ধর্ম ও জীবন
গণিতের শিক্ষক থেকে পবিত্র কাবার ইমাম, দেবেন হজের খুতবা

চলতি বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। আরাফার ময়দানে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন তিনি। এই ড. মাহের এক সময় ছিলেন গণিতের শিক্ষক, সেখান থেকেই প্রথমে মসজিদে নববির সহকারী ইমাম, পরে এক পর্যায়ে মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
মসজিদুল হারামের পেজ ইনসাইড দ্য হারামাইনের তথ্যমতে, ১৯৬৯ সালের ৭ জানুয়ারি পবিত্র মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। হিফজ শেষ করার পর মদিনার টিচার্স কলেজে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে গণিতে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পর, একই বিষয়ের শিক্ষকতা শুরু করেন এই ইমাম।
১৪২৫ হিজরিতে (২০০৪ সাল) পবিত্র মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ্ অনুষদ থেকে মাহের বিন হামাদ মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১২ সালে ইমাম সিরাজি রহ. রচিত শাফেয়ী মাজহাবের কিতাব ‘তুহফাতুন নাবিহ শারহুত তানবিহ’র ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
মাহের বিন হামাদের কর্মজীবন শুরু হয় উম্মুল কুরার জুডিশিয়াল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে। ১৪২৬-২৭ হিজরির (২০০৫-২০০৬ সাল) পবিত্র রমজানে মসজিদে নববির সহকারী ইমামের দায়িত্ব পান তিনি। পরে ১৪২৮ হিজরির (২০০৭ সাল) রমজানে মসজিদুল হারামের তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের ইমাম মনোনীত হন। এরপর ওই বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদুল হারামের স্থায়ী ইমামের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। মূলত পবিত্র কোরআনের অসাধারণ তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় শায়খ মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি।
তিনি শেখ আব্দুল রেহমান আল সুদাইসের সঙ্গে প্রথম যৌথভাবে তারাবিহতে নেতৃত্ব দেন। পরে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি শেখ আবদুল্লাহ আওয়াদ আল জুহানীর সঙ্গে তারাবিহ পড়ান। ২০১৫ সালের রমজানে তিনি এবং শেখ সুদাইস নামাজে নেতৃত্ব দেন। পরের বছর (২০১৬ সালে) তিনি শেখ খালিদ আল ঘামাদি এবং শেখ আবদুল্লাহ আওয়াদ আল জুহানির সঙ্গে তারাবিহের নেতৃত্ব দেন।
পরে বাদশাহ সালমান কর্তৃক জারি করা এক রাজকীয় ডিক্রিতে শেখ মাহেরকে ২০১৬ সালের রমজানে মসজিদ আল হারামের খতিব হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ওই বছরের ১৫ জুলাই মসজিদ আল হারামে তিনি প্রথম খুতবা প্রদান করেন। ২০২৩ সালে শেখ মাহের মসজিদ আল নামিরাহতে ডেপুটি হজ খতিব নিযুক্ত হন। আর এ বছর (২০২৪ সালে) মসজিদ আল নামিরাহতে আরাফাতের খুতবা দেয়ার জন্য তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
দুপুরে আখেরি মোনাজাতে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব

টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। ভোর থেকে আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে আসছেন মুসল্লিরা। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এ ঢল অব্যাহত থাকবে।
শনিবার দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে চলে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান। আজ ফজরের পরের বয়ান করেন মাওলানা মোরসালিন (দিল্লি নিজামউদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মুফতি আজিম উদ্দিন।
সকাল সাড়ে নয়টায় হেদায়েতের বয়ান শুরু হবে। হেদায়াতি বয়ান করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। তার বয়ান তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। হেদায়েতি বয়ানের পর দুপুর বারোটার দিকে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন ইজতেমার এই পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম।
এদিকে তিনদিন ধরে ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিরা সার্বক্ষণিক ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত আছেন। প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আমবয়ান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শনিবার বাদ আসর ভারতের মাওলানা মঞ্জুর যৌতুকবিহীন নয়টি বিয়ে পড়ান। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ নিজামুদ্দিন অনুসারী মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা আয়োজন করা হয়। ১৯৬৬ সালে গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান ময়দানে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা। ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের আয়োজনে টানা ৬ দিনব্যাপী প্রথম পর্বের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মাঝে ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন। রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
শবে বরাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানসূচি

পবিত্র শবে বরাত-১৪৪৬ হিজরি উপলক্ষে আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ইফা আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩৫মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় বিষয়ে ওয়াজ করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রাত ৭টা ১০মিনিটে লাইলাতুল বারাআতের ফজিলত ও তাৎপর্য বিষয়ে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।
রাত ৮টা ৫০মিনিটে লাইলাতুল বারাআতের ফজিলত ও তাৎপর্য তুলে ধরে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড. খলিলুর রহমান মাদানি।
রাত সাড়ে ৯টায় পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বারাআতের শিক্ষা ও করণীয় সম্পর্কে ওয়াজ করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর ও চরমোনাই আহসানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি।
রাত সোয়া ২টায় (দিবাগত রাত) নফল ইবাদতের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে ওয়াজ করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান এবং ভোর ৫টা ৫০মিনিটে আখেরি মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
শবে বরাতেও ক্ষমা পাবে না যারা

শবে বরাত ক্ষমার রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ক্ষমা করেন। গুনাহ মাফ করেন। তবে এ রাতেও আল্লাহ তায়ালা দুই শ্রেণীর মানুষকে ক্ষমা করেন না। তারা হলেন অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী ও মুশরিক ব্যক্তি।
মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)
হিংসা বিদ্বেষ লালন একটি মন্দ স্বভাব। যার ফলে আমাদের অনেক নেক আমল; ভালো কাজ, নেকি ও পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়। হিংসা বা অহংকার মানুষের পতন ঘটায়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
إياكُم والحَسَدَ، فإنَّ الحَسَدَ يأكُلُ الحَسَناتِ كما تأكُلُ النَارُ الحَطَبَ
হিংসা থেকে সাবধান! কেননা হিংসা নেকীকে এমনভাবে ধ্বংস করে; যেমন আগুন লাকড়ি ধ্বংস করে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৩)
সাহাবি হজরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের পূর্বেকার উম্মতের একটি রোগ তোমাদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। তা হলো, পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা। আর এ রোগ মুণ্ডন করে দেয়। আমি বলছি না যে, চুল মুণ্ডন করে দেয়। বরং, এটা দীনকে মুণ্ডন (ধ্বংস) করে দেয়।
ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তোমরা যদি একে অপরকে না ভালোবাসো, তবে ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে বলবো না যে, পারস্পরিক ভালোবাসা কোন্ কাজের মাধ্যমে মজবুত হয়? তোমরা পরস্পর সালামের বিস্তার ঘটাও। (সুনানে তিরমিজি : ২৫১০)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
শবে বরাতে যেসব কাজ করবেন না

পবিত্র শবে বরাত একটি ফজিলতপূর্ণ রাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে শবে বরাত বলা হয়।হাদিস ভাষায় একে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্যরাত বলা হয়েছে। শবে বরাত শব্দটি ফারসি। শব মানে রাত, বরাত মানে মুক্তি; শবে বরাত অর্থ মুক্তির রজনী।
শবে বরাতের ফজিলত
হাদিসে এই রাতের বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। হজরত আবু সালাবা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, যখন অর্ধ শাবানের রাত আসে, তখন আল্লাহ তায়ালা মাখলুকাতের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান; মুমিনদের ক্ষমা করে দেন, কাফিরদের ফিরে আসার সুযোগ দেন এবং হিংসুকদের হিংসা পরিত্যাগ ছাড়া ক্ষমা করেন না। (কিতাবুস সুন্নাহ, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।
আরেক হাদিসে হজরত মুআয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৫৬৬৫)।
শবে বরাতে যেসব কাজ করবেন না
এই রাত ফজিলতপূর্ণ এবং ইবাদতের। তবে এ রাতকে ঘিরে আমাদের সমাজে ইবাদত মনে করে বেশ কিছু কাজের প্রচলন রয়েছে ইসলামি শরিয়তে যার কোনো ভিত্তি নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িদের যুগে যেসব আমলের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। শবে বরাতে পরিহারযোগ্য- এমন কিছু কাজের তালিকা তুলে ধরা হলো-
>>এই রাতকে উপলক্ষ করে মসজিদে বিপুল পরিমাণ জনসমাগমের আয়োজন করা যাবে না।
>> শুধু শবে বরাতকে কেন্দ্র করে মসজিদে বা ঘরে প্রয়োজন অতিরিক্ত লাইটিং করা যাবে না।
>> ইবাদত মনে করে হালুয়া-রুটির আয়োজন করা যাবে না।
>> ইবাদত মনে করে খাশি জবেহ করা যাবে না।
>> আতশবাজি,পটকা ফোটানো যাবে না।
>> নফল ইবাদত-বন্দেগি বাদ দিয়ে অযথা ঘোরাফেরা করা যাবে না।
>> গর্হিত ও অশ্লীল কোনো কাজ করা যাবে না।
>> অন্য কারও ইবাদতের বা ঘুমের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না
>> দলবেঁধে কবরস্থানেও যাওয়া যাবে না।
>> শিরকে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকা।
>> হিংসাত্মক কাজ না করা।
>> আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজ না করা।
>> মাজার ও কবরস্থান আলোকসজ্জায় সজ্জিত না করা।
> এ রাতে মৃত ব্যক্তির আত্মা তার গৃহে ফিরে আসে এমন ধারণা পোষণ না করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র শবে বরাত আজ

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার সরকারি ছুটি থাকবে।
এই রাতে বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদগুলোতে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ, মিলাদ মাহফিলসহ ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটাবেন। মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত করবেন।
শবে বরাত উপলক্ষ্যে আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজ, দোয়া, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররম মসজিদে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে লাইলাতুল বরাতের শিক্ষা ও করণীয় বিষয়ে ওয়াজ করবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষ্যে ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।