ধর্ম ও জীবন
ঈদুল আজহা কবে, জানা যাবে আজ
![ঈদুল আজহা কবে, জানা যাবে আজ ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/eid-ul-adha.jpg)
পবিত্র ঈদুল আজহা কবে, তা জানা যাবে আজ। শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
তবে কোনো কারণে শুক্রবার চাঁদ দেখা না গেলে সেক্ষেত্রে শনিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। জিলহজ মাস শুরু হবে রোববার (৯ জুন), সেক্ষেত্রে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ১৮ জুন (মঙ্গলবার)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হবে যখন
![পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হবে যখন ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/hajj-haz.jpg)
হিজরি নববর্ষের রাতে পবিত্র কাবাঘর নতুন গিলাফ দিয়ে মোড়ানো হবে। ১৪৪৬ হিজরির ১ মহররম রাতে সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহ্যবাহী এ কাজে অংশ নেবেন ১৫৯ জন বিশেষজ্ঞ কারিগর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তবে হিজরি নববর্ষের মহররম মাসের সূচনা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। তাই আজ সৌদি আরবের কোনো অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) থেকে মহররম মাসের গণনা শুরু হবে। এমতাবস্থায় আজ রাতে পবিত্র কাবাঘরের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তনের কাজটি সম্পন্ন হবে। আর আজ চাঁদ দেখা না গেলে আগামীকাল রবিবার (৭ জুলাই) রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হবে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ প্রতিবছর পরিবর্তন করা হয়। পুরনো গিলাফ সরিয়ে নতুন গিলাফ পরানো হয়। মূলত এর চারটি কাপড়ের টুকরো থাকে এবং দরজার একটি অংশ থাকে। নতুন কাপড়ের টুকরোগুলো ওপরের দিকে তুলে পুরনো কাপড়ের টুকরোগুলো ধীরে ধীরে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৮ জুন সৌদি বাদশাহর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাবাঘরের সদ্যঃপ্রয়াত প্রধান রক্ষক শায়খ আবদুল মালিক আল-শায়বির কাছে নতুন গিলাফ হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে প্রধান রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আবদুল ওয়াহাব বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি।
মূলত ইসলামের প্রথম যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনের রীতি ছিল। ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের সময়সূচিতে পরিবর্তন করে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।
৬৫৮ বর্গমিটারের গিলাফটি তৈরিতে ৬৭০ কেজি কালো রেশম ব্যবহার করা হয়। ৪৭টি কাপড়ের টুকরা দিয়ে পুরো গিলাফ সেলাই করা হয়। ১৬ মিটার দৈর্ঘ্যের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেলাই মেশিনে করা হয় এসব কাজ। কারুকার্যের অনেক কাজ হাতেও করা হয়। কাপড়ের ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি অংশ একত্রে সেলাই করা হয় এবং তামার রিং দিয়ে গোড়ায় স্থির করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
আশুরা কবে, জানা যাবে শনিবার
![আশুরা কবে, জানা যাবে শনিবার ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/New-Moon-1.jpg)
পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (৬ জুলাই)। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭, ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
জুমার নামাজ কত রাকাত?
![জুমার নামাজ কত রাকাত? ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Namaz-namaj-jumah-eid-1.jpg)
সপ্তাহের সেরা দিন- জুমার দিন। এ দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে, যেটি আরবি শব্দ; এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্রিত করা।
পবিত্র কোরআনে জুমা নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। তাফসিরবিদরা বলেন, সুরা জুমার আগের সুরার নাম ‘সফ’, যার অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয়। এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা তৈরির ইঙ্গিত রয়েছে।
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পার।) (সুরা জুমা, আয়াত :০৯)
জুমার নামাজের রাকাত সংখ্যা
সপ্তাহের জুমাবারে জোহরের নামাজের পরিবর্তে এ নামাজ ফরজ হিসেবে পড়তে হয়। সময় এক হলেও জোহরের সঙ্গে এ নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। জুমার নামাজ ২ রাকাত ফরজ আর জোহরের নামাজ ৪ রাকাত ফরজ। জুমার নামাজের আগে ইমামের খুতবা শুনতে হয়। খুতবা শোনা আবশ্যক। জোহর নামাজের জন্য কোনো খুতবা শুনতে হয় না।
জুমার দিন দুই রাকাত নামাজ পড়া ফরজ। আর ফরজের আগে ৪ রাকাত ও ফরজের পরে ৪ রাকাত সুন্নতও রয়েছে। ফলে অধিকাংশ মুসল্লি সব মিলিয়ে মোট ১০ রাকাত জুমার নামাজ আদায় করে থাকেন। অনেকে আবার জুমার আগে ২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে থাকেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার সহজ উপায়
![আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার সহজ উপায় ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/namaz.jpg)
মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য পায়, যতক্ষণ তারা একে অপরের উপকারী থাকে। যখনই তারা পারস্পরিক কল্যাণকামিতার পরিবর্তে অকল্যাণ কামনায় লিপ্ত হয়ে যায়, যখনই তাদের মধ্যে তৈরি হয় খিয়ানতের পরিবেশ, তখনই আল্লাহতায়ালা সাহায্য উঠিয়ে নেন।
সুতরাং যারা এহেন অবস্থায় পতিত তারা অতিসত্বর ইসলামের সাম্যের পথে ফিরে আসতে হবে। সবসময় অন্যের কল্যাণকামী হতে হবে। পরস্পরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে সামাজিক সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আমি ইউনুসকে উদ্ধার করেছি এবং এভাবেই আমি আমার মুমিন বান্দাদের উদ্ধার করে থাকি। এজন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এই দোয়া বিপদগ্রস্তদের দোয়া। ক্রান্তিকালে যে বান্দা আল্লাহকে এই দোয়ার মাধ্যমে স্মরণ করে, আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দেন।
যে কেউ যখনই বিপদগ্রস্ত হবে, এই দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে। আল্লাহর কাছে এই দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাইলে ইনশাআল্লাহ তিনি বান্দাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। দোয়াটি হলো- উচ্চারণ : ‘লা-ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায যালিমীন।’
অর্থ : আপনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; আপনি পবিত্র, মহান। অবশ্যই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের একজন হয়ে গেছি। (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৭)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
রোগীর সেবা করার সাত পুরস্কার
![রোগীর সেবা করার সাত পুরস্কার ডিএসই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/the-patient.jpg)
সুস্থতা মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে বান্দার জন্য অশেষ নেয়ামত। বিভিন্ন কারণে মানুষকে নানা সময়ে রোগে-শোকে ধরে।
রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করার বহু পুরস্কার হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তা থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-
আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন- যে রোগীর খোঁজ-খবর নিল সে আল্লাহর রহমতে ডুবে গেল আর সে যখন বসল তখন সে তার মধ্যে স্থির হয়ে গেল। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫২২)
জান্নাতের ছায়া লাভ
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো মুসলিম তার (অসুস্থ) মুসলিম ভাইয়ের সেবায় নিয়োজিত হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল বাগানে (তার ছায়ায়) অবস্থান করতে থাকে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৮)
ফেরেশতা কর্তৃক কল্যাণের দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়- একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকে, কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও। তুমি তো জান্নাতের মধ্যে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০৮)
আল্লাহর রহমতে অবগাহন
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেল, সে আল্লাহর রহমতে প্রবেশ করল- যতক্ষণ না সে বসে। যখন সে বসল তাতে সে ডুবে গেল। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪২৬০)
জান্নাতে ফলের বাগান
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো মুসলমান যদি অন্য কোনো মুসলিম রোগীকে সকালে দেখতে যায় তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। সে যদি সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা ভোর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরি হয়। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৯)
আল্লাহ কর্তৃক দায়িত্ব গ্রহণ
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রোগীর দেখাশোনা করল, সে তার জামিন (দায়িত্ব গ্রহণকারী) হলো। (মুহাজ্জাবুস-সুনান ফি ইখতিসারিস-সুনানিল কাবির, হাদিস : ১৪৪২৫)
জান্নাতের সুসংবাদ
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনে পাঁচটি কাজ করবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে : যে রোগীর শুশ্রূষা করে, জানাজায় অংশগ্রহণ করে, এক দিন রোজা রাখে, জুমার নামাজে অংশ নেয় এবং দাস আজাদ করে। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ২৭৭১)