শিল্প-বাণিজ্য
মূল্যস্ফীতি কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশাল চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
![মূল্যস্ফীতি কমিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশাল চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/FBCCI-6.jpg)
মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। আর বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সুশাসন ও যথাযথ মনিটরিং দরকার বলে মনে করেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম।
শনিবার (৮ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মত দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের জিডিপির আকার এবং অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিগত কয়েক বছরে যেখানে প্রায় ১০-১২ শতাংশ হারে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে, এবার বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশেরও কম (৪.৪২)। বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুশাসন ও যথাযথ মনিটরিং। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের জন্য সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি। এছাড়াও বাজেটে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে হবে।
তিনি বলেন, বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জন্যও বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬.৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি বছর মে মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। এ মূল্যস্ফীতির হারকে কমিয়ে এনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করি। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতেই হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি বাড়বে। ভূরাজনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে আমাদের অর্থনীতিতে এমনিতেই বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার উচ্চ বিনিময় হার, ঋণের সুদের হার, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রভৃতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাজেট বাস্তবায়নের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
এফবিসিসিআই বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯.৭ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্য ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আসবে ৬৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ বিশাল রাজস্ব সংগ্রহ করা হবে সরকারের জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এমনিতেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসহ রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী বিরাজমান কঠিন পরিস্থিতির কারণে চাপের মুখে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার জরুরি। সেই সঙ্গে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়ানো এবং উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস বিস্তৃত করা প্রয়োজন।
ব্যবসায়ী শীর্ষ সংগঠনটি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪.৬ শতাংশ। যদিও চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি রাখা ছিল ৫.২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে আভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা নিতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিতে হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে সরকারকে সুদের বোঝা টানতে হচ্ছে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিক মাত্রায় সরকারের ঋণ গ্রহণ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বাজেট ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সুলভ সুদে ও সতর্কতার সঙ্গে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের জন্য নজর দেওয়া যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
শিল্প-বাণিজ্য
শুরু হলো পাঁচ দিনের হস্তশিল্প মেলা
![শুরু হলো পাঁচ দিনের হস্তশিল্প মেলা সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/hostosilpo.jpg)
নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিকভাবে নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে পাঁচ দিনের হস্তশিল্প মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ মেলার উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এবং এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
মেলাটি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ৮টা পর্যন্ত)। মেলায় দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ মেলায় পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, বেত ও বাঁশজাত পণ্য, তাঁত পণ্য, কারুপণ্য, হ্যান্ডমেইড জুয়েলারি, মৃৎশিল্পজাত পণ্য প্রভৃতি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান (ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস বিডি লিমিটেড, নাদিয়া জামদানি ওয়েভিং ফ্যাক্টরি, আধুনিকা, টুইংকেল ক্রাফট, কল্পতরু, মা এন্টারপ্রাইজ, প্রকৃতি প্রভৃতি) মেলায় হস্তশিল্পজাত পণ্য প্রস্তুত প্রক্রিয়া উপস্থাপন করে দর্শনার্থীদের প্রত্যক্ষ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের ৭৭ হাজার ৩১৭ বর্গফুট আয়তনের হলে প্রায় ১০০টি হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদক, সরবরাহকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে স্বল্প মূল্যে সেলস্কিম স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় যেসব প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি), জয়িতা ফাউন্ডেশন, বাংলাক্রাফট (গোল্ডেন গ্রিট, ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস বিডি লিমিটেড, সুআঁশ, জুট ফিউসন বিডি, আর্টিফ্যাক্ট, লিজা বুটিকস, প্রকৃতি, হীড হ্যান্ডিক্রাফটস, জারিনস ক্রিয়েশন, বুনিসুতা, সাজোয়া টেক্সটাইল, আধুনিকা, আজুরা ফ্যাশন, পানসি জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল, কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড, বেঙ্গল ব্রেইডেড রাগস লিমিটেড, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ফন গোল্ডেন হারভেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গ্রীন গোল্ডেন জুটেস্ক, হুর, এশিয়া প্যাসিফিক জোন, ক্লে ইমেজ, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, মা এন্টারপ্রাইজ, ওয়েন্ড (উইমেন এন্টারপ্রেনার্স নেটওর্য়াকিং ফর ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন্স), জেডএ ট্রেডিং, মিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, অনন্যা সক্স অ্যান্ড ইনার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আসমা বুটিকস, বাবু লেদার, বাংলা লেদার, জে এন ট্রেডিং, জেড এন লেদার কমপ্লেক্স, কুমুদিনী হ্যান্ডিক্রাফট, কল্পতরু, বিডি ক্রিয়েশন, ডিজাইন বাই রুবিনা (সাসটেইনেবল বাংলাদেশ- প্রেজেন্টেড বাই জুট ল্যান্ড বাংলাদেশ, দ্য জুট ফাইবারস বিডি, জুটমার্ট ইন্টারন্যাশনাল) প্রভৃতি অন্যতম।
মেলায় সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড হতে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসির ডেডিকেটেড শাটল বাস নিয়মিত মেলার দর্শনার্থীদের আনা-নেওয়ায় নিয়োজিত থাকছে। মেলায় দ্বিতল কার পার্কিং-এ পাঁচ শতাধিক গাড়ি পার্কিং সুবিধা ছাড়াও এক্সিবিশন হলের বাইরে ৬ একর জমিতে বিস্তর পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
দর্শনার্থীদের সব প্রকার তথ্যপ্রদানের জন্য মেলায় স্থাপন করা হয়েছে একটি তথ্য কেন্দ্র।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পরিচ্ছন্নকর্মী। এছাড়া, মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিকরণার্থে মেলা প্রাঙ্গণ সিসিটিভি সার্ভেল্যান্স সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আনসার ও বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ড নিয়োজিত আছে। যেকোন ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনারোধে মোতায়েন করা হয়েছে ফায়ার ব্রিগেড। মেলায় সুলভ মূল্যে চমৎকার পরিবেশে দর্শনার্থীদের খাবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে চারটি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ক্ষুদ্র পরিসরে হস্তশিল্প রপ্তানি শুরু হয়। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৯ হাজার ডলার। ধীরে ধীরে হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বাড়ে। গত ৫ বছরে বিশ্ব বাজারে গড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের অধিক হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানি হয় যেখানে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে। একক দেশ হিসেবে চীন বৈশ্বিক হস্তশিল্প পণ্য রপ্তানি বাজারের ৫০ শতাংশের অধিক জায়গা দখল করে আছে (ভিয়েতনাম-১১.৩ শতাংশ, নেদারল্যান্ডস-৩.৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া-৩.২ শতাংশ, স্পেন-২.৬ শতাংশ, ফ্রান্স-২.২ শতাংশ, ভারত-২.২ শতাংশ, জার্মানী-২.২ শতাংশ, পোল্যান্ড-২.২ শতাংশ, কানাডা-১.৫ শতাংশ, বাংলাদেশ-১.৪ শতাংশ ইত্যাদি) (তথ্যসূত্র: আইটিসি ট্রেড ম্যাপ)। বাংলাদেশের মাটি, হোগলাপাতা, কচুরিপানা, পাট, বাঁশ ও বেতের মতো কাঁচামাল দিয়ে হাতে তৈরি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, ইউএসএ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান, তাইওয়ানসহ অর্ধশতাধিক দেশে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
জার্মান দূতের আমান বাংলাদেশের গাজীপুর প্লান্ট পরিদর্শন
![জার্মান দূতের আমান বাংলাদেশের গাজীপুর প্লান্ট পরিদর্শন সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/jarman.jpg)
জার্মান এম্বেসী ঢাকার চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স ইয়ান রল্ফ- ইয়ানোওস্কি আমান্ গ্রুপ জার্মানির অন্যতম সিস্টার কনসার্ন আমান্ বাংলাদেশের মাওনা গাজীপুর প্লান্ট পরিদর্শন করেন। সোমবার (২৪ জুন) আমান্ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান জার্মান চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্সকে ফ্যাক্টরিতে স্বাগত জানান।
তিনি বাংলাদেশে আমানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যাত্রা ইতিহাস তুলে ধরেন। সেই সাথে তিনি প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত গৃহিত উদ্যেগগুলো সম্পর্কে অতিথিকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে, জার্মান চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স আমান বাংলাদেশের শেড গ্যালারী উদ্বোধন করেন এবং বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৮৫৪ সাল থেকে প্রায় দুই শত বছর ধরে আমান্ উচ্চ-গুণগত মানসম্পন্ন সেলাই (সিউইং থ্রেড) ও এম্ব্রয়ডারি সুতা এবং স্মার্ট ইয়ার্ন তৈরীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের উৎপাদকদের মধ্যে অন্যতম নেতৃস্থানীয় হিসাবে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের সাথে যৌথ উদ্যোগে আমান্ গ্রুপের সিস্টার কন্সার্ন আমান্ বাংলাদেশ তার অগ্রযাত্রা শুরু করে।
চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্স এই সফর আয়োজন করার জন্য মো. রোকনুজ্জামানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সেই সাথে সংক্ষিপ্ত ভাষনে তিনি বাংলাদেশে জার্মান কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কর্মকান্ড সহজতর করার লক্ষ্যে উন্নয়ন এবং সহযোগীতার সম্ভাবনা সংক্রান্ত কিছু বিষয় তুলে ধরেন।
এই সফরের সময় আমান্ বাংলাদেশের কো- চেয়ারম্যান এবং স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসনাত মোশাররফসহ কোম্পানির সিনিয়র লিডারশিপ টীম মেম্বারগণ ও উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
১১ মাসে রপ্তানি আয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার
![১১ মাসে রপ্তানি আয় ৪৪ বিলিয়ন ডলার সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/roptani-1.jpg)
চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত থেকে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
রবিবার (২৩ জুন) চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০.২৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে মে মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিবিএমইএর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানায় ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৭ জন শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে ৫২.২৮ শতাংশ নারী শ্রমিক। অর্থাৎ নারী শ্রমিক ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৯ জন। বিকেএমইএর তথ্য অনুযায়ী নিট সেক্টরে ১৭ লাখ ২৫৫ শ্রমিক রয়েছে। যার ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১০ লাখ ৫৪ হাজার ১৫৭ জন নারী। সব মিলিয়ে দেশে তৈরি পোশাক খাতে মোট ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন শ্রমিক রয়েছে। যার ৫৫.৫৭ শতাংশ অর্থাৎ ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৬ জন নারী শ্রমিক।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর তথ্যের উদ্বৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী তৈরি পোশাক খাতে মোট লোকবল ৪৩ লাখ ১৬ হাজার। যার ৩৭.৫১ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ লাখ ১৯ হাজার জন নারী শ্রমিক। গত এক যুগের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব থেকে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮.৬৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৮.৬৯ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬.৭৮ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭.৩৫ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬.৪১ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫.৯২ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫.৪৪ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫.৮৮ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫.৪৮ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫.৬৫ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.৫৬ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.১৫ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯.০২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিল।
সংরক্ষিত আসনের শাম্মী আহমেদের প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তামাক ও মদ জাতীয় পণ্য ছাড়া সকল পণ্যে শুল্কমুক্তি সুবিধা লাভ করায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি লাঘব হচ্ছে এবং ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ হাজার ২৩৯ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মে পর্যন্ত পণ্য খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫১ হাজার ৫৪২ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার। এ সময়ে সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৫ হাজার ৮৩ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
মালয়েশিয়া গিফ্টস ফেয়ারে বাংলাদেশের স্টলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়
![মালয়েশিয়া গিফ্টস ফেয়ারে বাংলাদেশের স্টলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/aa-42.jpg)
মালয়েশিয়া গিফটস এন্ড প্রিমিয়াম এসোসিয়েশন (এমজিপিএ) আয়োজিত ১৪তম মালয়েশিয়া গিফ্টস ফেয়ারে ২য় বারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘গিফ্ট ফর এ সার্কুলার ফিউচার’।
কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে চলমান (১৮-২০ জুন, ২০২৪) জনপ্রিয় এ মেলায় মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ ৭ টি দেশের ২৮৩ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) উদ্যোগে এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ৬ টি প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান আজ বুধবার বাংলাদেশ স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন এবং মালয়েশিয়ায় তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
গিফ্টস ফেয়ারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো- মালয়েশিয়ায় অপ্রচলিত পণ্যের তথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও কিচেনওয়ার, ননওভেন ব্যাগ এবং হস্তশিল্প পণ্যসামগ্রী ইত্যাদির বাজার অন্বেষণ ও রপ্তানির সুযোগ তৈরী করা। মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে- কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা নন উভেন ফেব্রিকস, কে.এম.আর ক্রাফট, সওদা ইন্টারন্যাশনাল, তরঙ্গ, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ এবং যৌথভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো।
এছাড়া বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো’র স্টলে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা ছাড়াও বাংলাদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান , মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরী পোষাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরনের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে। পরিদর্শনের সময় মালয়েশিয়া গিফ্টস এন্ড প্রিমিয়াম এসোসিয়েশনের (এমজিপিএ) প্রেসিডেন্ট ইভান লু , মেলার অর্গানাইসিং চেয়ারম্যান আলবার্ট ছুং এবং অপারেশন ম্যানেজার মিজ্ সুজানা, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মো: খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি স্টলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে আগামীকাল (২০ জুন) হাইকমিশনে একটি মতবিনিময় কর্মসূচি রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ: বিজিএমইএ
![শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ: বিজিএমইএ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/BGMEA.jpg)
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্যভুক্ত প্রায় সব কারখানাই ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা দিয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ী সংগঠনটি। মে মাসের বেতন পরিশোধ করেছে শতভাগ কারখানা।
শনিবার (১৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় চালু কারখানার সংখ্যা এক হাজার ৮৩৫টি, চট্টগ্রামে ৩২৫টি। বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত চালু কারখানার সংখ্যা মোট দুই হাজার ১৬০টি। এর মধ্যে শতভাগ কারখানায় মে মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ঈদুল আজহার উৎসব ভাতা দেওয়া হয়েছে প্রায় শতভাগ কারখানায়। চারটি কারখানায় উৎসব ভাতা প্রদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা আজকের মধ্যেই পরিশোধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিজিএমইএর জানা মতে আর কোথাও বেতন-ভাতা পরিশোধ বাকি নেই।
পোশাক শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য ঈদুল আজহা আনন্দময় করতে কষ্ট করে হলেও যথাযথ পাওনাদি পরিশোধ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় এবং সবার ঐকান্তিক সহযোগিতায় এবারও শ্রমিক ভাই-বোনেরা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ এ ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পোশাক কারখানাগুলো ১৩ জুন থেকে পর্যায়ক্রমে আজ শনিবার ঈদের ছুটি ঘোষণা করেছে। বিজিএমইএ তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদুল আজহার আগে শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে বেতন-ভাতাদি প্রদানের সুবিধার্থে সরকারি ছুটির দিনে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ধন্যবাদ জানিয়েছে।
বিজিএমইএ রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমসহ দেশের রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার জন্য সরকারি ছুটির দিনে ইপিবি, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টম, মোংলা কাস্টম, বেনাপোল কাস্টম ও পানগাঁও কাস্টম হাউজ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাস্টম বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় এবং একইসঙ্গে এসব কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশন-সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংকের শাখা ও অন্যান্য স্টেকহোলিং প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।