আন্তর্জাতিক
ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোপেনহেগেনের রাস্তায় হামলার ঘটনায় বেশ মর্মাহত হয়েছেন তিনি। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি চত্বরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
ইতোমধ্যেই ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে একটি ঘৃণ্য কাজ বলে অভিহিত করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন। তিনি বলেন, ইউরোপে আমরা যা বিশ্বাস করি এবং যার বিরুদ্ধে লড়াই করি এই ঘটনা তার বিপরীত।
প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেনের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় কোপেনহেগেনের কুলটোরভেটে এক ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় হতবাক হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। কী কারণে ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেনের (৪৬) ওপর হামলা চালিয়েছে বা তার উদ্দেশ্য কি ছিল সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মেরি আদ্রিয়ান এবং আন্না রাভন নামের দুজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বিটি পত্রিকাকে বলেন, তারা এই হামলার ঘটনার সাক্ষী। তারা বলেন, এক ব্যক্তি বিপরীত দিক থেকে এসে তার কাঁধে জোরে ধাক্কা দেয়।
এতে প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন পড়ে যান। তারা জানান প্রধানমন্ত্রী মেত্তেকে খুব জোরে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর তিনি কিছু সময় একটি ক্যাফেতে গিয়ে বসেছিলেন। ২০১৯ সালে ডেনমার্কের ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন।
ডেনমার্কের পরিবেশমন্ত্রী মাগনুস হিউনিক সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, এই হামলার ঘটনায় বেশ মর্মাহত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন। তিনি বলেন, আমরা যারা প্রধানমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ সবাইকে এই ঘটনা নাড়া দিয়েছে। তিনি বলেন, আমি এই কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এক মাসেরও কম সময় আগে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্টকে কয়েক দফা গুলি চালানো হয়। সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেছেন।

আন্তর্জাতিক
অভিবাসন ইস্যুতে বিক্ষোভ: লস অ্যাঞ্জেলেসে কারফিউ জারি

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় ক্যালিফোর্নিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন বিরোধী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিযানের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই কারফিউ জারি করা হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাস মঙ্গলবার রাতে এই ঘোষণা দেন।
মেয়র কারেন ব্যাস জানিয়েছেন, কারফিউটি স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এবং শহরের মাত্র এক বর্গমাইল (প্রায় ২.৬ বর্গকিলোমিটার) এলাকা জুড়ে এটি প্রয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, এই বিক্ষোভে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত বা ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। গত রাতেই ২৩টি দোকান লুট করা হয়েছে এবং ডাউনটাউন এলাকা জুড়ে ব্যাপক গ্রাফিতি হয়েছে, যা ব্যবসা ও সম্পত্তির বড় ক্ষতি করেছে।
মেয়র আরো বলেন, “ডাউনটাউন এলাকায় বসবাস বা কাজ না করলে দয়া করে ওই এলাকা এড়িয়ে চলুন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কারফিউ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” তিনি জানান, কারফিউ কয়েকদিন পর্যন্ত বহাল থাকতে পারে তবে তা শহরের মাত্র এক ছোট অংশে প্রযোজ্য।
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, যদিও ঘটনার কেন্দ্রস্থল ডাউনটাউনের একটি ছোট অংশ, মিডিয়ায় তা এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন পুরো শহরে সঙ্কট চলছে, যা বাস্তবতা নয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আংশিক কারফিউ ঘোষণা করা হলো এমন সময় যখন ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসন বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে টানা পাঁচ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে।
এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম ট্রাম্প প্রশাসনের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে অঙ্গরাজ্যবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ‘ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহার’ বলে অভিহিত করেন। নিউজম বলেন, প্রেসিডেন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি খারাপ করছেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে এমনভাবে ব্যবহার করছেন যেন তারা কোনও শত্রু দেশের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
নিউজম আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের টার্গেট করা মানুষরা সন্ত্রাসী নয়, তারা আমাদের সমাজের সাধারণ সদস্য — রান্নাঘরের কর্মী, মালী, দিনমজুর, দর্জি। এটা শক্তির প্রকাশ নয়, বরং দুর্বলতার পরিচয়। ট্রাম্পের সরকার আমাদের কমিউনিটিকে নিরাপদ করার চেষ্টা করছে না, বরং ভয়ভীতি ছড়িয়ে আঘাত করছে।
তিনি সতর্ক করেন, যদি কাউকে সন্দেহ বা গায়ের রঙের ভিত্তিতে পরোয়ানা ছাড়াই রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া যায়, তাহলে কেউই নিরাপদ নয়। স্বৈরশাসকরা প্রথমে এমন মানুষদের ওপর আক্রমণ চালায় যারা আত্মরক্ষায় অক্ষম, কিন্তু এখানেই থামে না।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মঙ্গলবার ফোর্ট ব্র্যাগ সেনাঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নিজের অবস্থানে অটল থাকার বার্তা দেন। তিনি বলেন, আমাদের বীর সেনারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দেশের জন্য বিদেশের মাটিতে রক্ত দিয়েছে, শুধু এটা দেখার জন্য নয় যে, এখন নিজ দেশে তৃতীয় বিশ্বের মতো বিশৃঙ্খলা ও অনুপ্রবেশের কারণে দেশ ধ্বংস হচ্ছে — যেমনটা ক্যালিফোর্নিয়ায় ঘটছে। আমি একজন কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে তা হতে দেব না, এটা কখনোই ঘটতে দেব না।
এমএস
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারে সহায়তায় আগ্রহী কমনওয়েলথ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে এ আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে, আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, আগামী পাঁচ বছরে সংগঠনটির অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান। একইসঙ্গে তিনি বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিমাণ আগামী কয়েক বছরে কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জলবায়ু ইস্যুতে বোচওয়ে বলেন, “কমনওয়েলথের অনেক সদস্য দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি, যাদের মধ্যে অনেক দেশ আকারে ক্ষুদ্র। তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।”
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ক্রীড়ার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের স্মরণীয় হয়ে ওঠার জন্য ক্রীড়া হতে পারে একটি শক্তিশালী মাধ্যম।”
জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, চলতি মাসেই ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রামের আয়োজন করছে কমনওয়েলথ। তিনি জানান, সংগঠনটির ১.৫ বিলিয়ন তরুণ জনগণকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে তারা কাজ করছে এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
এমএস
আন্তর্জাতিক
গাজায় প্রাণহানি ৫৫ হাজার ছুঁইছুঁই

ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক আক্রমণে ফের রক্তাক্ত গাজা। সোমবার (৯ জুন) সারাদিন চলা বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি, আহত আরও ৩৮৮। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চলমান যুদ্ধে সোমবারের হামলার পর পর্যন্ত গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৯২৭ জনে। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় গাজা নিয়ন্ত্রিত প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। ওই অভিযানে গুলি ও হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। টানা ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ এই যুদ্ধ চলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু সেই বিরতি ছিল ক্ষণস্থায়ী। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বিতীয় দফা হামলা। এই নতুন দফার অভিযানে আড়াই মাসেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ৬৪৯ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৪ হাজার ৫৭৪ জন।
এদিকে, শুরুতেই হামাস যাদের জিম্মি করে নিয়েছিল, সেই ২৫১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মুক্ত করতে নতুন করে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বব্যাপী কমেছে খাদ্যের দাম: এফএও

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, মে মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ০.৮ শতাংশ কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনি জাতীয় পণ্যের দাম।
খাদ্যমূল্য সূচকের সবচেয়ে বড় উপাদান—শস্য ও খাদ্যশস্যের দাম মে মাসে ১.৮ শতাংশ কমেছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভালো ভুট্টার ফলন এবং বৈশ্বিকভাবে গমের চাহিদা কমেছে।
তবে ইন্দিকা চালের চাহিদা ও মার্কিন ডলারের মূল্য পতনের কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তা সত্ত্বেও, সামগ্রিক সূচকের ওপর তা প্রভাব ফেলেনি।
মে মাসে মাংসের দাম বেড়েছে ১.৩ শতাংশ। গরু, খাসি ও শুকরের মাংসের চাহিদা বাড়ায় এই প্রবণতা দেখা গেছে। বিশেষ করে জার্মানিতে পা ও মুখের রোগের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় দেশটির বাজারে চাহিদা বাড়লে শুকরের মাংসের দাম বেড়ে যায়। তবে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের শঙ্কায় মুরগির মাংসের চাহিদা কমেছে।
এদিকে, দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। এশিয়ার চাহিদার কারণে মাখনের দাম রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে, ফলে পনির ও গুড়ো দুধের দামও বেড়েছে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দামে।
উদ্ভিজ্জ তেলের দাম কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যদিও এটি এখনো গত বছরের তুলনায় ১৯.১ শতাংশ বেশি। পাম, রেপসিড, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমে গেছে—এর পেছনে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে এফএও।
এদিকে খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকায় চিনির দাম কমেছে ২.৬ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস একটি মিনিভ্যানে ধাক্কা দিলে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) ভোররাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে ব্যস্ত ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ১৩ জন মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় আরও ৩১ জন আহত হয়েছেন।
পেরাক রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ সময় বাসটি উল্টে যায় এবং মিনিভ্যানটি খাদে পড়ে যায়।
তারা আরও জানায়, কিছু যাত্রী নিজেরাই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, কেউ কেউ বাস থেকে ছিটকে পড়েন এবং অনেকেই ভেতরে আটকে পড়েন।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, বাসের ভেতর থেকে কয়েকজনকে বের করতে হাইড্রোলিক কাটার ব্যবহার করতে হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক বেশি। দেশটির দ্য স্টার পত্রিকা মার্চ মাসে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মালয়েশিয়ার ব্যস্ত সড়কগুলোতে গড়ে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন মানুষের মৃত্যু ঘটে।