলত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ নিয়েই আজকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজ বিকেলে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পর্যায়ে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ।
এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন, পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ। তখনই জানা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়েই চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করা হবে।
কোন স্তরে কতজন?
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে— স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, কলেজ পর্যায়ে: ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন রয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
যেভাবে দেখা যাবে ফল
১৮তম নিবন্ধনের ফল জানতে প্রার্থীরা http://ntrca.gov.bd এবং http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের যেকোনটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করলেই ফলাফল দেখতে পারবেন।
সামনে কী?
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে এখন প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের অপেক্ষা। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এসব পদে নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যাচাইয়ের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অভিজ্ঞতা ছাড়াও চাকরি দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থাটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ২৯ মে থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড় পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
বিভাগ: সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
পদসংখ্যা: ১০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ/এমবিএ
অন্যান্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ
বয়সসীমা: ২১ থেকে ২৮ বছর
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে
বেতন: ৩০,০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড়।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৪ জুন ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও মোনাজাত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান আজহারি।
শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মা নামাজের পরে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি শোক যাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতির স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
দোয়া অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরিব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তাই জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি দেশে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে তার স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর ১২টার দিকে ইবি থানা-ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন সংগঠনটি।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য সাব্বির হোসাইন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস মাহমুদ, রাকিব হোসেন সাক্ষর, রনি, তৌহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম, আলামিন, রিয়াজ, রায়হান, মেহেদী, সাবিক, ওয়াশিকুর, জনি, উৎস, অনিক, বাপ্পী প্রমুখ।
ইবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, আপনারা জানেন, একদল সন্ত্রাসী কুয়েটের মেধাবী ছাত্র ইফাজের ওপর হামলা করেছে। গুপ্ত সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানাই।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, সারাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত যে গুপ্ত হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা চাই। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, আপনারা জাতির মেধাবী সন্তানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করুন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি। বর্তমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইন্টেরিম গভর্মেন্টের প্রতি এবং ইফাজের ওপর হামলালারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম